"খোকসা কালীবাড়ি, দুর্গাপূজায় "বিভিন্ন দেব-দেবীর আলোকচিত্র" শেষ -পর্ব
হ্যালো..!!
আমার সুপ্রিয় বন্ধুরা,
আমি @aongkon বাংলাদেশের নাগরিক।
আজ - ২০ই অক্টোবর || ২০২২ খ্রিষ্টাব্দ || বৃহস্পতিবার।
আমি অংকন বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @aongkon। আমি মা, মাতৃভাষা এবং মাতৃভূমিকে সব থেকে বেশি ভালোবাসি। আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমার মাতৃভাষা বাংলার একমাত্র ব্লগিং কমিউনিটি [আমার বাংলা ব্লগ] এর ফাউন্ডার , এডমিন প্যানেল, মডারেটর প্যানেল এবং সকল সদস্য ও সদস্যাদের আমার অন্তরের অন্তরস্থল থেকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন রইল।
আজকে আমি আপনাদের সামনে নতুন একটি ব্লগিং শেয়ার করব। এবার পূজাতে আমি অনেক জায়গায় ঘুরেছি সেটা আমি শারদীয়া কনটেস্টের মাধ্যমে ইতিমধ্যে আপনাদের সাথে শেয়ার করেছি। আমি ১ম-পর্বে এবং ২য়-পর্বে আমাদের খোকসা কালীবাড়িতে, জগৎ জননী মা দূর্গা পূজায় বিভিন্ন দেবদেবীর আলোকচিত্র শেয়ার করেছিলাম আপনাদের সাথে এখন আমি শেষ-পর্ব শেয়ার করব।
প্রথম আলোকচিত্র
পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণ যমুনার পাড়ে বৃক্ষের উপর বসে। পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণ ব্রজগোপিদের শিক্ষাদান করছে। ভগবান শ্রীকৃষ্ণকে সবাই আরাধনা করে তাকে কাছে পাওয়ার জন্য। পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণ সকল জীবের গতি। তিনি আমাদেরকে জীবনে চলার সঠিক পথ প্রদর্শন করে। ভগবান শ্রীকৃষ্ণ কে বিনা সমগ্র সংসার অচল।
দ্বিতীয় আলোকচিত্র
কংসের কারাগারে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জন্ম হওয়ার পরে সেই ঝড় বৃষ্টি রাতে দৈবিকভাবে সকল কারাগারের দরজা খুলে যায় তখন ভগবান শ্রীকৃষ্ণের পিতা বাসুদেব ভগবান শ্রীকৃষ্ণ কে কোলে করে নিয়ে পালিয়ে বৃন্দাবনের দিকে যায়। কিন্তু বৃন্দাবনে যেতে হলে যমুনা নদী পাড়ি দিতে হবে, ভগবান শ্রীকৃষ্ণের পিতা বাসুদেব খুবই চিন্তিত হয়ে পড়ে ঠিক তখনই দেখে যে একটি শিয়াল হেঁটে যমুনা নদী পার হয়ে যাচ্ছে, তখন বাসুদেব সেই শিয়ালের পিছু পিছু যমুনা নদী আর হতে থাকে। যমুনা নদী পার হওয়ার সময় প্রবল ঝড় বৃষ্টি যাতে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের শরীরে স্পর্শ করতে না পারে, সেজন্য পঞ্চনাগ ফনা তুলে ঝড় বৃষ্টির হাত থেকে ভগবান শ্রীকৃষ্ণকে রক্ষা করে।
তৃতীয় আলোকচিত্র
পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণকে শাস্তি স্বরূপ দড়ি দিয়ে বেঁধে রেখে মা যশোদা গাভীর দুগ্ধ দোহন করছে।
চতুর্থ আলোকচিত্র
পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণ এবং রাধারানী ও তার সাথে দুজন ব্রজগোপি সবাই মিলে নৌকা ভ্রমন করছে। মাঝি নৌকাকে পরিচালনা করছে।
পঞ্চম আলোকচিত্র
ধর্মক্ষেত্র কুরুক্ষেত্র যুদ্ধে পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণ রথের সারথী হয়ে মিত্র মহারথী অর্জুনকে যুদ্ধের জন্য সঠিক দিকনির্দেশনা দিচ্ছেন। ভগবান শ্রীকৃষ্ণের এই সকল দিক নির্দেশনা গুলোই শ্রীমৎ ভাগবত গীতায় উল্লেখিত রয়েছে।
ষষ্ঠ আলোকচিত্র
অমৃত লাভের আশায় সকল দেব-দেবতা মিলে সমুদ্রমৈথন করছে।
সপ্তম আলোকচিত্র
পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণ নদীয়ায় চৈতন্য মহাপ্রভুরূপে অবতীর্ণ হয়ে হরিনাম বিলায়ে বেড়াচ্ছেন।
অষ্টম আলোকচিত্র
পরমেশ্বর ভগবানের পরম ভক্ত সুদামা। সুধামা ভগবান শ্রীকৃষ্ণের বন্ধু হিসাবে খ্যাত। ভগবান শ্রীকৃষ্ণের প্রিয় বন্ধু ছিল সুদামা।
নবম আলোকচিত্র
মহাশক্তি মাতা পার্বতী, দেব-আদিদেব মহাদেবের ধ্যানে মগ্ন রয়েছে। মাতা পার্বতী একমাত্র মহাদেবের ধ্যানই করতে।
দশম আলোকচিত্র
মহিরাবনের পাতাল কালী পূজার দৃশ্য। শ্রীরাম লক্ষণকে পাতালে নিয়ে বন্দী করে, মহামায়ার সম্মুখে বলি দেবার জন্য পূজা করা হয়।
একাদশ আলোকচিত্র
খোকসা কালীবাড়ি মন্দিরের মা দুর্গার মূর্তি। মা দুর্গার এই ছবিটা একটু দূর থেকে তুলেছিলাম।
দ্বাদশ আলোকচিত্র
নিকট থেকে তোলা মন্দিরের মা দুর্গার মূর্তি।
সকল আলোকচিত্রের বর্ণনা
ফটোগ্রাফার: @aongkon
ডিভাইস: samsung j7 pro
ক্যামেরা: ১৩ মেগাপিক্সেল
লোকেশন: খোকসা কালীবাড়ি, কুষ্টিয়া।
তারিখ: ৯ অক্টোবর,২০২২ খ্রিস্টাব্দ,রবিবার।
প্রিয় বন্ধুরা,
আজকে এ পর্যন্তই আমাদের খোকসা কালীবাড়ি মন্দিরের দুর্গাপূজায় বিভিন্ন দেব-দেবীর আলোকচিত্রের, শেষ-পর্ব আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম। আমার এই আলোকচিত্রের ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই নিজের খেয়াল রাখবেন সুস্থ এবং সুন্দর থাকবেন এটাই কাম্য করি।
@aongkon
গত পোস্টে দেখেছিলাম।আপনি অনেক সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছিলেন ভাল ছিল আজও শেয়ার করেছেন।ধন্যবাদ আপনাকে।
সুন্দর গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ভাই।