"ব্রয়লারের মাংসের রেসিপি"
হ্যালো..!!
আমার সুপ্রিয় বন্ধুরা,
আমি @aongkon বাংলাদেশের নাগরিক।
আজ- ১৭ ই মার্চ, শুক্রবার, ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দ।
আমি অংকন বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @aongkon। আমি মা, মাতৃভাষা এবং মাতৃভূমিকে সব থেকে বেশি ভালোবাসি। আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমার মাতৃভাষা বাংলার একমাত্র ব্লগিং কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ফাউন্ডার, এডমিন প্যানেল, মডারেটর প্যানেল এবং সকল সদস্য ও সদস্যাদের আমার অন্তরের অন্তরস্থল থেকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন রইল।
আমি আজকে আপনাদের সামনে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমার পোস্টটি হলো রেসিপি সংক্রান্ত। আমি আজকে ব্রয়লারের মাংসের রেসিপি তৈরি করেছি। আমি মনে করি ব্যাচেলরদের রান্না শেখাটা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আমি নিজে অনেক ছোটবেলা থেকেই রান্না করতে পারি এবং নিজে রান্না করে খেতে খুবই পছন্দ করি। নিজে নিজে রান্না করে খাওয়াটা আলাদা একটা মজা আছে আর সেটা আমি উপভোগ করি সবসময়। আমি সুন্দরভাবে আপনাদেরকে আমার রেসিপি পোস্টটি ধাপে ধাপে পর্যায়ক্রমে রন্ধন পদ্ধতি বর্ণনা করবো। তাহলে চলুন দেরি না করে শুরু করা যাক।
রেসিপি তৈরির জন্য উপকরণ:
ক্রমিক | উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|---|
১ | মাংস | এক কেজি |
২ | পেঁয়াজ | ছয়টি |
৩ | মরিচ | দশটি |
৪ | রসুন | চারটি |
৫ | হলুদ | তিন টেবিল চামচ |
৬ | লবণ | ছয় টেবিল চাম |
৭ | ধুনে গুঁড়া | দুই টেবিল চামচ |
৮ | জিরা গুঁড়া | তিন টেবিল চামচ |
৯ | আদা | পরিমাণ মতো |
১০ | গরম মসলা | পরিমাণ মতো |
১১ | তেল | পরিমাণ মতো |
১২ | মুরগি মসলা | হাফ প্যাকেট |
১৩ | তেজপাতা | দুইটি |
উপকরণ প্রস্তুত প্রণালী :
পেঁয়াজ, রসুন, আদা এবং মরিচ পরিমাণ মতো কেটে নিতে হবে এবং পরিষ্কার জল নিয়ে দিয়ে নিতে হবে। আমি পেঁয়াজ, রসুন, মরিচ, আদা কাটার পর হামাল দিস্তা দিয়ে সুন্দরভাবে বেটে নিয়েছি এবং গরম মসলা ও আলাদা করে বেটে নিয়েছি।
রন্ধন প্রণালী
প্রথম ধাপে চুলা জ্বালিয়ে দিয়ে কড়াই বসিয়ে দিতে হবে। তারপর পরিমাণ মতো তেল দিতে হবে।
দ্বিতীয় ধাপ পেঁয়াজ রসুন এবং মরিচ বাটা দিয়ে নিয়েছি তারপর মরিচের গুঁড়া, ধনে গুঁড়া, মুরগি মসলা, জিরা গুঁড়া,তেজপাতা, লবণ দিয়ে নেব।
তৃতীয় ধাপে সকল মসলা গুলো আস্তে আস্তে নেড়ে নেড়ে কষিয়ে নেব সুন্দর মত।
চতুর্থ ধাপে মশলা কসানো সম্পূর্ণ হয়ে গেলে ব্রয়লারের মাংস দিয়ে নেব।
পঞ্চম ধাপে মাংস মসলার সাথে সুন্দর ভাবে নেড়ে নেড়ে মিশিয়ে নেব এবং একটু সময় নিয়ে সুন্দর মত মাংস কষিয়ে নেব।
মাংসে পরিমাণ মতো জল দেয়া হয়ে গেলে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দেব এবং কিছু সময় অপেক্ষা করব।
কিছু সময় অপেক্ষা করার পড়ে ঢাকনা উঠিয়ে ফেলবো এবং যতোসময় পর্যন্ত মাংস খাওয়ার উপযুক্ত না হয় ততোসময় অপেক্ষা করব।
