"রাতে হঠাৎ কাঁচাবাজার করতে যাওয়া"
হ্যালো..!!
আমার সুপ্রিয় বন্ধুরা,
আমি @aongkon বাংলাদেশের নাগরিক।
আজ- ১লা ফেব্রুয়ারি, বৃহস্পতিবার, ২০২৪ খ্রিঃ।
আমি আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমার মাতৃভাষা বাংলার একমাত্র ব্লগিং কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ফাউন্ডার, এডমিন প্যানেল, মডারেটর প্যানেল এবং সকল সদস্য ও সদস্যাদের আমার অন্তরের অন্তরস্থল থেকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন রইল।
আমি আছি আপনাদের সামনে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি প্রতিনিয়ত আমার বাংলা ব্লগে নতুন নতুন পোস্ট শেয়ার করতে আমার অনেক বেশি ভালো লাগে। দেখতে দেখতে নতুন বছরের প্রথম মাসটি পার হয়ে ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম দিন আজকে। প্রায় দেড় বছর আগে লেখাপড়া করার জন্য ঢাকা শহরে এসেছিলাম। যদিও ঢাকা শহরের নতুন আবহাওয়াতে প্রথমে একটু মানিয়ে নিতে কষ্ট হচ্ছিল। তারপরে আস্তে আস্তে সময়ের সাথে সাথে সে কষ্টটা লাঘব হয়ে গেছে।
কিন্তু তারপরেও ঢাকা শহর আমার কাছে মোটেই ভালো লাগেনা। যারা গ্রামে থাকে তাদের হঠাৎ করে ঢাকা শহরে এসে জীবন যাপন করাটা সত্যিই অনেক কষ্টের আমার কাছে মনে হয়। ঢাকা শহরে আসার পর আমাদের এলাকার কয়েকজন মিলে একটি ফ্লাট নিয়েছিলাম বর্তমানে সেই ফ্লাটেই সবার সাথে আছি। সত্যি বলতে ঢাকা শহরের মতো জায়গায় নিজের এলাকার বড় ভাই ছোট ভাইদের সাথে থাকতে পারাটা বেশ ভাগ্যের ব্যাপার। যদিও ফ্ল্যাট নিয়ে থাকার কারণে অন্যান্য মেসেরগুলোর তুলনায় খরচটা বেশ বেশি হয় তারপরেও দিনশেষে মানসিক একটা শান্তি পাওয়া যায়।
কত কালকে রাতে হঠাৎ করেই মেসের কিছু বাজার করার জন্য মোহাম্মদপুর বাস স্ট্যান্ডের কাঁচা বাজারে গিয়েছিলাম। যদিও ঢাকাতে আসার পর মাঝেমধ্যে বিভিন্ন প্রয়োজনে রাতে বাজার করা হয়। তারপরেও গতকালকে একটু বেশি রাতেই বাজার করতে গিয়েছিলাম কারণ বাসার ডিম আর হালকা কিছু সবজি বাদে বাজার ফুরায়ে গেছিলো। তাই মেসের এক বড় ভাই আর এক ছোট ভাইকে নিয়ে ভাবলাম যে, কিছু মাছ মাংস আর সবজি কিনে নিয়ে আসি।
যদিও আমরা প্রথমে বাসা থেকে যখন বের হয়েছিলাম তখন ভেবেছিলাম যে এত রাতে হয়তো বাজার খোলা থাকবে না তাই আমরা স্বপ্ন শপ থেকে বাজার করবো। প্রথমে মোহাম্মদপুরের মকবুল হোসেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে স্বপ্ন শপে গেলাম। আমাদের প্রথমে কেনার প্রয়োজন ছিল মাছ তাই স্বপ্ন সপে বিভিন্ন রকম মাছ দেখলাম কিন্তু কোন রকমের মাছই আমাদের পছন্দ হলো না। স্বপ্ন শপের মাছগুলো দেখে মনে হচ্ছিলো অনেক আগের এবং বেশ পুরাতন মাছ।
তারপর আমরা স্বপ্নসপে বাজর না করে বের হয়ে আসলাম আর ভাবলাম যে, আজকে হয়তো আর বাজার করতে পারবো না। তারপর আমার হঠাৎ মোহাম্মদপুরের বাস স্ট্যান্ডের কাঁচাবাজারের কথা মনে পড়ল তখন আমি বড় ভাইকে বললাম যে, ভাই চলেন মোহাম্মদপুরের কাঁচাবাজার বাস স্ট্যান্ডে গিয়ে দেখি কিছু পাওয়া যায় কিনা! তারপর আমরা তিনজন মোহাম্মদপুর কাঁচা বাজারে গেলাম।
