"বন্ধুর সাথে চন্দ্রিমা উদ্যানে ঘোরাফেরা"- ৪র্থ পর্ব।
হ্যালো..!!
আমার সুপ্রিয় বন্ধুরা,
আমি @aongkon বাংলাদেশের নাগরিক।
আজ- ১২ ই আগস্ট, শনিবার, ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দ।
আমি অংকন বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @aongkon। আমি মা, মাতৃভাষা এবং মাতৃভূমিকে সব থেকে বেশি ভালোবাসি। আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমার মাতৃভাষা বাংলার একমাত্র ব্লগিং কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ফাউন্ডার, এডমিন প্যানেল, মডারেটর প্যানেল এবং সকল সদস্য ও সদস্যাদের আমার অন্তরের অন্তরস্থল থেকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন রইল।
কয়েকটি ছবিকে একত্রিত করে সুন্দর একটি কভার ফটো তৈরি করে নিয়েছি।
আজকে আমি আপনাদের সামনে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আমরা সবাই প্রকৃতিকে অনেক বেশি ভালোবাসি। তাইতো সময় পেলে সবাই ছুটে যায় প্রকৃতির মাঝে। প্রকৃতির মাঝে গিয়ে নিঃশ্বাস নিতে, সময় কাটাতে ও গল্প করতেও অনেক বেশি ভালো লাগে। বর্তমানে বায়ু দূষণের দিক দিয়ে ঢাকা শহর বেশ খারাপ অবস্থানে আছে। ঢাকা শহরের বায়ু এতটাই খারাপ অবস্থায় যে, এ শহরে মানুষের থাকাটা নিরাপদ নয়। তারপরেও মানুষ তার জীবিকা নির্বাহের জন্য বা লেখাপড়া জন্য পড়ে আছে। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা তাই এখানে মানুষের সংখ্যা অনেক বেশি থাকবে এটাই স্বাভাবিক। বাসায় লেখাপড়া, ইউনিভার্সিটিতে লেখাপড়া এসব করতে করতে যখন আমরা ক্লান্ত হয়ে যায় তখনই প্রকৃতির মাঝে প্রশান্তির খোঁজ করি।
কিছুদিন আগেই আমি আর আমার বন্ধু রাহুল ঢাকার চন্দ্রিমা উদ্যানে ঘুরতে গিয়েছিলাম। অনেকদিন ধরেই বন্ধু রাহুল এবং আমারও ইচ্ছা ছিল চন্দ্রিমা উদ্যানে যাওয়ার কারণটা আমি এর আগে কখনো চন্দ্রিমা উদ্যানে গিয়েছিলাম না। ইউনিভার্সিটিতে যাওয়ার সময় চন্দ্রিমা উদ্যানে যাওয়ার রাস্তা দেখে খুবই ইচ্ছা জাগতো রাস্তা দিয়ে যাওয়ার, কারণটা চন্দ্রিমা উদ্যানে যাওয়ার পুরো রাস্তাটাই ছিল কৃষ্ণচূড়া ফুলের গাছে, আর গাছে ফুটে আছে টগবগে লাল রঙের কৃষ্ণচূড়া। আমি গত দুই সপ্তাহে "বন্ধুর সাথে চন্দ্রিমা উদ্যানে ঘোরাফেরার" ১ম পর্ব, ২য় পর্ব ও ৩য় পর্ব শেয়ার করছি। আর আজকে আপনাদের সাথে "বন্ধুর সাথে চন্দ্রিমা উদ্যানে ঘোরাফেরার"- ৪র্থ পর্ব শেয়ার করবো।
..... আমি কিছু সময় একলা বেড়ানোর জন্য ফিরে আসি জিয়াউর রহমানের কবরস্থানের দিকে। কবরস্থানে চারপাশের গোল করা উঁচু দেয়ালের উপর অনেকেই বসে বসে গল্প করছিলো। আর কেউ কেউ একাই প্রাকৃতিক পরিবেশ উপভোগ করার জন্য উঁচু দেয়ালের উপরে বসে সময় কাটাচ্ছিলো। মূলত আমি আবার এখানে ফিরে এসেছিলাম কারণটা ফটোগ্রাফি করার জন্য।আসলে এরকম সুন্দর জায়গায় গেলে মনে হয় যে, যতো সময় এখানে আছি ফটোগ্রাফি করেই যায়। তারপর বন্ধু রাহুল নামাজ শেষ করে ফিরে আসে।
