"মাগুরাডাঙ্গীর মহানাম যজ্ঞ অনুষ্ঠানের সুন্দর মুহূর্ত"

in আমার বাংলা ব্লগ6 months ago


হ্যালো..!!
আমার সুপ্রিয় বন্ধুরা,
আমি @aongkon বাংলাদেশের নাগরিক

আজ- ৩রা জানুয়ারি, বুধবার, ২০২৪ খ্রিঃ

আমি আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমার মাতৃভাষা বাংলার একমাত্র ব্লগিং কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ফাউন্ডার, এডমিন প্যানেল, মডারেটর প্যানেল এবং সকল সদস্যসদস্যাদের আমার অন্তরের অন্তরস্থল থেকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন রইল।



কভার ফটো

PhotoEditor_202412175110201.jpg

কয়েকটি ছবিকে একত্রিত করে সুন্দর একটি কভার ফটো তৈরি করে নিয়েছি।



আমি আছি আপনাদের সামনে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি প্রতিনিয়ত আমার বাংলা ব্লগে নতুন নতুন পোস্ট শেয়ার করতে আমার অনেক বেশি ভালো লাগে। ঢাকা থেকে যখনই আমি গ্রামে আসি তখন ওই এদিকে সেদিকে ঘুরে বেড়াতে বেশ পছন্দ করি। বিশেষ করে ধর্মীয় অনুষ্ঠানগুলোতে তো আমি প্রচুর পরিমাণে উপস্থিত থাকার চেষ্টা করি। এই বছরে শুরুর দিনটাতেই আমি আমাদের পাশের একটি উপজেলায় মহানাম যজ্ঞ অনুষ্ঠান হচ্ছিলো সেখানে গিয়েছিলাম। আর যে কোন অনুষ্ঠানে আমি যে শুধুমাত্র একা যাই এমনটা নয় ! আমার সাথে আমাদের পাড়ার বেশ কয়েকজন ছেলেপেলে মিলে যায়। তাহলে চলুন মহানাম যজ্ঞ অনুষ্ঠানের সুন্দর মুহূর্ত আপনাদের সাথে শেয়ার করি।

20240101_175921-01.jpeg

আমরা যে কয়জন ধর্মীয় মহানাম যজ্ঞ অনুষ্ঠানে গিয়ে থাকে তার আগে থেকেই প্ল্যানিং করে রাখি যে, কোন দিন আমরা কোন জায়গায় যাবো। আর আমরা যেখানেই বাইরে ঘুরতে যায় সেখানে সবসময় বাইক নিয়ে যাবার চেষ্টা করি। কারণ বাইক নিয়ে গেলে নিজের একটা স্বাধীনতা থাকে। বছরের শুরুর দিনে দুটি বাইক নিয়ে আমরা মোট পাঁচজন বিকালের দিকে পাংশার মাগুরাডাঙ্গীর উদ্দেশ্যে রওনা দিই।

20240101_194436-01.jpeg

আমাদের বাড়ি থেকে যে, জায়গাটিতে নামযঙ্গ হচ্ছে সেখানকার দূরত্ব মোটামুটি ১২ কিলোমিটার মতো। আমার সাথে যারা ছিলো গত বছরে মাগুরাডাঙ্গীর এই জায়গায় মহানাম যজ্ঞ তারা সবাই শুনেছে একমাত্র আমি বাদে। তাই এই জায়গাটিতে যাওয়ার প্রতি আমার ইচ্ছা বেশি ছিলো। কারন আমার সব সময় নতুন জায়গায় যাওয়ার প্রতি ইচ্ছাটা বেশি থাকে। আমরা বের হওয়ার মোটামুটি ৩০ মিনিটের ভিতরেই আমাদের কাঙ্খিত জায়গায় পৌঁছে যায়।

20240101_194522-01.jpeg

মাগুরাডাঙ্গী হলো পাংশা শহরের পাশেই অবস্থিত বলতে গেলে শহরের ভেতরে। মহানাম যজ্ঞ অনুষ্ঠানের এই জায়গাটিতে যাওয়ার পর দেখলাম অনেক ভক্তবৃন্দের সমাগম হয়েছে। সাধারণত শীতের দিনে এত ভক্তবৃন্দ খুব একটা দেখা যায় না। আসলে শহরের ভেতরে হওয়াতে এই জায়গাটিতে ভক্তবৃন্দের সমাগম একটু বেশিই হয়। যেমন আমরা অনেকটা দূর থেকে শীতের ভেতরে চলে এসেছি। তেমনই আমাদের মতো অনেক মানুষ আছে যারা দূর-দূরান্ত থেকে এখানে মহানাম যজ্ঞে হরিনাম সংকীর্তন শোনার জন্য চলে এসেছে।

