"সহজ পদ্ধতিতে সুস্বাদু আলু ভাজি রেসিপি"
হ্যালো..!!
আমার সুপ্রিয় বন্ধুরা,
আমি @aongkon বাংলাদেশের নাগরিক।
আজ - ১০ ই আশ্বিন ||১৪২৯ বঙ্গাব্দ||রবিবার।
আমি অংকন বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @aongkon। আমি বাংলাদেশ থেকে বলছি। আমি মা, মাতৃভাষা এবং মাতৃভূমিকে সব থেকে বেশি ভালোবাসি। আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমার মাতৃভাষা বাংলার একমাত্র ব্লগিং কমিউনিটি [আমার বাংলা ব্লগ] এর ফাউন্ডার , এডমিন প্যানেল, মডারেটর প্যানেল এবং সকল সদস্য ও সদস্যাদের আমার অন্তরের অন্তরস্থল থেকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন রইল।
আমি আজকে একটি রেসিপি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি আপনাদের সামনে। আমি ঢাকা শহরে থেকে লেখাপড়া করি এবং নিজেই রান্না করে খাই। আমি এই রেসিপিটি নিজে করেছি। তাই এই রেসিপিটি আপনাদের সামনে তুলে ধরব এবং রেসিপি তৈরি পদ্ধতি পর্যায়ক্রমে উপস্থাপন করবো। আশা করি আমার রেসিপিটি উপস্থাপন আপনাদের ভালো লাগবে। তাহলে চলুন দেরি না করে শুরু করি।
রেসিপি তৈরির উপকরণ :
👉আলু
👉পেঁয়াজ
👉মরিচ
👉হলুদ
👉লবণ
👉তেল
সবজির পরিমাণের উপর ভিত্তি করে মসলা গুলো প্রয়োজন মতো নিব।
প্রথমে আলু কুচি কুচি করে সুন্দর করে কেটে নিতে হবে। তারপর আলুর পরিমান এর উপর ভিত্তি করে পেঁয়াজ এবং মরিচ কেটে নিতে হবে। পেঁয়াজ এবং মরিচ কাটার আগে অবশ্যই পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে।
কুচি কুচি আলু পরিষ্কার করে ধোয়ার পর পরিমাণ মতো হলুদ এবং পরিমাণ মতো লবণ দিয়ে মাখিয়ে রাখবো কিছু সময়। যাতে আলুর ভেতরে থাকা পানি ঝরে যায়।
রন্ধন প্রণালী:
প্রথম ধাপে কড়াই পরিষ্কার করে ধুয়ে চুলা জ্বালিয়ে, চুলার উপর বসিয়ে দিতে হবে। তারপর কড়াই হালকা গরম হলে পরিমাণ মতো তেল দিতে হবে।
দ্বিতীয় ধাপে কড়াইতে দেওয়া তেল গরম হয়ে গেলে পেঁয়াজ এবং মরিচ দিয়ে দিতে হবে। চুলার আগুন পরিমাণ মতো তাপে রেখে পেঁয়াজ এবং মরিচ নাড়াচাড়া করতে হবে।
তৃতীয় ধাপে পেঁয়াজ এবং মরিচ হালকা ভাজি হয়ে গেলে কুচি করে রাখা আলু দিয়ে দিতে হবে। কুচি করে রাখা আলু দেয়ার পর নাড়াচাড়া করতে হবে। চুলার জ্বাল পরিমাণ মতো রাখতে হবে যাতে আলু পুড়ে না যায়।
চতুর্থ ধাপে ভাজি নাড়াচড়া করতে করতে লাল হয়ে আসলে এবং খাওয়ার উপযুক্ত হয়ে গেলে রান্না বন্ধ করে দিতে হবে এবং চুলা থেকে করায় নামিয়ে ফেলতে হবে।
পঞ্চম ধাপে আলু ভাজির সুস্বাদ রেসিপি খাবারের উপযুক্ত করে পরিবেশনের জন্য পাত্রে রাখা হয়েছে। মন চাইলে আপনারাও খেতে পারেন।
