"জীবনের প্রথম শেরে-ই- বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে খেলা দেখার অনুভূতি"
হ্যালো..!!
আমার সুপ্রিয় বন্ধুরা,
আমি @aongkon বাংলাদেশের নাগরিক।
আজ- ১৫ ই মার্চ, বুধবার, ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দ।
আমি অংকন বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @aongkon। আমি মা, মাতৃভাষা এবং মাতৃভূমিকে সব থেকে বেশি ভালোবাসি। আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমার মাতৃভাষা বাংলার একমাত্র ব্লগিং কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ফাউন্ডার, এডমিন প্যানেল, মডারেটর প্যানেল এবং সকল সদস্য ও সদস্যাদের আমার অন্তরের অন্তরস্থল থেকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন রইল।
আজকে আমি আপনাদের সামনে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আমি ছোটবেলা থেকেই যেকোনো ধরনের খেলাধুলা নিয়ে অনেক বেশি মেতে থাকতাম এবং খুবই পছন্দ করতাম। জীবনের স্বপ্ন ছিল একজন পেশাদার খেলোয়াড় হবো কিন্তু পূরণ করতে পারিনি। কিন্তু খেলা দেখতে আমার ভীষণ ভালো লাগে। ছোটবেলা থেকেই ইচ্ছা ছিল যে হয়তো একদিন স্টেডিয়ামে বসে খেলা দেখব। কিছুদিন আগে এসে ইচ্ছাটা পূরণ করতে পেরেছি এবং মনের মধ্যে ভীষণ ভালোলাগা কাজ করছিল। আজকে আমি জীবনের প্রথম শেরে-ই- বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে খেলা দেখার অনুভূতি শেয়ার করবো আপনাদের সাথে। তাহলে চলুন দেরি না করে শুরু করা যাক।
কিছুদিন আগে গ্রাম থেকে আমার দুই বন্ধু ঢাকা শহর দেখতে এসেছিল। আর তখন ইন্ডিয়া এবং বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক টেস্ট খেলা চলছিল। ছোটবেলা থেকেই আমার বন্ধুরাও আমার মতই ক্রিকেট প্রেমিক, ওরা আসার পরে সবাই মিলে সিদ্ধান্ত করলাম যে বাংলাদেশ বনাম ভারতের টেস্ট খেলা দেখতে যাব। একদিন ওই ম্যাচ থেকে সকালবেলা খাওয়া দাওয়া করে আবার দুই বন্ধু আমার ছোট ভাই এবং আমি চারজন মিলে চলে গেলাম শেরে-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টুডিয়ামের সামনে।
স্টেডিয়ামের সামনে গিয়ে খুব সহজে ২০০ টাকা করে চারটি টিকিট ক্রয় করে নিলাম। টেস্ট ম্যাচের টিকিট বলেই দিনে দিন গিয়ে টিকিট পাওয়া গিয়েছিল তাছাড়া টি-টোয়েন্টি এবং ওয়ানডে ম্যাচে সহজে টিকিট পাওয়া যায় না আগে থেকেই কিনে রাখতে হয়। যদিও টেস্ট খেলায় স্টেডিয়ামের ৫ নাম্বার গেট শুধুমাত্র স্টুডেন্টদের জন্য ফ্রি থাকে কিন্তু সেখানে স্টুডেন্ট কার্ড দেখিয়ে ঢুকতে হয়।
কিন্তু শুধুমাত্র আমার কাছে এই স্টুডেন্ট কার্ড থাকায় পাঁচ নাম্বার গেট দিয়ে না গিয়ে সবাই মিলে বাইরে থেকে টিকিট কিনে চার নাম্বার গেট দিয়ে ভেতরে প্রবেশ করলাম। বাংলাদেশ বনাম ইন্ডিয়া দ্বিতীয় টেস্ট এর চতুর্থ দিন চলছিল সেদিন। ভিতরে প্রবেশ করার সময় মনের ভিতর খুবই উৎফুল্ল লাগছিল যে জীবনের প্রথম গ্যালারিতে বসে খেলা দেখব।
গ্যালারিতে বসে যখন খেলা দেখছিলাম তখন মনের ভেতর স্বপ্নের মত মনে হচ্ছিল সবকিছু। ঘরের ভেতর টিভিতে বসে খেলা দেখা একরকম মজা আর গ্যালারিতে বসে খেলা দেখা অন্যরকম মজা। টেস্ট খেলায় যদিও লোক কম হয় কিন্তু সেদিনে মোটামুটি বেশ ভালোই লক্ষ্য হয়েছিল কারণ খেলাটা বাংলাদেশের পক্ষে ছিল। কিন্তু আস্তে আস্তে সময় যত পার হচ্ছিল বাংলাদেশের জন্য যতই বেশি কঠিন হয়ে যাচ্ছিল জেতাটা।
আমি যখন খেলা দেখতে যাই তখনো অনেক রান প্রয়োজন ছিল ইন্ডিয়ার কিন্তু ওদের হাতে মাত্র তিনটি উইকেট ছিল। আর ওই রানের ভেতরে তিনটি উইকেট বাংলাদেশের বোলাররা নিতে পারলেই বাংলাদেশ ম্যাচটি জিতে যেতো। কিন্তু অনেক চেষ্টা করেও উইকেট ফেলাতে পারছিল না বাংলাদেশের বোলাররা। ইন্ডিয়ান ব্যাটিং রবিচন্দ্রন এবং শ্রেয়াস আয়ারের দারুন ব্যাটিংয়ে এগিয়ে যাচ্ছিল ইন্ডিয়া।
