"সিলেট সুনামগঞ্জের হাওরে ঘুরাঘুরি ও ফটোগ্রাফি"
হ্যালো..!!
আমার সুপ্রিয় বন্ধুরা,
আমি @aongkon বাংলাদেশের নাগরিক।
আজ- ২ রা নভেম্বর, বুধবার, ২০২২ খ্রিষ্টাব্দ।
আমি অংকন বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @aongkon। আমি মা, মাতৃভাষা এবং মাতৃভূমিকে সব থেকে বেশি ভালোবাসি। আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমার মাতৃভাষা বাংলার একমাত্র ব্লগিং কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ফাউন্ডার , এডমিন প্যানেল, মডারেটর প্যানেল এবং সকল সদস্য ও সদস্যাদের আমার অন্তরের অন্তরস্থল থেকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন রইল।
আজকে আমি আপনাদের সামনে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে বিকালে সিলেট সুনামগঞ্জের দিরাইতে অবস্থিত ধল রোডের হাওড়ে গিয়েছিলাম। এই ধল রোড টা হাওরের মধ্য দিয়ে চলে গেছে। বর্ষাকালে এই ধরনের রোড সম্পূর্ণ ডুবে যায় এবং এই সময়ে আবার জেগে ওঠে। বিকালে হাওরের ভেতর দিয়ে বয়ে যাওয়ার রাস্তায় বেরানো আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। আজকে দুপুরে পিসি মনির বাসা থেকে কিছু দূরে একটি বিয়ের বউ ভাত খেতে গিয়েছিলাম সেখান থেকে আসার পথে ভাবলাম যে ধল রোডে গিয়ে হাওরের সৌন্দর্য উপভোগ করে আসি। প্রতি বিকালে হাওরের সৌন্দর্য যেন হাজার গুণ বেড়ে যায়। এখন হাওরের জল কমে যাচ্ছে এবং হাওরের ভেতর দিয়ে যে সকল রাস্তা আছে সবই জেগে উঠছে। হাওরের বুকে এসব রাস্তা দিয়ে যাওয়ার মজাটা সত্যিই অসাধারণ। তাহলে চলুন হাওরের ভেতর ঘোরাঘুরি এবং আমার ফটোগ্রাফি গুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করি।
আমার পিসেমশাই বাইক চালাচ্ছিলো আর আমি তার পিছনে বসে বসে প্রকৃতির অপরূপ দৃশ্যের ছবিগুলো তুলছিলাম। হাওরের ভেতরকার রাস্তা খুবই আঁকাবাঁকাভাবে বয়ে গেছে রাস্তার পাশ দিয়ে ছোট ছোট অনেক ঘাস হয়েছে। এই ছবিতে একটি ছেলে শিশু এবং একটি মেয়ে শিশু ছাতা মাথায় দিয়ে গবাদি পশুদের ঘাস খাওয়াচ্ছেন।
এখানে মাছ ধরার নৌকা গুলি এক জায়গায় নোঙ্গর করে রেখা হয়েছে। নোঙর করে রাখা নৌকার উপর দুজন বসে গল্প করছে এবং আরেকজন নৌকাতে কিছু একটা কাজ করছে। এরকম হাওরে নৌকার উপর বসে গল্প করাটা সত্যিই অসাধারণ। আর একজন মাঝি নৌকা নিয়ে মাছ ধরার কাজে ব্যস্ত রয়েছেন।
এই ছবিতে একটি ভাঙা নৌকা অর্ধেক ডোবা অবস্থায় রয়েছে। নৌকার ভেতরে জল উঠে গেছে দেখতে খুব সুন্দর লাগছিলো। আর একজন কৃষক হাওরের জল শুকানো সেখানে কিসের আবাদ এর জন্য তার জমি পরিষ্কারের কাজে ব্যস্ত রয়েছে। এই সময়টাতে হাওরে প্রচুর পরিমাণে ধান লাগানো হয়।
এখানে অনেক বড় বড় নৌকা এবং ট্রলার নোঙ্গর করে রাখা হয়েছে। এ রাস্তাটি আরো এক কিলোমিটার দূরে ধল বাজার পর্যন্ত চলে গিয়েছে। কিন্তু এ রাস্তাটির এই অংশ এখনো জলের নিচেই রয়েছে। কিছুদিন পর জল সকালে এই রাস্তাটি জাগ্রত হয়ে উঠবে। আমরা ভেবেছিলাম যে ধল বাজার পর্যন্ত যাব কিন্তু এখানে এসে একটু হতাশই হলাম। কারন আমরা মনে করেছিলাম যে এখন হয়তো এই রাস্তাটা ধল বাজার পর্যন্ত পুরোই জাগ্রত হয়ে গেছে।
নৌকা এক পাশে একজন বৈঠা বইছে এবং অন্য পাশে একজন মাছ মারার কাজে ব্যস্ত রয়েছে। এরকম হাওরের বুকে নৌকাতে করে মাছ ধরা, না জানি কতই মজা।