তারপর দুই বন্ধু মিলে মসজিদের পাশে একটি বড় পুকুর পাড়ে গিয়ে ঘোরাফেরা করে অনেকটা সময় কাটালাম। পুকুরে চারপাশে অনেক মানুষ ঘোরাফেরা করছিলো। আর পুকুরে চারপাশেই মানুষের জন্য বসার অনেক জায়গা করা আছে। আসলে পুকুর পাড়ে বসে সময় কাটানোর মজাই আলাদা। ঢাকার ভিতরে এরকম সুন্দর পরিবেশ পাওয়াটা কঠিন একটা ব্যাপার। তাইতো মানুষ এখানে এসে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করে।
মসজিদের পাশে এই অচেনা গাছগুলো দেখতে অনেক সুন্দর লাগছিলো। এ ধরনের কাজগুলো সাথে আছে বাংলাদেশে খুবই কম দেখা যায়। যদিও আমি এই গাছটার নাম জানিনা তবে এই গাছ দেখতে অনেক সুন্দর হয়। মসজিদের আশেপাশের পরিবেশটা খুবই নিরিবিলি ছিলো।
আমার বন্ধু যখন নামাজে গিয়েছিলো তখন এই সুন্দর গাছের নিচে দাঁড়িয়ে অনেকটা সময় কাটিয়েছিলাম। বিকালের এরকম সুন্দর নিরিবিলি মুহূর্তে এরকম সুন্দর প্রাকৃতিক পরিবেশে সময় কাটাতে ভালো লাগে। দূর থেকে দেখা যাচ্ছিলো সংসদ ভবন।
এই ছবিটা একদম মসজিদের সামনে থেকে তোলা চন্দ্রিমা উদ্যানের সুন্দর একটি দৃশ্য। আসলে দূরের থেকে আরও বেশি সুন্দর দেখা যায়। এই উঁচু জায়গাটি দেখতে দূর থেকে অনেক সুন্দর লাগছিলো। দুই বন্ধু মিলে মসজিদের আশপাশে এলাকা থেকে অনেকগুলো ফটোগ্রাফি করে বাইরে বেরিয়ে আসার জন্য হাঁটা দিলাম।
মসজিদের পাশ দিয়ে চন্দ্রিমা উদ্যান এর ভেতরের এই ইটের রাস্তাটা অনেক সুন্দর লেগেছে আমার কাছে। এ রাস্তার দুই পাশে শুধু গাছ আর গাছ। সবুজে ভরা অপরূপ প্রাকৃতিক পরিবেশ। এমন সুন্দর রাস্তায় হাটার মজাই আলাদা। তারপর.....
আজকে "বন্ধুর সাথে চন্দ্রিমা উদ্যানে ঘোরাফেরা"- ৪র্থ পর্ব এখানেই শেষ করছি। আর পরবর্তীতে "বন্ধুর সাথে চন্দ্রিমা উদ্যানে ঘোরাফেরার" অন্যান্য পর্বগুলো শেয়ার করবো।
পোস্টের ছবির বিবরন
ক্যামেরাম্যান | @aongkon |
---|---|
ডিভাইস | স্যামসাং জে-৭ প্রো |
ক্যামেরা | ১৩ মেগাপিক্সেল |
তারিখ | ২৪ শে মে ২০২৩ |
লোকেশন | চন্দ্রিমা উদ্যান,ঢাকা |
প্রিয় বন্ধুরা,
আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে প্রতিনিয়ত আমার সৃজনশীলতা দিয়ে ভালো কনটেন্ট শেয়ার করে এই কমিউনিটিকে সমৃদ্ধ করতে চাই এবং উচ্চতার শিখরে নিয়ে যেতে চাই। আমার ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই নিজের খেয়াল রাখবেন সুস্থ এবং সুন্দর থাকবেন এটাই কাম্য করি।
@aongkon
আপনি বন্ধুর সাথে চন্দ্রীমা উদ্যানে বেশ ভালো সময় অতিবাহিত করেছিলেন। আমি যখন ঢাকায় ছিলাম তখন আমিও চন্দ্রীমা উদ্যানে মাঝে মাঝে যেতাম বন্ধুদের সাথে। অনেক শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।
আপনিও ঢাকাতে থাকা অবস্থায় চন্দ্রিমা উদ্যানে মাঝেমধ্যে আসতেন জেনে ভালো লাগলো ভাই। আসলে প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগ করতেই মানুষ এখানে আসে। আমার পোস্টে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