অষ্টম ধাপে বয়লারের মাংস খাওয়ার উপযুক্ত হয়ে গেলে চুলা থেকে নামিয়ে ফেলব।
আমার রেসিপি খাবারের উপযুক্ত করে পরিবেশনের জন্য পাত্রে রাখা হয়েছে। দেখে মনে হচ্ছে বেশ ভালই স্বাদ হয়েছে।
পোস্টের বিবরন
পোস্ট ধরন | রেসিপি |
---|---|
ক্যামেরাম্যান | @aongkon |
ডিভাইস | স্যামসাং জে-৭ প্রো |
ক্যামেরা | ১৩ মেগাপিক্সেল |
লোকেশন | মোহাম্মদপুর, ঢাকা |
প্রিয় বন্ধুরা,
আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে প্রতিনিয়ত আমার সৃজনশীলতা দিয়ে ভালো কনটেন্ট শেয়ার করে এই কমিউনিটিকে সমৃদ্ধ করতে চাই এবং উচ্চতার শিখরে নিয়ে যেতে চাই। আমার ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই নিজের খেয়াল রাখবেন সুস্থ এবং সুন্দর থাকবেন এটাই কাম্য করি।
@aongkon
মুরগির মাংস আমার কাছে খুবই ভালো লাগে খেতে। আজ আপনি আমাদের মাঝে ব্রয়লার মুরগির মাংস রান্না করে দেখিয়েছেন। রান্নার কালার দেখেই বোঝা যাচ্ছে খুব চমৎকার হয়েছে খেতেও নিশ্চয় অনেক সুস্বাদু হয়েছে।
ধন্যবাদ ধাপে ধাপে পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
সুন্দর গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
ব্রয়লার মুরগির মাংস খেতে আমার কাছেও ভালো লাগে। আপনার রেসিপি দেখে বোঝা যাচ্ছে খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছে। গরম গরম ভাতের সাথে বা রুটির সাথে খেতে খুবই মজা লাগে। ধন্যবাদ আপনাকে সুস্বাদু একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ আপু আপনি ঠিক বলেছেন গরম গরম ভাতের সাথে এবং রুটির সাথে বয়লারের মাংস খেতে খুবই মজা লাগে।
জিভে জল চলে আসার মত একটা রেসিপি তৈরি করেছেন আপনি। খুবই লোভ লাগিয়ে দিলেন এরকম একটা মজাদার রেসিপি দেখিয়ে। মুরগির মাংস খেতে পছন্দ করে না এরকম মানুষ তো খুবই কম রয়েছে। আপনার রেসিপির কালার কম্বিনেশন দেখেই বুঝতে পারছি খুবই সুস্বাদু এবং ইয়াম্মি হয়েছে রেসিপিটি। বেশ মজাদার রেসিপি শেয়ার করেছেন দেখে ভালো লাগলো।
ব্রয়লারের মাংস খাওয়ার জন্য আপনার দাওয়াত রইলো। সুন্দর গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
ব্রয়লারের মাংসের রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছে। আমার তো এরকম রেসিপি গুলো তৈরি করতে অনেক ভালো লাগে। ব্রয়লার মুরগির মাংস খেতে এমনিতেই খুবই সুস্বাদু হয়। আপনার রেসিপিটি কালার কম্বিনেশন টাও খুবই চমৎকার দেখাচ্ছে। আমার কাছে আপনার পুরো রেসিপিটি অনেক চমৎকার লাগলো একেবারে।
সুন্দর গঠনমূলক মন্তব্য প্রদান করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ আপু।
ব্রয়লার মুরগির মাংস যদিও তেমন খাওয়া হয়না, তবে আপনার রেসিপিটা দেখতে লোভনীয় লাগছে। দেখেই বুঝা যাচ্ছে খেতে খুব সুস্বাদু হয়েছে। কালারটা চমৎকার হয়েছে। রেসিপির উপস্থাপনা ও পরিবেশনাও দারুণ হয়েছে। রেসিপিটা শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
সুন্দর গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।