"আলু এবং পটল দিয়ে ডিমের রেসিপি"
হ্যালো..!!
আমার সুপ্রিয় বন্ধুরা,
আমি @aongkon বাংলাদেশের নাগরিক।
আজ - শুক্রবার, ২০ই অক্টোবর, ২০২২ খ্রিষ্টাব্দ
আমি অংকন বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @aongkon। আমি মা, মাতৃভাষা এবং মাতৃভূমিকে সব থেকে বেশি ভালোবাসি। আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমার মাতৃভাষা বাংলার একমাত্র ব্লগিং কমিউনিটি [আমার বাংলা ব্লগ] এর ফাউন্ডার , এডমিন প্যানেল, মডারেটর প্যানেল এবং সকল সদস্য ও সদস্যাদের আমার অন্তরের অন্তরস্থল থেকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন রইল।
আমি আজকে আপনাদের সামনে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমার পোস্টটি হলো রেসিপি সংক্রান্ত। আমি আজকে আলু এবং পটল দিয়ে ডিমের রেসিপি তৈরি করেছি। আমি ব্যাচেলর ঢাকাতে থেকে লেখাপড়া করি এবং নিজেই রান্না করে খাই। আমি মনে করি ব্যাচেলরদের রান্না শেখাটা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আমি নিজে অনেক ছোটবেলা থেকেই রান্না করতে পারি এবং নিজে রান্না করে খেতে খুবই পছন্দ করি। নিজে নিজে রান্না করে খাওয়াটা আলাদা একটা মজা আছে আর সেটা আমি উপভোগ করি সবসময়। আমি মনে করি বর্তমানে ব্যাচেলরদের লাইফে ডিম আর ভাত প্রধান খাবার। কিন্তু বর্তমানে ডিমের দাম যে হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে তাতে করে ব্যাচেলরদের হয়তো কিছুদিন পর ডিম খাওয়া বন্ধ হয়ে যাবে। কারণ বর্তমানে দ্রব্যমূল্যে উদ্ধগতির বাজারে ব্যাচেলরদের জীবন অনেকটাই কষ্টের। আমি সুন্দরভাবে আপনাদেরকে আমার আলু এবং পটল দিয়ে ডিমের রেসিপি পোস্টটি ধাপে ধাপে পর্যায়ক্রমে রন্ধন পদ্ধতি বর্ণনা করবো। তাহলে চলুন দেরি না করে শুরু করা যাক।
রেসিপি তৈরির জন্য উপকরণ:
👉আলু = পরিমাণ মতো
👉পটল=পরিবার মতো
👉পেঁয়াজ= পরিমাণ মতো
👉মরিচ= পরিমাণ মতো
👉রসুন= পরিমাণ মতো
👉হলুদ= পরিমাণ মতো
👉লবণ= পরিমাণ মতো
👉ধুনে গুড়া= পরিমাণ মতো
👉জিরা= পরিমাণ মতো
👉গরম মসলা= পরিমাণ মতো
👉তেল= পরিমাণ মতো
উপকরণ প্রস্তুত প্রণালী :
আলু, পটল, পেঁয়াজ,রসুন এবং মরিচ পরিমাণ মতো কেটে নিতে হবে।আমি পেঁয়াজ, রসুন, মরিচ কাটার পর হামাল দিস্তা দিয়ে সুন্দরভাবে বেটে নিয়েছি সাথে জিরা এবং গরম মসলা ও আলাদা করে বেটে নিয়েছি।
রন্ধন প্রণালী
প্রথম ধাপ:
প্রথম ধাপে চুলা জ্বালিয়ে দিয়ে কড়াই বসিয়ে দিতে হবে। তারপর পরিমাণ মতো তেল দিতে হবে। তেল হালকা গরম হয়ে আসলে ডিম ভেজে নিতে হবে।ভাজা হয়ে গেলে ডিম পাত্রে উঠিয়ে রাখবো।
দ্বিতীয় ধাপ :
ডিম ভাজা হয়ে গেলে ডিম পাত্রে উঠিয়ে রাখবো।
তৃতীয় ধাপ :
তৃতীয় ধাপে কড়াইতে পরিমাণ মতো তেল দিয়ে আলু এবং পটলে হালকা হলুদ আর লবণ মিশিয়ে ভাজি করে নিয়ে পাত্রে উঠিয়ে রাখতে হবে।
চতুর্থ ধাপ:
চতুর্থ ধাপে কড়াইতে তেল দিতে হবে, তেল হালকা গরম হওয়ার পর পেঁয়াজ, রসুন, মরিচ, জিরা সকল বাটা এবং পরিমাণ মতো হলুদ,ধুনে গুড়া একসাথে তেলে দিয়ে নাড়াচাড়া করতে হবে। তবে চুলায় আগুন এর পরিমাণ হালকা রাখতে হবে যাতে পুড়ে না যায়।
পঞ্চম ধাপ:
পঞ্চম ধাপে মশলা হালকা লাল হয়ে আসলে হালকা পানি দিয়ে মসলা কষিয়ে নিতে হবে। মসলা কষানো হয়ে গেলে তারপর আলু এবং পটল ভাজি কড়াইতে দিয়ে একসাথে আস্তে আস্তে নড়াচাড়া করতে হবে।
ষষ্ঠ ধাপ:
ষষ্ঠ ধাপে আলু এবং পটল মসলার সাথে ভালোভাবে মিশ্রণ হয়ে গেলে পরিমাণ মতো জল দিয়ে তারপর ঢাকনা দিয়ে কড়াই ঢেকে দিতে হবে।
সপ্তম ধাপ:
সপ্তম ধাপে ডিমের ঝোল গরম হয়ে গেলে ঢাকনা উঠিয়ে ডিম দিয়ে দিতে হবে এবং কিছু সময় পর পরিমাণ মতো লবণ ও গরম মসলা বাটা দিতে হবে।
অষ্টম ধাপ:
অষ্টম ধাপে ডিমের রেসিপি খাবারের উপযোগী হয়ে গেলে রান্না বন্ধ করে দিতে হবে এবং চুলার আগুন নিভিয়ে চুলা থেকে রেসিপি নামিয়ে ফেলতে হবে।
নবম ধাপ:
নবম ধাপে রেসিপি খাবারের উপযুক্ত করে পরিবেশনের জন্য পাত্রে রাখা হয়েছে। দেখে মনে হচ্ছে বেশ ভালই স্বাদ হয়েছে।
উপরের সকল ছবির বর্ণনা
ফোন : স্যামসাং জে-৭ প্রো
ক্যামেরা : ১৩ মেগাপিক্সেল
লোকেশন: মোহাম্মদপুর,ঢাকা।
উপরোক্ত রন্ধন পদ্ধতি অবলম্বন করে, এভাবে খুব সহজে এবং সুন্দর করে আমরা আলু এবং পটল দিয়ে ডিমের রেসিপি তৈরি করতে পারি। আমি নিজে নিজে রান্না করতে খুবই পছন্দ করি নিজে নিজে রান্না করার একটা আলাদা মজাও আছে বটে। আসল কথা হল নিজের রান্না নিজে খাওয়ার একটা শান্তি আছে। আমার তৈরি ডিমের মজাদার রেসিপিটা খেতেও বেশ মজাই হয়েছিল।
প্রিয় বন্ধুরা,
আজকে আলু এবং পটল দিয়ে ডিমের রান্নার রেসিপি আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম। আমি আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে প্রতিনিয়ত ভালো ভালো কনটেন্ট শেয়ার করে এই কমিউনিটি কে সমৃদ্ধ করতে চাই এবং উচ্চতার শিখরে নিয়ে যেতে চাই। আমার এই ডিমের রেসিপি ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই নিজের খেয়াল রাখবেন সুস্থ এবং সুন্দর থাকবেন এটাই কাম্য করি।
@aongkon
ভাইয়া শুধু আপনি নয় আমরা যারা ব্যাচেলর আছি সবাই মনে করি ডিম আমাদের বেচেলার লাইফে সবচেয়ে মজার খাবার। ডিমের রেসিপিটা আমার কাছে সবচেয়ে বেশি ভালো লাগার কারণ হচ্ছে আপনি ডিম আলাদা তেলে ভাজি করে রান্না করেছেন যেটা আরও বেশি লোভনীয় করে তুলেছে। লোভনীয় ডিমে রেসিপি শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
পোস্টটি সুন্দরভাবে দেখে এবং পড়ে গঠনমূলক মতামত প্রদানের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ভাই। আপনার কাছেও ডিমের রেসিপি অনেক ভালো লাগে জেনে আমার নিজের কাছেও বেশ ভালো লাগছে।
এটা ঠিক,ব্যাচেলরদের রান্না শেখাটা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ।তাছাড়া এতে নিজে রান্না শেখার পাশাপাশি আলাদা একটা প্রশান্তিও কাজ করে মনে।আপনার ডিম ভাজি দেখেই তো আমার খেয়ে নিতে ইচ্ছে করছে।ডিমটা সহজে রান্না করা যায়,দাদা আপনার রেসিপিটি সুন্দর হয়েছে।ধন্যবাদ আপনাকে।
হ্যাঁ দিদি ব্যাচেলরদের রান্না শেখাটা সত্যি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সুন্দর গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। আমার বাংলা ব্লগে আপনার ব্লগিং জার্নি শুভ হোক।