ফটোগ্রাফি: "ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটির সিভিল ফেস্টিভ্যাল-২০২৩" - ১৪ তম পর্ব।

in আমার বাংলা ব্লগ11 months ago


হ্যালো..!!
আমার সুপ্রিয় বন্ধুরা,
আমি @aongkon বাংলাদেশের নাগরিক

আজ- ৪ ই সেপ্টেম্বর, সোমবার, ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দ

আমি অংকন বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @aongkon। আমি মা, মাতৃভাষা এবং মাতৃভূমিকে সব থেকে বেশি ভালোবাসি। আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমার মাতৃভাষা বাংলার একমাত্র ব্লগিং কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ফাউন্ডার, এডমিন প্যানেল, মডারেটর প্যানেল এবং সকল সদস্যসদস্যাদের আমার অন্তরের অন্তরস্থল থেকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন রইল।



কভার ফটো

20230901_111803.jpg

কয়েকটি ছবিকে একত্রিত করে সুন্দর একটি কভার ফটো তৈরি করে নিয়েছি।



আজকে আমি আপনাদের সামনে নতুন একটি পোস্ট হাজির হয়েছি। কিছুদিন আগেই আমাদের ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটিতে সিভিল ডিপার্টমেন্ট এর ফেস্টিভ্যাল হলো। ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হওয়ার পরে এটাই প্রথম সিভিল ডিপার্টমেন্টের ফেস্টিভ্যাল পেলাম। ফেস্টিভাল সম্পর্কে আগে একটু একটু ধারণা থাকলেও আমাদের সিভিল ডিপার্টমেন্টের ফেস্টিভ্যালের দিনে সবকিছু ক্লিয়ার হয়েছি। ফেস্টিভ্যাল মানেই বিভিন্ন স্টল ঘুরে ঘুরে বিভিন্ন কিছু কেনাকাটা করা আর মজার মজার খাবার খাওয়া। ফেস্টিভ্যালে যে এতটা পরিমাণ আনন্দ হয় আসলে ফেস্টিভ্যালটা না হলে, হয়তো অজানা থেকে যেতো। আর আমাদের ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটি তে সিভিল এর স্টুডেন্ট সবথেকে বেশি।

20230901_111606.jpg

সিভিল ডিপার্টমেন্টের আয়োজিত ফেস্টিভ্যালে প্রায় বিশটা মতো স্টল দিয়েছিলো আমাদের সিভিল ডিপার্টমেন্টের শিক্ষার্থীরা। আমাদের ব্যাচের স্টুডেন্টদের কোন স্টল ছিল না তাই আমাদের মেইন কাজ ছিল সব স্টল গুলো ঘুরে ঘুরে দেখা আর ইচ্ছামতো খাওয়া-দাওয়া করা। আমরা বন্ধুরা মিলে প্রতিটি স্টলে ঘোরাফেরা করছিলাম আর প্রতিটি স্টল থেকেই কিছু না কিছু খাওয়া দাওয়া করেছিলাম। এই ফেস্টিভ্যালে যারা স্টল দিয়েছিলো তারা সবাই আমাদের আগের ব্যাচের শিক্ষার্থীরা, অর্থাৎ তারা সবাই আমাদের থেকে সিনিয়র ছিলো।

আজকে থেকে আমি প্রতি সপ্তাহে আপনাদের সাথে আমাদের ফেস্টিভ্যালের প্রতিটি স্টলের বিভিন্ন পণ্য দ্রব্যের ফটোগ্রাফি গুলো আপনাদের সাথে পর্ব আকারে শেয়ার করবো। আজকে আমি যে, স্টল থেকে বিভিন্ন পণ্যের ফটোগ্রাফি গুলো করেছি এই স্টলের নামটি ছিলো "মিষ্টি মেলা স্টল"। এই স্টলের নামটা আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছিলো। আজকে আমি আমাদের "ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটির সিভিল ফেস্টিভ্যাল-২০২৩" - ১৪ তম পর্বে "মিষ্টি মেলা" স্টল থেকে বিভিন্ন পণ্যদ্রব্যের ফটোগ্রাফি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।



প্রথম ফটোগ্রাফি

20230901_111502.jpg

আমার প্রথম ফটোগ্রাফি হলো, সুজি পিঠা। এই সুজিপিটা গুলো তেলে ভাজা। আমি অবশ্য এর আগে সুজি পিঠা যতবারই খেয়েছি দুধ দিয়ে রান্না করা। আমি জানিনা এই সুযোগটা গুলোর কেমন স্বাদ তবে দেখে মনে হচ্ছিলো অনেক সুন্দর এবং লোভনীয়। এখানে প্রতিটি সুজি পিঠা পাঁচ টাকা দরে বিক্রি করছিল এই স্টলের বিক্রেতারা। আর পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার দিক দিয়ে এই স্টলটি খুবই ভালো।

