"অনেকদিন পর বাঁশ বাগানে ক্রিকেট খেলা"

in আমার বাংলা ব্লগ6 months ago


হ্যালো..!!
আমার সুপ্রিয় বন্ধুরা,
আমি @aongkon বাংলাদেশের নাগরিক

আজ- ৭ ই জানুয়ারি, রবিবার, ২০২৪ খ্রিঃ

আমি আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমার মাতৃভাষা বাংলার একমাত্র ব্লগিং কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ফাউন্ডার, এডমিন প্যানেল, মডারেটর প্যানেল এবং সকল সদস্যসদস্যাদের আমার অন্তরের অন্তরস্থল থেকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন রইল।



কভার ফটো

কয়েকটি ছবিকে একত্রিত করে সুন্দর একটি কভার ফটো তৈরি করে নিয়েছি।



আমি আছি আপনাদের সামনে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি প্রতিনিয়ত আমার বাংলা ব্লগে নতুন নতুন পোস্ট শেয়ার করতে আমার অনেক বেশি ভালো লাগে। আজকে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন। বর্তমানে অনেক জায়গায়ই এই নির্বাচনকে ঘিরে অস্থিতিশীলতা রয়েছে। তবে আমাদের এলাকায় এসব কোন সমস্যা নেই। আমি আজকে খুব সকালে গিয়েছিলাম ভোট দিতে দেখলাম সুষ্ঠুভাবেই ভোট হচ্ছে। তবে সকাল বেলাতে ভোটারের সংখ্যা বেশ কম মনে হলো। জাতীয় দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে এবারে যেহেতু আমি প্রথম ভোট দেবো তাই বেশ ভালোই খুশি লাগছিলো। আমাদের পাড়ার সব ইয়াং জেনারেশনের ছেলেপেলেরা মিলে একসাথে গিয়েছিলাম ভোট দিতে।

আমারা সবাই মিলে ভোট দিয়ে আসার পথে সিদ্ধান্ত নিলাম যে, আজকে সবাই যেহেতু এক জায়গায় হয়েছি তাই বাঁশ বাগানে ক্রিকেট খেলবো। অনেকদিন বাঁশ বাগানে ক্রিকেট খেলা নেই তাই ব্যাট বল স্ট্যাম্প কিছুই ছিল না। আমরা সবাই মিলে বাঁশ বাগানে আসার পরে কয়েকজন মিলে টাকা দিল বল কেনার জন্য আর আমি নিজে একটি টিপ কেনার জন্য টাকা দিলাম। আমরা বাঁশ বাগানের এই মাঠে অনেক আগে থেকেই টেপ টেনিস বল খেলে থাকি। অর্থাৎ টেনিস বলের উপর সুন্দরভাবে টেপ পেচিয়ে সেই বল দিয়ে খেলে থাকি। আমাদের এদিকে ডিউস বল বা অন্যান্য বলের প্রচলন নেই।

এক কথায় গ্রাম অঞ্চলের বেশিরভাগ জায়গাতেই টেপ টেনিস ক্রিকেট খেলা চলে। আমাদের ভেতরে দুজনকে বলা টেপ কেনার জন্য টাকা টাকার একটি বাইসাইকেল দিয়ে বাজারে পাঠিয়ে দিলাম। আর আমরা বসে বসে গল্প আর অপেক্ষা করতে থাকলাম। সবাই মিলে এক জায়গায় হয়ে বসে গল্প করা সত্যিই মজাটাই অন্যরকম। মোটামুটি আধা ঘন্টার মত অপেক্ষা করার পরে বলার টেপ নিয়ে দেখি হাজির হয়েছে। তারপর বলা আর টেপ আমার কাছে দিলো আমি অনেক সময় ধরে সুন্দরভাবে বলের উপর টেপ মারলাম।

