"গ্রামের বাড়িতে ফেরা"

in আমার বাংলা ব্লগ2 months ago


হ্যালো..!!
আমার সুপ্রিয় বন্ধুরা,
আমি @aongkon বাংলাদেশের নাগরিক

আজ- ২ রা নভেম্বর, শনিবার, ২০২৪ খ্রিঃ

আমি আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমার মাতৃভাষা বাংলার একমাত্র ব্লগিং কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ফাউন্ডার, এডমিন প্যানেল, মডারেটর প্যানেল এবং সকল সদস্যসদস্যাদের আমার অন্তরের অন্তরস্থল থেকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন রইল।



কভার ফটো

1000139012.jpg

কয়েকটি ফটোগ্রাফি একত্রিত করে সুন্দর একটি কভার ফটো তৈরি করে নিয়েছি।



আমি আজকে আপনাদের সামনে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি প্রতিনিয়ত আমার বাংলা ব্লগে নতুন নতুন পোস্ট শেয়ার করতে আমার অনেক বেশি ভালো লাগে। আমি বর্তমানে ঢাকা শহরে আছি কিন্তু ঢাকা শহরের কোন কিছুই আমার ভালো লাগেনা। প্রতিদিন ইচ্ছে হয় গ্রামে ফিরে যেতে। গ্রামীণ প্রকৃতি উপভোগ করতে। আমাদের মিডটার্ম পরীক্ষা চলছিল তাই বাড়িতে যেতে পারছিলাম না। কিন্তু গত কালকে মিডট্রাম পরীক্ষা শেষ হওয়ার কারণে আজকে বাড়িতে যাচ্ছি। সত্যি বলতে যখনই ঢাকা শহর ছেড়ে বাড়ির দিকে যায় তখন মনের ভেতর ভীষণ ভালো লাগা কাজ করে। জেল থেকে কোন আসামি মুক্তি পেলে যেমন অনুভব করে আমিও ঢাকা থেকে বাড়ি যাওয়ার পথে ঠিক তেমনি অনুভব করি।

1000138993.jpg

গতকালকে ইউনিভার্সিটির মিডটার্ম পরীক্ষা শেষ করেই বাড়ি আসার জন্য খুব ইচ্ছা করছিল। তারপর আবার গ্রামের ছেলেপেলেরা ফোন করে বলল যে, আমি নাকি বাড়িতে গেলে পিকনিক করবে। শীতের সময়ে গ্রামীন পিকনিক গুলো আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে। প্রতি সেমিস্টারে ফাইনাল পরীক্ষা হোক কিংবা মিড টার্ম পরীক্ষা শেষ হলেই বাড়িতে চলে আসি। আগে আমি আর আমার বন্ধু রাহুল একসাথে বাড়িতে আসতাম। কিন্তু বন্ধু রাহুলের চাকরি হওয়ার পরে একসাথে বাড়ি আসা হয়ে ওঠেনা।

1000139002.jpg

গতকালকে রাতে ঘুমানোর আগেই প্ল্যানিং করে রেখেছিলাম যে, আজকে সকালে বাড়ি যাওয়ার উদ্দেশ্যে বের হব। তাই আজকে সকালে ঘুম থেকে উঠেই ফ্রেশ হয়ে সকালের নাস্তা করে ১১ টার দিকে মেস থেকে রওনা দিলাম। মোহাম্মদপুর বাস স্ট্যান্ড থেকে লেগুনাতে করে গাবতলী বাস টার্মিনালে আসলাম। তারপর রাবেয়া পরিবহনের টিকিট কেটে বাসে উঠলাম। এই বাসটি ছাড়ার কথা ছিল সাড়ে ১১ টার দিকে কিন্তু যাত্রী কম হওয়াতে ছাড়তে ছাড়তে প্রায় বারোটা বেজে যায়।

1000138999.jpg

যেহেতু একা একা ছিলাম তাই খুব একটা ভালো লাগছিল না কারণ কথা বলার মত কেউ ছিল না। আর জার্নি করার সময় কথা বলার মত মানুষ না থাকলে জার্নি একদম ভালো লাগেনা। আর এই জন্য আমি বাড়ি আসার সময় কিংবা বাড়ি থেকে যাওয়ার সময় বন্ধুরা রাহুলকে ভীষণ মিস করি। কারণ আমরা যখন একসাথে যাওয়া আসা করতাম তখন সারা পথ গল্প করতাম কত ভালো লাগতো। সত্যি বলতে সেই দিনগুলো আর হয়তো কখনো ফিরে পাবো না।

