"মধ্যরাতে আমার পেটের ক্ষুধা নিবারণের গল্প"
হ্যালো..!!
আমার সুপ্রিয় বন্ধুরা,
আমি @aongkon বাংলাদেশের নাগরিক।
আজ- ২৪ ই জানুয়ারি, মঙ্গলবার, ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দ।
আমি অংকন বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @aongkon। আমি মা, মাতৃভাষা এবং মাতৃভূমিকে সব থেকে বেশি ভালোবাসি। আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমার মাতৃভাষা বাংলার একমাত্র ব্লগিং কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ফাউন্ডার, এডমিন প্যানেল, মডারেটর প্যানেল এবং সকল সদস্য ও সদস্যাদের আমার অন্তরের অন্তরস্থল থেকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন রইল।
আজকে আমি আপনাদের সামনে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমার পোস্টটি হলো "মধ্যরাতে আমার পেটের ক্ষুধা নিবারণের গল্প"। সৃষ্টির প্রত্যেক প্রাণীই ক্ষুধা অনুভব করে। পেট থাকলে ক্ষুধা লাগবে এটা তো স্বাভাবিক ব্যাপার। প্রত্যেক প্রাণীরই বেঁচে থাকার জন্য খাবার খাওয়াটা অত্যাবশ্যক জরুরী। কারণ খাবার আহার ব্যতীত বেঁচে থাকাটা অসম্ভব। তাহলে চলুন মধ্যরাতে পেটের ক্ষুধা নিবারণের গল্পটি আপনাদের সাথে শেয়ার করি।
আপনারা জানেন যে আমি কয়েকদিন হলো আমাদের গ্রামের বাড়িতে এসেছি। আমাদের গ্রাম আমার কাছে সব থেকে বেশি ভালো লাগে তাইতো মাঝে মাঝে গ্রামে ছুটে আসি। গত কালকে বন্ধুরা মিলে ঘোরাফেরা শেষ করে সন্ধ্যার দিকে হোটেল থেকে খেয়ে বাড়ি ফিরলাম। তারপর বাড়িতে এসে আর কিছুই খায়নি কারণটা সন্ধ্যার দিকে বাইরে থেকে খেয়ে এসেছি তখন আর পেটে ক্ষুধা ছিল না খাওয়ার মত।
রাতে বাড়িতে আসার পরে বাড়ির পাশে একটি দোকানের সামনে ক্যারাম খেলা হয় তো ভাবলাম যে গিয়ে একটু ক্যারাম খেলে আসি। যেকোনো খেলাধুলায় আমার কাছে খুবই ভালো লাগে খেলতে। কারণটা খুবই সহজ আমি একজন খেলা প্রেমী মানুষ। তারপর রাত ১১ টা অব্দি সেখানে ক্যারাম খেললাম এবং সেখান থেকে খেলা শেষ করে বাড়িতে আসলাম।
বাড়িতে আসার পরে দেখলাম সবাই ঘুমিয়ে গেছে তারপর আমি আমার রুমে ঢুকে আমিও ঘুম পারার জন্য লেপের ভেতর ঢুকে পড়লাম। তারপর একটু পরেই ক্ষুধা অনুভব করতে থাকলাম। ক্ষুধা থাকলে কি চোখে আর ঘুম আসে! অনেক সময় ধরে চেষ্টা করার পরেও ঘুম আসতে পারছিলাম না। অতিরিক্ত ক্ষুধা লাগলে আমার পেটের ভিতরে জ্বালাপোড়া করে যতক্ষণ না কোন খাবার পেটে যায়।
তারপর খাবার খাওয়ার জন্য মধ্যরাতে উঠে পড়লাম শীতের ভিতরে। উঠে দেখি আবার ঘরে তেমন কোন খাবার নেই কারণ আমি যে ঘরে থাকি সেই ঘরটা টিভির ঘর। কিন্তু খাবার তো আমাকে খেতেই হবে। বাবা মাকেও ডেকে সাহস পারছিলাম না এত রাতে আরে শীতের ভেতরে শুধু শুধু ডেকে উঠাবো মন চাইছিল না।
তারপর খুঁজতে থাকলাম যে কি খাওয়া যায় তো চোখে পড়লো একটি কৌটার ভিতরে আমার মা ঘি দিয়ে চিড়ে ভাজি করে রেখেছে। কি আর করার! যা আছে তাই তো খেতে হবে তাই মধ্যরাতেই চিড়া ভাজি মড়মড় করে চিবাতে থাকলাম। তারপর চিড়া চিবাতে চিবাতেই খুঁজতে থাকলাম আর কি পাওয়া যায় হঠাৎ করেই চোখে পড়লো যে মা ছোট একটি পাত্রে অল্প একটু দুধ রেখে দিয়েছে।
তারপর দেখি একটি কৌটা ভরা টোস্ট বিস্কুট রয়েছে এবার দুধে হালকা চিনি দিয়ে গ্যাসের চুলায় গরম করে তাতে টোস্ট বিস্কুট ভিজিয়ে আস্তে আস্তে খেতে থাকলাম। কিছু সময় খাওয়ার পর দেখলাম যে প্রায় অর্ধেক কৌটা টোস্ট বিস্কুট ফুরায়ে গেছে এদিকে আবার দুধও শেষের দিকে ক্ষুধাও মিটে গেছে। তারপর খাওয়া দাওয়া শেষ করে আবার ঘুম পারার জন্য শুয়ে পড়লাম।