আমার কাছে মনে হয় এই টেনিস বলের উপর টেপ মারাটা একটি আর্ট। আমাদের যে সব ইয়াং জেনারেশনের ছেলেপেলেরা আছি তাদের ভিতরে আমি আর আমার দাদা বাদে কেউই সুন্দর মতো বলের উপর টেপ মারতে পারে না। আমি বাড়িতে আসলে আমি যদি বাঁশ বাগানের মাঠে নাও খেলতে যাই এলাকার ছেলেপেলেরা বল আর টেপ নিয়ে আমার কাছে চলে আসে। টেনিস বলের উপর টেপ মারা আমার কাছেও বেশ ভালো লাগে। মোটামুটি একটি টেনিস বলের ওপর সুন্দর মতো টেপ মারতে পাঁচ মিনিট মত সময় লাগে।

যাইহোক টেনিস বলের উপর টেপ মারা শেষ করে দুটি দল ভাগ করে নিলাম। তারপর ৮ ওভার করে দুটি ম্যাচ খেলব আগে থেকেই কথা বলে নিলাম। প্রথম ম্যাচ আমরা টসে ফিন্ডিং করতে নামলাম। আমরা প্রথম থেকেই ব্যাটিংদের বেশ চাপে রেখেছিলাম। আট ওভার বোলিং করার পরে তাদের দলের সংগ্রহ হলো ৪৬ রান। এই ম্যাচটি জিততে কাঙ্ক্ষিত ৮ ওভারের এখন আমাদের লাগবে ৪৭ রান। তারপর ব্যাটিং করতে নামলাম আমি আর আমার কাকাতো ভাই অনিক। আস্তে আস্তে দেখেশুনে খেলে দুই ভাই মিলে ম্যাচটা অনেক সহজ করে ফেলেছিলাম।

যখন আমাদের প্রয়োজন মাত্র ৬ রান তখন আমার ভাই অনিক আউট হয়ে যায়। প্রায় দুই ওভার বল থাকতেই আমরা প্রথম ম্যাচটি জিতে যাই।তারপর আবার টস করা হয় আর এই টসে আমরা জয় লাভ করি। তারপর আবারও আমি আর আমার কাকাতো ভাই ওপেনিং ব্যাটিংয়ে যাই। প্রথম ওভারেই আমার কাকাতো ভাই বোল্ড আউট হয়ে যায়। তারপর পাঁচ ওভার শেষে ৩০ রান করার পরে আমি আউট হয়ে যাই। আমরা এই ম্যাচে আট ওভারে মোট ৫৫ রান সংগ্রহ করি। তারপর আমরা ফিল্ডিং সাজিয়ে বল করা শুরু করি। প্রথম থেকে বেশ চাপে রেখেছিলাম বিপরীত দলের ব্যাটম্যানদের।

সাত ওভার শেষে তাদের সংগ্রহ ছিল ৪৮ রান। জয়ের জন্য তাদের প্রয়োজন ছিল এক ওভারে ৮ রান। অবশ্য শেষ ওভারের দুই বল থাকতেই আমাদের পরাজয় স্বীকার করতে হয়। তবে সবাই মিলে একসাথে এভাবে মজা করে ক্রিকেট খেলতে পেরে বেশ ভালো লাগছিল। একটা সময় ছিল এই বাঁশ বাগান ক্রিকেট মাঠে সারাদিন ক্রিকেট খেলতাম। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে সেই দিনগুলো অনেক বদলে গেছে। এখন আর এখানে প্রতিদিন ক্রিকেট খেলা হয় না। তবে আমরা যখন ইয়াং জেনারেশন সবাই মিলে বাড়িতে আসি এক জায়গায় হই তখনই এই বাঁশ বাগান মাঠে ক্রিকেট খেলার জন্য চলে আসি।

আজকে সবাই মিলে একসাথে বাঁশ বাগানে ক্রিকেট খেলতে পেরে বেশ ভালো লাগছে। আর কয়েকটা দিন গ্রামে আছি তারপর আবার চলে যাব কংক্রিটের ঢাকা শহরে। বাঁশ বাগানের এই ক্রিকেট খেলা সত্যিই অনেক বেশি মিস করবো ঢাকা শহরে থেকে। তাই যে, কয়দিন গ্রামের বাড়িতে আছি সবাই মিলে একসাথে বাঁশ বাগানে প্রতিদিন ক্রিকেট খেলার ইচ্ছা রয়েছে।



