"বন্ধুর সাথে চন্দ্রিমা উদ্যানে ঘোরাফেরা"- ২য় পর্ব।
হ্যালো..!!
আমার সুপ্রিয় বন্ধুরা,
আমি @aongkon বাংলাদেশের নাগরিক।
আজ- ৬ ই আগস্ট, রবিবার, ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দ।
আমি অংকন বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @aongkon। আমি মা, মাতৃভাষা এবং মাতৃভূমিকে সব থেকে বেশি ভালোবাসি। আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমার মাতৃভাষা বাংলার একমাত্র ব্লগিং কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ফাউন্ডার, এডমিন প্যানেল, মডারেটর প্যানেল এবং সকল সদস্য ও সদস্যাদের আমার অন্তরের অন্তরস্থল থেকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন রইল।
কয়েকটি ছবিকে একত্রিত করে সুন্দর একটি কভার ফটো তৈরি করে নিয়েছি।
আজকে আমি আপনাদের সামনে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আমরা সবাই প্রকৃতিকে অনেক বেশি ভালোবাসি। তাইতো সময় পেলে সবাই ছুটে যায় প্রকৃতির মাঝে। প্রকৃতির মাঝে গিয়ে নিঃশ্বাস নিতে, সময় কাটাতে ও গল্প করতেও অনেক বেশি ভালো লাগে। বর্তমানে বায়ু দূষণের দিক দিয়ে ঢাকা শহর বেশ খারাপ অবস্থানে আছে। ঢাকা শহরের বায়ু এতটাই খারাপ অবস্থায় যে, এ শহরে মানুষের থাকাটা নিরাপদ নয়। তারপরেও মানুষ তার জীবিকা নির্বাহের জন্য বা লেখাপড়া জন্য পড়ে আছে। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা তাই এখানে মানুষের সংখ্যা অনেক বেশি থাকবে এটাই স্বাভাবিক। বাসায় লেখাপড়া, ইউনিভার্সিটিতে লেখাপড়া এসব করতে করতে যখন আমরা ক্লান্ত হয়ে যায় তখনই প্রকৃতির মাঝে প্রশান্তির খোঁজ করি।
কিছুদিন আগেই আমি আর আমার বন্ধু রাহুল ঢাকার চন্দ্রিমা উদ্যানে ঘুরতে গিয়েছিলাম। অনেকদিন ধরেই বন্ধু রাহুল এবং আমারও ইচ্ছা ছিল চন্দ্রিমা উদ্যানে যাওয়ার কারণটা আমি এর আগে কখনো চন্দ্রিমা উদ্যানে গিয়েছিলাম না। ইউনিভার্সিটিতে যাওয়ার সময় চন্দ্রিমা উদ্যানে যাওয়ার রাস্তা দেখে খুবই ইচ্ছা জাগতো রাস্তা দিয়ে যাওয়ার, কারণটা চন্দ্রিমা উদ্যানে যাওয়ার পুরো রাস্তাটাই ছিল কৃষ্ণচূড়া ফুলের গাছে, আর গাছে ফুটে আছে টগবগে লাল রঙের কৃষ্ণচূড়া। আমি আজকে থেকে "বন্ধুর সাথে চন্দ্রিমা উদ্যানে ঘোরাফেরার" কয়েকটি পর্ব আকারে পোষ্টের মাধ্যমে শেয়ার করবো। গত সপ্তাহে আমি "চন্দ্রিমা উদ্যানে ঘোরাফেরার"-১ম পর্ব" শেয়ার করেছিলাম। আর আজকে আপনাদের সাথে "বন্ধুর সাথে চন্দ্রিমা উদ্যানে ঘোরাফেরার"-২য় পর্ব শেয়ার করবো।
.... আমি আর আমার বন্ধু রাহুল চন্দ্রিমা উদ্যানের সামনে যে সুন্দর ব্রিজটা আছে সেখানে কিছু সময় কাটালাম। আর দেখা যাচ্ছিলো চন্দ্রিমা উদ্যান এর ভেতরে যেমনটা লোক রয়েছে ঠিক তেমন তাই লোক ব্রীজের উপরে সময় কাটাচ্ছে। এই ব্রিজের উপর থেকে নিচের লেক দেখতে অনেক বেশি সুন্দর লাগছিলো।
আমি আর আমার বন্ধু ব্রিজের উপর থেকে গল্পগুজব করতে লাগলাম আর ফটোগ্রাফি করতে থাকলাম। আমার বন্ধু রাহুল আবার ফটোগ্রাফিতে খুব এক্সপার্ট। আমি আমার বন্ধুর রাহুলের কাছে থেকেই ফটোগ্রাফি করতে শিখেছি। আর ব্রীজের উপর থেকে ফটোগ্রাফি করার সময় বন্ধু রাহুল আমাকে সাবধান করে দিয়েছিলো যে, নিচে লেকের জল রয়েছে তাই ফটোগ্রাফি সাবধানে করিস।
ব্রিজের নিচের লেইকের জলে অনেকেই গোসল করছিলো। বিশেষ করে কয়েকটি ছোট বাচ্চার গোসল করা দেখতে বেশ সুন্দর লাগছিলো। মনে পড়ে যাচ্ছিলো শৈশবের বন্ধুরা মিলে একসাথে গোসল করার স্মৃতি। আসলে সময়ের সাথে সাথে সব কিছুই বদলে যায়। এখন শুধু শৈশবের সেই সময়টা স্মৃতি হয়ে রয়েছে। তারপর এখানে কিছু সময় ফটোগ্রাফি করে সামনের অর্থাৎ চন্দ্রিমা উদ্যানের দিকে এগোতে থাকলাম।
সামনের ব্রীজটা পার হয়ে ভিতরে গিয়ে দেখতে পারলাম প্রচুর পরিমাণে লোকজনের সমাগম। আসলে সবাই প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতেই এখানে আসে। বিকালের দিকে এই জায়গাটিতে আরো সুন্দর পরিবেশের সৃষ্টি হয়। এমন প্রাকৃতিক জায়গাতে সময় কাটাতেও অনেক বেশি ভালো লাগে সবার। আকাশে হালকা মেঘ ছিল আবার মেঘের ভিতর থেকে সূর্য বার বার বেরিয়ে আসছিলো পরিবেশটা আরো সুন্দর করে দিচ্ছিলো।
