"বাংলা ও বাঙালির পহেলা বৈশাখ উৎসব"
হ্যালো..!!
আমার সুপ্রিয় বন্ধুরা,
আমি @aongkon বাংলাদেশের নাগরিক।
আজ- ১৪ ই এপ্রিল, শুক্রবার, ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দ।
আমি অংকন বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @aongkon। আমি মা, মাতৃভাষা এবং মাতৃভূমিকে সব থেকে বেশি ভালোবাসি। আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমার মাতৃভাষা বাংলার একমাত্র ব্লগিং কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ফাউন্ডার, এডমিন প্যানেল, মডারেটর প্যানেল এবং সকল সদস্য ও সদস্যাদের আমার অন্তরের অন্তরস্থল থেকে শুভ নববর্ষের প্রাণঢালা শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন রইল।
আজ পহেলা বৈশাখ বাংলা ১৪৩০ বঙ্গাব্দ। আজকে বাংলা ও বাঙালির নববর্ষ উৎসব। আজকে আমি আপনাদের সামনে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমার পোস্ট হলো, বাংলা ও বাঙালির পহেলা বৈশাখ উৎসব নিয়ে আলোচনা করব। পহেলা বৈশাখ উৎসবটি আমাদের বাঙ্গালীদের জাতীয় উৎসব উৎসব হিসাবে পালন হয়ে থাকে সেজন্য এটি বাঙ্গালীদের একটি সার্বজনীন লোক উৎসব বলেও বিবেচিত। পহেলা বৈশাখ উৎসব বাঙ্গালীদের শুধুমাত্র একটি উৎসবই নয় এটা বাঙ্গালীদের আবেগ ভালোবাসা ও প্রীতিবন্ধন।
গ্রেগরীয় বর্ষপঞ্জি অনুসারে প্রতি বছর ১৪ই এপ্রিল পহেলা বৈশাখ উৎসব পালিত হয়। পহেলা বৈশাখ অনুষ্ঠানটি বাংলা সংস্কৃতির একটি বিশাল ঐতিহ্য। বাংলা ও বাঙালি সংস্কৃতি অনেক পুরনো। ঋতুরাজ বসন্তের সমাপ্তির পরেই গ্রীষ্ম ঋতুর বৈশাখ মাসের প্রথম দিনেই পহেলা বৈশাখ উৎসব পালিত হয়। পহেলা বৈশাখের এই দিনটিতে বাঙালিরা অতীতের সব গ্লানি, দুঃখ ভুলে গিয়ে ফিরে পাই নবপ্রাণ।
পহেলা বৈশাখের অন্য আরেকটি সৌন্দর্য হলো মঙ্গল শোভাযাত্রা। সকল অশুভ, অমঙ্গল দুঃখ-বেদনা কে ভুলে গিয়ে সবার মঙ্গলের উদ্দেশ্যে মঙ্গল শোভাযাত্রা বের করা হয় এই দিনটিতে। আরো আরেকটি আকর্ষণ হল ছায়ানটের রমনার বটমূলের ঐতিহাসিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান যেটা অনেক যুগ আগে থেকে হয়ে আসছে। পহেলা বৈশাখের প্রথম উদিত সূর্যকে ছানোটের রমনার বটমূলে থেকে ভোরের সাংস্কৃতিক উৎসবের মাধ্যমে গানে গানে বরণ করে নেয়া হয়। পহেলা বৈশাখের এই দিনে নতুন একটি বর্ষকে বরণ করা হয়।
জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে প্রতিবছর এই দিনটি বাঙালিরা উদযাপন করে থাকে। শুধুমাত্র এশিয়ার বাঙালি নয়, ইউরোপ আমেরিকার ও অনেক বাঙালি আছে যারা পহেলা বৈশাখ বা বাংলা নববর্ষ উদযাপন করে থাকে। কারণ সমস্ত বাঙালিদের পহেলা বৈশাখ অনুষ্ঠানটি আসলে রক্তে মিশে রয়েছে। বাঙালিরা পৃথিবীর যে প্রান্তেই থাকুক না কেন এই উৎসবটি সব বাঙ্গালীদের কাছেই অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি সাংস্কৃতিক উৎসব।
পহেলা বৈশাখের এই দিনটিতে গ্রামের মানুষ নতুন পিঠাপুলি ও অন্যান্য নানা রকমের খাবারের আয়োজন করে। বর্তমানে পহেলা বৈশাখে বাঙালির অন্যতম প্রিয় খাবার হয়ে দাঁড়িয়েছে পান্তা- ইলিশ। পহেলা বৈশাখের নববর্ষের এই দিনটি শুধুমাত্র একটি দিন নয় এটি বাঙ্গালীদের হৃদয়ে গেঁথে আছে।
বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের রচিত পহেলা বৈশাখ নিয়ে গান এই বিশেষ দিনটিতে আমাদের সবার মুখেই থাকে।
এসো, এসো, এসো হে বৈশাখ।
তাপস নিশ্বাস বায়ে মুমূর্ষুরে দাও উড়ায়ে,
পহেলা বৈশাখের এই দিনে প্রতিটি বাঙালি যেন ফিরে পায় নতুন প্রাণ নতুন কোন স্বপ্নের দেখা। তাইতো সকল গ্লানি ভুলে নতুন স্বপ্নের সাথে পহেলা বৈশাখের এই দিনটিতে নববর্ষ উৎসব পালন করে থাকে। এই দিনটিতে বাঙালিরা নতুন পোশাক পরিচ্ছদ পড়ে নতুন বছরকে নতুন ভাবে স্বাগত জানাই। যেন বাঙালিরা সবাইকে দেখিয়ে দেয় পুরাতনকে দূরে ঠেলে দিয়ে নতুনকে আলিঙ্গন করার। নতুনভাবে জীবনকে শুরু করার প্রত্যয় নিয়ে নববর্ষ উৎসবটিপালিত করে।
