"পিসেমশাইয়ের নিজের হাতে তৈরি স্পেশাল দই খাওয়া"
হ্যালো..!!
আমার সুপ্রিয় বন্ধুরা,
আমি @aongkon বাংলাদেশের নাগরিক।
আজ- ১৭ ই নভেম্বর, বৃহস্পতিবার, ২০২২ খ্রিষ্টাব্দ।
আমি অংকন বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @aongkon। আমি মা, মাতৃভাষা এবং মাতৃভূমিকে সব থেকে বেশি ভালোবাসি। আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমার মাতৃভাষা বাংলার একমাত্র ব্লগিং কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ফাউন্ডার, এডমিন প্যানেল, মডারেটর প্যানেল এবং সকল সদস্য ও সদস্যাদের আমার অন্তরের অন্তরস্থল থেকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন রইল।
আজকে আমি আপনাদের সামনে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আপনারা জানেন যে আমি গত মাসে ঢাকা থেকে সিলেট আমার পিসি মনির বাসায় গিয়েছিলাম। এবারে দীর্ঘ দুই বছর পরে আমার পিসিমনির বাসায় গিয়েছিলাম। খুব সকালে পিসিমণির বাসাতে গিয়েই একটি সারপ্রাইজ পেলাম। আর সেই সারপ্রাইজটা হলো আমার যাওয়ার কথা শুনে আগের দিন রাতেই পিসেমশাই নিজে দুই মালশা দই বানিয়ে রেখেছে। আর বুঝতেই পারছেন বাসায় বানানো দই টেস্টটা সত্যিই অসাধারণ হয়। আমার কাছে দই তো ভীষণই প্রিয়।
দেখতে যতটা সুন্দর তার থেকে বেশি সুন্দর খাইতে।
একজন প্রফেশনাল দইয়ের কারিগর না হওয়া সত্বেও এত সুন্দর দই বানানো টা সত্যিই অসাধারণ। পিসিমণির বাসায় সকালে গিয়েই প্রথমেই ফ্রেশ হয়ে নিয়ে, দই এবং সাথে মুড়ি খাওয়া শুরু করে দিলাম। দই এবং মুড়ি একসাথে খাওয়ার মজাই আলাদা।
দইয়ের চেহারা দেখেই মনে হচ্ছিল খুবই সুন্দর স্বাদ হয়েছে। দই মুখে নিয়ে খাবার পরে তো আমি অবাক যতটা স্বাদ হবে ভেবেছিলাম তার থেকে হাজার গুণ বেশি স্বাদ হয়েছিল।
এত সুন্দর স্বাদের দই কখনো খায় নাই বললেই ঠিক হবে। কারণ গ্রাম বলি আর ঢাকা শহর যেখান কার দইয়ের কথাই বলি না কেন বাড়ি বানানো দই এর কাছে হার মানবেই। বাইরে থেকে আমরা যেসব দই খেয়ে থাকি একথায় বলতে গেলে ভেজাল ছাড়া কিছুই নেই। কিন্তু আমার পিসেমশাই নিজের গাভীর ফার্ম থেকে খাঁটি দুধ এনে এই দই তৈরি করেছিল। তাহলে বুঝতেই পারছেন খাঁটি দুধের দই কেন স্বাদ বেশি হয়।
যাইহোক দই আমার মুখে এখনো লেগে আছে কারণ স্বাদটা আমি ভুলতে পারি নাই। এক কথায় বলতে গেলে অসাধারণ। আমি সিলেটে যাওয়ার পরে আরো একদিন দই বানিয়েছিল সেটা স্বাদও একই রকম। তবে সেই দিন দই বানানো তে আমি অনেক সাহায্য করেছিলাম এবং পিসেমশাই থেকে শিখেও নিয়েছি যে দই কিভাবে বানাতে হবে। এক কথায় পিসেমশাই থেকে হাতেনাতে দই বানানো টা শিখে নিয়েছি। আবার ছুটিতে গ্রামের বাড়িতে গেলে দই বানানোর বিদ্যা টা প্রয়োগ করে দেখব ঠিক আছে কিনা।
পোস্টের ছবির বিবরন
ক্যামেরাম্যান | @aongkon |
---|---|
ডিভাইস | স্যামসাং জে-৭ প্রো |
ক্যামেরা | ১৩ মেগাপিক্সেল |
তারিখ | ২৪ অক্টোবর |
লোকেশন | দিরাই,সুনামগঞ্জ |
প্রিয় বন্ধুরা,
আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে প্রতিনিয়ত আমার সৃজনশীলতা দিয়ে ভালো কনটেন্ট শেয়ার করে এই কমিউনিটিকে সমৃদ্ধ করতে চাই এবং উচ্চতার শিখরে নিয়ে যেতে চাই। আমার ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই নিজের খেয়াল রাখবেন সুস্থ এবং সুন্দর থাকবেন এটাই কাম্য করি।
@aongkon