পোস্টের ছবির বিবরন

ডিভাইসস্যামসাং গ্যালাক্সি এফ-৫৪
ক্যামেরা১০৮ মেগাপিক্সেল
তারিখ৭ই জানুয়ারি ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ
লোকেশনকুষ্টিয়া


প্রিয় বন্ধুরা,

আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে প্রতিনিয়ত আমার সৃজনশীলতা দিয়ে ভালো কনটেন্ট শেয়ার করে এই কমিউনিটিকে সমৃদ্ধ করতে চাই এবং উচ্চতার শিখরে নিয়ে যেতে চাই। আমার ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই নিজের খেয়াল রাখবেন সুস্থ এবং সুন্দর থাকবেন এটাই কাম্য করি।



আমি কে !

20230826_112155.jpg

আমি অংকন বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @aongkon। আমি মা, মাতৃভাষা এবং মাতৃভূমিকে সব থেকে বেশি ভালোবাসি। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে। আমি বর্তমানে ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটিতে সিভিল টেকনোলজিতে বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, গান গাইতে ও শুনতে, কবিতা লিখতে ও পড়তে, আর্ট করতে, রান্না করতে ও ফটোগ্রাফি করতে খুবই পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" আমার গর্ব "আমার বাংলা ব্লগ" আমার ভালোবাসা। আমার নিজের ভেতরে লুকায়িত সুপ্ত প্রতিভাকে বিকশিত করার লক্ষ্যে "আমার বাংলা ব্লগে" আমার আগমন। এই স্বল্প মানব জীবনের প্রতিটা ক্ষণ আমার কাছে উপভোগ্য। আমি মনে করি, ধৈর্যই সফলতার চাবিকাঠি।



সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ
@aongkon



VOTE@bangla.witness as witness witness_proxy_vote.png
OR
SET @rme as your proxy
witness_vote.png

standard_Discord_Zip.gif

Posted using SteemPro Mobile

Sort:  
 6 months ago 

বাঁশ বাগানে ক্রিকেট খেলা দেখে তো ছোট বেলায় স্মৃতি মনে পড়ে গেলো। বাঁশ বাগানে ক্রিকেট খেলার মজাই আলাদা। আপনাদের খেলা দেখে ভীষণ ভালো লাগলো। সবাই মিলে মজা করেছেন জেনে আরো বেশি ভালো লাগলো। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে ভাই।

Posted using SteemPro Mobile

 6 months ago 

বাঁশ বাগানের ক্রিকেট খেলার ছোটবেলার স্মৃতি মনে করিয়ে দিচ্ছে এটা জেনে বেশ ভালো লাগলো ভাই। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই সুন্দর মতামত প্রকাশ করার জন্য।

Posted using SteemPro Mobile

 6 months ago 

ভাইয়া আমি ও আগে অনেক এভাবে আমাদের বাড়ির পাশে বাঁশ বাগানে এভাবে অনেক ক্রিকেট খেলেছছি।আসলে এভাবে ক্রিকেট খেলার মজাই আলাদা । তবে আপনি দেখছি খুব সুন্দর একটি মুহূর্ত উপভোগ করেছেন এবং সেখান থেকে বেশ কয়েকটি ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন । ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।

Posted using SteemPro Mobile

 6 months ago 

আপনিও এভাবে বাঁশ বাগানে এক সময় ক্রিকেট খেলেছেন জেনে বেশ ভালো লাগলো ভাই। সুন্দর গঠনমূলক মন্তব্য করে সব সময় পাশে থাকার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই।

