"স্বামীবাগের ইসকন মন্দিরে কিছু সময়"

in আমার বাংলা ব্লগlast month


হ্যালো..!!
আমার সুপ্রিয় বন্ধুরা,
আমি @aongkon বাংলাদেশের নাগরিক

আজ- ২৮ শে মে, মঙ্গলবার, ২০২৪ খ্রিঃ

আমি আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমার মাতৃভাষা বাংলার একমাত্র ব্লগিং কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ফাউন্ডার, এডমিন প্যানেল, মডারেটর প্যানেল এবং সকল সদস্যসদস্যাদের আমার অন্তরের অন্তরস্থল থেকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন রইল।



কভার ফটো

1000086655.jpg

কয়েকটি ফটোগ্রাফি একত্রিত করে সুন্দর একটি কভার ফটো তৈরি করে নিয়েছি।



আমি আজকে আপনাদের সামনে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি প্রতিনিয়ত আমার বাংলা ব্লগে নতুন নতুন পোস্ট শেয়ার করতে আমার অনেক বেশি ভালো লাগে। কয়েকদিন আগে ঢাকাতে থাকতে একটি জরুরী কাজে স্বামীবাগের দিকে গিয়েছিলাম তারপর হঠাৎ করেই ইসকন মন্দিরের কথা মনে পড়লে সেখানে গিয়েছিলাম। আমি এই স্কুল মন্দিরে গিয়ে কিছু সময় বসে হরিনাম সংকীর্তন শ্রবণ করেছিলাম সাথে আরো কিছু সুন্দর সময় অতিবাহিত করেছিলাম। স্বামীবাগ ইসকন মন্দিরের গোবিন্দাস হোটেলের খাবার আমার কাছে ভীষণ প্রিয়। এর আগে যখন একবার এসে খেয়েছিলাম তখন থেকেই এই খাবারের টেস্ট আমার মুখে লেগেছিলো। আর এই কারণেই কয়েকদিন আগে স্বামীবাগ ইসকন মন্দিরের গোবিন্দাস হোটেল থেকে দারুন টেস্টের খাবার খেয়েছিলাম সত্যি অনেক বেশি ভালো লেগেছে।

20240519_114944.jpg

আমি ঢাকার স্বামীবাগ ইসকন মন্দিরে হরিনাম সংকীর্তন করার পরে মন্দির থেকে বের হয়ে আসছিলাম ঠিক তখনই এক প্রভু আমাকে ইশারা করে ডাকলো। আমিও সাথে সাথে প্রভুকে হরে "কৃষ্ণ বলে" করে বললাম যে প্রভু কিছু বলবেন! তখন প্রভু বলল যে, আমাদের নতুন মন্দিরের কার্যক্রম চলছে আপনি যদি চান তাহলে সহায়তার করতে পারেন। এটা বলেই প্রভু আমার হাতে একটি কাগজ দিলো। সেই কাগজে পুরো মন্দিরের নকশা এবং দানের বিষয়াদি সবকিছুই উল্লেখ রয়েছে।

20240519_114919.jpg

তারপর আমি উক্ত কাগজটি পড়ে পকেট থেকে ১০০ টাকা বের করে প্রভুকে দিয়ে বললাম এটা রাখেন দানের জন্য। তখন প্রভু স্বামীবাগ টেম্পল প্রোজেক্টের একটি রশিদ দিয়ে বলল যে, এটা পূরণ করেন। তারপর আমি এর রশিদ টি সুন্দরভাবে পূরণ করলাম। তখন প্রভু আমাকে এই রশিদের এ কংস নিতে বলল এবং আমার হাতে একাদশীর চার্ট সহ আরো কয়েকটি স্বামীবাগ ইসকন মন্দিরের প্রয়োজনীয় কাগজ দিলো।

20240519_115058.jpg

আমি এসব কাগজগুলো নিয়ে স্বামীবাগ ইসকন মন্দিরের মেইন যে, জায়গা আছে এখান থেকে বেরিয়ে আসলাম। তবে আমি দান করাতে প্রভু অনেক খুশি ছিল দেখে অনেক ভালো লাগছিলো। আর এমনকি ছোট্ট একটি গান করতে পেরে আমি নিজেও অনেক খুশি ছিলাম। তারপর বাইরে এসে মনে পড়লো যে, আমার বন্ধু সাগর কিছু ধর্মীয় বইয়ের জন্য খোঁজ করতে বলেছিল স্বামীবাগ ইসকন মন্দিরের লাইব্রেরীগুলোতে।

তারপর আমি একটি লাইব্রেরীতে গিয়ে জিজ্ঞাসা করলাম যে, বারো স্কন্দের ভাগবতম্ আছে কিনা এবং যদি থাকে তাহলে কত টাকা দাম! তখন লাইব্রেরীতে থাকে প্রভু বলল যে, হ্যাঁ আমাদের কাছে আছে তবে ১৬ হাজার টাকা দাম পড়বে। তারপর আমি বন্ধু সাগর কে বললাম যে, হ্যাঁ এখানে পাওয়া যাবে ১৬ হাজার টাকা দাম পড়বে। আর প্রভু আমাকে বললো যে, এই বইগুলো ইন্ডিয়া থেকে এসেছে এগুলো বেশ ভালো এবং অরিজিনাল।

20240519_115318.jpg

আমি সকালে খেয়ে গিয়েছিলাম না তাই দুপুরের দিকে বেশ ভালোই ক্ষুধা লেগে গিয়েছিলো। তাই ভাবলাম যে, স্বামীবাগ স্কুলের গোবিন্দাস্ হোটেল থেকে কিছু খেয়ে আসি। কারণ এর আগে এই হোটেলের খাবার খেয়েছিলাম আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগে। এই হোটেলের সকল প্রকার খাবার নিরামিষ এটা আমার কাছে সব থেকে বেশি ভালো লাগে। সেদিনে হোটেলে গিয়ে খাবারের চার্ট দেখে প্রথমে একটু অবাক হয়েছিলাম। সেদিন ভাত জাতীয় কোন খাবার ছিল না। এর কারণ হলো আমি যেদিন গিয়েছিলাম সেদিন একাদশীর দিন ছিলো।