দেশ ও জাতির অগ্রগতির কল্যাণে বাঙালিরা সারা বিশ্বের কাছে এই দিনটিকে নতুন একটি মর্যাদা দিয়েছে। সারা বিশ্বের কাছে মাথা উঁচু করে বাঙালিরা দেখায় তাদের সাংস্কৃতি ঐতিহ্য এখনো মুছে যায়নি এখনো বাঙ্গালীদের হৃদয়ে এই উৎসবটি বহমান রয়েছে। আসুন আমরা সবাই সকল দুঃখ গ্লানি ভুলে পহেলা বৈশাখের উৎসবে নতুন স্বপ্নের উদ্দেশ্যে অগ্রগামী হই।
পোস্টের বিবরন
| পোস্ট ধরন | জেনারেল রাইটিং |
|---|---|
| ডিভাইস | স্যামসাং জে-৭ প্রো |
| ছবি | Pixabay |
| তারিখ | ১৪ ই এপ্রিল |
| লোকেশন | মোহাম্মদপুর,ঢাকা |
প্রিয় বন্ধুরা,
আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে প্রতিনিয়ত আমার সৃজনশীলতা দিয়ে ভালো কনটেন্ট শেয়ার করে এই কমিউনিটিকে সমৃদ্ধ করতে চাই এবং উচ্চতার শিখরে নিয়ে যেতে চাই। আমার ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই নিজের খেয়াল রাখবেন সুস্থ এবং সুন্দর থাকবেন এটাই কাম্য করি।
@aongkon
ভাইয়া খুব সুন্দর ভাবে বিভিন্ন তথ্য মূলক আলোচনা দিয়ে আজকের পোষ্টি সাজিয়েছেন। আপনার কথা গুলো পড়ে অনেক ভাল লাগলো। দেশ ও জাতির অগ্রগতির কল্যাণে বাঙালিরা সারা বিশ্বের কাছে এই দিনটিকে নতুন একটি মর্যাদা দিয়েছে। ধন্যবাদ ভাইয়া।
সুন্দর গঠনমূলক মন্তব্য করে সবসময় পাশে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
প্রথমেই জানাই বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা।নতুন বছর আপনার অনেক ভাল কাটুক এই প্রার্থনা করি। বাংলার ঐতিহ্য নববর্ষ নিয়ে অনেক ভাল একটি পোস্ট লিখেছেন। ধন্যবাদ এমন ইনফরমেটিভ পোস্টটির জন্য।
শুভ নববর্ষ দাদা। ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করে আপনার সব স্বপ্নগুলো সফল হোক। সুন্দর মন্তব্য করে সব সময় পাশে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।
পহেলা বৈশাখ নিয়ে অসাধারণ কিছু কথা আপনি লিখেছেন। প্রথমে আপনাকে জানাই শুভ নববর্ষ। অনেক শুভেচ্ছা আপনাকে পহেলা বৈশাখের। ধর্ম বর্ণ কোন কিছু দিকে না তাকিয়ে বাঙালিরা সার্বজনীন ভাবে সবাই এই দিনটি উদযাপন করে যা খুবই ভালো লাগে। এই দিনের বিভিন্ন অনুষ্ঠান পান্তা ইলিশ বিভিন্ন সংস্কৃতি অনুষ্ঠান খুবই ভালো লাগে। সব মিলিয়ে পহেলা বৈশাখের দিনটি আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে।
শুভ নববর্ষ আপু। পহেলা বৈশাখের সংস্কৃতি আমাদের সবার কাছেই প্রিয় খুবই। দিনটি আপনার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে জেনে খুশি হলাম। এই দিনটি আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। সুন্দর গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
আপনাকে নববর্ষের শুভেচ্ছা জানাই ভাইয়া।বাংলা ও বাঙালির ঐতিহ্য নিয়ে খুব সুন্দর একটি পোস্ট লিখেছেন।পহেলা বৈশাখ বাঙালির অন্যতম এক উৎসব।ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য ।
শুভ নববর্ষ আপু। সুন্দর গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
এই দিনটা চির স্মরণীয় হয়ে থাকতে বাংলার ইতিহাস জুড়ে, স্মরণীয় হয়ে থাকে প্রত্যেকটা বাঙালির হৃদয় জুড়ে। কারন এই দিনটা সারা দেশব্যাপী খুব আনন্দের সাথে উদযাপন করা হয়ে থাকে। যদিও এই দিনটা রমজান মাসে পড়ায় এবার তেমন ভাবে উদযাপন হচ্ছে না, তবুও বাঙালির হৃদয়ে গাঁথা দিনটা।
হ্যাঁ ভাই এই দিনটা বাঙালি জাতির জন্য চিরস্মরণীয় ও ইতিহাস হয়ে থাকবে সব সময়। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্য।