Posted using SteemPro Mobile

 6 months ago 

টেনিস বলের উপর টেপ মেরে আমরাও এরকম করে ক্রিকেট খেলতাম ভাই। আমিও ছোটবেলায় বাঁশ বাগানে এরকম অনেক ক্রিকেট খেলেছি। আমরা সেই বাঁশ বাগানের জায়গাটার নাম দিয়েছিলাম "বাগোয়া স্টেডিয়াম"🤭। যাইহোক, আপনার শেয়ার করা এই মুহূর্তগুলো দেখে সেই কথাগুলো মনে পড়ে গেল। যে কটা দিন গ্রামে আছেন, ভালোভাবে খেলাধুলা করে নিন ভাই। পরে আবার ঢাকা শহরে চলে গেলে এই সুযোগ হবে না।

 6 months ago 

বাহ্ দাদা বাঁশ বাগান স্টেডিয়ামের নাম দিয়েছিলেন "বাগোয়া স্টেডিয়াম" শুনে বেশ মজা লাগলো। আমাদের বাঁশ বাগানের খেলার জায়গার ও একটি নাম আছে সেটা হল "বাঁশবাগান ইনডোর স্টেডিয়াম"। হ্যাঁ দাদা বাড়িতে এসেছি তাই বাঁশ বাগানে খেলাধুলা করছি বেশ ভালো লাগে। অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা সুন্দর মতামত প্রকাশ করে সবসময় পাশে থাকার জন্য।

Posted using SteemPro Mobile

 6 months ago 

"বাগোয়া স্টেডিয়াম" নামের কারণটা বলছি ভাই:
বা= বাঁশ বাগান
গোয়া= গোয়ালঘর

আমাদের খেলার জায়গায় বাঁশ বাগান এবং গোয়ালঘর দুটোই ছিল , তার জন্যই এমন নাম দিয়েছিলাম।

 6 months ago 

যখন আপনার এই পোস্ট করছিলাম তখন সত্যি ছোটবেলায় ফিরে গিয়েছিলাম ছোটবেলায় আমরাও এরকম ভাবে বাঁশ বাগানে ক্রিকেট খেলতাম, সময়ের সাথে সাথে সেগুলো এখন হারিয়ে গিয়েছে। বোঝাই যাচ্ছে বাঁশ বাগানে ক্রিকেট খেলার মুহূর্তে দারুন একটা মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন এরকম মুহূর্ত কতদিন কাটাই না। ধন্যবাদ ক্রিকেট খেলার মুহূর্তটা আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য।

Posted using SteemPro Mobile

 6 months ago 

আসলেই ভাই এই পোস্টগুলো ছোটবেলার অনেক স্মৃতি মনে করিয়ে দেয়। তবে এখনো বাড়িতে এসে ছোটদের সাথে বাঁশ বাগানে ক্রিকেট খেলি সত্যিই অনেক বেশি ভালো লাগে। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই সুন্দর মতামত প্রকাশ করার জন্য।

Posted using SteemPro Mobile

 6 months ago 

লেখাটা পড়ে ঠিক যেন আমার মামার বাড়িতে কাটানো দিন গুলোতে ফিরে গেলাম ভাই। ওখানে আমরাও এভাবে বাঁশের ঝাড়ের পাশে ক্রিকেট খেলতাম। যদিও টেপ টেনিস দিয়ে অতোটা খেলা হতো না। সেই রাবার ডিউস দিয়েই বেশি খেলা হতো। তবে খুব মজা হতো। ভালো লাগলো লেখা টা পড়ে সত্যিই।

 6 months ago 

দাদা আপনার মত আমরাও ছোটবেলায় রাবার ডিউস দিয়ে খেলতাম কিন্তু এখন এলাকাতে সবাই টেপ টেনিস বল দিয়ে খেলা করে। অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা সুন্দর মতামত প্রকাশ করার জন্য।

Posted using SteemPro Mobile

Coin Marketplace

STEEM 0.18
TRX 0.14
JST 0.029
BTC 57893.29
ETH 3130.56
USDT 1.00
SBD 2.44