20240519_121039.jpg

আর একাদশীর দিনগুলোতে ভাতের কোন আইটেম পাওয়া যায় না এই হোটেলে। যাইহোক আমি সেদিনই অবশ্য একাদশী ছিলাম না। তারপরেও ভাবলাম যে, এসেছে যতক্ষণ একাদশীর খাবারই খেয়ে যায়। কারণ এই হোটেলের খাবার আমার ভীষণ ভালো লাগে। প্রথমে রিসিপশন থেকে খাবারের চার্ট দেখে ৬০ টাকার এক বাটি সাবুদানার মিষ্টান্ন আর ৮০ টাকার এক বাটি ছানা আর আলুর তরকারি অর্ডার করলাম।

20240519_120203.jpg

গোবিন্দাস্ হোটেলের রিসিপশনের প্রভু আমাকে একটি রিসিট দিলো। এই রিসিট হোটেলের খাবার পরিবেশন সেক্টরের জমা দিলাম তারপর সেখানকার প্রভুরা আমাকে খাবারগুলো দিলো। তারপর আমি একটি টেবিলে এসে বসে আস্তে আস্তে পরম তৃপ্তি সহকারে খাবারগুলো খেলাম। একাদশী দিনে এতো সুন্দর খাবার খেতে পেরে সত্যি ভীষণ ভালো লাগছিলো। তারপর খাওয়া দাওয়া শেষ করে সায়দাবাদ বাস টার্মিনাল এসে একটি রিকশা নিয়ে গুলিস্তান আসি। তারপর সেখান থেকে মোহাম্মদপুরের বাসে করে বাসায় আসি।



পোস্টের ছবির বিবরন

ডিভাইসস্যামসাং গ্যালাক্সি এফ-৫৪
ক্যামেরা১০৮ মেগাপিক্সেল
তারিখ১৯ শে মে ২০২৪ খ্রিঃ
লোকেশনমোহাম্মদপুর,ঢাকা


প্রিয় বন্ধুরা,

আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে প্রতিনিয়ত আমার সৃজনশীলতা দিয়ে ভালো কনটেন্ট শেয়ার করে এই কমিউনিটিকে সমৃদ্ধ করতে চাই এবং উচ্চতার শিখরে নিয়ে যেতে চাই। আমার ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই নিজের খেয়াল রাখবেন সুস্থ এবং সুন্দর থাকবেন এটাই কাম্য করি।



আমি কে !

20230826_112155.jpg

আমি অংকন বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @aongkon। আমি মা, মাতৃভাষা এবং মাতৃভূমিকে সব থেকে বেশি ভালোবাসি। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে। আমি বর্তমানে ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটিতে সিভিল টেকনোলজিতে বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, গান গাইতে ও শুনতে, কবিতা লিখতে ও পড়তে, আর্ট করতে, রান্না করতে ও ফটোগ্রাফি করতে খুবই পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" আমার গর্ব "আমার বাংলা ব্লগ" আমার ভালোবাসা। আমার নিজের ভেতরে লুকায়িত সুপ্ত প্রতিভাকে বিকশিত করার লক্ষ্যে "আমার বাংলা ব্লগে" আমার আগমন। এই স্বল্প মানব জীবনের প্রতিটা ক্ষণ আমার কাছে উপভোগ্য। আমি মনে করি, ধৈর্যই সফলতার চাবিকাঠি।



সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ
@aongkon



VOTE@bangla.witness as witness witness_proxy_vote.png
OR
SET @rme as your proxy
witness_vote.png

standard_Discord_Zip.gif

Sort:  
 last month 

এরকম নিয়ম মেনে হোটেলে খাবার রান্না করা হয় এটা আসলে আমার আগে জানা ছিল না। তবে দেখছি আপনাদের একাদশী পালন করে তারা শুধুমাত্র একাদশীর জন্যই রান্না করেছে। তবে ভালোই করেছেন আপনিও সেই মোতাবেক দুইটা সুন্দর খাবার খেতে পারলেন। সাবুদানার মিষ্টি টা দেখতে মনে হচ্ছে দারুন হয়েছে।

 last month 

ইসকনের রেস্টুরেন্ট গুলোতে একাদশী দিন এরকম নিয়ম মেনেই রেসিপি তৈরি করে। আর হ্যাঁ আপু সাবুদানার মিষ্টিঅন্ন বেশ দারুন হয়েছিল খেয়ে বেশ মজা পেয়েছিলাম। সুন্দর সাবলীল ভাষায় মন্তব্য করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ আপু।

 last month 

দাদা আপনি অনেক সুন্দর একটা সময় কাটিয়েছেন ইসকন মন্দির এ। এখান কার প্রসাদ খাওয়ার খুব শখ আমার। ধন্যবাদ দাদা এত সুন্দর পোস্ট আমাদের মধ্যে শেয়ার করার জন্য।

 last month 

অবশ্যই দাদা সেরকম শখ থাকলে স্বামীবাগের ইসকন মন্দিরে আসতে হবে তাহলে এখানকার রেস্টুরেন্ট থেকে সুন্দর খাবার খেতে পারবেন। অনেক সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।

Coin Marketplace

STEEM 0.19
TRX 0.13
JST 0.029
BTC 58447.77
ETH 3173.14
USDT 1.00
SBD 2.43