আমার ভাই দীপ মনোযোগ দিয়ে খেলা দেখছে। যদিও খেলা খুব একটা ভালো বোঝে না কিন্তু স্টুডিয়ামে যাওয়ার পর এতটাই খুশি হয়েছিল যে বেশ লাফালাফি করতেছিল। ওর মত বয়সে আমরা শুধু স্টেডিয়ামে বসে খেলা দেখার স্বপ্নই দেখেছি কিন্তু দেখতে পারেনি। হয়তো স্বপ্নটাও আজকে পূরণ করে দিলাম।
আমার বন্ধু সাগর আমার মতোই ক্রিকেট পাগল। বন্ধু আমার স্টুডিয়ামে আসার পরে বারবার আমাকে ধন্যবাদ জানার ছিল আর বলতেছিল তুই ছিলি বলে খেলাটা দেখতে পারতেছি আর আমি বলতেছিলাম তোরা ছেলে বলে আমিও আসতে পারছি। ছোটবেলায় ক্রিকেট খেলার জন্য বেশি লোক প্রয়োজন হতো না মোটামুটি আমরা দুই বন্ধু থাকলেই বেশ ভালই খেলা জমে যেত। একজন ব্যাট করতাম আরেকজন বল করতাম কত স্মৃতি জড়িয়ে রয়েছে এই বন্ধুর সাথে ক্রিকেট খেলা নিয়ে।
আমার বন্ধু সজল বেশি স্টাইলে ছবি উঠতে পারে। বন্ধু আমার খুবই ভালো ক্রিকেট খেলে আর আমার মতই ক্রিকেট পাগল। ছোট বেলায় যারা পাড়ায় একসাথে খেলতাম আর গল্প করতাম কবে গ্যালারিতে বসে ক্রিকেট খেলা দেখব আর সেই স্বপ্ন পূরণ করতে পেরে খুবই ভালো লাগছিল।
আর এটা হল আমি বেশ ভালই ফাঁকা গ্যালারিতে উৎফুল্ল মেজাজে বসে আছি। জীবনের ছোট্ট একটি স্বপ্ন পূরণ করতে পেরে অনেক খুশি লাগছিল মনের ভিতর।
যদিও যখন ছবিগুলো উঠতে ছিলাম তখন বাংলাদেশ ম্যাচটা হেরে গিয়েছিল সেজন্য একটু কষ্টও পেয়েছিলাম। হার বা জিত খেলার ই অংশ এটা ভেবেই জীবনের প্রথম স্টেডিয়ামে বসে খেলা দেখার পরে কয়েকটি ছবি না উঠলেই নয়।
খেলা শেষ হওয়ার কিছু সময় পরে দুই দলের খেলোয়াড়রা ভদ্রতা সহকারে নিজেদের ভেতর হ্যান্ডশেক করছে। আসলে এগুলোই ক্রিকেট খেলার একটি সৌন্দর্য।
জীবনের প্রথম শেরে-ই- বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বসে খেলা দেখার অনুভূতি স্বপ্নের মত ছিল। যখন খেলাগুলো দেখছিলাম মনে মনে ভাবছিলাম এই খেলা টিভির সামনে বসে দেখি আর এখন সরাসরি মাঠে এসে দেখছি। গ্যালারিতে বসে খেলা দেখার সময় মনের ভিতর বিশালতা কাজ করছিল। গভীর আনন্দ উৎপন্ন হয়ে ছিল হৃদয়। ক্রিকেট মানেই হৃদয়ের আবেগ হৃদয়ের ভালোবাসা।
পোস্টের ছবির বিবরন
ক্যামেরাম্যান | অংকন ও সজল |
---|---|
ডিভাইস | স্যামসাং জে-৭ প্রো |
ক্যামেরা | ১৩ মেগাপিক্সেল |
তারিখ | ২৫ ডিসেম্বর |
লোকেশন | ঢাকা |
প্রিয় বন্ধুরা,
আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে প্রতিনিয়ত আমার সৃজনশীলতা দিয়ে ভালো কনটেন্ট শেয়ার করে এই কমিউনিটিকে সমৃদ্ধ করতে চাই এবং উচ্চতার শিখরে নিয়ে যেতে চাই। আমার ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই নিজের খেয়াল রাখবেন সুস্থ এবং সুন্দর থাকবেন এটাই কাম্য করি।
@aongkon
আমি ও আগে ক্রিকেট খেলা দেখতাম এখন তেমন একটা দেখা হয় না।তবে স্টেডিয়ামে সরাসরি কখনও খেলা দেখা হয়নি।আপনার পোস্ট পড়ে ভালো লাগলো।আসলে ফ্রেন্ডের সাথে সবাই মিলে খেলা দেখার মজাই আলাদা। ভালো লাগলো।ধন্যবাদ
আপনিও খেলা দেখতেন জেনে খুবই ভালো লাগলো। সত্যি বলেছেন বন্ধুদের সাথে খেলা দেখার আলাদা একটি মজা আছে। সুন্দর গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
সরাসরি খেলা দেখার অনুভূতি অন্যরকম।তারপরে আপনি আবার শেরে-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে গিয়ে দেখেছেন প্রথমবার।বন্ধুদের সাথে একসাথে খেলা দেখেছেন,অন্যরকম ভালো লেগেছে আপনার বিষয়টি।ধন্যবাদ সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য ভাইয়া।
সুন্দর গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
Hi, @aongkon,
Thank you for your contribution to the Steem ecosystem.
Your post was picked for curation by @rex-sumon.
Please consider voting for our witness, setting us as a proxy,
or delegate to @ecosynthesizer to earn 100% of the curation rewards!
3000SP | 4000SP | 5000SP | 10000SP | 100000SP