রেসিপি:-"ছয় রকমের সবজির সুস্বাদু রসা"
হ্যালো..!!
আমার সুপ্রিয় বন্ধুরা,
আমি @aongkon বাংলাদেশের নাগরিক।
আজ- ৮ ই জুলাই, সোমবার, ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দ।
আমি অংকন বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @aongkon। আমি মা, মাতৃভাষা এবং মাতৃভূমিকে সব থেকে বেশি ভালোবাসি। আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমার মাতৃভাষা বাংলার একমাত্র ব্লগিং কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ফাউন্ডার, এডমিন প্যানেল, মডারেটর প্যানেল এবং সকল সদস্য ও সদস্যাদের আমার অন্তরের অন্তরস্থল থেকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন রইল।
আমি আজকে আপনাদের সামনে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমার পোস্টটি হলো রেসিপি সংক্রান্ত। আমি আজকে "ছয় রকমের সবজির সুস্বাদু রসা" রেসিপি তৈরি করেছি। আমি বিভিন্ন রকমের সবজির তৈরি এরকম রসা খেতে বেশ ভালোবাসি। আমি মনে করি ব্যাচেলরদের রান্না শেখাটা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আমি নিজে অনেক ছোটবেলা থেকেই রান্না করতে পারি এবং নিজে রান্না করে খেতে খুবই পছন্দ করি। নিজে নিজে রান্না করে খাওয়াটা আলাদা একটা মজা আছে আর সেটা আমি উপভোগ করি সবসময়। আমি সুন্দরভাবে আপনাদেরকে আমার রেসিপি পোস্টটি ধাপে ধাপে পর্যায়ক্রমে রন্ধন পদ্ধতি বর্ণনা করবো। তাহলে চলুন দেরি না করে শুরু করা যাক।
ক্রমিক | উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|---|
১ | আলু | ১টি |
২ | ধুন্দল | ১ টি |
৩ | চিচিঙ্গা | ১টি |
৪ | কাঁচকলা | ১ টি |
৫ | চালকুমড়া | অল্প একটু |
৬ | পেঁপে | অল্প একটু |
৭ | পেঁয়াজ | ৪ টি |
৮ | মরিচ | ১০ টি |
৯ | লবণ | ৩ চামচ |
১০ | ধুনে গুঁড়া | দুই টেবিল চামচ |
১১ | জিরা গুঁড়া | দুই টেবিল চামচ |
১২ | তেল | পরিমাণ মতো |
১৩ | হলুদ | পরিমার মতো |
উপকরণ প্রস্তুত প্রণালী :
আমি ছয় প্রকারের সবজির রসা তৈরি করার জন্য প্রথমে ছয় রকমের সবজি সুন্দর করে কেটে নিয়ে পরিষ্কার জলে ধুয়ে নিয়েছি।
এরপর সবজিগুলো পরিবার মতো লবণ আর হলুদ দিয়ে সুন্দর করে মাখিয়ে কিছু সময় রেখে দেবো।
ছয় রকমের সবজির রসা তৈরি করার জন্য আমি চারটি পেঁয়াজ আর দশটি মরিচ কেটে নিয়েছি।
রন্ধন প্রণালী
প্রথম ধাপে চুলা জ্বালিয়ে দিয়ে কড়াই বসিয়ে দিতে হবে। তারপর পরিমাণ মতো তেল দিতে হবে।
দ্বিতীয় ধাপে তেল হালকা গরম হলে আগে থেকে কেটে রাখা পেঁয়াজ আর মরিচ দিয়ে নেবো।
তৃতীয় ধাপে পরিমান মতো হলুদ জিরা গুঁড়া, ধনে গুঁড়া জিয়ে গুঁড়া দিয়ে নেবো এবং সুন্দর করে নাড়াচাড়া করতে থাকবো।
চতুর্থ ধাপে পেঁয়াজ মরিচ হালকা ভাজি হয়ে গেলে আগে থেকে উঠে রাখা হলুদ মাখানো সবজি দিয়ে নেবো।
পঞ্চম ধাপে সুন্দর মত সবজিগুলো পেঁয়াজ মরিচের সাথে নাড়াচাড়া করে মিক্সচার করে নেবো এবং সুন্দর মতো ভাজি করবো।
ষষ্ঠ ধাপে সবজি ভাজি হয়ে গেলে পরিমান মতো জল দিয়ে নেবো এবং পরিবার মত লবণ দেবো। এখানে আপনাদের ইচ্ছামতো জল দিতে পারেন ঝোল বেশি রাখলে বেশি করে জল দিতে পারেন আবার ঝোল কম রাখলে কোন জল দিতে পারেন।
সপ্তম ধাপে পরিমার মতো জল দেয়ার পরে ২০ থেকে ২৫ মিনিট মতো ঢাকনা দিয়ে ঢেকে রাখবো। তবে ঢাকনা উঠিয়ে মাঝেমধ্যে তরকারি চেক করতে হবে।
