"পিসে-মশাইয়ের তৈরি ডাল-পুরি ও ডাল-পেঁয়াজি খাওয়া"
হ্যালো..!!
আমার সুপ্রিয় বন্ধুরা,
আমি @aongkon বাংলাদেশের নাগরিক
আজ-২৫ই অক্টোবর,মঙ্গলবার,২০২২ খ্রিষ্টাব্দ
আমি অংকন বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @aongkon। আমি মা, মাতৃভাষা এবং মাতৃভূমিকে সব থেকে বেশি ভালোবাসি। আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমার মাতৃভাষা বাংলার একমাত্র ব্লগিং কমিউনিটি [আমার বাংলা ব্লগ] এর ফাউন্ডার , এডমিন প্যানেল, মডারেটর প্যানেল এবং সকল সদস্য ও সদস্যাদের আমার অন্তরের অন্তরস্থল থেকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন রইল।
আজকে আমি আপনাদের সামনে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকের ব্লগটি হলো আমার পিসে-মশাইয়ে হাতে তৈরি ডাল-পুরি ও ডাল-পেঁয়াজি খাওয়া। আমি গতকাল কে সিলেটে এসে পৌঁছেছি। আমরা হার-হামেশাই বাইরে থেকে ডাল-পুরি ও ডাল-পেঁয়াজি এইসব কিনে খাই। কিন্তু ঘরোয়াভাবে তৈরি এ সকল খাবার খেতে বেশ ভালো লাগে।
আমি এর আগে কখনো ঘরোয়া ভাবে তৈরি ডাল-পুরি এবং ডাল- পেঁয়াজি খাইনি। এই দুটি খাবার আমার কাছে খুবই প্রিয় লাগে। যেকোনো ধরনের গরম গরম ফাস্টফুট খাবারোই অনেক বেশি টেস্ট লাগে।
কালকে সিলেটে আসার পরে সারাদিন ঘুম পারতেই চলে গেছে কারণ রাতে বাসে আমার একটুও ঘুম হয়নি। কালকে সারাদিন বৃষ্টির কারণে কোথাও বেরোতেও পারিনি কিন্তু রাতে ওভাবেই গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি এর ভেতরে পিসিমণিদের বাসার পাশে একটি মন্দিরে গিয়ে শ্রী শ্রী মাতা শ্যামার পূজা দেখেছিলাম।
আমার পিসেমশাই টুকিটাকি রান্না করতে পারে জানতাম। কিন্তু কালকে এসে যেটা দেখলাম এবং শুনলাম পিসিমণি বলল অনেক কিছুই নাকি রান্না করতে পারে। পূজা দেখতে যাওয়ার আগে দেখে গেলাম নিজেই চাকু দিয়ে পেঁয়াজ কাটছে এ সকল বানানোর জন্য। পূজা দেখা শেষ করে এসে দেখি ডাল-পেঁয়াজি এবং ডাল-পুরি তৈরি করছে।
সেই গরম গরম অনেকগুলো খেয়ে ফেললাম বেশ ভালই লাগছিল। বৃষ্টির দিনে এরকম খাবার খাওয়ার আলাদা একটা টেস্ট আছে। যদিও আমার একটু গ্যাসের সমস্যা আছে কিন্তু এরকম লোভনীয় খাবার দেখে আর সহ্য করতে পারছিলাম না। বেশি খেয়েছিলাম না মাত্র ১০-১২ টা মত খেয়েছিলাম😋 ডাল-পেঁয়াজ এবং ডাল-পুরি দুইটা মিলে। পিসেমশাইয়ের হাতে তৈরি এরকম সুস্বাদ ফাস্টফুড খেয়ে অসম্ভব সুন্দর লাগছিল মনের কাছে।
গরম গরম এরকম ডাল-পুরি এবং ডাল-পেঁয়াজি খাওয়ার মজাই আলাদা। তবে পেট পুরে এসব খাওয়ার জন্য রাতেই পেটে গ্যাস অনুভব ছিল তাই মধ্যরাতে উঠে আবার গ্যাসের বড়ি খেয়ে তারপর ঘুমালাম। আসলে বাইরের বানানো ফাস্টফুড এবং ঘরোয়াভাবে তৈরি ফাস্টফুডের ভেতরে স্বাদে অনেক পার্থক্য রয়েছে।
ডিভাইস: samsung j7 pro
ক্যামেরা: ১৩ মেগাপিক্সেল
লোকেশন:
তারিখ:২৪ই অক্টোবর,২০২২ খ্রিস্টাব্দ,সোমবার।
প্রিয় বন্ধুরা,
আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মের আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে প্রতিনিয়ত আমার সৃজনশীলতা দিয়ে ভালো কনটেন্ট শেয়ার করে এই কমিউনিটিকে সমৃদ্ধ করতে চাই এবং উচ্চতার শিখরে নিয়ে যেতে চাই। আমার ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই নিজের খেয়াল রাখবেন সুস্থ এবং সুন্দর থাকবেন এটাই কাম্য করি।
@aongkon
আপনার পোস্ট দেখে মনে হচ্ছে আপনার পিসেমশাইয়ের হাতে তৈরি ডালপুরি ও ডালপেঁয়াজি খুবই সুস্বাদু হয়ে থাকে। আপনি বেশি খেয়েছিলাম না বলে ১০-১২ টা খেয়ে নিয়েছেন। খুবই ভালো ছিল আপনার আজকের এই পোস্ট। এরকম পোস্ট আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে। সত্যি এক কথায় অসাধারণ ছিল।
হ্যাঁ আপু খুবই সুন্দর স্বাদ হয়েছিল বলে খেতে ভালোই লাগছিল। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর মতামত প্রদান করার জন্য।
দুটোই খুব মুখরোচক খাবার বিশেষ করে প্রিয় আমার কাছে অত্যন্ত প্রিয়। সাধারণত বাইরের ভাজা পিয়াজু আমি খেতে পারি না। যদি সব সময় সেটাই খাওয়া লাগতো তাহলে হয়তো আমার কাছে আর প্রিয় থাকত না। বাসায় ভাজা পিয়াজু টাই আমি বেশি পছন্দ করি। যাইহোক আপনার পিসেমশাই বেশ ভালই ডালপুরি ও পেঁয়াজু বানাতে পারে দেখছি। দেখে মনে হচ্ছে অনেক সুস্বাদু হবে। অসময়ে এরকম জিনিস দেখে লোভ লেগে গেল ভাই।
হ্যাঁ ভাই বৃষ্টির ভিতর এ ধরনের মুখরোচক খাবার খেতে আমার কাছেও খুবই ভালো লাগে। পোস্টটি পড়ে সুন্দর গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
এত সুন্দর ভাবে খাওয়ার মুহূর্ত বর্ণনা শুনে তো খুব ভালো লাগলো আমার কাছে। নিশ্চয় অনেক সুন্দর মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন ডাল-পুরি ও ডাল-পেঁয়াজি খাওয়।ডাল-পুরি আমার খুব প্রিয়। দেখে তো খেতে খুব ইচ্ছে করতেছে। এত দুর্দান্ত পোস্ট শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই।
হ্যাঁ ভাই খাওয়ার মুহূর্তগুলো আসলেই অনেক সুন্দর ছিল। এত সুন্দর মুখরোচক খাবার ঘরোয়া পদ্ধতিতে বানিয়ে খেতে অনেক সুন্দর লাগে। আমার পিসেমশাই অনেক ভালো রান্না করে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর গঠনমূলক মতামত প্রদান করার জন্য।
খুবই মজাদার একটি রেসিপি তৈরি করেছে আপনার পিসেমশাই। এ ধরনের রেসিপি সাধারণত সকালবেলা খেতে খুবই ভালো লাগে সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে হোটেলে গিয়ে এ ধরনের রেসিপি খেতে খুবই সুস্বাদু মনে হয় আমার কাছে। যদিও নিজে কখনো তৈরি করে খাওয়া হয়নি তবে আপনার এই রেসিপিটি দেখে এই দুপুর বেলা ক্ষুধা লেগে গেল ফোনের সামনে আর বসে থাকতে পারছি না, যাই কিছু খেয়ে আসি।
হ্যাঁ একটু খেয়ে আসলে ভালো হবে ভাই। সুন্দর মতামত প্রকাশের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ভাই।