"শুভ রথযাত্রার শুভেচ্ছা"। গত বছরের "রথযাত্রার স্মৃতিময় মুহূর্ত"
হ্যালো..!!
আমার সুপ্রিয় বন্ধুরা,
আমি @aongkon বাংলাদেশের নাগরিক।
আজ-২০ ই জুন, মঙ্গলবার, ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দ।
আমি অংকন বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @aongkon। আমি মা, মাতৃভাষা এবং মাতৃভূমিকে সব থেকে বেশি ভালোবাসি। আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমার মাতৃভাষা বাংলার একমাত্র ব্লগিং কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ফাউন্ডার, এডমিন প্যানেল, মডারেটর প্যানেল এবং সকল সদস্য ও সদস্যাদের আমার অন্তরের অন্তরস্থল থেকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন রইল।
কুষ্টিয়া ইসকন মন্দিরের জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রা দেবীর বিগ্রহ।
আজকে প্রথমেই জগন্নাথ দেব, বলরাম ও সুভদ্রার রথযাত্রার শুভেচ্ছা জানাচ্ছি সবাইকে। আজকে আমি আপনাদের সামনে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আষাঢ় মাসের অনুষ্ঠিত এই রথযাত্রা হিন্দু ধর্মের ব্যাপক একটি ধর্মীয় উৎসব। ভারতের ওড়িশা ঝাড়খন্ড সহ বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় এই রথযাত্রা উৎসবটি ব্যাপকভাবে পালিত হয়। তবে ইসকনের ব্যাপক প্রচারের জন্য সারা বিশ্বে রথযাত্রা উৎসবটি বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। আমার কাছে ব্যক্তিগতভাবে এই রথযাত্রা উৎসবটি খুবই ভালো লাগে।
আমি যখন কুষ্টিয়া তে থাকতাম তখন প্রতিবছরেই ইসকনের রথযাত্রা উৎসবে যোগ দিতাম। আজকে রথযাত্রা উৎসব এসেছে না পেরে মনটা ভীষণ খারাপ রয়েছে। আসলে আমার এখন মিড টার্ম পরীক্ষা চলছে তার উপরে ঢাকাতে একা একা কোথাও যেতে ইচ্ছা করে না। আর তাই ইচ্ছা আছে পরীক্ষা শেষ করে কুষ্টিয়াতে গিয়ে ফেরত রথযাত্রা উৎসবে অবশ্যই যোগ দিবো।
গত বছরে রথযাত্রার দিনে আমি বাড়িতে ছিলাম। আশা খারাপ থাকার কারণে রথযাত্রায় যাব কিনা এ নিয়ে বেশ সংশয় ছিল। তারপরেও মন থেকে বলছিল যে রথযাত্রার যেতে। তাই আর কিছু ঝড়-বৃষ্টি উপেক্ষা করে এই বাড়ি থেকে বের হয়ে গেলাম রথযাত্রায় যোগ দেয়ার উদ্দেশ্যে। তারপরে কুষ্টিয়া থেকে সরাসরি চলে গেলাম ইসকন মন্দিরে। ইসকন মন্দিরে কিছু সময় ঘোরাফেরা করে তারপরে আমাদের পুরনো মেসে চলে গেলাম।
তারপর মেসের থেকে সবাইকে ডেকে এনে রথযাত্রা উৎসবে যোগ দিলাম। কুষ্টিয়া শহরের সব থেকে বড় রথযাত্রা উৎসবটি হয় ইসকন মন্দিরে। আর আমি প্রতি বছর ইসকন মন্দিরের রথ যাত্রায় অংশগ্রহণ করে থাকে। আরে রথ যাত্রার দিনে পুরো শহর জুড়েই মনে হয় আনন্দের মিছিল বয়ে যায়। আর এই ইসকন মন্দিরের রথ দুপুরের পরেই যাত্রা শুরু করে। ইসকন মন্দির থেকে দীর্ঘ চার থেকে পাঁচ কিলোমিটার রথ যাত্রার পরে জগন্নাথ দেবের মাসি বাড়ি অর্থাৎ হরিবারসর মন্দিরে এসে সমাপ্ত হয়।
আর রথ যাত্রার এই দিনে কুষ্টিয়া শহরের এন.এস রোড জুড়ে রথযাত্রা উৎসবের মেলা বসে। আর এই মেলাতে প্রচুর পরিমাণে মানুষ ভিড় করে। ইসকন মন্দির ব্যতীত কুষ্টিয়ার আরো একটি মন্দিরে এই রথযাত্রা উৎসবটি পালন করা হয়। আর এই মন্দিরটি এনএস রোডে অবস্থিত গোপীনাথ জিওর মন্দির এটা কুষ্টিয়ার সবথেকে বড় মন্দির।
আর এই কারণেই এন. এস রোড জুড়ে প্রচুর পরিমাণে ভিড় থাকে। আরে রথযাত্রা উৎসবের দিনে নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত এন.এস রোড দিয়ে গাড়ি চলাচল নিষিদ্ধ থাকে। কারণটা পুরো এন এস রোড জুড়ে মেলা বসে। আর এই মেলাতে সকল ধর্মের ভাই-বোনেরা অংশগ্রহণ করে। সবার স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের মাধ্যমে অনুষ্ঠানটি আরো জাঁকজমক হয়ে ওঠে।
আজকের এই রথ যাত্রার ধর্মীয় উৎসবের দিনে সবাই মিলে খুবই আনন্দ করা হয়। এই ধর্মীয় উৎসবে মেসের ছোট ভাই, বড় ভাই এবং বন্ধুরা মিলে অনেক বেশি আনন্দ করতাম। জয় জগন্নাথ, পৃথিবীর সকল সৃষ্টির উপর শান্তি বর্ষিত করুন।
পোস্টের ছবির বিবরন
ডিভাইস | স্যামসাং জে-৭ প্রো |
---|---|
ক্যামেরা | ১৩ মেগাপিক্সেল |
তারিখ | ১ জুলাই ২০২২ |
লোকেশন | কুষ্টিয়া |
প্রিয় বন্ধুরা,
আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে প্রতিনিয়ত আমার সৃজনশীলতা দিয়ে ভালো কনটেন্ট শেয়ার করে এই কমিউনিটিকে সমৃদ্ধ করতে চাই এবং উচ্চতার শিখরে নিয়ে যেতে চাই। আমার ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই নিজের খেয়াল রাখবেন সুস্থ এবং সুন্দর থাকবেন এটাই কাম্য করি।
@aongkon