"আলু, পটল এবং লাউ দিয়ে ঝোল রেসিপি"
হ্যালো..!!
আমার সুপ্রিয় বন্ধুরা,
আমি @aongkon বাংলাদেশের নাগরিক।
আজ - শনিবার, ১৫ অক্টোবর, ২০২২ খ্রিষ্টাব্দ।
আমি অংকন বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @aongkon। আমার মা, মাতৃভাষা এবং মাতৃভূমিকে সব থেকে বেশি ভালোবাসি। আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমার মাতৃভাষা বাংলার একমাত্র ব্লগিং কমিউনিটি [আমার বাংলা ব্লগ] এর ফাউন্ডার , এডমিন প্যানেল, মডারেটর প্যানেল এবং সকল সদস্য ও সদস্যাদের আমার অন্তরের অন্তরস্থল থেকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন রইল।
আজকে আমি আপনাদের সামনে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমার পোস্টটি হলো রেসিপি সংক্রান্ত। ইতিমধ্যে আমি আপনাদেরকে বলেছি যে আমি ঢাকায় থেকে লেখাপড়া করি এবং নিজেই রান্না করে খায় এখানে। যদিও লেখাপড়ার পাশাপাশি রান্না করাটা একটু কষ্ট হয় তারপরেও নিজের রান্না নিজে করে খেতে অনেক পছন্দ করি। কারণ ঢাকা শহরের খালাদের রান্না আমার কাছে খুবই বেশি অপরিষ্কার লাগে। নিজের হাতে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নভাবে রান্না করে খাওয়ার আলাদা একটা শান্তি আছে। তাহলে চলুন দেরি না করে আমার রেসিপি সংক্রান্ত পোস্টটি আপনাদের মাঝে শেয়ার করি।
রেসিপি তৈরির উপকরণ:
👉আলু = পরিমাণ মতো
👉পটল=পরিবার মতো
👉লাউ=পরিবার মতো
👉পেঁয়াজ= পরিমাণ মতো
👉মরিচ= পরিমাণ মতো
👉রসুন= পরিমাণ মতো
👉হলুদ= পরিমাণ মতো
👉লবণ= পরিমাণ মতো
👉ধুনে গুড়া= পরিমাণ মতো
👉জিরা= পরিমাণ মতো
👉গরম মসলা= পরিমাণ মতো
👉তেল= পরিমাণ মতো
উপকরণ প্রস্তুত প্রণালী :
আলু, পটল, এবং লাউ, পরিমাণ মতো সুন্দর করে কেটে নিতে হবে এবং খুব পরিষ্কার করে জল দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে। তারপর পেঁয়াজ,রসুন, এবং মরিচ পরিমাণ মতো কেটে খুব সুন্দর করে ধুয়ে নিতে হবে পেঁয়াজ রসুন এবং মরিচ কুচি কুচি করে কেটে নিতে হবে। আমি পেঁয়াজ, রসুন, মরিচ কাটার পর হামাল দিস্তা দিয়ে সুন্দরভাবে একসাথে করে বেটে নিয়েছি।
রন্ধন প্রণালী
প্রথম ধাপ:
প্রথম ধাপে চুলা জ্বালিয়ে দিয়ে কড়াই বসিয়ে দিতে হবে। তারপর পরিমাণ মতো তেল দিতে হবে।
দ্বিতীয় ধাপ :
দ্বিতীয় ধাপে কড়াইতে তেল গরম হয়ে আসলে হামাল দিস্তা দিয়ে বেটে রাখা পেঁয়াজ, রসুন এবং মরিচের বাটনা একসাথে কড়াইতে দিয়ে দিতে হবে। তারপর সাথে জিরার গুড়া, ধুনের গুড়া এবং পরিমাণ মতো লবণ দিয়ে নাড়াচাড়া করতে হবে।
তৃতীয় ধাপ :
তৃতীয় ধাপে মসলাটা হালকা ভাজি হয়ে আসলে তখন কেটে রাখা আলু, পটল এবং লাউ একসাথে কড়াইতে দিয়ে সুন্দর মত ভাজি করতে হবে।
চতুর্থ ধাপ:
চতুর্থ ধাপে আলু পটল এবং লাউ ভাজি সম্পূর্ণ হয়ে গেলে পরিমাণ মতো জল দিতে হবে। জল দেওয়ার পর কিছু সময় জ্বালাতে হবে। আলু পটল এবং লাউ গুলি ভালোভাবে সিদ্ধ হওয়ার পর লবনটা চেক করে দেখব ঠিক হয়েছে কিনা তারপর কড়াই থেকে নামানোর কয়েক মিনিট আগে ক্লাস এবং দারচিনি দিয়ে দিব।
পঞ্চম ধাপ:
পঞ্চম ধাপে আলু পটল এবং লাউয়ের ঝোল রেসিপি খাবারের উপযোগী হয়ে গেলে রান্না বন্ধ করে দিতে হবে এবং চুলার আগুন নিভিয়ে চুলা থেকে রেসিপি নামিয়ে ফেলতে হবে।
ষষ্ঠ ধাপ:
ষষ্ঠ ধাপে আলু, পটল এবং লাউয়ের ঝোল রেসিপি খাবারের উপযুক্ত করে পরিবেশনের জন্য পাত্রে রাখা হয়েছে। দেখে মনে হচ্ছে বেশ ভালই স্বাদ হয়েছে।
উপরোক্ত রন্ধন পদ্ধতি অবলম্বন করে, এভাবে খুব সহজে এবং সুন্দর করে আমরা আলু,পটল এবং লাউয়ের ঝোল রেসিপি তৈরি করতে পারি। আমি নিজে নিজে রান্না করতে খুবই পছন্দ করি নিজে নিজে রান্না করার একটা আলাদা মজাও আছে। আমার তৈরি আলু, পটল এবং লাউয়ের ঝোল রেসিপিটা খেতেও বেশ মজাই হয়েছিল।
উপরের সকল ছবির বর্ণনা
ক্যামেরাম্যান : @aongkon
ফোন : স্যামসাং জে-৭ প্রো
ক্যামেরা : ১৩ মেগাপিক্সেল
লোকেশন: মোহাম্মদপুর,ঢাকা ।
প্রিয় বন্ধুরা,
আজকে আলু পটল এবং লাউ দিয়ে ঝোল রান্নার রেসিপি আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম। আমি এভাবে প্রতিনিয়ত ভালো ভালো কনটেন্ট আমার বাংলা ব্লগে শেয়ার করে, এই কমিউনিটিকে সমৃদ্ধ করে তুলতে চাই এবং উচ্চতার শিখরে নিয়ে যেতে চাই। আমার এই রেসিপি ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই নিজের খেয়াল রাখবেন সুস্থ এবং সুন্দর থাকবেন এটাই কাম্য করি।
@aongkon
আমি সব্জি রান্নায় কখনও গরম মশলা ব্যবহার করিনি। একদিন আপনার মতো করে রান্না করতে হবে। ধন্যবাদ সহজ করে প্রতিটি ধাপ আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
সবজি এর সাথে গরম মসলা দিলেও হয় আবার না দিলেও হয়। তবে আপু আপনি একদিন দিয়ে দেখতে পারেন আশা করি ভালই লাগবে। সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
যেহেতু আলু আর লাউ এক ভাবে কাটা হয়েছে তাই প্রথমে বুঝতেই পারিনি কোনটা লাউ আর কোনটা আলু। হাঃ হাঃ।
দাদা ঢাকার বাসায় থেকে লেখাপড়া করি আর নিজে রান্না করে খায় তো আর কি সব একই সিস্টেমে কাটি।