পেটের ক্ষুধা বেড়ে গেলে এমন হয় যে তখন খাবার ব্যতীত আর কিছুই ভালো লাগেনা আর পেট ভরার জন্য যেকোনো ধরনের খাবার হলেই হয়। একটি প্রবাদ বাক্য আছে যে ক্ষুধা পেলে বাঘেও ধান খায়।
পোস্টের ছবির বিবরন
ক্যামেরাম্যান | @aongkon |
---|---|
ডিভাইস | স্যামসাং জে-৭ প্রো |
ক্যামেরা | ১৩ মেগাপিক্সেল |
তারিখ | ২৩ জানুয়ারি |
লোকেশন | কুষ্টিয়া |
প্রিয় বন্ধুরা,
আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে প্রতিনিয়ত আমার সৃজনশীলতা দিয়ে ভালো কনটেন্ট শেয়ার করে এই কমিউনিটিকে সমৃদ্ধ করতে চাই এবং উচ্চতার শিখরে নিয়ে যেতে চাই। আমার ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই নিজের খেয়াল রাখবেন সুস্থ এবং সুন্দর থাকবেন এটাই কাম্য করি।
@aongkon
আপনার দেখছি অনেকটা আমার মত অবস্থা ভাইয়া। আমারও মধ্যরাতে অনেক খিদা লাগে যার কারণে আমিও বিভিন্ন ধরনের জিনিস রেখে দেই রাতে খাবার জন্য। আপনি তো দেখছি রাতের বেলা দুধ দিয়ে টোস্ট বিস্কুট খেতে শুরু করে দিয়েছেন।
আমিও ঢাকাতে মেসে থাকতে রুমে খাবার এনে রেখে দিতাম সবসময় রাতে খাওয়ার জন্য । সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
সন্ধ্যা রাতে হোটেল থেকে খেয়ে এসেছিলেন বলে মাঝ রাতে খিদা লেগে গিয়েছে। আসলে মাঝরাতে গ্রামের দিকে সবাই ঘুমিয়ে পড়ে। তখন কাউকে ডেকে খাবার চাওয়া সত্যি বেশ বিরক্তির ব্যাপার। নিজের খিদা নিবারণ করার জন্য ভালই বুদ্ধি করেছেন। মনে হচ্ছে বেশ ভালোভাবেই খেতে পেরেছিলেন। দুধ দিয়ে টোস্ট বিস্কিট কখনো খাওয়া হয়নি। একদম খেয়ে দেখতে হবে তাহলে।
গ্রামে সন্ধ্যার পরেই লোকজন ঘর থেকে আর বের হয় না। সন্ধ্যার পরে হোটেল থেকে খেয়ে ভেবেছিলাম রাতে আর খাওয়া লাগবেনা তাই বাড়িতে খাওয়ার কথা ও বলে রেখে ছিলাম না। কিন্তু রাতে হঠাৎ খিদে লাগাতে ঘি দিয়েসিরা ভাজি, আর দুধ দিয়ে টোস্ট বিস্কুট ভিজিয়ে খেয়ে ছিলাম। সত্যি বলতে বেশ ভালোই স্বাদ লেগেছিল আমার কাছে। অসংখ্য ধন্যবাদ মতামত প্রদানের জন্য আপনাকে।
যাক অবশেষে ক্ষুধা নিবারণ করেছেন, এটাই বড় বিষয়। আমারও মাঝে মাঝে রাত্রিবেলা এই রকম ক্ষুধা লেগে যায়। তখন কিচেনে গিয়ে পানি দিয়ে হলেও বিস্কুট চুবিয়ে খাই। কারণ ক্ষুধা নিবারণ করা বলে কথা। অনেক মজা পেলাম আপনার পোস্ট পড়ে। ধন্যবাদ আমাদের মাঝে ভাগাভাগি করে নেয়ার জন্য ।
আমরাও বহুদিন ধরে মাঝরাতে পড়াশোনা করতে যখন ক্ষুধা লাগতো তখন আমরা মুড়ি চানাচুর। তবে খিদে লাগার কারণ ছিল সন্ধ্যা রাত্রে খাওয়ার জন্য। রাত জাগলে ক্ষুধা একটু বেড়েই যায়। আরে ক্ষুধা নিভানোর জন্য আপনি খুবই সুন্দর পদ্ধতি নিয়েছেন। আপনি ক্যারাম খেলতে গিয়ে দেরি হওয়াতে বাড়িতে সে বলতেও পারে নিজে ক্ষুধা লেগেছে। তাই দুধের সাথে টস বিস্কুট খেয়েছেন। যাহোক রাতে ক্ষুধা নিভানোর জন্য নতুন একটি খাবার আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
টোস্ট বিস্কুট দুধ দিয়ে ভিজিয়ে খেতে বেশ ভালই লাগে। সুন্দর মতামত প্রদান করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
মধ্যরাতে খিদা নিবারণের গল্পটি আমার কাছে ভালোই লেগেছে। মাঝেমধ্যে আমার ও ঘুম আসতে দেরি হলে তখন এরকম খিদা লেগে যায়। যাইহোক কাউকে না ডেকে এবং কারো ঘুম না ভেঙ্গে নিজের হাতের কাছে যা ছিল তা খেয়ে খিদা নিবারণ করেছেন। ভালোই হলো কিছু না খেলে আপনার সারারাত ঘুম হতো না।
এরকম মাঝেমধ্যে রাতে খাবার না খেলেও আমারও এরকম হয়। ক্যারাম খেলা আমারও অনেক প্রিয় একটি খেলা। যাইহোক ক্ষুধার জ্বালা আপনি চিড়া খেলেন। তারপর দুধ দিয়ে টোস্ট বিস্কুট গরম করে খেলেন। যখন আমার কাছেও ক্ষুধা লাগে খাওয়ার যে কোন জিনিস ফেলি খেয়ে ফেলি। তবে দুধ দিয়ে টোস্ট-বিস্কুট খেতে মনে হয় মজা একটু বেশি।