"খুব সহজে মজাদার কেক তৈরি"
হ্যালো..!!
আমার সুপ্রিয় বন্ধুরা,
আমি @aongkon বাংলাদেশের নাগরিক।
আজ-২১ ই নভেম্বর,সোমবার, ২০২২ খ্রিষ্টাব্দ।
আমি অংকন বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @aongkon। আমি মা, মাতৃভাষা এবং মাতৃভূমিকে সব থেকে বেশি ভালোবাসি। আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমার মাতৃভাষা বাংলার একমাত্র ব্লগিং কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ফাউন্ডার, এডমিন প্যানেল, মডারেটর প্যানেল এবং সকল সদস্য ও সদস্যাদের আমার অন্তরের অন্তরস্থল থেকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন রইল।
আজকে আমি আপনাদের সামনে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমার পোস্টটি হল খুব সহজে মজাদার কেক তৈরির রেসিপি। এর আগে অবশ্য কেক তৈরির খুব সুন্দর একটি প্রতিযোগিতা চলে গিয়েছে "আমার বাংলা ব্লগে" কিন্তু আমি সেখানে কিছু কারণে অংশগ্রহণ করতে পেরেছিলাম না, কেক তৈরির প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে না পারাতে আমার খুবই খারাপ লেগেছিল। তাই এখন ভাবলাম যে কেক তৈরির রেসিপিটা আপনাদের সাথে শেয়ার করি। তাহলে দেরি না করে চলুন শুরু করি।
রেসিপি তৈরির জন্য উপকরণ:
ক্রমিক | উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|---|
১ | আটা | ১.৫ চা কাপ |
২ | ডিম | দুইটি |
৩ | চিনি | হাফ চা কাপ |
৪ | দুধ | দুই চা কাপ |
৫ | কিচমিচ | ১৫-১৬ টা |
৬ | বেকিং পাউডার | দুই চা চামচ |
৭ | তেল | পরিমাণ মতো |
৮ | লবণ | পরিমাণ মতো |
কেক প্রস্তুত প্রণালী
প্রথমে আমি একটি বাটি নিয়ে আটা ১.৫ চা কাপ, ঠান্ডা দুধ দুই চা কাপ, বেকিং পাউডার ২ চা চামচ, ডিম দুইটি, এক চিমটি লবণ, হাফ চা কাপ চিনি এই সকল উপকরণ নিব।
সকল উপকরণগুলো নিয়ে চামচ দিয়ে খুব সুন্দর ভাবে মিশ্রণ করে নিব। এই মিশ্রনটি একটু সময় নিয়ে করতে হবে কারণ মিশ্রণ যত ভালো হবে কেক তত সুন্দর হবে।
কেক তৈরির জন্য আলাদা একটি বাটি নিয়ে, বাটির ভেতরে খুব সুন্দর মতো তেল দিয়ে নিব।
তেল দেওয়া বাটির নিচের অংশের মাপে কাগজ দিয়ে সুন্দর করে একটি বৃত্ত মত তৈরি করে বাটির ভেতরে ঠিক মাঝখানে দিয়ে নেব। এবং কাগজটি সম্পূর্ণ তেল দিয়ে ভিজিয়ে নেব সুন্দর মত।
এবার যে বাটিতে একটি প্রস্তুত করব সেই বাটিতে সম্পূর্ণ মিশ্রণ সুন্দর মত ঢেলে নিব।
মিশ্রণের উপরে অনেকগুলো কিসমিস দিয়ে আমি সুন্দর মত সাজিয়ে নিয়েছি। যাতে করে আমার কেকটা দেখতে একটু সুন্দর লাগে।
আমি একটি প্যানে পরিমাণ মত বালি নিয়ে নিয়েছি এবং চুলা জ্বালিয়ে পাঁচ মিনিট মত বালি গরম করে নেব।
এবার বালির উপরে একটি প্রাণ রাখার ছোট স্ট্যান্ড বসিয়ে তার ওপর কেক তৈরির জন্য যে বাটিতে সংমিশ্রণ রেখেছিলাম ওই বাটিটি স্ট্যান্ডের উপর বসিয়ে ঢেকে দিব। চুলার আগুন পরিমিত পর্যায়ে রাখবো।
কেকের মিশ্রণ চুলায় দেওয়ার পরে ৩০ মিনিট মতো অপেক্ষা করে তারপর দেখব যে কে খাবার উপযুক্ত হয়েছে কিনা। একটি ছোট শলাকা নিয়ে পরীক্ষা করে দেখলাম যে কে খাবার উপযুক্ত হয়ে গিয়েছে তারপর আমি চুলা বন্ধ করে দিয়ে প্যান থেকে কেকের বাটি নামিয়ে ফেললাম।
উপরোক্ত পদ্ধতি অবলম্বন করে খুব সহজেই আমরা সুন্দর স্পঞ্জি কেক তৈরি করতে পারি। কেক তৈরির জন্য এই পদ্ধতিটি আমার কাছে খুবই সহজ মনে হয়েছে আশা করি আপনাদের কাছেও সহজ লাগবে। আমার তৈরি কেক খেতেও বেশ সুস্বাদু হয়েছিল।
পোস্টের বিবরন
পোস্ট ধরন | রেসিপি |
---|---|
ক্যামেরাম্যান | @aongkon |
ডিভাইস | স্যামসাং জে-৭ প্রো |
ক্যামেরা | ১৩ মেগাপিক্সেল |
প্রিয় বন্ধুরা,
আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে প্রতিনিয়ত আমার সৃজনশীলতা দিয়ে ভালো কনটেন্ট শেয়ার করে এই কমিউনিটিকে সমৃদ্ধ করতে চাই এবং উচ্চতার শিখরে নিয়ে যেতে চাই। আমার কেক তৈরির ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই নিজের খেয়াল রাখবেন সুস্থ এবং সুন্দর থাকবেন এটাই কাম্য করি।
@aongkon
You've got a free upvote from witness fuli.