দ্বিতীয় ফটোগ্রাফি

20230901_111538.jpg

এই স্টলে দ্বিতীয় ফটোগ্রাফিটি হলো, তালের পায়েস। আমি এর আগে কখনো তালের পায়েস খাইনি তবে এখানকার তালের পায়েস দেখতে অনেক সুন্দর লাগছিলো। প্রতিটি কোটাতে তালের পায়ে সুন্দরভাবে প্রক্রিয়াজাতকরণ করা ছিলো। এই স্টল থেকে তালের পায়েস না খেয়ে আসলে ভুলই হয়েছিলো। আসলে তালের রস দিয়েও যে এত সুন্দরভাবে পায়েস তৈরি করা যায় এখানে না দেখলে হয়তো বুঝতাম না।



তৃতীয় ফটোগ্রাফি

20230609_120546.jpg

এই স্টলের আমার তৃতীয় ফটোগ্রাফিটি হলো, পটলের মিষ্টি। এর আগে অবশ্য আমি মরিচের ঝাল মিষ্টির কথা শুনেছি এবং দেখেছি। তবে এখানকার স্টলের পটলের মিষ্টিটা বেশি ইউনিক লেগেছে। এই পটলের মিষ্টিগুলো একদম হুবহু সবজি পটলের মতোই। এই স্টলের বিক্রেতারা পটলের মিষ্টি প্রতি পিস ৩০ টাকা দরে বিক্রি করছিলো।



চতুর্থ ফটোগ্রাফি

20230901_111439.jpg

আমার এই ফটোগ্রাফিটি ছিলো, রসমালাই। মিষ্টি জগতের ভেতর আমার সবথেকে প্রিয় এবং পছন্দের মিষ্টি হলো রসমালাই‌। আমি খুব ছোটবেলা থেকেই এই রসমালাই অনেক বেশি পছন্দ করি। যখন আমি ছোট ছিলাম মাসের শুরুতে চাকরির বেতন তুলতে গেলে আমাকে নিয়ে যেতে আর বেতনের টাকা দিয়ে মিষ্টি দোকান থেকে আমাকে রসমালাই খাওয়াতো। সত্যি এই স্মৃতিটা আমি কখনোই ভুলবো না।



পঞ্চম ফটোগ্রাফি

20230901_111717.jpg

আমার এই ফটোগ্রাফিটি হলো, নারিকেলের নাড়ু। আমার মতো আপনাদেরও হয়তো অনেকেরই এই খাবারটি অনেক পছন্দের। আমি যখন ছোট ছিলাম তখন পূজার আগে বাড়িতে নারিকেলের নাড়ু তৈরি করতো আর আমি এই নাড়ু পকেটে ভরে ঘুরে ঘুরে খেতাম। সত্যি বলতে এরকম দিনটা যদি আবার ফিরে আসতো জীবনে তাহলে জীবনটা মনে হয় আরো অনেক বেশি সুন্দর হয়ে যেতো‌



ষষ্ঠ ফটোগ্রাফি

20230609_120454.jpg

আমার এই ফটোগ্রাফিটি হলো, সুন্দর একটি শাড়ির। আমাদের বাঙালি নারীদের ঐতিহ্যবাহী পোশাক হলো শাড়ি। আর আমার কাছে মনে হয় নারীকে শাড়িতে অনেক বেশি সুন্দর লাগে। বিশেষ করে হিন্দু নারীদের শাড়িতে অনেক বেশি মানায়। আর সকল বাঙালি নারীরা এই শাড়ি পোশাকটা অনেক বেশি পছন্দ করে। এই স্টলের হলুদ রঙের এই শাড়ি দেখতে অনেক বেশি সুন্দর লাগছিলো। আর তাই আমি এগুলো ক্যামেরাবন্দি করে রেখেছিলাম।

আজকে আমাদের "ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটির সিভিল ফেস্টিভ্যাল-২০২৩" - ১১৪ তম পর্বে "মিষ্টি মেলা" স্টলের বিভিন্ন পণ্য দ্রব্যের ফটোগ্রাফি গুলো আপনাদের কেমন লেগেছে অবশ্যই কমেন্ট বক্সে জানাবেন। আর "ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটির সিভিল ফেস্টিভ্যাল-২০২৩" ১৫ তম পর্ব নিয়ে খুব শীঘ্রই আসবো আপনাদের সামনে।



পোস্টের ছবির বিবরন

ক্যামেরাম্যান@aongkon
ডিভাইসস্যামসাং জে-৭ প্রো
ক্যামেরা১৩ মেগাপিক্সেল
তারিখ৯ ই জুন ২০২৩
লোকেশনগাবতলী,ঢাকা


প্রিয় বন্ধুরা,

আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে প্রতিনিয়ত আমার সৃজনশীলতা দিয়ে ভালো কনটেন্ট শেয়ার করে এই কমিউনিটিকে সমৃদ্ধ করতে চাই এবং উচ্চতার শিখরে নিয়ে যেতে চাই। আমার ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই নিজের খেয়াল রাখবেন সুস্থ এবং সুন্দর থাকবেন এটাই কাম্য করি।



আমি কে !

