"এলাকার ক্যান্সার রোগীকে নিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে"
হ্যালো..!!
আমার সুপ্রিয় বন্ধুরা,
আমি @aongkon বাংলাদেশের নাগরিক।
আজ-২২ ই জুন,বৃহস্পতিবার,২০২৩ খ্রিষ্টাব্দ।
আমি অংকন বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @aongkon। আমি মা, মাতৃভাষা এবং মাতৃভূমিকে সব থেকে বেশি ভালোবাসি। আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমার মাতৃভাষা বাংলার একমাত্র ব্লগিং কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ফাউন্ডার, এডমিন প্যানেল, মডারেটর প্যানেল এবং সকল সদস্য ও সদস্যাদের আমার অন্তরের অন্তরস্থল থেকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন রইল।
কয়েকটি ছবিকে একত্রিত করে সুন্দর একটি কভার ফটো তৈরি করে নিয়েছি।
আমি আজকে আপনাদের সামনে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। এইতো গতকাল এলাকার এক ক্যান্সার রোগীকে নিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়েছিলাম। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কখনো যাওয়া হয়নি, এটাই আমার প্রথম যাওয়া ছিলো। এলাকারে ক্যান্সার রোগের সাহায্যের জন্য এনাম হাসপাতালেও আমি কয়েকবার গিয়েছিলাম সেটা আপনাদের সাথে শেয়ার করেছিলাম। যাইহোক এই ক্যান্সার রোগী বাংলাদেশ ইন্ডিয়া সহ বেশ ভালো ভালো জায়গায় চিকিৎসা করিয়েছে।
এ রোগের ক্যান্সার রোগটা প্রথম পর্যায়ে ধরা পড়েছিল বলেই ডাক্তারদের চিকিৎসা করতে অনেক সুবিধা হয়েছে। প্রথম পর্যায়ে ক্যান্সার ধরা পড়লে যতটি কেমো দেয়ার প্রয়োজন হয় এ রোগীর সবটি কেমো দেওয়ার ডোজ সম্পন্ন করেছে। আর এই ডোজগুলো সম্পন্ন করার পরে ক্যান্সারের জীবানু শরীরের ভিতরে আছে কিনা সেটা পরীক্ষা করার জন্য মূলত ঢাকাতে এসেছিলো। আর এই পরীক্ষাটির নাম হলো, F-18 FDG WHOLE BODY PET-CT SCAN এই পরীক্ষাটি আমার দেখা সবথেকে ব্যয়বহুল একটি পরীক্ষা।
যাইহোক এলাকা থেকে রাতে বাসে করে ঢাকার উদ্দেশ্যে রোগীর সহ লোকের বাড়ির পাশের একজন রওনা দেয়। তারপর খুব সকালে ঢাকাতে এসে পৌঁছানোর পর আমাকে ফোন করে তাদের সাথে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যাওয়ার জন্য। তারপর আমিও ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে উঠে খুব অল্প সময়েই রেডি হয়ে আসাদ গেটে চলে যাই। সেখান থেকে সবাই এক জায়গা হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের দিকে রওনা দেই।
তারপর সবাই ঢাকা মেডিকেল কলেজের বাইরে থেকে হালকা নাস্তা করে নিয়ে ভেতরে প্রবেশ করি। তারপর সেখান থেকে আমরা ক্যান্সার চিকিৎসা কেন্দ্র টা খুঁজে বের করি।
ঢাকা মেডিকেল কলেজের এরিয়া এত বড় এরিয়া যে, প্রথমবার গেলে নির্দিষ্ট জায়গা খুঁজে পাওয়াটা অনেক কষ্ট হয়ে দাঁড়ায়। যাইহোক সবার থেকে শুনে শুনে পরমানু শক্তি কমিশনের সামনে গিয়ে অপেক্ষা করতে থাকলাম। আরে পরীক্ষা কেন্দ্রে গেট খুলে সকাল নয়টার দিকে। আমরা ঢাকা মেডিকেল কলেজে পৌঁছে গেছি ছয়টার একটু পরেই। তাহলে প্রায় তিন ঘন্টা মতো অপেক্ষা করতে হয়েছিলো।
তারপর নয়টার দিকে গেট খোলার পরে সেখানে প্রবেশ করলাম। তারপর হেল্প লেখছে গিয়ে তাদের থেকে কিছু ইনফরমেশন নেয়ার পর একটু হতাশ হলাম। কারণ এই চেষ্টা করাতে সিরিয়াল দেওয়ার পরেও চার থেকে পাঁচ মাস পর্যন্ত সময় লেগে যায়। এতটা সময় অপেক্ষা করা আমাদের ক্যান্সার রোগীর জন্য সম্ভব ছিল না, কারণ এই চেষ্টা করা জরুরী ছিলো।