ওয়াও মোহাম্মদপুরের কাঁচাবাজারে এসে দেখি এখনো বাজারে অনেক মানুষের সমাগম রয়েছে। যেহেতু বাজার করার উদ্দেশ্যে বাসা থেকে বের হয়েছি তাই বাজার তো কিছু করতেই হবে। মোহাম্মদপুর বাস স্ট্যান্ড এর কাঁচাবাজারটি অবশ্য খুব একটা বড় না কিন্তু ছোট হলেও বেশ গোছালো। আমরা প্রথমে গিয়ে এই কয়েকটা দোকানে বিভিন্ন রকমের মাছ দেখলাম এবং দাম দর করলাম। আমাদের সবার প্রথমে পছন্দ হলো ইলিশ মাছ।
তারপর আমরা মাছ বিক্রেতার সাথে দাম দর করে মাঝারি সাইজের দুইটা ইলিশ মাছ নিলাম। বর্তমানে আমাদের দেশে ইলিশ মাছের যে, দাম মাঝেমধ্যে শখ করেও ইলিশ মাছ খাওয়াটা বিলাসিতা মনে হয়। আমরা যে, ইলিশ মাছ গুলো নিয়েছিলাম এগুলোর দাম ৬০০ টাকা কেজি। আর এর থেকে বড় একটা সাইজ ছিল সেগুলোর দাম প্রায় এক হাজার টাকা কেজি। সত্যি বলতে এত চড়া দামের ইলিশ মাছ খেয়ে হজম করাটা সবার পক্ষে সম্ভব না। ইলিশ মাছ কেনার পরে আমরা দুইশে টাকার মতো চিংড়ি মাছ আর আড়াইশো টাকার মত চম্পা ইলিশ মাছ কিনলাম।
তারপর ভাবলাম যে, হালকা কিছু সবজি কিনে নিয়ে যায়। যেহেতু বাসায় আগে থেকেই সবজি ছিল তাই আমরা শুধুমাত্র চিংড়ি মাছ খাওয়ার জন্য ঝিঙ্গে কিনি। বর্তমানে সবজির দাম ও বেশ চড়া ১ কেজি ঝিঙের দাম ১০০ টাকা। কি আর করার আমাদেরকে তো খাবার খেয়ে জীবন ধারণ করতেই হবে তাই ন নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম যতই হোক না কেন আমাদেরকে কিনতেই হবে। আর এভাবেই খেয়ে জীবন ধারণ করতে হবে।
আমরা সবজি কিনা শেষ করে ভাবলাম যে, এবার বাসায় চলে যাবো। বাসায় যাওয়ার জন্য বাইরের রাস্তার উপরেও চলে আসলাম তারপর হঠাৎ আবার কি মনে হল ভাবলাম যে, সবকিছুই নিলাম এখনো কিছু টাকা বেঁচে আছে তাই মুরগির মাংস যদি নেয়া যেত তাহলে কয়েকদিনের ভিতরে আরো বাজার করতে আসতে হতো না। তাই আবার ফেরত এসে দেড় কেজি ওজনের মুরগির মাংস কিনলাম। তারপর বাজার শেষ করে হাঁটতে হাঁটতে আবার বাসায় চলে আসলাম।
পোস্টের ছবির বিবরন
ডিভাইস | স্যামসাং গ্যালাক্সি এফ-৫৪ |
---|---|
ক্যামেরা | ১০৮ মেগাপিক্সেল |
তারিখ | ৩১শে জানুয়ারি ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ |
লোকেশন | মোহাম্মদপুর,ঢাকা |
প্রিয় বন্ধুরা,
আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে প্রতিনিয়ত আমার সৃজনশীলতা দিয়ে ভালো কনটেন্ট শেয়ার করে এই কমিউনিটিকে সমৃদ্ধ করতে চাই এবং উচ্চতার শিখরে নিয়ে যেতে চাই। আমার ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই নিজের খেয়াল রাখবেন সুস্থ এবং সুন্দর থাকবেন এটাই কাম্য করি।
আমি অংকন বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @aongkon। আমি মা, মাতৃভাষা এবং মাতৃভূমিকে সব থেকে বেশি ভালোবাসি। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে। আমি বর্তমানে ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটিতে সিভিল টেকনোলজিতে বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, গান গাইতে ও শুনতে, কবিতা লিখতে ও পড়তে, আর্ট করতে, রান্না করতে ও ফটোগ্রাফি করতে খুবই পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" আমার গর্ব "আমার বাংলা ব্লগ" আমার ভালোবাসা। আমার নিজের ভেতরে লুকায়িত সুপ্ত প্রতিভাকে বিকশিত করার লক্ষ্যে "আমার বাংলা ব্লগে" আমার আগমন। এই স্বল্প মানব জীবনের প্রতিটা ক্ষণ আমার কাছে উপভোগ্য। আমি মনে করি, ধৈর্যই সফলতার চাবিকাঠি।
