"জুতা কিনতে জুতা ক্ষয়"
হ্যালো..!!
আমার সুপ্রিয় বন্ধুরা,
আমি @aongkon বাংলাদেশের নাগরিক।
আজ-১৮ অক্টোবর,২০২২খ্রিষ্টাব্দ,মঙ্গলবার।
আমি অংকন বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @aongkon। আমি মা, মাতৃভাষা এবং মাতৃভূমিকে সব থেকে বেশি ভালোবাসি। আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমার মাতৃভাষা বাংলার একমাত্র ব্লগিং কমিউনিটি [আমার বাংলা ব্লগ] এর ফাউন্ডার , এডমিন প্যানেল, মডারেটর প্যানেল এবং সকল সদস্য ও সদস্যাদের আমার অন্তরের অন্তরস্থল থেকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন রইল।
আমার সুপ্রিয় বন্ধুরা, আমি আজকে আপনাদের সামনে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আমার আজকের পোস্টটি হলো জুতা কিনতে জুতা ক্ষয়। আপনারা হয়তো এতক্ষণে আমার পোষ্টের টাইটেল দেখে অবশ্যই ধারণা করতে পারছেন যে জুতা কিনতে যায়ে অনেক ঘোরাঘুরি করতে হয়েছে। তাহলে চলুন দেরি না করে জুতা কিনতে জুতা ক্ষয় গল্পটি আপনাদের সাথে শেয়ার করি।
আজকে দুপুরে আমার কাকাতো ভাই বাড়ি থেকে সিলেট যাওয়ার উদ্দেশ্যে বের হয়ে দুপুরে ঢাকার মোহাম্মদপুরে আমার বাসায় এসেছিল। কয়েকদিন আগেই কাকাতো ভাই ইউরোপের দেশ ইতালিতে যাওয়ার ভিসা হাতে পায় আবার হঠাৎ করেই ২-৩ দিন আগে ফ্লাইটের ডেট দিয়ে দেয় ওর ফ্লাইট এর ডেট আগামী শুক্রবার। ইতালিতে যাওয়ার উপলক্ষে কেনাকাটা করার জন্য আমার বাসায় আসছে। আমার বাসায় আসার পর বিশ্রাম নিয়ে খাওয়া দাওয়া করে বিকালে দুজনে একসাথে কিছু কেনাকাটা বিশেষ করে জুতা কিনতে উদ্দেশ্যে বের হলাম নিউমার্কেটের দিকে। দুজনে মোহাম্মদপুর থেকে বাসে করে নিউমার্কেটে গিয়ে নামলাম। তারপর একটু হেঁটে নিউমার্কেটের ঠিক সামনে গিয়ে যেটা দেখলাম তার জন্য প্রস্তুত ছিলাম না দুজনে। গিয়ে দেখি নিউমার্কেটের গেট আজকে বন্ধ তারপর সিকিউরিটি গার্ড কে জিজ্ঞাসা করলাম এপেক্স এর শোরুম খোলা আছে কিনা ?
সিকিউরিটি গার্ড উত্তর দিল আজকে মঙ্গলবার সমস্ত নিউমার্কেট এলাকা আজকে বন্ধ। কথাটা শুনে খুবই খারাপ লাগছিল কারণ মার্কেট করাটা খুবই প্রয়োজনীয় ছিল। তারপর হতাশ হয়ে সেখান থেকে রিক্সা ভাড়া করে এলিফ্যান্ট রোডে আসলাম। আজকে এভাবে হয়রানি হয়ে বেশ ভালই বিরক্তি লাগছিল আর আর ঘুরে ঘুরে জুতার তলাও ভালোই ক্ষয় হয়ে গিয়েছিল। যেভাবেই হোক কেনাকাটা আজকে করাই লাগবে কারণ ভাই আজ রাতেই সিলেটের দিকে রওনা দিবে এবং শুক্রবারে ইউরোপে যাবে । এলিফ্যান্ট রোডে গিয়ে বাসে উঠে গুলিস্তানের দিকে রওনা দিলাম দুজনে। তারপর বাস থেকে গুলিস্তানে নেমে সোজা চলে গেলাম লটোর শোরুম।
সেখানে গিয়ে অনেক ধরনের কেস জুতা দেখলাম জুতাগুলো বেশ ভালই লাগছিল। তারপর সেখান থেকে পছন্দ করে একজোড়া জুতা নিলাম। জুতোটার মূল্য ছিল ২৪৯০ টাকা। আমরা জানি, লোটোতে যেকোনো পণ্য একদরে বিক্রয় করা হয়। তবুও আমার কি মনে হলো টাকা দেওয়ার সময় জিজ্ঞাসা করলাম যে আপনারা কোন ছাড় দিচ্ছেন কিনা?
