"বাইক সার্ভিসিং"
হ্যালো..!!
আমার সুপ্রিয় বন্ধুরা,
আমি @aongkon বাংলাদেশের নাগরিক।
আজ- ২৯ শে জুলাই , সোমবার, ২০২৪ খ্রিঃ।
আমি আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমার মাতৃভাষা বাংলার একমাত্র ব্লগিং কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ফাউন্ডার, এডমিন প্যানেল, মডারেটর প্যানেল এবং সকল সদস্য ও সদস্যাদের আমার অন্তরের অন্তরস্থল থেকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন রইল।
আমি আজকে আপনাদের সামনে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি প্রতিনিয়ত আমার বাংলা ব্লগে নতুন নতুন পোস্ট শেয়ার করতে আমার অনেক বেশি ভালো লাগে। আজকে আমার সারাটা দিন ভীষণ ব্যস্ততা পূর্ণ কেটেছে। সাধারণত এরকম সময় আমি তেমন একটা অতিবাহিত করি না বললেই চলে। আমি ঘোরাঘুরি করতে ভীষণ পছন্দ করি। আর এই কারণেই ঢাকা থেকে যখনই বাড়িতে আসি তখন বাইক নিয়ে এলাকায় প্রচুর পরিমাণে ঘুরে বেড়ায়। সত্যি বলতে গ্রামীণ প্রকৃতিতে এরকম বাইক নিয়ে স্বাধীনভাবে ঘুরে বেড়ানোর মজাই আলাদা। শুধু যে, আমি ঘুরে বেড়াই এমনটা নয় আমাদের যে, পুরো টিম আছে সবাই বাইক নিয়ে এলাকাতে ঘুরে বেড়ায়। অনেকদিন পরে আজকে বাইক সার্ভিসিং করালাম তাই আপনাদের সাথে শেয়ার করতে চলে আসলাম।
আমার বাবার একটি বাইক আছে আরে এই বাইকটা নিয়ে আমি সাধারণত বাড়িতে আসলে ঘুরে বেড়ায়। অনেকদিন হলো বাইক সার্ভিসিং করা হয় না বললেই চলে। তবে মাঝেমধ্যে একটু আধটু সার্ভিসিং করানোর পরে। আমার বাবা খর আমার দাদা বাইক চালায়ও কম আবার সার্ভিসিং কয় না বললেই চলে। কিন্তু বাইক কমফোর্টলি চালাতে গেলে মাঝেমধ্যে সার্ভিসিং করানোটা জরুরী। আর এই কারণেই আমি বাড়িতে আসলেই চেষ্টা করি বাইক সার্ভিসিং করানোর জন্য।
কয়েক মাস আগে বাড়িতে এসে কুষ্টিয়া শহরে গিয়ে বেশ কয়েক হাজার টাকা খরচ করে বাইক সার্ভিসিং করিয়েছিলাম। তারপর আর তেমন বড় কোন ধরনের বাইক সার্ভিসিং করানো হয়নি। তবে এবার বাড়িতে এসে বাইক চালায়ে লক্ষ করলাম বাইকের পারফরম্যান্স খুব খারাপ। গতকালকে তো গ্রামের পাশের বাজার থেকে বাইক নিয়ে বাড়িতে আসতে গিয়ে হঠাৎ মধ্যপাথে বন্ধ হয়ে গেলো। তখন রাত প্রায় দশটা বাজে গ্রামীণ রাস্তায় একা একা তেমন একটা মানুষ জন নেই।
প্রথমত আমি ভেবেছিলাম যে, গাড়ির প্লাগ নষ্ট হয়েছে তারপর প্লাগটা চেঞ্জ করলাম। আর গাড়ি ভালোভাবে স্টার্ট হলো বাড়ি পর্যন্ত আসার পরেই আবার বন্ধ হয়ে গেলো। তখন বাবার কাছে জিজ্ঞাসা করলাম যে, ইঞ্জিন অয়েল কতদিন আগে চেঞ্জ করা হয়েছিলো। বাবা তখন বলল যে, অনেকদিন হলো চেঞ্জ করা হয় না আর গাড়ির মিটার রিডিং উঠছে না তাই কত কিলো চালানো হয় টেরও পাওয়া যায় না। তখন বুঝতে পারলাম যে গাড়ির ইঞ্জিন অয়েল এর কারনে এই সমস্যাটা হচ্ছে।
আজকে সকালে বাবা বাইকের জন্য ইঞ্জিন অয়েল নিয়ে এসেছিলো তারপর আমি সেটা গাড়িতে ভরলাম। আর বাবাকে বললাম যে, আজকে জানিপুর গিয়ে গাড়িটা ভালোভাবে সার্ভিসিং করাতে হবে। তারপর বাবা বলল যে, আমিও জানিপুর ব্যাংকে কাজে যাবো তাহলে দুজন একসাথে যাওয়া যাবে। তারপর আমাদের খোকসা থানার সব থেকে ভালো বাইক সার্ভিসিং করানোর মেকারের দোকানে গেলাম। আমরা যখন গেছিলাম তখন দুপুর ২ টা বাজে বাইক সার্ভিসিং এর দোকানে বেশ ভালই ভিড় ছিলো।