যদিও আপনার "বন্ধুর সাথে চন্দ্রিমা উদ্যানে ঘোরাফেরা" এর আগে পর্বগুলো পড়া হয়নি। তবে চতুর্থ পর্বটি পড়ে ভালো লাগলো।আসলে ঘুরাফেরা করতে আমারও ভালো লাগে। তবে সময় সল্পতার দরুন সম্ভব হয় না।আর ঘুরাফেরার পাশাপাশি চমৎকার কিছু ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
আপনিও ঘোরাফেরা করতে অনেক ভালবাসেন জেনে ভালো লাগলো ভাই। আপনিওসময় পেলে চেষ্টা করবেন ঘোরাফেরা করার, আসলে ঘোরাফেরা করলে শরীর ও মন দুটোই সতেজ থাকে। আমার পোস্টে সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
বন্ধুদের সাথে ঘোরাফেরা করার মজাই আলাদা। আপনি বন্ধুদের সাথে চন্দ্রিমা উদ্যানে ঘোরাফেরা করেছেন। মসজিদের পাশ দিয়ে চন্দ্রিমা উদ্যানের ইটের রাস্তাটি বেশ সুন্দর লেগেছে আমার কাছে। এই রাস্তার দুইপাশে যে গাছগুলো রয়েছে সেগুলো বেশি আকর্ষণীয়।
হ্যাঁ ভাই বন্ধুর সাথে ঘুরে বেড়ানোর মজাই আলাদা। আর রাস্তার ধারে দুই পাশের কাজগুলো আসলেই অনেক সুন্দর। আমার পোস্ট পড়ে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
আপনি আর আপনার বন্ধু রা হুল চন্দ্রিমা উদ্যানে গিয়ে বেশ ভালো সময় কাটিয়েছেন। আসলে বন্ধুদের সাথে কোথাও ঘুরতে যেতে এমনিতেই ভালো লাগে। উদ্যানের ভেতরের পরিবেশ তো দেখছি অনেক চমৎকার। ফটোগ্রাফি গুলো অনেক ভালো লেগেছে।
হ্যাঁ আপু উদ্যানের সৌন্দর্য অনেক চমৎকার। সেরকম সময় হলে চন্দ্রিমা উদ্যানে এসে অবশ্যই ঘুড়ে যাবেন। আমার পোস্টে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
আপনি এবং আপনার বন্ধুর রুহুল ভাই ঢাকার চন্দ্রিমা পার্কে খুব সুন্দর একটি সময় কাটিয়েছেন যা আপনার এই পোস্টের মাধ্যমে বুঝতে পেলাম।আসলে বন্ধুবান্ধবের সাথে মাঝে মাঝে এরকম প্রাকৃতিক সৌন্দর্যময় জায়গায় ঘুরতে যাওয়া উচিত। যাই হোক এত সুন্দর ভাবে আপনার অনুভূতি এবং ফটোগ্রাফি গুলো প্রকাশ করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
দুই বন্ধু মিলে বেশ সুন্দর সময় অতিবাহিত করেছিলাম চন্দ্রিমা উদ্যানে। আসলে প্রকৃতির মাঝে আমাদের সবার উচিত এমন সময় উপভোগ করার। সব সময় মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
কিছুদিন আগে আপনি এই উদ্যান সম্পর্কে আমাদের মাঝে পোস্ট শেয়ার করেছিলেন। বেশ সুন্দর ছিল, আজকেও অনেক সুন্দর ভাবে আপনি তুলে ধরেছেন চন্দ্রিমা উদ্যানের অনেক দৃশ্য আর দারুন বর্ণনা। যা থেকে নতুন কিছু আরও দেখার ও জানার সুযোগ হল আমার।
হ্যাঁ ভাই এর আগে তিনটি পোস্টে চন্দ্রিমা উদ্যানের ঘোরাফেরার কাহিনী বর্ণনা করেছিলাম। আসলে চন্দ্রিমা উদ্যানের দৃশ্য আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। সবসময় সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।