ফটোগ্রাফি: "ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটির সিভিল ফেস্টিভ্যাল-২০২৩" - ৫ ম পর্ব।
হ্যালো..!!
আমার সুপ্রিয় বন্ধুরা,
আমি @aongkon বাংলাদেশের নাগরিক।
আজ- ১১ ই জুলাই, মঙ্গলবার, ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দ।
আমি অংকন বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @aongkon। আমি মা, মাতৃভাষা এবং মাতৃভূমিকে সব থেকে বেশি ভালোবাসি। আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমার মাতৃভাষা বাংলার একমাত্র ব্লগিং কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ফাউন্ডার, এডমিন প্যানেল, মডারেটর প্যানেল এবং সকল সদস্য ও সদস্যাদের আমার অন্তরের অন্তরস্থল থেকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন রইল।
কয়েকটি ছবিকে একত্রিত করে সুন্দর একটি কভার ফটো তৈরি করে নিয়েছি।
আজকে আমি আপনাদের সামনে নতুন একটি পোস্ট হাজির হয়েছি। কিছুদিন আগেই আমাদের ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটিতে সিভিল ডিপার্টমেন্ট এর ফেস্টিভ্যাল হলো। ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হওয়ার পরে এটাই প্রথম সিভিল ডিপার্টমেন্টের ফেস্টিভ্যাল পেলাম। ফেস্টিভাল সম্পর্কে আগে একটু একটু ধারণা থাকলেও আমাদের সিভিল ডিপার্টমেন্টের ফেস্টিভ্যালের দিনে সবকিছু ক্লিয়ার হয়েছি। ফেস্টিভ্যাল মানেই বিভিন্ন স্টল ঘুরে ঘুরে বিভিন্ন কিছু কেনাকাটা করা আর মজার মজার খাবার খাওয়া। ফেস্টিভ্যালে যে এতটা পরিমাণ আনন্দ হয় আসলে ফেস্টিভ্যালটা না হলে, হয়তো অজানা থেকে যেতো। আর আমাদের ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটি তে সিভিল এর স্টুডেন্ট সবথেকে বেশি।
সিভিল ডিপার্টমেন্টের আয়োজিত ফেস্টিভ্যালে প্রায় বিশটা মতো স্টল দিয়েছিলো আমাদের সিভিল ডিপার্টমেন্টের শিক্ষার্থীরা। আমাদের ব্যাচের স্টুডেন্টদের কোন স্টল ছিল না তাই আমাদের মেইন কাজ ছিল সব স্টল গুলো ঘুরে ঘুরে দেখা আর ইচ্ছামতো খাওয়া-দাওয়া করা। আমরা বন্ধুরা মিলে প্রতিটি স্টলে ঘোরাফেরা করছিলাম আর প্রতিটি স্টল থেকেই কিছু না কিছু খাওয়া দাওয়া করেছিলাম। এই ফেস্টিভ্যালে যারা স্টল দিয়েছিলো তারা সবাই আমাদের আগের ব্যাচের শিক্ষার্থীরা, অর্থাৎ তারা সবাই আমাদের থেকে সিনিয়র ছিলো।
আজকে থেকে আমি প্রতি সপ্তাহে আপনাদের সাথে আমাদের ফেস্টিভ্যালের প্রতিটি স্টলের বিভিন্ন পণ্য দ্রব্যের ফটোগ্রাফি গুলো আপনাদের সাথে পর্ব আকারে শেয়ার করবো। আজকে আমি যে, স্টল থেকে বিভিন্ন পণ্যের ফটোগ্রাফি গুলো করেছি এই স্টলের নামটি ছিলো " বাহারিকা স্টল"। এই স্টলের নামটা আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছিলো। আজকে আমি আমাদের "ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটির সিভিল ফেস্টিভ্যাল-২০২৩" -৫ম পর্বে "বাহারিকা" স্টল থেকে বিভিন্ন পণ্যদ্রব্যের ফটোগ্রাফি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।