অষ্টম ধাপে ঢাকনা উঠিয়ে লবণ ঝাল সবকিছু পরিমাণ মতো আছে কিনা চেক করে ঠিকঠাক হলে তারপর চুলা থেকে করায় নামিয়ে ফেলবো।
আমার রেসিপি খাবারের উপযুক্ত করে পরিবেশনের জন্য পাত্রে রাখা হয়েছে।
পোস্টের বিবরন
পোস্ট ধরন | রেসিপি |
---|---|
ক্যামেরাম্যান | @aongkon |
ডিভাইস | স্যামসাং এফ-৫৪ |
ক্যামেরা | ১০৮ মেগাপিক্সেল |
লোকেশন | মোহাম্মদপুর, ঢাকা |
প্রিয় বন্ধুরা,
আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে প্রতিনিয়ত আমার সৃজনশীলতা দিয়ে ভালো কনটেন্ট শেয়ার করে এই কমিউনিটিকে সমৃদ্ধ করতে চাই এবং উচ্চতার শিখরে নিয়ে যেতে চাই। আমার রেছিপি ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই নিজের খেয়াল রাখবেন সুস্থ এবং সুন্দর থাকবেন এটাই কাম্য করি।
আমি অংকন বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @aongkon। আমি মা, মাতৃভাষা এবং মাতৃভূমিকে সব থেকে বেশি ভালোবাসি। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে। আমি বর্তমানে ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটিতে সিভিল টেকনোলজিতে বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, গান গাইতে ও শুনতে, কবিতা লিখতে ও পড়তে, আর্ট করতে, রান্না করতে ও ফটোগ্রাফি করতে খুবই পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" আমার গর্ব "আমার বাংলা ব্লগ" আমার ভালোবাসা। আমার নিজের ভেতরে লুকায়িত সুপ্ত প্রতিভাকে বিকশিত করার লক্ষ্যে "আমার বাংলা ব্লগে" আমার আগমন। এই স্বল্প মানব জীবনের প্রতিটা ক্ষণ আমার কাছে উপভোগ্য। আমি মনে করি, ধৈর্যই সফলতার চাবিকাঠি।
@aongkon
সবজি তরকারিটা এমনিতেই আমি অনেক পছন্দ করি। অনেকগুলো সবজি দিয়ে যদি একত্রে রান্না করা যায় তাহলে সেই রান্নাটি খেতে ভীষণ সুস্বাদু লাগে। আপনি আজকে ছয় প্রকারে সবজি দিয়ে রান্না করেছেন। রান্নাটি দেখেই বোঝা শেখ খেতে কতটা সুস্বাদু হয়েছিল। এত সুন্দর চমৎকার ভাবে রান্নাটি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
হ্যাঁ ভাই অনেক গুলো সবজি দিয়ে এরকম তরকারি রান্না করলে ভীষণ ভালো লাগে। সেদিনের বেশ মজা করে খেয়েছিলাম। অনেক সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ভাই।
একদম ঠিক বলেছেন অন্যের উপর নির্ভরশীল হয়ে বসে না থেকে নিজে নিজে রান্নাটা শিখে নিলেই তো ভালো হয় যখন যা খুশি তাই খেতে পারবেন । আপনি রান্নাটা শিখে ভালোই করছেন নিজেই মজা করে খাবার খেতে পারেন আর ইনজয় করতে পারেন অনেক । আপনার আজকের ছয় রকমের সবজি দিয়ে রান্না করা তরকারিটা কিন্তু দেখে ভালই লাগছে মনে হচ্ছে মজা হয়েছিল অনেক।
সব সময় অন্যের উপর নির্ভরশীল হতে নেই। এই কারণেই প্রত্যেকের উচিত নিজের কাজ নিজে করা। আমি রান্না করতে ভীষণ পছন্দ করি। বিভিন্ন রকমের সবজি দিয়ে তরকারি রান্না করলে খাইতে বেশ ভালো লাগে। সুন্দর মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ আপু।
ভাইয়া আপনি ছোটবেলা থেকে রান্না করতে জানেন এই জিনিসটি শুনে আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগলো। কেন না ছেলেরা সাধারণত দেখা যায় রান্না করতে পারেনা। যাই হোক ছয় রকমের সবজি দিয়ে দারুন একটি রেসিপি করেছেন ।দেখে বেশ ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে।