@aongkon
ঢাকায় রাত হলেও ফ্রেস মাছ,মাংস ও সবজি পাওয়া যায়। তবে দাম এখন সব জায়গাতেই বেশি।আপনাদের পছন্দের মাছ ইলিশ।৬০০ টাকা কেজি করে নিলেন।এরপর চিংড়ি মাছ ও নিলেন।ঝিঙ্গে নিলেন ১০০ টাকা কেজি।আসলে এখন বেঁচে থাকাটা ও কঠিন।প্রতিটা জিনিসের দাম অনেক।আপনার অনুভূতি গুলো পড়ে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ ভাইয়া অনুভূতি গুলো শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ আপু রাতে অনেক কিছুই বাজার করেছিলাম। সুন্দর গঠনমূলক মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু।
এখন প্রতিটা জিনিসের দাম দ্বিগুণ থেকে তিনগুণ হারে বেড়ে গিয়েছে।যেটা নিম্নবিত্ত,মধ্যবিত্ত মানুষদের জন্য খুবই কষ্টের একটি বিষয়।তবে ঢাকা এটা সুবিধা যে সব জিনিস ফ্রেস পাওয়া যায় টাকা হলেই।আপনি চিংড়ি মাছ,ইলিশ মাছ কিনলেন আর সবজি কিনলেন বেশ চড়া দামে।ভালো লাগলো আপনার পোস্টটি।ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
আসলে আপু বর্তমানে দ্রব্যমূল্যের যে উদ্ধগতির বাজার প্রতিটা দ্রব্যমূল্যের দাম বেশ বেড়ে গেছে। অসংখ্য ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
মাঝেমধ্যে আমিও কিন্তু রাতে কাঁচা বাজারে অবস্থান করে থাকি তবে চেষ্টা করি সুন্দর ফটোগ্রাফি করতে কিন্তু হয়ে ওঠেনা। ক্যামেরা লেন্স তখন ভালো ফোকাস করে না। এজন্য ফটোগুলো খারাপ হয়ে যায়। তবে যাই হোক কাঁচা বাজারের দারুণ মুহূর্তটা কিন্তু আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। সব মিলে দারুন ছিল আপনার এই ব্লগটা।
বাহ্ ভাই আপনিও মাঝেমধ্যে রাতে কাঁচা বাজারে অবস্থান করে থাকেন জেনে বেশ ভালো লাগলো। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই সুন্দর মন্তব্য আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
মোহাম্মদপুরের কাঁচাবাজারে তাহলে শেষ পর্যন্ত সবকিছু পেয়েই গেলেন। আসলে নতুন জায়গায় মানিয়ে নিতে সকলেরই কম বেশি কষ্ট হয়। আমি নিজেও মন থেকে কখনোই শহর অঞ্চলে থাকতে পছন্দ করি না। যাইহোক, ৬০০ টাকা করে ইলিশ মাছ কিন্তু কমই নিয়েছে ভাই। তারপরে তো আরো দুই প্রকার মাছ নিয়েছেন, সেই সাথে কিছু টাকা বেঁচে যাওয়ার কারণে মুরগির মাংসও কিনে নিয়েছিলেন যা দেখছি। বোঝাই যাচ্ছে অনেক বাজার করেছেন একসাথে, এত রাতে তিনজনে বেরিয়ে ।
হ্যাঁ দাদা তিনজন রাতে বাজারে গিয়ে অনেক বাজার করেছিলাম। ইলিশ মাছটা মাঝারি কোয়ালিটির ছিল বিধায় দামটা কম ছিল বড় কোয়ালিটির গুলো আরো বেশি দাম। অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
আচ্ছা ভাই, বুঝলাম ব্যাপারটা। কোয়ালিটির সাথে দামের পার্থক্য থাকবে এটাই স্বাভাবিক।