1000139001.jpg

প্রায় দুই ঘন্টা জার্নি শেষে পাটুরিয়া ঘাটে এসে পৌঁছালাম। তারপর ২০ থেকে ৩০ মিনিট মতো ফেরীর জন্য অপেক্ষা করতে হলো। আমাদের বাস ফেরীতে উঠানোর পরে আমি ফেরির তিন তলাতে চলে গেলাম। কারণ বাস ফেরীতে থাকলে ভিতরে বসে থাকতে একদম ভালো লাগেনা। নদীর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করার ফেরির উপরে গেলেই সব থেকে বেশি ভালো হয়। দুপুরে অনেক রোদ ছিল তারপরেও হালকা কুয়াশা ছিল নদীতে দেখতে বেশ ভালই লাগছিল।

1000139008.jpg

আমি বাড়ি থেকে ঢাকাতে যায় কিংবা ঢাকা থেকে বাড়িতে আসি সব থেকে বেশি সুন্দর মুহূর্ত অতিবাহিত করি যখন নদী পার হই। কারণ নদীর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আমাকে মুগ্ধ করে। যাই হোক নদী পার হতে ৪০ মিনিট মতো সময় লেগেছিল। তারপর গোয়ালন্দঘাট থেকে খোকসা বাস স্ট্যান্ড পর্যন্ত আসতে দেড় ঘণ্টার মধ্যে সময় লেগেছিল। খোকসা বাস স্ট্যান্ডে নেমে ভ্যানে করে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম।

1000139011.jpg

তারপর বাড়ি থেকে একটু দূরে ভ্যান থেকে নেমে কয়েক মিনিটের পথ হেঁটে বাড়িতে পৌঁছালাম। বাড়িতে আসতে আসতে বিকাল পাঁচটা বেজেছিল। নিজের গ্রামের বাড়িতে পা রাখতেই মনের ভিতর খুব ভালোলাগা কাজ করছিলো। কারণ আমি গ্রামীণ প্রকৃতি সবসময় অনেক বেশি ভালোবাসি। বাড়িতে কাউকে না বলেই হঠাৎ করে এসেছিলাম তাই বাড়ির সদস্যরা সারপ্রাইজ হয়েছিল। সাধারণত প্রতিবার বাড়ি আসার আগে এমনটাই হয়। কারণ আমি বাড়িতে আসার আগে বাড়ির কাউকেই বলে আসি না। যাইহোক বাড়িতে আসার পরে সবার সাথে অনেক সুন্দর সময় অতিবাহিত করছি। আর নিজের মনের দিক দিয়ে অনেক শান্তিতে রয়েছি।



পোস্টের ছবির বিবরন

ডিভাইসস্যামসাং গ্যালাক্সি এফ-৫৪
ক্যামেরা১০৮ মেগাপিক্সেল
তারিখ২ রা নভেম্বর ২০২৪ খ্রিঃ
লোকেশনঢাকা


প্রিয় বন্ধুরা,

আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে প্রতিনিয়ত আমার সৃজনশীলতা দিয়ে ভালো কনটেন্ট শেয়ার করে এই কমিউনিটিকে সমৃদ্ধ করতে চাই এবং উচ্চতার শিখরে নিয়ে যেতে চাই। আমার ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই নিজের খেয়াল রাখবেন সুস্থ এবং সুন্দর থাকবেন এটাই কাম্য করি।



আমি কে !