এই পরীক্ষা কেন্দ্রের ভেতরের দেয়ালে মেরে রাখা ব্যানারটিতে সকল টেস্টের পরীক্ষার মূল্য দেয়া রয়েছে। এই F-18 FDG WHOLE BODY PET-CT SCAN টেস্ট বাইরের যেকোনো বেসরকারি হাসপাতাল থেকে করাতে ৬০ থেকে ৭০ হাজার টাকার মতো খরচ হয় যেটা বিশাল ব্যয়বহুল। বাংলাদেশের শুধুমাত্র ঢাকার কয়েকটি বিশেষায়িত হাসপাতালে এই টেস্টটি করানো হয়।
তারপর কি আর করার বুঝলাম যে এখান থেকে টেস্ট করানোটা অসম্ভব। আর যদিও করানো হয় তবে অনেক লেট হয়ে যাবে। আর এত লেট হয়ে গেলে এই ক্যান্সার রোগীর জন্য সেটা ক্ষতিকর হবে। কারণ ডাক্তার তিন সপ্তাহের ভিতরে টেস্ট করার নির্দেশ দিয়েছে। তারপর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে টেস্ট করানোর আশা ছেড়ে চলে আসলাম আমার বাসায়। আর বেসরকারিভাবে টেস্ট করানোর সিরিয়াল দেয়ার জন্য ডক্টরের ফাইলটি আমার কাছে রেখে সেই ক্যান্সার রোগী এবং তার প্রতিবেশী আবার বাড়ির দিকে রওনা দিলো।
পোস্টের ছবির বিবরন
ক্যামেরাম্যান | @aongkon |
---|---|
ডিভাইস | স্যামসাং জে-৭ প্রো |
ক্যামেরা | ১৩ মেগাপিক্সেল |
তারিখ | ২১ ই জুন ২০২৩ |
লোকেশন | মোহাম্মদপুর,ঢাকা |
প্রিয় বন্ধুরা,
আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে প্রতিনিয়ত আমার সৃজনশীলতা দিয়ে ভালো কনটেন্ট শেয়ার করে এই কমিউনিটিকে সমৃদ্ধ করতে চাই এবং উচ্চতার শিখরে নিয়ে যেতে চাই। আমার ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই নিজের খেয়াল রাখবেন সুস্থ এবং সুন্দর থাকবেন এটাই কাম্য করি।
@aongkon
ক্যান্সার রোগীদের যে কত রকমের টেস্ট করাতে হয় শুধুমাত্র ক্যান্সার রোগীরাই জানে। আমার হাসবেন্ডের ভাতিজির ক্যান্সার হয়েছে জন্য এই বিষয়টা খুব কাছ থেকে দেখা হয়েছে। তাছাড়া এক একটা টেস্ট এত ব্যয়বহুর যে স্বচ্ছল মানুষেরই বহন করা বেশ কষ্টকর হয়ে যায়। এই টেস্টের দাম তো দেখছি আরো বেশি। ভালো করেছেন ভাইয়া সরকারির জন্য অপেক্ষা না করে বেসরকারিতে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। টাকা লাগলেও দ্রুত টেস্টটি করানো যাবে। দোয়া করি টেস্টের রিপোর্ট যাতে ভালো আসে।
সত্যি বলেছেন আপু ক্যান্সার রোগীদের চেয়ে কত রকমের টেস্ট করাতে হয় শুধুমাত্র ক্যান্সার রোগীরাই সেটা খুব ভালো করে জানে। ক্যান্সার রোগীদের একটা টেস্ট যে এতটা ব্যয়বহুল হয় , আসলে আজকে না গেলে জানতাম না। অবশ্যই দোয়া করবেন যাতে ক্যান্সার রোগীটির রিপোর্টটি ভালো আসে। সুন্দর গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
লোকটির জন্য বেশ মায়া লাগছে। আল্লাহ উনাকে সুস্থ্য তা দান করুন। বেশ সময় ব্যয় করেছেন মনে হচেছ। আসলে এ দেশের সরকারী হাসপাতালগুলো এমনই হয়। তার পরীক্ষাটিও কিন্তু অনেক ব্যয় বহুল। তবে আপনি বেশ মানবিক। শুধু মাত্র গ্রামের মানুষের জন্য এতটা সময় আপনি ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে ছিলেন। আল্লাহ আপনার মঙ্গল করুন।
আসলে মানুষকে সাহায্য করতে আমার বড়ই ভালো লাগে। ক্যান্সার রোগীটির জন্য অবশ্যই দোয়া করবেন যাতে সুস্থতা লাভ করে। সুন্দর গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
আপনি আজকে অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। কারণ আমরা অনেকেই ক্যান্সার রোগের ধরন বা চিকিৎসা সম্পর্কে জানিনা, আপনার এই পোস্টটি হয়তো অনেকের উপকার আসবে। তাছাড়া আপনার কিছুটা সহযোগিতায় আপনার এলাকার ক্যান্সার রোগী যদি ভালো হয় তাহলে সেটা ও আপনার কাছ থেকে একটা ভালো লাগার বিষয়। ধন্যবাদ ভাই সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
সুন্দর গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।