Peace & Love!
বাহ দারুণ মজার কেক বানিয়েছেন। আপনার কেক দেখে তো খেতে ইচ্ছে করছে। আমাদের দাওয়াত না দিয়ে একা একা খাবেন না। আমি আবার কেক আর পুডিং খেতে খুবই পছন্দ করি। আপনার কেক তৈরি পদ্ধতি দেখে খুব ভালো লাগলো। এভাবে কেক বানালে খেতে খুবই সুস্বাদু হয়।ধন্যবাদ মজাদার রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ আপু অবশ্যই দাওয়াত থাকলো আপনার এসে খেয়ে যাবেন। সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ আপু।
প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে না পারলে কি হবে এখন তো আপনি সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন। আপনার তৈরি কেক অনেক লোভনীয় লাগছে ভাইয়া যদি আমাকে দাওয়াত দেন সত্যি সত্যি আমি আপনার বাসায় উপস্থিত হব শুধুমাত্র আপনার তৈরি কেক খাওয়ার জন্য।
হ্যাঁ ভাই অবশ্যই আপনি ঢাকায় চলে আসেন আপনার দাওয়াত রইলো। যখন ইচ্ছা চলে আসবেন ঢাকাতে আমার বাসায়। সুন্দর মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।
আসলে কেক আমার খুব পছন্দের। যে কোন মুহূর্তে কেক খেতে খুবই ভালো লাগে আমার। আপনি খুব সুন্দর করে অত্যন্ত দক্ষতার সহকারে কেক তৈরি করেছেন। এবং আমাদের মাঝে পর্যায় ক্রমে সুন্দরভাবে ধাপে ধাপে উপস্থাপন করেছেন। দেখে খুব ভালো লাগলো। এতো চমৎকার রেসিপি পোস্ট শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
আপনি কে পছন্দ করেন জেনে ভালো লাগলো। সুন্দর অনুপ্রেরণামূলক মন্তব্য করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ভাই।
আপনি খুব সহজভাবে একটি কেক বানানোর রেসিপি শেয়ার করেছেন। এবং খুব সুন্দর ভাবে ধাপে ধাপে উপস্থাপন করেছেন। দেখে মনে হচ্ছে খেতেও বেশ সুস্বাদু হয়েছে। ধন্যবাদ আপনাকে আমাদের মাঝে এই সুন্দর ভাবে কেক বানানোর রেসিপিটা শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ ভাই খেতে অনেক সুস্বাদু হয়েছিল।
সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ভাই।
আপনি কোন কারনে কেক তৈরির প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে পারেননি জেনে আমারও খারাপ লাগলো। কারণ আপনি তো অনেক সুন্দর কেক তৈরি করতে পারেন প্রতিযোগিতা অংশগ্রহণ করতে পারলে আপনার ভালো লাগতো। আপনার কেক দেখে তো আমারই খেতে ইচ্ছা করছে। কেকের কালার টাও তো অনেক সুন্দর হয়েছে। এভাবে বালির ভিতরে বসিয়ে কখনো কেক তৈরি করেনি আপনার কাছ থেকে নতুন একটি পদ্ধতি শিখে নিলাম।
সুন্দর অনুপ্রেরণামূলক মন্তব্য করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ আপু।
ভাই আপনার মত কেক প্রতিযোগিতায় আমিও অংশগ্রহণ করতে পারিনি। আসলে রেসিপির প্রতিযোগিতা গুলা আমাদের ছেলেদের জন্য একটু কঠিন হয়ে যায়। যাক আজ আপনি অত্যন্ত সুস্বাদু একটি কেক এর রেসিপি বানিয়েছেন৷ কেক এর রঙটাও দারুন হয়েছে ভাই। শুভেচ্ছা রইলো।
হ্যাঁ ভাই এটা ঠিকই বলেছেন যে রেসিপি প্রতিযোগিতাটা ছেলেদের জন্য একটু কঠিন হয়ে যায়। তবে অনেক ছেলেরাই প্রতিযোগিতাতে অংশগ্রহণ করে জয় লাভ করে। সুন্দর মতামত প্রদানের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ভাই।