উপরোক্ত রন্ধন পদ্ধতি অবলম্বন করে এভাবে খুব সহজে আমরা আলু ভাজি রেসিপি তৈরি করতে পারি। আমি নিজে নিজে রান্না করতে খুবই পছন্দ করি। নিজে নিজে রান্না করে খাবার ভেতর রাতে একটা শান্তি কাজ করে। আলু ভাজি রেসিপিটা খেতেও বেশ সুস্বাদু হয়েছিল। গরম ভাত এবং ডাউলের সাথে খেতে অনেক সুন্দর লাগছিল আমার কাছে।
প্রিয় বন্ধুরা,
আজকে এ পর্যন্তই আপনাদের সাথে আমার রেসিপি তৈরি পদ্ধতি শেয়ার করলাম। আমার রেসিপিটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে পাশে থাকবেন। আমি আশা করি, আমার রেসিপি তৈরি পদ্ধতিটি আপনাদের কাছে অনেক ভালো লেগেছে। আবার দেখা হবে নতুন কোন পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই নিজের খেয়াল রাখবেন সুস্থ এবং সুন্দর থাকবেন এটাই কাম্য করি।
ফটোগ্রাফার : @aongkon
ফোন : Samsung j7 pro
ক্যামেরা: তেরো মেগাপিক্সেল
লোকেশন: মোহাম্মদপুর, ঢাকা।
@aongkon
ঢাকায় থেকে পড়াশোনা করেন এবং নিজের রান্না নিজে করে খান, এটা শুনে বেশ ভালো লাগলো। আমিও যখন হোস্টেলে থেকে পড়াশোনা করেছি তখন মাঝেমধ্যে রান্না করতাম। তবে আলু ভাজা তো কমন রেসিপি ভাই, এটার ভিতর স্পেশাল তো কিছু নেই। আমরা বাড়িতে সবাই এভাবেই আলু ভেজে খাই। এমন বিশেষ কিছু রেসিপি শেয়ার করতে পারেন যেগুলো নতুন এবং ইউনিক।
আপনার সুন্দর মতামত প্রদানের জন্য ধন্যবাদ। অবশ্যই ভালো কিছু করার চেষ্টা করব পরবর্তীতে।
আপনি ঢাকা শহরে থেকে একা পড়াশোনা করেন তাহলে তো আপনার রান্না শিখতেই হবে। ভালো হয়েছে একা থাকার সুবাদে রান্নাটা শিখে নিয়েছেন। আলু গুলো কি আপনি খোসাসহ কেটে নিয়েছেন ?ঠিকই বলেছেন নিজের হাতের রান্না খেতে আসলেই প্রশান্তি লাগে ।এরকম আলু ভাজি দিয়ে গরম গরম রুটি খেতে খুব ভালো লাগে আপনার রেসিপিটি ভালো হয়েছে।
হ্যাঁ আপু আলুগুলো আমি খোসাসহ কেটে নিয়েছি। কারণ ব্যাচেলরদের জন্য খোসা ছাড়ানো টা একটু কষ্টকর। সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপু আপনাকে।
আলু এমন একটি সবজি যে কোন তরকারিতেই একে মিক্সচার করা যায়। এজন্যই কথায় কথায় বলা হয় গোল আলু। যাক আপনার করা সহজ পদ্ধতিতে সুস্বাদু আলু ভাজি রেসিপিটি অনেক সুন্দর হয়েছে। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
আলু এমন একটি সবজি যেটা সব সবজির রাজা বললেও ভুল হবে না। কারণ সব তরকারিতেই আলু আমরা খেয়ে থাকি। সুন্দর গঠনমূলক মন্তব্য করে অনুপ্রেরণা দেয়ার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনি খুবই সহজ পদ্ধতিতে সুস্বাদু-আলু ভাজি তৈরি করে ফেলেছেন যা দেখি আমার জিভে জল চলে আসলো। আপনি নিজের হাতে রান্না করতে পছন্দ করেন জেনে ভীষণ ভালো লাগলো। সত্যি নিজের হাতের রান্না খাওয়ার মজাটাই আলাদা। অন্যরকম একটা ফিলিংস কাজ করে তখন।
সত্যি বলতে নিজের হাতে রান্না মানে একদম পরিষ্কার পরিচ্ছন্নভাবে রান্না করা। আপনার খেতে ইচ্ছা করছে জেনে খুব ভালো লাগলো। চলে আসতে পারেন আপনি।
