"ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ঘোরাফেরা"
হ্যালো..!!
আমার সুপ্রিয় বন্ধুরা,
আমি @aongkon বাংলাদেশের নাগরিক।
আজ-১৭ই ফেব্রুয়ারি,শনিবার, ২০২৪ খ্রিঃ।
আমি আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমার মাতৃভাষা বাংলার একমাত্র ব্লগিং কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ফাউন্ডার, এডমিন প্যানেল, মডারেটর প্যানেল এবং সকল সদস্য ও সদস্যাদের আমার অন্তরের অন্তরস্থল থেকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন রইল।
কয়েকটি ছবিকে একত্রিত করে সুন্দর একটি কভার ফটো তৈরি করে নিয়েছি।
আমি আজকে আপনাদের সামনে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি প্রতিনিয়ত আমার বাংলা ব্লগে নতুন নতুন পোস্ট শেয়ার করতে আমার অনেক বেশি ভালো লাগে। কয়েকদিন আগে আমাদের মেস থেকে বড় ভাই, ছোট ভাই ও বন্ধুরা মিলে সবাই একসাথে বের হয়েছিলাম বইমেলা দেখার উদ্দেশ্যে। আমরা জানতাম যে, বইমেলা ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানেই হয়ে থাকে তাই যে কোন গেট দিয়ে ঢুকলেই আমরা বইমেলাতে পৌঁছাতে পারবো। কিন্তু বইমেলা দেখার আগেই আমরা ভুল করে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের অন্য গেট দিয়ে ঢুকে পড়েছিলাম। তবে আমরা ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ভেতরে ঢুকে সবাই মিলে অনেক মজা করে ঘোরাফেরা করেছিলাম। এখন আমি সেই সুন্দর মুহূর্ত আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।
আমরা এবারে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের একুশে বইমেলাতে যাওয়ার জন্য সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নিই। তারপর একদিন বিকালে আমরা সবাই মিলে সাড়ে চারটার দিকে বের হই বইমেলাতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে। আমরা মোহাম্মদপুরের বাস স্ট্যান্ড থেকে বাসে উঠে শাহবাগ পর্যন্ত যাই তারপর হেঁটে হেঁটে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের দিকে আগাতে থাকি। শাহবাগ চত্বর থেকে মোটামুটি পাঁচ ছয় মিনিট হাঁটার পরেই আমরা ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের একটি গেট সামনে পাই।
আমি যেহেতু এর আগে কখনো বইমেলাতে আসিনি তাই সবার পিছনে ছিলাম বন্ধু রাহুল এর আগে এসেছিল এবং বেশ ভালই চিনতো তাই ও আগে আগেই এই গেট দিয়ে ঢুকে পড়ে। তারপর কিছুদূর যেতেই বুঝতে পারলাম যে, আসলে আমরা ভুল গেট দিয়ে ঢুকে পড়েছি। আগে অবশ্য এই গেট দিয়ে ঢুকে বন্ধু রাহুল বইমেলাতে প্রবেশ করেছিল তাই এই পাশ দিয়েই আমরা ঢুকেছিলাম। কিন্তু এবারে বইমেলাতে ঢোকার জন্য একটি গেট রেখেছিলো।
আমাদের ভিতরে এর অনেকেই যেহেতু ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এর আগে এসেছিলাম না, তাই আমরা সাথে সাথেই ফিরে না গিয়ে ভেতরের দিকে আগাতে থাকলাম। তখন আমাদের মনে হচ্ছিল যে, যতক্ষণ ভুল করে ঢুকেই পড়েছি ভিতরে কি কি আছে একটু সবাই ঘোরাফেরা করে দেখে যায় ভালো হবে। আমরা ভুল করে ঢুকলেও অনেকেই এখানে বিকালের মনোরম পরিবেশে ঘোরাফেরা করে সময় কাটানোর জন্য এখানে আসে।
আমরা ভেতরের দিকে যেতেই বেশ ভালই লোকের সমাগম পাচ্ছিলাম। আমরা একটু আঘাতেই দেখতে পেলাম যে, শিখা চিরন্তন স্থাপনা। এই শিখা চিরন্তন স্থাপনা বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের জ্বলন্ত স্মারক স্মৃতি। ১৯৭১ সালের ৭ মার্চের তৎকালীন রেসকোর্স ময়দান বর্তমান ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের এই জায়গাটিতেই দাঁড়িয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বজ্রকণ্ঠে স্বাধীনতা সংগ্রামের ডাক দিয়েছিলেন। তাই এই জায়গাটিকে স্মৃতিময় করে রাখার জন্যই শিখা স্মারক স্থাপনা তৈরি করেছে বাংলাদেশ সরকার।
এই জায়গাটিতে সব সময় পুলিশ এবং আনসার পাহারারত অবস্থায় থাকে। আমরা আরেকটু আগাতেই দেখতে পেলাম যে, বেশ কয়েকজন বিদেশীরা এসে এখানকার সৌন্দর্য উপভোগ করছে। সত্যি বলতে জায়গাটা অনেক নিরিবিলি ঘোরাফেরার জন্য বেশ ভালো। আবার অনেকেই আসে স্বাধীনতা জাদুকর পরিদর্শনের উদ্দেশ্যে। যদিও আমরা এই জায়গাটিতে এসেছিলাম একুশে বইমেলার উদ্দেশ্যে তারপর ভুল করে ঢুকে পড়াতে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ভিতরে খোলামেলা পরিবেশে একটু ঘোরাফেরা সুযোগ পেয়েছিলাম।