হ্যাঁ আপু এটা সত্যি বলেছেন বেশিরভাগ ছেলেই রান্না করতে পারে না। আমি রান্না করতে ভীষণ পছন্দ করি। আর নিজের খাবার নিজে তৈরি করতে খুব ভালো লাগে। অনেক সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ছয় রকমের সবজির সুস্বাদু রসা দেখে সুস্বাদু মনে হচ্ছে। এই ধরনের রেসিপি আমি কখনো তৈরি করিনি। আমার কাছে ইউনিট লেগেছে। তাই রেসিপিটা দেখে শিখে নিলাম।
সুন্দর গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ভাই।
মজাদার সবজি রেসিপি তৈরি করেছেন এ ধরনের রেসিপি কখনো তৈরি করা হয়নি। তাই রেসিপি পরিবেশনটা আমার কাছে অনেক ইউনিক লেগেছে।
এ ধরনের সবজি রেসিপি খাইতে অনেক সুস্বাদু লাগে ভাই। অনেক সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ভাই।
সবজি আমি খুব পছন্দ করি। আজকে আপনি দারুন একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করছেন। ছয় রকমের সবজির সুস্বাদু রসা দেখে খুবই ভালো লাগলো। খুবই লোভনীয় একটি রেসিপি। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে এমন একটি রেসিপি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ভাই আমিও আপনার মত সবজি অনেক পছন্দ করি তাই তো মাঝেমধ্যে এই সবজির এ ধরনের রেসিপি তৈরি করে খায়। অনেক সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
আসলে একসঙ্গে অনেক ধরনের সবজি রান্না করলে সবজির স্বাদ অনেক গুণে বৃদ্ধি পায়। আপনি আজ আমাদের মাঝে ছয় রকমের সবজির সুস্বাদু রসা তৈরি করেছেন প্রতিটি ধাপ বেশ ভালো লেগেছে আমার কাছ থেকে। এবং আপনার সুস্বাদু-রসা রেসিপি দেখে খেতে ইচ্ছে করছে আসলে অনেকগুলো সবজি একত্রে রান্না করলে খেতে অনেক মজা এবং লোভনীয় হয়ে থাকে ধন্যবাদ।
হ্যাঁ এটা সত্যি বলেছেন ভাই একসঙ্গে অনেকগুলো সবজি দিয়ে তরকারি রান্না করলে খুব টেস্ট লাগে। আমি ছয় রকমের সবজি দিয়ে রসা তৈরি করেছি সেটা আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম ভাই। সুন্দর মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনি তো চয় রকমের সবজি দিয়ে খুব সুন্দর রসা রেসিপি করেছেন। তবে মাঝেমধ্যে এই ধরনের রেসিপি গুলো খেলে নিজের কাছেও ভাল লাগে। সব সময় মাছ মাংস খেতে তেমন ভালো লাগে না। তবে এটি ঠিক ব্যাচেলর জীবনে রান্না শেখা আমি মনে করি ভালো। তবে আপনার রেসিপিটি দেখে বোঝা যাচ্ছে খেতে অনেক সুস্বাদু হয়েছে। খুব সুন্দর করে রেসিপিটি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।
হ্যাঁ আপু সব সময় মাছ মাংস ভালো লাগেনা তাই তো এ ধরনের সবজির রেসিপি বেশ ভালো লাগে। প্রতিটি ব্যাচেলারের রান্না শেখাটা জরুরি। রেসিপিটি আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম। সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ আপু।
কয় রকমের মজাদার সবজি দিয়ে চমৎকার সুন্দর রসা বানিয়েছেন দাদা। অনেক লোভনীয় হয়েছে আপনার বানানো সবজির মিশ্রণের রাসাটি।অনেক সুস্বাদু হয়েছে তা রসা তৈরি পদ্ধতি দেখেই বুঝতে পারছি। ধাপে ধাপে রসা তৈরি পদ্ধতি চমৎকার সুন্দরভাবে আমাদের সঙ্গে ভাগ করে নেয়ার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে
হ্যাঁ দিদি ছয় রকমের সবজির এই রেসিপিটি অনেক সুন্দর হয়েছিলো। সেদিন খেয়ে বেশ মজা পেয়েছিলাম। অনেক সুন্দর মন্তব্য প্রকাশ করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ দিদি।