তখন উনি বললেন যদি আপনি নগদ একাউন্ট থেকে মার্চেন্ট এ পেমেন্ট করেন তাহলে ২০০ টাকা ক্যাশব্যাক পাবেন। তখন আমাদের দুজনের কারো নগদ একাউন্টে কোন টাকা ছিল না, তারপর আমি আমার ভাইকে বললাম টাকাটা দে আমি বাইরে থেকে আমার নগদ একাউন্টে ক্যাশ ইন করে আনি।
ফোন থেকে নেওয়া স্ক্রিনশট
তারপর বাইরে থেকে আমার একাউন্টে টাকা ক্যাশ ইন করে এনে নগদ একাউন্টের মার্চেন্ট থেকে ২৪৯০ টাকা পেমেন্ট করলাম
ফোন থেকে নেওয়া স্ক্রিনশট
সাথে সাথেই দেখলাম ২০০ টাকা ক্যাশব্যাক চলে এসেছে। ২০০ টাকা ক্যাশ ব্যাক আশায় দেখে বেশ ভালই লাগছিল।
ফোন থেকে নেওয়া স্ক্রিনশট
তারপর এখান থেকে জুতা কিনে বের হয়ে বাইরে থেকে আরো কিছু কেনাকাটা সম্পন্ন করলাম। তবে আজকের মেন উদ্দেশ্য ছিল জুতা কিনা আর সেটা কিনতে পেরে বেশ ভালই লাগছিল, কিন্তু এই জুতা কিনতে জুতার তলা বেশ ভালোই ক্ষয় করতে হয়েছিল আমাদের। দুজনকে বেশ ভালই হয়রানি পোহাতে হয়েছিল কারণ আজকে নিউ মার্কেট এলাকায় আজকে ছুটির দিন। সবকিছু কেনাকাটা শেষে দুজনে একসাথে খাওয়া দাওয়া করে। তারপর ভাইকে সায়দাবাদ বাস টার্মিনালে যাওয়ার জন্য রিকশা ভাড়া করে দিয়ে ভাইকে বিদায় জানিয়ে, গুলিস্তান থেকে বাসার দিকে রওনা দিলাম। ভাইকে বিদায় জানাতে খুবই খারাপ লাগছিল কারণ জানিনা আবার ওর সাথে কবে দেখা হবে শুক্রবারেই ইতালির উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ থেকে রওনা দিবে। আমি এটাও জানি না আবার কবে দেশে ফিরবে। সবাই আশীর্বাদ করবেন ভাই যেন ভালোভাবেই ইতালিতে পৌঁছে তার কাজ চালিয়ে যেতে পারে এবং সুস্থ ও সুন্দর থাকতে পারে।
সকল ছবির বর্ণনা
ফটোগ্রাফার: @aongkon
ডিভাইস: samsung j7 pro
ক্যামেরা: ১৩ মেগাপিক্সেল
লোকেশন: গুলিস্থান ,ঢাকা।
তারিখ:১৮ অক্টোবর,২০২২খ্রিস্টাব্দ,মঙ্গলবার
প্রিয় বন্ধুরা,
আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মের কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগে প্রতিনিয়ত ভালো ভালো কনটেন্ট শেয়ার করে এই কমিউনিটি কে সমৃদ্ধ করতে চাই এবং উচ্চতার শিখরে নিয়ে যেতে চাই। আমার ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই নিজের খেয়াল রাখবেন সুস্থ এবং সুন্দর থাকবেন এটাই কাম্য করি।
@aongkon
জুতা কিনতে জুতা ক্ষয় গল্প পড়ে ভালই লাগলো ।কেনাকাটা করতে গিয়ে ভালোই ঝামেলার মধ্যে পড়েছিলেন। আসলে ঢাকা শহরে এমনিতে যানজট আবার অনেক কিছু কেনাকাটার মধ্যে এরকম ঝামেলায় পড়লে খুবই খারাপ লাগে। যাইহোক, চেষ্টা কখনো বিফলে যায় না গুলিস্তানে গিয়ে অনেক বড় এমাউন্ট দিয়ে একজোড়া জুতা কিনেছেন আবার নগদে ২০০ টাকা ডিসকাউন্ট আছে জেনে সেই সুযোগটাও হাতছাড়া করেননি। অনেক কষ্ট করেছেন তো হাতছাড়া করে লাভ কি! অনেক ভালো লাগলো আপনার জুতা কেনার গল্প পড়ে।