হাওরের এই অংশটা এখনো জাগ্রত হয়নি বেশ ভালই জল রয়েছে দেখলাম। জলভরা হাওর দেখতে বেশ সুন্দর লাগে। জল থাকলে হাওড় যেন প্রাণ ফিরে পায়।
এই ছবিটা আমার কাছে সব থেকে বেশি ভালো লেগেছে। চলতি বাইকের উপর থেকেও এ ধরনের ছবি তোলাটা অনেক কষ্টকর। এখানে একজন মাঝি নৌকার বৈঠা মারছে অন্যজন মাছ ধরার কাজে ব্যস্ত রয়েছে।
এই ছবিটাতে অনেকখানি দূরে হাওরের বুকে দুটি নৌকা নিয়ে দুইজন মাঝি মাছ ধরার কাজে ব্যস্ত রয়েছে। হয়তো তাদের এভাবেই মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করতে হয়।
হাওরের কিছু কিছু জায়গায় শুকিয়ে গেছে আবার কিছু কিছু জায়গায় হালকা জল রয়েছে। এই ছবিটাতে এক ঝাঁক বক মাছ ধরার জন্য চেষ্টা চালাচ্ছে। ধবধবে সাদা বকের ঝাঁক দেখতে খুব সুন্দর লাগছিল আমার কাছে।
এই ছবিটাতে হাওরের ভেতর দুইজন নারী বরশি দিয়ে মাছ ধরার জন্য চেষ্টা করছে। বড়শি দিয়ে মাছ ধরার আলাদা একটা মজা রয়েছে। আমি নিজেও বড়শি দিয়ে মাছ ধরতে অনেক পছন্দ করি।
এই ছবিটাতে একজন ব্যক্তি মাছ ধরার জাল হাতে করে হাওরের ভেতর ডুবিয়ে রাখছে। হয়তো এই জ্বালেই পড়বে তার কাঙ্খিত সেই মাছ।
আজকে বিকেলের হাওরের মাঝে ঘোরাঘুরিটা খুবই সুন্দর লেগেছে। উপরোক্ত যতগুলি ফটোগ্রাফি করেছি প্রত্যেকটি ফটোগ্রাফি আমি চলতি বাইকে উপর থেকে তুলেছি। বাইকের পিছনে বসে ছবি তোলার মজাই আছে আলাদা। হাওরের ভেতরে শীতল বাতাস, এবং বিকালের সোনালী রোদে হাওড়া যেন নতুন রূপে আবির্ভূত হয়েছিল। ঘরের ভিতরে এ ধরনের রাস্তায় বাইক নিয়ে ঘুরে বেড়ানোর মজাটা অনন্য। আর আজকে সেই মজাটা আমি খুব সুন্দরভাবে উপভোগ করতে পেরেছি।
আলোকচিত্রের বিবরণ
ক্যামেরাম্যান | @aongkon |
---|---|
ডিভাইস | স্যামসাং জে-৭ প্রো |
ক্যামেরা | ১৩ মেগাপিক্সেল |
তারিখ | ০২ নভেম্বর |
লোকেশন | সুনামগঞ্জ |
প্রিয় বন্ধুরা,
আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মের আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে প্রতিনিয়ত আমার সৃজনশীলতা দিয়ে ভালো কনটেন্ট শেয়ার করে এই কমিউনিটিকে সমৃদ্ধ করতে চাই এবং উচ্চতার শিখরে নিয়ে যেতে চাই। আমার ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই নিজের খেয়াল রাখবেন সুস্থ এবং সুন্দর থাকবেন এটাই কাম্য করি।
@aongkon
বাঙালি মানে মা মাতৃভূমি এবং বাংলাকে ভালোবাসা ছাড়া আর কোন অনুভূতি আমাদের নেই।বর্ষাকাল আসলে হাওড় এলাকা গুলো ডুবে যায়। শীতকালে পানি শুকিয়ে যায় দেখতে অনেক সুন্দর লাগে।আপনি পিসি মনির বাসা থেকে বিয়েতে গেছেন। আবার বিয়ে থেকে ফেরার পথে খুব সুন্দর বিকেল বেলা দৃশ্য অনুভব করছেন।
আমার পোস্টটি সুন্দরভাবে পড়ে গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ আপু। মা ও মাতৃভূমি সবার কাছেই প্রিয়।
বেশ ভালোই করেছেন বিয়ের নেমন্তন্ন খেয়ে তারপর ঘুরতে বেরিয়েছেন এটা বেশ ভালো হয়েছে। বিশেষ করে হাওরের মাঝখানে রাস্তা দেখে আমি একেবারে মুগ্ধ হলাম। এ যেন এক প্রাকৃতিক সৌন্দর্য। বিশেষ করে লোকজন কি সুন্দর ভাবে বরশি কিংবা জাল দিয়ে মাছ ধরছে। এরকম দৃশ্য দেখতে আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে। আপনি খুব সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন।
হ্যাঁ আপু পোস্টটি পড়ে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।