আপনার রেসিপিটি দেখতে অনেক লোভনীয় হয়েছে। দেখে লোভ সামলাতে পারছিনা। আপনি অনেক সুন্দর করে রেসিপিটি তৈরির পদ্ধতি পর্যায়ক্রমে উপস্থাপন করেছেন। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইল।
সত্যি বলেছেন দেখতে অনেক বেশি সুন্দর লাগছে আমার কাছেও এবং খেতে অনেক সুন্দর হয়েছিল। আপনার জন্য ও শুভকামনা রইল।
আলু ভাজি খেতে আমার কাছে খুব ভালো লাগে। আমি প্রায় সময় আলু ভাজি করি রুটি সাথে সকালবেলা খেতে খুবই ভালো লাগে। এবং গরম গরম ভাতের সাথেও খেতে খুব ভালো লাগে। আপনাকে ধন্যবাদ ভাই সহজ পদ্ধতিতে আলু ভাজি রেসিপিটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আলু এমন একটা খাবার যেটা আমরা প্রতিনিয়ত খেয়ে থাকি। আলু খাবারটা কমবেশি সবারই ভালো লাগে। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
সব ভাজি থেকে আলু ভাজি আর বেগুন ভাজি আমার পছন্দের খাবার। এই দুইটা দিয়ে পেট ভরে ভাত খাওয়া যায়। সাথে আর কিছু নাহলেও চলবে। আপনি রান্না পারেন শুনে ভালো লাগছে। আমিও ঠুকঠাক রান্না পারি। ছেলেদের একটু না রান্না শিখলে হয়। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এরকম একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ ভাই আপনি ঠিকই বলেছেন অবশ্যই সব ছেলেদের রান্না শেখাটা জরুরী। সুন্দর মন্তব্যের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ভাই।
আপনি অনেক সুন্দর করে সুস্বাদু আলু ভাজি রেসিপি করেছেন। ঢাকা থেকে পড়ালেখা করেন এবং নিজের খাবার নিজে রান্না করে খান। রেসিপিটি আপনি নিজের হাতে তৈরি করেছেন দেখতে খুব ভালো লাগলো। আলু ভাজি আমার খুব প্রিয়। খুব সুন্দর করে আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করেছেন ।শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আলু ভাজি এমন একটা খাবার যেটা আমাদের মোটামুটি সবার কাছেই প্রিয় একটি খাবার। সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ আপু। আপনার জন্য শুভকামনা রইল আপু ।
আপনি অনেক সুন্দর হবে সহজ পদ্ধতিতে আলু ভাজি রেসিপি তৈরি করেছেন। সুন্দরভাবে তৈরি করা পাশাপাশি ধাপগুলো অনেক সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন।
আপনার জন্য শুভকামনা রইল
সুন্দর মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।
ভাইয়া সহজ পদ্ধতিতে আপনি খুব সুন্দর ভাবে সহজ পদ্ধতিতে আলু ভাজি রেসিপি শেয়ার করেছেন। আমার কাছে এভাবে আলু ভাজি খেতে অনেক ভালো লাগে। গরম ভাত বা পরোটার সাথে খেতে খুবই সুস্বাদু লাগে।প্রতিটা ধাপ খুব সুন্দর ভাবে বর্ণনা। ধন্যবাদ মজাদার রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ আপু।