জুতা কিনতে গিয়ে জুতা ক্ষয়ের গল্প পড়ে আপনিও দেখছি বেশ ভালোই বড় একটা গল্প লিখে ফেলেছেন, খুবই ভালো লাগলো। পোস্টটি সুন্দরভাবে পড়ে কমেন্ট করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই। আমার বাংলা ব্লগে আপনার ব্লগিং জার্নি দৃঢ় হোক।
আমার প্রিয় বন্ধু, যেহেতু এটি আপনার জীবনের সাথে জড়িত কষ্ট ময় সময় পাড়ি দেওয়ার গল্প যেটা আমাকে পড়তে অনুপ্রেরণা দিয়েছে। বিশেষ করে আপনার পোস্টের টাইটেল খুবই সুন্দর ছিল।
জুতা কিনতে জুতা খায়, তবুও জুতা কেনা হয়, হাহাহা। আসলে যে কেউই বাইরের কান্ট্রিতে যাওয়ার আগে নিজের ইচ্ছে মতো মার্কেটিং করে। আপনার কাকাতো ভাই ও এসেছে মার্কেটের উদ্দেশ্যে আপনার বাসায়। তবে মার্কেট করতে বেরিয়ে যানজটে পড়াতে কতটা বিরক্ত বলে বোঝানো মুশকিল। তবে ডিসকাউন্ট নেই তবুও জিজ্ঞেস করাতে একটা পন্থা পেয়ে গেলেন। তার জন্য ক্যাশ ব্যাক এর ব্যাপারটা খুবই ভালো লাগলো। 200 টাকা সাশ্রয় হয়েছে সেটাই বা কম কিসে। আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য শুভেচ্ছা রইল।।
পোস্টটি সুন্দরভাবে পড়ে গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি ভাই। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
লোটো থেকে জুতা কিনলে সেটা অনেক দিন যায় কারণ লোটোর প্রোডাক্টগুলো অনেক ভালো আমি নিয়মিত লোটোর প্রোডাক্টগুলো ইউজ করি বেশ মজা পাই। মজার বিষয় হচ্ছে আপনার কাকাতো ভাই ইউরোপের দেশ ইতালিতে যাওয়ার আগে ইটালিয়ান ব্র্যান্ড লোটোর জুতা কিনেছে হা হা হা। আমি নিজেও কিছুদিন আগে লোটো থেকে টি-শার্ট কিনেছিলাম এবং নগদ থেকে পেমেন্ট করে কিছু টাকা ক্যাশব্যাক পেয়েছিলাম।
হ্যাঁ ভাই লোটো ইতালিয়ান ব্যান্ড তবে ওখানে প্রথম প্রথম যাচ্ছে তো তাই আর কি সবকিছু তো আর চিনবে না ওখানে যায় তাই এখান থেকে সব মার্কেট করে নিয়ে যাচ্ছে। সুন্দর গঠনমূলক মন্তব্যের জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
আপনার টাইটেল পড়ে আমি অনেক করে হাসছি। খুবই সুন্দর কথা লিখেছেন। আসলে কেনাকাটা করার সময় আমাদেরও অনেক সময় এমন ঝামেলা পরিস্থিতির মধ্যে পড়তে হয়। যাইহোক শেষ ২০০ টাকা সাশ্রয় হয়েছে। আমাদের সাথে এত চমৎকার গল্প শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
টাইটেল টা লেখার সময় আমারও সত্যি খুব হাসি পাচ্ছিল। হ্যাঁ ঝামেলা তো পোহাতেই হয়। তবে আকস্মিক ডিসকাউন্ট টা পেয়ে খুব ভালোই লাগছিল। সুন্দর মতামত প্রদানের জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।