20230826_112155.jpg

আমি অংকন বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @aongkon। আমি মা, মাতৃভাষা এবং মাতৃভূমিকে সব থেকে বেশি ভালোবাসি। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে। আমি বর্তমানে ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটিতে সিভিল টেকনোলজিতে বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, গান গাইতে ও শুনতে, কবিতা লিখতে ও পড়তে, আর্ট করতে, রান্না করতে ও ফটোগ্রাফি করতে খুবই পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" আমার গর্ব "আমার বাংলা ব্লগ" আমার ভালোবাসা। আমার নিজের ভেতরে লুকায়িত সুপ্ত প্রতিভাকে বিকশিত করার লক্ষ্যে "আমার বাংলা ব্লগে" আমার আগমন। এই স্বল্প মানব জীবনের প্রতিটা ক্ষণ আমার কাছে উপভোগ্য। আমি মনে করি, ধৈর্যই সফলতার চাবিকাঠি।

সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ
@aongkon



VOTE@bangla.witness as witness witness_proxy_vote.png
OR
SET @rme as your proxy
witness_vote.png

standard_Discord_Zip.gif

Sort:  
 11 months ago 

ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটির সিভিল ফেস্টিভ্যাল আজকের পর্ব দেখে খুব ভালো লাগলো। আমি আপনার পূর্বের পর্ব গুলো দেখেছি আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে। আজকে খাবারের কিছু ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনি ঠিক বলেছেন শাড়ি বাঙালি সমাজের ঐতিহ্য। রসমালাই এবং পটলের মিষ্টি দেখে খেতে খুব ইচ্ছে করতেছে। এত চমৎকার পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।

 11 months ago 

আমার পূর্বের পোস্ট গুলো আপনি দেখেছেন জেনে ভালো লাগলো ভাই। রসমালার পটলের মিষ্টির ফটোগ্রাফি আপনার কাছে ভালো লেগেছে আর খেতে ইচ্ছা করছে জেনে ভালো লাগলো। সেরকম সুযোগ পেলে অবশ্যই খেয়ে দেখবেন আশা করি ভালো লাগবে। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই সুন্দর মতামত প্রকাশ করার জন্য।

 11 months ago 

আপনার ফটোগ্রাফি এবং গল্প পড়ে আমার অতীতের কিছু কথা মনে পড়লো, যখন আমার ইউনিভার্সিটি ঢাকার বনানীতে ছিল কিছুদিন পরপরই আমাদের বিভিন্ন প্রোগ্রাম থাকতো ফ্রেশসার রিসিপশন, ফল ফেস্টিভ্যাল ইত্যাদি বিভিন্ন ধরনের প্রোগ্রাম। আসলে ভালোই মজা হয় ইউনিভার্সিটি লাইফের এই জিনিসগুলো।

 11 months ago 

আসলেই ভাই ইউনিভার্সিটি লাইফ অনেক মজার লাইফ। আমাদের ইউনিভার্সিটি ফেস্টিভ্যালের অনেক মজা হয়েছিলো। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই মতামত প্রকাশ করে পাশে থাকার জন্য।

 11 months ago 

আপনার করা ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটির ফটোগ্রাফি গুলো বেশ ভালো ছিল। তবে আমি সবচাইতে অবাক হয়েছি পটলের মিষ্টি দেখে হা হা। আর কত কিছু দেখা বাকি আছে বলতে পারেন হা হা। বেশ ভালো ছিল ফটোগ্রাফি গুলো ।।

Posted using SteemPro Mobile

 11 months ago 

আমার অনেক মজা লেগেছে পটলের মিষ্টিটা দেখে। সত্যি বলেছেন ভাই আর কিছু দেখার আর বাকি থাকলো না। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই সুন্দর মতামত প্রকাশ করে পাশে থাকার জন্য।

Coin Marketplace

STEEM 0.17
TRX 0.13
JST 0.028
BTC 59493.68
ETH 2649.33
USDT 1.00
SBD 2.45