প্রায় দুই ঘন্টা বসে থাকার পরে আমাদের গাড়িতে কাজ আরম্ভ করল। প্রথমে গাড়ির মিটার রিডিং ঠিক করল তারপর চেইন আর ব্রেকের প্রবলেম ছিলো সেগুলো ঠিক করলো। আর কিছুদিন আগে স্ট্যান্ড করা অবস্থায় বাইক পড়ে গেছিল তারপর গলায় সমস্যা হয়েছিলো তাই আজকে গাড়ির গলাটাও ঠিক করে নিলাম। আর এসব কাজগুলো করাতে আমার সময় লেগেছে পাঁচ ঘন্টা। অর্থাৎ দুইটা থেকে সাতটা পর্যন্ত এই বাইক সার্ভিসিংয়ের দোকানে ছিলাম।
যাইহোক বাইক সার্ভিসিং করানোর শেষে নয়শো টাকা বিল আসলো তারপর বিল পরিশোধ করে বাড়ির দিকে রওনা দিলাম।
প্রিয় বন্ধুরা,
আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে প্রতিনিয়ত আমার সৃজনশীলতা দিয়ে ভালো কনটেন্ট শেয়ার করে এই কমিউনিটিকে সমৃদ্ধ করতে চাই এবং উচ্চতার শিখরে নিয়ে যেতে চাই। আমার ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই নিজের খেয়াল রাখবেন সুস্থ এবং সুন্দর থাকবেন এটাই কাম্য করি।
আমি অংকন বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @aongkon। আমি মা, মাতৃভাষা এবং মাতৃভূমিকে সব থেকে বেশি ভালোবাসি। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে। আমি বর্তমানে ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটিতে সিভিল টেকনোলজিতে বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, গান গাইতে ও শুনতে, কবিতা লিখতে ও পড়তে, আর্ট করতে, রান্না করতে ও ফটোগ্রাফি করতে খুবই পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" আমার গর্ব "আমার বাংলা ব্লগ" আমার ভালোবাসা। আমার নিজের ভেতরে লুকায়িত সুপ্ত প্রতিভাকে বিকশিত করার লক্ষ্যে "আমার বাংলা ব্লগে" আমার আগমন। এই স্বল্প মানব জীবনের প্রতিটা ক্ষণ আমার কাছে উপভোগ্য। আমি মনে করি, ধৈর্যই সফলতার চাবিকাঠি।
@aongkon
![witness_proxy_vote.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmRXkkCEbXLYwhPEYqkaUbwhy4FaqarQVhnzkh1Awp3GRw/witness_proxy_vote.png)
![witness_vote.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmW8HnxaSZVKBJJ9fRD93ELcrH8wXJ4AMNPhrke3iAj5dX/witness_vote.png)
গাড়ি মাঝেমধ্যে সার্ভিসিং করা একান্ত প্রয়োজন। কারণ চলাচলের মুহূর্তে হঠাৎ সমস্যা সৃষ্টি হলে পারে ঝামেলা। তাই প্রবলেম না হলেও সার্ভিসিং করা বুদ্ধিমানের কাজ। আমিও মাঝেমধ্যে বামুন্দি বাজারে গেলে আমার গাড়িটা মেকারকে দেখায়। বেশ ভালো লাগলো আপনাদের বাইক সার্ভিসিং বিষয়ে জানতে পেরে।
অংকন ভাই, বাইক সার্ভিসিং এর মাধ্যমে আপনার বাইকটি যে এখন একেবারে চালানোর যোগ্য হয়ে উঠেছে তা বুঝতেই পারছি। তবে বাইক মাঝে মাঝে সার্ভিসিং করানো ভীষণ জরুরি। রাস্তায় দুর্ঘটনার হাত থেকে বাঁচতে ও বিপদে না পড়তে হলে বাইক সার্ভিসিং খুব গুরুত্বপূর্ণ।
মাঝেমধ্যে বাইকের সার্ভিসিং করা ভালো, এতে করে বাইক ভালো থাকে। তবে একটা বাইক সার্ভিসিং করতে যেহেতু পাঁচ ঘন্টা সময় নিয়েছে, তার মানে তো অনেক সমস্যা ছিল বাইকে। তবে ৯০০ টাকা বিল হিসেবে কিন্তু আমার কাছে খুব বেশি একটা বেশি মনে হয়নি। অনেক ভালো লাগলো ভাই, আপনার বাইক সার্ভিসিং করানোর অভিজ্ঞতা জেনে।