তারপর লেকের পাশের যে যাইতে থাকলাম, সুন্দর মনোরম পরিবেশে রাস্তাটি আছে সে রাস্তা ধরে গল্প করতে করতে দুই বন্ধু সামনের দিকে যাইতে থাকলাম। এ রাস্তার দুই ধারের গাছগুলো দেখতে আমার অনেক সুন্দর লাগছিলো। এই অচেনা গাছগুলোর মাঝে মাঝে কৃষ্ণচূড়ার গাছগুলো আরো বেশি সুন্দর লাগছিলো। আর পুরো রাস্তার উপরে কৃষ্ণচূড়া গাছের ফুলের পাপড়ি পড়েছিলো। আমি জানিনা এই গাছগুলোর নাম কি তবে এই গাছগুলো খুবই পছন্দ হয়েছিলো আমার। বন্ধু রাহুলের কাছে শুনলাম যে, এই গাছের নাম কি কিন্তু বন্ধুরও বলতে পারলো না।
এই সুন্দর রাস্তাটির পাশের গাছগুলোর নিচেই অনেকেই বসে সময় কাটাচ্ছিলো। আমার এক হাতে হেলমেট আর এক হাতে মোবাইল নিয়ে শুধুই ফটোগ্রাফি আর গল্প করে যাচ্ছিলাম। আমি প্রকৃতিকে অনেক ভালবাসি তাই প্রাকৃতিক দৃশ্য ক্যামেরাবন্দি করে রাখতে বেশ ভালো লাগে। এই সুন্দর রাস্তাটা যেনো হেঁটে শেষই করতে পারছিলাম না, তারপর......
আজকে "বন্ধুর সাথে চন্দ্রিমা উদ্যানে ঘোরাফেরা"- ২য় পর্ব এখানেই শেষ করছি। আর পরবর্তীতে "বন্ধুর সাথে চন্দ্রিমা উদ্যানে ঘোরাফেরার" অন্যান্য পর্বগুলো শেয়ার করবো।
পোস্টের ছবির বিবরন
ক্যামেরাম্যান | @aongkon |
---|---|
ডিভাইস | স্যামসাং জে-৭ প্রো |
ক্যামেরা | ১৩ মেগাপিক্সেল |
তারিখ | ২৪ শে মে ২০২৩ |
লোকেশন | চন্দ্রিমা উদ্যান,ঢাকা |
প্রিয় বন্ধুরা,
আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে প্রতিনিয়ত আমার সৃজনশীলতা দিয়ে ভালো কনটেন্ট শেয়ার করে এই কমিউনিটিকে সমৃদ্ধ করতে চাই এবং উচ্চতার শিখরে নিয়ে যেতে চাই। আমার ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই নিজের খেয়াল রাখবেন সুস্থ এবং সুন্দর থাকবেন এটাই কাম্য করি।
@aongkon
চন্দ্রিমা উদ্যানে বেশ সুন্দর মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন ভাই । আসলে বন্ধুদের সাথে কোথায় ঘুরতে গেলে খুবই ভালো লাগে। চন্দ্রিমা উদ্যানে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য বেশ দুর্দান্ত। বড় গাছের ফুল গুলো দেখতে খুবই সুন্দর লাগছে । চন্দ্রিমা উদ্যানের কাটানো এত চমৎকার অনুভূতি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
হ্যাঁ ভাই বন্ধুর সাথে চন্দ্রিমা উদ্যানে বেশ সুন্দর সময় অতিবাহিত করেছি। চন্দ্রিমা উদ্যান এর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আমার হৃদয় কেড়েছে। সবসময়ই মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
নাম শুনেছি কিন্তু কখনো যাওয়া হয়নি। জানিনা কখনো যেতে পারবো কিনা। তবে আজকে আপনার পোস্ট এর মধ্য দিয়ে সুন্দর এই স্থানটা দেখার সৌভাগ্য হলো আমার। খুব সুন্দরভাবে আপনি ফটোগ্রাফির পাশাপাশি বর্ণনার সাথে তুলে ধরেছেন। এত সুন্দর ভাবে পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
ভাই অবশ্যই চন্দ্রিমা উদ্যানে এসে ঘুরে যাবেন। বেশ সুন্দর একটি প্রাকৃতিক পরিবেশে মোড়ানো জায়গা। সুন্দর গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
চন্দ্রিমা উদ্যানে আমিও অনেকবার গিয়েছি। আপনার বন্ধু রাহুলের সাথে মনে হচ্ছে মাঝে মাঝেই আপনার বেশ ঘোরাঘুরি করা হয়। আসলে রাহুল ঘোরাঘুরি করার মত একটি ছেলে। বেশ সুন্দর একটি সময় আপনারা পার করেছেন এবং সেটি সুন্দরভাবে আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করেছেন শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
হ্যাঁ ভাই রাহুলের কোথাও ঘোরাঘুরি বা ভ্রমণ করা নিয়ে কোন বিরক্তি নেই। আপনি অনেকবার চন্দ্রিমা উদ্যানে গিয়েছেন শুনে ভালো লাগলো। আসলে চন্দ্রিমা উদ্যানের প্রাকৃতিক পরিবেশ আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। সুন্দর গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।