দইয়ের এলাকায় থাকার জন্য জানি বাড়িতে বানানো দই সবসময়ই ভালো ও স্বাস্থ্যকর হয়।দইয়ের চেহারা দেখেই বোঝা যাচ্ছে কতটা সুস্বাদু হয়েছে।ধন্যবাদ দাদা আপনার সুন্দর মুহুর্ত শেয়ার করার জন্য।
আপনাকেও ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য দাদা। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
আহা!! ভাই, দই দেখিয়ে তো লোভ লাগিয়ে দিলেন। আপনার পিসেমশাইয়ের নিজের গাভীর ফার্ম থেকে খাঁটি দুধ দিয়ে যে সুস্বাদু দই তৈরি করেছেন, তার কালার টা দেখেই বুঝতে পারছি খেতে খুব খুব মজার হয়েছে। আর তাইতো লোভ কন্ট্রোল করাও মুশকিল হয়ে পড়ছে। আপনি যেহেতু এই সুস্বাদু দই রেসিপি শিখে নিয়েছেন, তাই একদিন আমাদের মাঝে দই তৈরির রেসিপিটি শেয়ার করবেন। আপনার সাথে সাথে আমরাও শিখে নিব।
হ্যাঁ ভাই অবশ্যই দইয়ের রেসিপি টা সময় হলে আপনাদের সাথে শেয়ার করব। সুন্দর মতামত প্রদান করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
বাড়িতে বসানো দই সব সময় অনেক স্বাস্থ্যসম্মত হয় জানি।আমার বড় বোন ও এভাবে দই বানাই, তবে আমি কখনো দই বানাইনি। আপনার দই দেখে লোভ লেগে গেল। নিশ্চয়ই একদিন বানিয়ে খাব। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ সুন্দর মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ আপু বাড়ি বানানো দইয়ের স্বাদ আসলেই সুন্দর। সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
ভাইয়া আমিও আপনার মত দই প্রেমী কিন্তু।দই খেতে ইচ্ছে করলে আমি বাসায় তৈরি করে নিই।আপনার তো পিসেমশাইয়ের দই বানানো দেখে তো আমি অবাক হয়ে গেছি।খেতেও পারতেছিনা আবার লোভ সামলাতেও পারতেছে না বড় একটা মুশকিল হয়ে গেছে😂😂।আমি দই খাদক তো দইয়ের চেহারা দেখে বুঝতে পারছি কতটা স্বাদের হবে।😍😍😍।
আপনি দই খাদক জেনে খুবই ভালো লাগলো। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে আপু।
বগুড়াতেই থাকি আর জানেনই তো বগুড়া দই এর জন্য বিখ্যাত😄।মাঝে মাঝে আমার বড়াব্বু বাসায় দই বানায়,আসলেই তার টেস্ট অন্যরকম হয়। কেনা দই এ যে স্বাদ পাওয়া যায়না।
আপনার পিশেমশাইয়ের তৈরি করা দই দেখেই বোঝা যাচ্ছে তা কতটা স্বাদের হয়েছিল!নিশ্চয় খুব মজা করে খেয়েছেন।
শুভ কামনা রইলো আপনার জন্য।
হ্যাঁ ভাই খুবই সুস্বাদু হয়েছিল। খুব মজা করে খেয়েছি। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
সব সময় দই কিনে খাওয়া হয়। তবে খুব ইচ্ছে আছে একবার বাসায় বানানোর। ঘরে পাতানো দই এতো পারফেক্ট হয়েছে।খুব ভালো লাগলো। তবে পুরো রেসিপিটা পেলে আরও ভালো লাগতো।
হ্যাঁ আপু অবশ্যই বাসায় বানিয়ে খেয়ে দেখবেন। পরবর্তীতে অবশ্যই আমি দইয়ের রেসিপি নিজে করে দেওয়ার চেষ্টা করব। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
Hi, @aongkon,
Thank you for your contribution to the Steem ecosystem.
Your post was picked for curation by @rex-sumon.
Please consider voting for our witness, setting us as a proxy,
or delegate to @ecosynthesizer to earn 100% of the curation rewards!
3000SP | 4000SP | 5000SP | 10000SP | 100000SP
ভাইয়া দইটা পারফেক্ট ভাবেই বসে গেছে ভাল লাগলো দেখে।আমিও দই বাসায় বানাই।খেতে বেশ মজারই ল
হয়।আপনার পিসেমশাই খাঁটি দুধ দিয়ে খুব অসাধারণ ভাবে রেসিপিটি করে ফেলেছে দেখে ভাল লাগলো। শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
হ্যাঁ আপু বাসায় বানানো দইয়ের স্বাদ আসলেই সুন্দর। সুন্দর মতামতের জন্য ধন্যবাদ।