20230826_112155.jpg

আমি অংকন বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @aongkon। আমি মা, মাতৃভাষা এবং মাতৃভূমিকে সব থেকে বেশি ভালোবাসি। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে। আমি বর্তমানে ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটিতে সিভিল টেকনোলজিতে বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, গান গাইতে ও শুনতে, কবিতা লিখতে ও পড়তে, আর্ট করতে, রান্না করতে ও ফটোগ্রাফি করতে খুবই পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" আমার গর্ব "আমার বাংলা ব্লগ" আমার ভালোবাসা। আমার নিজের ভেতরে লুকায়িত সুপ্ত প্রতিভাকে বিকশিত করার লক্ষ্যে "আমার বাংলা ব্লগে" আমার আগমন। এই স্বল্প মানব জীবনের প্রতিটা ক্ষণ আমার কাছে উপভোগ্য। আমি মনে করি, ধৈর্যই সফলতার চাবিকাঠি।



সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ
@aongkon



VOTE@bangla.witness as witness witness_proxy_vote.png
OR
SET @rme as your proxy
witness_vote.png

standard_Discord_Zip.gif

Sort:  
 2 months ago 

আজকে আপনি আপনার বাড়ি ফেরার অনুভূতিটা সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন। যেখানে পরীক্ষা শেষ করে বাড়ির দিকে রওনা দিয়েছেন। আর এখানে ফাস্ট এর ফটোটা আমার কাছে একটু পরিচিত স্থান মনে হল সম্ভবত মানিকগঞ্জের কোন একটু স্থান হবে। যাই হোক অনেক অনেক ভালো লাগলো বিস্তারিত জেনে।

 last month 

হ্যাঁ ভাই ফাস্টের ফটোটা আমি বাস থেকে করেছিলাম। এটা মানিকগঞ্জের কোন এক নদীর ভেতরের দৃশ্য। অনেক সুন্দর মন্তব্য প্রকাশ করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।

 2 months ago 

আপনার বাড়ি তো ঢাকা থেকে বেশ অনেকটাই পথ। বাড়ি আসতে সকলেরই ভালো লাগে জানেন। আমারও খুব ভালো লাগে। আসলে গ্রামের পরিবেশ মা-বাবা বাড়ির টান মাটির টান বন্ধু-বান্ধব সবকিছু মিলিয়েই সমস্তটা আমাদের নিজেদের আপন একান্ত তাই না? আপনি যে ভালোভাবে বাড়ি চলে এসেছেন এটাই আনন্দের। এবার কিছুদিন বাড়িতে আনন্দ করুন।

 2 months ago 

হ্যাঁ দিদি বাড়ি থেকে ঢাকা অনেকটা পথ। অবশ্যই দিদি সমস্ত টাই আমাদের নিজেদের একান্ত। সবাইকে নিয়ে অনেক সুন্দর সময় অতিবাহিত করছি। সুন্দর সাবলীল ভাষায় মন্তব্য প্রকাশ করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ দিদি।

 2 months ago 

ঢাকা শহরে থাকতে কারোর খুব একটা ভালো লাগে না ভাই। বারবার গ্রামের বাড়িতে ছুটে চলে যেতে ইচ্ছা করে। আপনারও তেমনটা হয়েছে। গ্রামের বাড়িতে গেলে অন্য রকমের শান্তি পাওয়া যায়। ধন্যবাদ আপনাকে এই পোস্ট শেয়ার করার জন্য।

 last month 

আসলেই ভাই ঢাকা শহর কারোরই ভালো লাগেনা। আর এই কারণেই বারবার গ্রামে ছুটে আসি। সুন্দর মন্তব্য প্রকাশ করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ভাই।

 2 months ago 

আমরা শহরে পড়ালেখার জন্য কিংবা জরুরী কাজে যতই থাকি না কেন গ্রামকে আমরা কখনো ভুলতে পারি না। শহর থেকে গ্রামে ফেরার পথে খুব সুন্দর সুন্দর আপনি ফটোগ্রাফি নিয়ে সেগুলো আমাদের সাথে শেয়ার করলেন। সুন্দর একটি মুহূর্ত পড়ে বেশ ভালো লেগেছে।

 last month 

এটা সত্যি যে আমরা যতই শহরে থাকি না কেন গ্রামকে কখনোই ভুলতে পারি না। সুন্দর সাবলীল ভাষায় মন্তব্য প্রকাশ করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।