20240101_192557.jpg

আমরা এসে বেশ কিছু সময় হরিনাম সংকীর্তন শোনার পরে চলে গেলাম আনন্দবাজারে প্রসাদ নেয়ার জন্য। প্রসাদ নিতে গিয়ে দেখি এখানেও প্রচন্ড ভিড় কারণ সময়টা ছিল সন্ধ্যার একটু পরেই। আর এই সময়ে প্রচুর পরিমাণে ভিড় হবে এটাই স্বাভাবিক ব্যাপার। কারণ যারা বাইরে থেকে এসেছে তারা প্রসাদ নিয়ে এখান থেকে প্রস্থান করে। আমরা যেহেতু বাইক নিয়ে গিয়েছিলাম তাই আমাদের আসার কোন টেনশন ছিল না তেমন একটা।

20240101_193321-01.jpeg

মাগুরাঙ্গীর মহানামযজ্ঞ অনুষ্ঠানের এই জায়গায় দিনের বেলাতে ছিলো সাদা ভাত, পালং শাক, দুই রকমের ডাউল, টক আর মিষ্টান্ন। আর রাতের বেলায় ছিল খিচুড়ি, ফুলকপির রসা, টক আকার মিষ্টান্ন। প্রসাদের আইটেমটা আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছিল। আমি সবসময়ই প্রসাদ প্রেমিক মানুষ। প্রসাদ খাইতে সব সময় ভালবাসি। অনেক কষ্ট করে ভিড়ের মধ্যে প্রসাদ নিয়ে এসে আবার হরিনাম কীর্তন শুনতে থাকলাম।

20240101_194433-01.jpeg

আমরা মোটামুটি রাত ৯ টা পর্যন্ত হরিনাম সংকীর্তন শুনে মাগুরাডাঙ্গি থেকে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। যদিও আরো একটু সময় হরিনাম সংকীর্ত্তন শোনার ইচ্ছা ছিলো কিন্তু প্রচন্ড শীত পড়ার কারণে আগে আগেই চলে এসেছিলাম। বাড়িতে আসার সময় বাইকে প্রচন্ড বাতাসা আর শীত লাগছিলো। তবে মাগুরাডাঙ্গীর মতো সুন্দর একটি জায়গাতে হরিনাম সংকীর্তন শুনতে পেরে মনের ভিতর বেশ ভালো লাগছিল। সবাই মিলে অনেক সুন্দর সময় অতিবাহিত করেছিলাম মহানাম যজ্ঞের এই অনুষ্ঠানে।



পোস্টের ছবির বিবরন

ডিভাইসস্যামসাং গ্যালাক্সি এফ-৫৪
ক্যামেরা১০৮ মেগাপিক্সেল
তারিখ১লা জানুয়ারি ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ
লোকেশনকুষ্টিয়া


প্রিয় বন্ধুরা,

আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে প্রতিনিয়ত আমার সৃজনশীলতা দিয়ে ভালো কনটেন্ট শেয়ার করে এই কমিউনিটিকে সমৃদ্ধ করতে চাই এবং উচ্চতার শিখরে নিয়ে যেতে চাই। আমার ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই নিজের খেয়াল রাখবেন সুস্থ এবং সুন্দর থাকবেন এটাই কাম্য করি।



আমি কে !

20230826_112155.jpg

আমি অংকন বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @aongkon। আমি মা, মাতৃভাষা এবং মাতৃভূমিকে সব থেকে বেশি ভালোবাসি। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে। আমি বর্তমানে ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটিতে সিভিল টেকনোলজিতে বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, গান গাইতে ও শুনতে, কবিতা লিখতে ও পড়তে, আর্ট করতে, রান্না করতে ও ফটোগ্রাফি করতে খুবই পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" আমার গর্ব "আমার বাংলা ব্লগ" আমার ভালোবাসা। আমার নিজের ভেতরে লুকায়িত সুপ্ত প্রতিভাকে বিকশিত করার লক্ষ্যে "আমার বাংলা ব্লগে" আমার আগমন। এই স্বল্প মানব জীবনের প্রতিটা ক্ষণ আমার কাছে উপভোগ্য। আমি মনে করি, ধৈর্যই সফলতার চাবিকাঠি।



সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ
@aongkon



VOTE@bangla.witness as witness witness_proxy_vote.png
OR
SET @rme as your proxy
witness_vote.png

standard_Discord_Zip.gif

Sort:  
 6 months ago 

তাহলে ঢাকা থেকে এসে ধর্মীয় অনুষ্ঠানের উদ্দেশ্যে মাগুরায় গিয়েছিলেন। সেই মুহূর্তের দৃশ্য দেখে ভালো লাগলো। প্রতিটা ধর্মীয় অনুষ্ঠানের এরকম উৎসবমুখর পরিবেশ সবাই উপভোগ করতে পছন্দ করে। সেই মুহূর্তের দৃশ্য আপনি অনেকদিন পর এসে উপভোগ করেছেন দেখে ভালো লাগলো।

Posted using SteemPro Mobile

 6 months ago 

হ্যাঁ বন্ধু সুন্দর মন্তব্য করে সবসময় পাশে থাকার জন্য তোমাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

Coin Marketplace

STEEM 0.18
TRX 0.14
JST 0.029
BTC 57839.82
ETH 3132.70
USDT 1.00
SBD 2.43