আমরা ভেতরে ঢোকার পরেই দূর থেকে একটি অনেক বড় স্তম্ভ দেখতে পাচ্ছিলাম। যদিও আমি প্রথমে এটি নাম জানতাম না, তারপরে আমি গুগল থেকে জানতে পারলাম যে, এটি বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের স্বাধীনতা স্তম্ভ। এই স্তম্ভটি ১৯৯৯ সালে কাজ শুরু হয়েছিল তারপর ২০১৩ সালে কাজ শেষ হয়। এই স্তম্ভটির অবস্থান শিখা চিরন্তন এর বরাবর। এই স্তম্ভের পশ্চিমের অংশে রয়েছে কৃত্রিম জলাশয় আর বাগান এবং পূর্বের অংশে রয়েছে স্বাধীনতা জাদুঘর।
এই বিশাল স্বাধীনতা স্তম্ভটির উপরের অংশ কাচের তৈরি। সন্ধ্যাবেলাতে এই স্তম্ভটি আলোকস্তম্ভে পরিণত হয়। এই স্তম্ভ থেকে বিস্তারিত আলোকরশ্মি রাতের আকাশে আলো ছড়িয়ে দেয়। আমরা স্তম্ভটির আশেপাশের সৌন্দর্য্য উপভোগ করে তারপর এখান থেকে একুশে বইমেলার উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। সবাই মিলে একসাথে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ঘোরাফেরা করতে পেরে সত্যিই অনেক বেশি ভালো লাগছিলো।
পোস্টের ছবির বিবরন
ডিভাইস | স্যামসাং গ্যালাক্সি এফ-৫৪ |
---|---|
ক্যামেরা | ১০৮ মেগাপিক্সেল |
তারিখ | ১০ ই ফেব্রুয়ারি ২০২৪ খ্রিঃ |
লোকেশন | ঢাকা |
প্রিয় বন্ধুরা,
আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে প্রতিনিয়ত আমার সৃজনশীলতা দিয়ে ভালো কনটেন্ট শেয়ার করে এই কমিউনিটিকে সমৃদ্ধ করতে চাই এবং উচ্চতার শিখরে নিয়ে যেতে চাই। আমার ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই নিজের খেয়াল রাখবেন সুস্থ এবং সুন্দর থাকবেন এটাই কাম্য করি।
আমি অংকন বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @aongkon। আমি মা, মাতৃভাষা এবং মাতৃভূমিকে সব থেকে বেশি ভালোবাসি। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে। আমি বর্তমানে ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটিতে সিভিল টেকনোলজিতে বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, গান গাইতে ও শুনতে, কবিতা লিখতে ও পড়তে, আর্ট করতে, রান্না করতে ও ফটোগ্রাফি করতে খুবই পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" আমার গর্ব "আমার বাংলা ব্লগ" আমার ভালোবাসা। আমার নিজের ভেতরে লুকায়িত সুপ্ত প্রতিভাকে বিকশিত করার লক্ষ্যে "আমার বাংলা ব্লগে" আমার আগমন। এই স্বল্প মানব জীবনের প্রতিটা ক্ষণ আমার কাছে উপভোগ্য। আমি মনে করি, ধৈর্যই সফলতার চাবিকাঠি।
@aongkon
ঘুরাঘুরি করতে আমরা সবাই অনেক পছন্দ করি। তবে যদি সেগুলো ঐতিহাসিক জায়গা হয় তাহলে আরো বেশি ভালো লাগে। কারণ সেই সম্পর্কে আমরা পাঠ্য বইয়ে পড়ে থাকি এবং সেগুলো সরাসরি চোখে দেখার পর বেশ ভালো লাগে। ধন্যবাদ ভাইয়া ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ঘুরাফেরা করার সুন্দর মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ আপু আমরা ঘুরাঘুরি সবাই অনেক বেশি পছন্দ করি আর যদি সেটা ঐতিহাসিক স্থানগুলোতে হয় তাহলে তো অনেক ভালো হয়। অসংখ্য ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করে সবসময় পাশে থাকার জন্য।
আমি অনেক ছোট থাকতে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে একবার গিয়েছিলাম তবে এখন আর ভালোভাবে মনে নেই। তুমিও এবারের প্রথম বার গেলে আর যে কোন জায়গায় প্রথমবার গেলে অনুভূতিটা অন্যরকম থাকে। যাই হোক সেখানে গিয়ে মনের অনুভূতিটা ব্যক্ত করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ বন্ধু।
বন্ধু তুমি আবার ঢাকাতে আসো আমরা সবাই মিলে একসাথে আবার এই ঐতিহাসিক স্থানে বেড়াতে যাবো। অসংখ্য ধন্যবাদ বন্ধু সুন্দর মতামত প্রকাশ করে পাশে থাকার জন্য।
আমিও অনেকদিন আগে এই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে গিয়েছিলাম। আপনিও এই স্থানে গিয়ে খুব সুন্দর সুন্দর কিছু মুহূর্ত উপভোগ করেছেন শুনে খুব ভালো লাগলো। একইসাথে এখানে গিয়ে আপনি যেভাবে সবগুলো ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন এবং আপনার অনুভুতিগুলো এখানে তুলে ধরেছেন তা দেখে খুব ভালো লাগলো। আসলে আমাদের সকলেরই এরকম সুন্দর সুন্দর জায়গা ঘোরাফেরা করা উচিৎ৷ তাহলে আমাদের মনটাও সবসময় ভালো থাকবে। অসংখ্য ধন্যবাদ এরকম একটি সুন্দর পোস্ট শেয়ার করার জন্য৷
হ্যাঁ ভাই এরকম সুন্দর জায়গাতে ঘোরাফেরা করলে মনটা অনেক ভালো থাকে। আপনিও অনেক আগে এই ঐতিহাসিক জায়গাতে এসে ঘুরে গিয়েছিলেন জেনে বেশ ভালো লাগলো। অনেক সুন্দর মন্তব্য প্রকাশ করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ভাই।