 2 months ago 

আপনার গ্রামটি খুব সুন্দর এবং মনোরম ভাই। ঢাকা শহরে আপনার ভালো লাগবে না সেটাই স্বাভাবিক। তবে আপনার ফেরার রাস্তাটি ও খুব সুন্দর। আর ঢাকা শহরে লেগুনা নিয়ে আমার একটা খুব মজার স্মৃতি আছে জানেন। আমি যখন ঢাকা গেছিলাম তখন জানতাম না লেগুনা কি ধরনের গাড়ি। আমাকে একজন পুলিশ বলছিল লেগুনা ধরে মেট্রো স্টেশন চলে যান। আসলে আমার মেট্রো ধরার ছিল। কিন্তু আমি লেগুনা কিছুতেই বুঝতে পারছিলাম না। তাই পুলিশকে বলি আমি ভারতের লোক, লেগুনা নামে কোন গাড়ি চিনিনা। আপনি দয়া করে একটু গাড়িটি দেখিয়ে দেবেন? পুলিশ তখনই সহযোগিতা করেন। হা হা হা।

 2 months ago 

হ্যাঁ দাদা গ্রামের প্রাকৃতিক দৃশ্য অনেক মনোরম। আমিও আগে লেগুনা চিনতাম না তারপর ঢাকা শহর আসার পরে চিনতে পেরেছি। লেগুনা নিয়ে চমৎকার গল্প পড়ে বেশ ভালোই লাগলো তবে গল্পটি বিস্তারিতভাবে একটি পোস্টে শেয়ার করতে পারেন। অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা আপনার জন্য শুভকামনা রইল।

 2 months ago 

লেগুনা নিয়ে ঢাকা শহরের অভিজ্ঞতা কোন একদিন পোস্টে শেয়ার করব ভাই।

 2 months ago 

শহর মানেই বন্দি জীবন এটা জেনেও বিভিন্ন কাজে আমাদের এখানে থাকতে হয়। সব কিছুর সাথে নিজেকে মানিয়ে নিতে হয়। এটা ঠিক বলেছেন যখন আমরা গ্ৰামের উদ্দেশ্যে রওনা হই তখন যখন নিজেকে জেল ফেরৎ মুক্ত আসামির মতো লাগে। আপনার পরীক্ষা শেষ হওয়ার সাথে সাথে গ্ৰামে চলে যাচ্ছেন শুনে ভালো লাগলো। সত্যিই যাত্রাপথে সাথে যদি কেউ থাকে তাহলে গল্প করতে করতে যেতে খুব ভালো লাগে। আপনার বন্ধু রাহুল এখন চাকরি করে বলে একসাথে আর যাওয়া হয়না এটা খুব দুঃখজনক। তবে আপনি চুপচাপ বসে না থেকে বেশ কিছু সুন্দর দৃশ্য ক্যামেরা বন্দি করেছেন দেখে ভালো লাগলো। আপনি নিরাপদে বাড়ি পৌঁছাতে পেরেছেন জেনে ভালো লাগলো। আশা করি বাড়িতে খুব সুন্দর সময় কাটাবেন আর আমাদের সাথে তা শেয়ার করবেন।

 last month 

হ্যাঁ আপু শহর মানেই বন্দি জীবন আর বিভিন্ন কাজের কারণে এ শহরে থাকতে হয়। যখন শহরে থাকার প্রয়োজনীয়তা ফুরিয়ে যাবে তখন আবার গ্রামে ফিরে যাবো। আমার পোস্টটি সুন্দরভাবে পড়ে কমেন্ট করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

 2 months ago 

পরীক্ষা শেষ এখন বাড়ির উদ্দেশ্যে আহ। বাড়িতে যাওয়ার সময় একটা আনন্দ সবার মাঝেই কাজ করে কিন্তু। পদ্মা সেতু হওয়ার পরে ঐ রুটে ফেরিতে এখন খুব একটা ভীড় আর হয় না। আগে তো অনেক সময় দাঁড়িয়ে থাকতে হতো।

 last month 

এটা সত্যি বলেছেন ভাই বাড়ি যাওয়ার একটা আনন্দ আছে যেটা সবার মাঝে কাজ করে। সেদিন কোন এক কারণবশত ফেরি কম থাকার কারণে একটু লেট হয়েছিল। অনেক সুন্দর মন্তব্য প্রকাশ করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।

Coin Marketplace

STEEM 0.22
TRX 0.24
JST 0.038
BTC 95076.63
ETH 3277.51
USDT 1.00
SBD 3.26