আমার প্রথম ফটোগ্রাফি ছিলো কুমিল্লা রসমালাই। আপনারা হয়তো অনেকেই জানেন যে, কুমিল্লার রসমালাই বাংলাদেশের ভিতর অনেক বিখ্যাত। যদিও আমি কখনো কুমিল্লার রসমালাই খেয়ে দেখিনি। তবে কুমিল্লার রসমালাই খেয়ে দেখার ইচ্ছা আছে। যদি ছোট বাটিতে করে বিক্রি করতো তবে অবশ্যই অল্প করে কিনে খেয়ে দেখতাম।
এই স্টলে দ্বিতীয় ফটোগ্রাফিটি ছিলো লাভ মোমবাতি। এই লাভ মোমবাতি গুলো দেখতে অনেক সুন্দর লাগছিলো। লাভ মোমবাতি গুলোর প্রতি পিচের মূল্য ছিল ৩০ টাকা।
এই স্টলের আমার তৃতীয় ফটোগ্রাফিটি বিভিন্ন রকম বইয়ের। এই স্টলে বই থাকার কারণে আমার কাছে সব থেকে বেশি ভালো লেগেছে। কারণটা অনেকগুলো স্টল থাকলেও শুধুমাত্র এই একটি স্টলেই বই ছিলো।
আমার এই ফটোগ্রাফিটি ছিলো পাবনার খাঁটি ঘি। এখানে পাবনার খাঁটি ঘি ১ কেজির মূল্য ছিল ১৩৫০ টাকা আর আধা কেজির মূল্য ছিল ৭০০ টাকা। ঘি আবার খুবই পছন্দের একটি খাবার। আমি ঘি দিয়ে গরম গরম ভাত খেতে খুবই পছন্দ করি।
আমার এই ফটোগ্রাফিটি হলো আমের আচারের। তিনটি সাইজের কোটাতে আমের আচার বিক্রি করছিলো বিক্রেতারা। সবথেকে ছোট কৌটার দাম ছিলো ১০০ টাকা, মাঝারি কৌটার দাম ছিল ২০০ টাকা এবং সব থেকে বড় কৌটার দাম ছিল ৩০০ টাকা। আমের আচার আমি ব্যক্তিগতভাবে খুবই পছন্দ করি।
আমার এই ফটোগ্রাফিটি হলো, রঙিল কাগজ দিয়ে তৈরি বিভিন্ন রকম অরিগামি। এই অরিগামি গুলো দেখতে ভীষণ চমৎকার লাগছিলো। রঙিন কাগজ দিয়ে তৈরি নৌকা, রকেট এগুলো দেখে ছোটবেলার স্মৃতির কথা মনে পড়ছিলো। এরকম অরগামির অনেক খেলালা বানিয়ে খেলাধুলা করাতাম।
আজকে আমাদের "ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটির সিভিল ফেস্টিভ্যাল-২০২৩" - ৫ ম পর্বে "বাহারিকা" স্টলের বিভিন্ন পণ্য দ্রব্যের ফটোগ্রাফি গুলো আপনাদের কেমন লেগেছে অবশ্যই কমেন্ট বক্সে জানাবেন। আর "ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটির সিভিল ফেস্টিভ্যাল-২০২৩" ৬ ষ্ঠ পর্ব নিয়ে খুব শীঘ্রই আসবো আপনাদের সামনে।
পোস্টের ছবির বিবরন
ক্যামেরাম্যান | @aongkon |
---|---|
ডিভাইস | স্যামসাং জে-৭ প্রো |
ক্যামেরা | ১৩ মেগাপিক্সেল |
তারিখ | ৯ ই জুন ২০২৩ |
লোকেশন | গাবতলী,ঢাকা |
প্রিয় বন্ধুরা,
আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে প্রতিনিয়ত আমার সৃজনশীলতা দিয়ে ভালো কনটেন্ট শেয়ার করে এই কমিউনিটিকে সমৃদ্ধ করতে চাই এবং উচ্চতার শিখরে নিয়ে যেতে চাই। আমার ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই নিজের খেয়াল রাখবেন সুস্থ এবং সুন্দর থাকবেন এটাই কাম্য করি।
@aongkon
বন্ধু ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটিতে কাটানো দারুন কিছু মুহূর্তের ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন। তার সাথে সেই মুহূর্তগুলোর বর্ণনা দারুন ছিল। এরকম সুন্দর মুহূর্ত উপভোগ করতে পারো সেটাই প্রত্যাশা করি।
হ্যাঁ বন্ধু ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটিতে কিছু ভালো মুহূর্তের ফটোগ্রাফি করে রেখেছি আর এখন সেগুলো তোমাদের সাথে শেয়ার করছি। সুন্দর গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্য তোমাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।