"ঈদের ছুটিতে ঢাকা থেকে গ্রামের বাড়ি"
হ্যালো..!!
আমার সুপ্রিয় বন্ধুরা,
আমি @aongkon বাংলাদেশের নাগরিক।
আজ- ২৫ ই জুন, রবিবার, ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দ।
আমি অংকন বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @aongkon। আমি মা, মাতৃভাষা এবং মাতৃভূমিকে সব থেকে বেশি ভালোবাসি। আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমার মাতৃভাষা বাংলার একমাত্র ব্লগিং কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ফাউন্ডার, এডমিন প্যানেল, মডারেটর প্যানেল এবং সকল সদস্য ও সদস্যাদের আমার অন্তরের অন্তরস্থল থেকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন রইল।
আজকে আমি আপনাদের সামনে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। গতকালকে আমার মিড ট্রাম পরীক্ষা শেষ হলো। পরীক্ষা শেষ করে ঈদের ছুটিতে বাড়ি যাওয়ার মজাই আলাদা। তাই আজকে সকালেই খুব ভোরে সাড়ে চারটা বিশ নাগাদ আমি আর আমার বন্ধু রাহুল মোটরসাইকেল নিয়ে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম ঢাকা হতে। বেশিরভাগ সময়ই আমি আর আমার বন্ধু রাহুল বাড়িতে মোটরসাইকেল নিয়ে দুজনে একসাথে আসা- যাওয়া করি।
খুব ভোরে বের হওয়ার কারণ হলো যাতে ঢাকায় অতিরিক্ত জ্যাম পোহাতে না হয়। আর আমাদের বাড়ির এদিকেও এসে যাতে রোদ গরমের সমস্যাটা না হয়। কিন্তু যার পথে টেকনিক্যাল থেকে দারুস সালাম পর্যন্ত বেশ ভালই জ্যাম ছিল। আসলে এখন ঈদের সময় তো তাই জ্যাম থাকবে এটাই স্বাভাবিক।
গাবতলী থেকে পাটুরিয়া ঘাট প্রায় ৮০ কিলোমিটার। সকালে ফাঁকা থাকার কারণে দেড় ঘন্টার ভেতরেই অর্থাৎ ঘড়ির কাঁটায় যখন পাঁচটা পঞ্চাশ বাজে তখনই আমরা পাটুরিয়া ঘাটে পৌঁছে যায়।
ফেরিঘাটে এ ১৪০ টাকা দিয়ে মোটরসাইকেলের টিকিট কেটে নিলাম। তারপর ফেরিতে উঠলাম, ফেরিতে উঠার পরে মনের ভিতর অনেক ভালো লাগা কাজ করে কারণ নদীর সৌন্দর্য দেখতে অনেক সুন্দর লাগে।
ফেরি ঘাট থেকে পার হয়ে গোয়ালন্দ-রাজবাড়ী সড়কে আসার পরেই নিজের এলাকা মনে হচ্ছিল। আসলে এই অনুভূতিটা অনন্য সুন্দর।
খুব সকালে না খেয়ে বের হওয়ার কারণে ফেরি পার হয়ে বেশ ভালোই ক্ষুধা অনুভব করছিলাম। তারপর রাজবাড়ী থেকে ডিম, পরোটা আর ডাল খেয়ে পেট ভরে নিলাম।
তারপর খাওয়া দাওয়া শেষ করে আবার দুই বন্ধু চলতে শুরু করলাম। বাড়ির দিকে যতই আছিলাম ততই মনের ভিতরে ভালো লাগছিলো। আমাদের এদিকে রাস্তা একদম ফাঁকা ছিল তাই আসতে বেশি সময় লাগছিলো না।
তারপর একটু আসতেই আমাদের বাড়ির সামনে চলে আসলাম তারপর বন্ধু রাহুল আমাকে নামিয়ে দিয়ে আমার থেকে বিদায় নিয়ে তাদের বাড়ি চলে গেল। আজকে আমাদের বাড়ি আসতে ৩ ঘন্টা ৪০ মিনিট মতো সময় লেগেছে। সত্যি বলতে অনেক অনেক বেশি মজা হয়েছে আজকে বাড়ি আসার সময়। এখন বাড়িতে ঈদের ছুটি সবার সাথে উপভোগ করবো।
পোস্টের ছবির বিবরন
ক্যামেরাম্যান | @aongkon |
---|---|
ডিভাইস | স্যামসাং জে-৭ প্রো |
ক্যামেরা | ১৩ মেগাপিক্সেল |
তারিখ | ২৫ ই জুন |
লোকেশন | বাংলাদেশ |
প্রিয় বন্ধুরা,
আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে প্রতিনিয়ত আমার সৃজনশীলতা দিয়ে ভালো কনটেন্ট শেয়ার করে এই কমিউনিটিকে সমৃদ্ধ করতে চাই এবং উচ্চতার শিখরে নিয়ে যেতে চাই। আমার ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই নিজের খেয়াল রাখবেন সুস্থ এবং সুন্দর থাকবেন এটাই কাম্য করি।
@aongkon
ঈদের ছুটিতে ঢাকা থেকে গ্রামে আসার অনুভূতিটা অন্যরকম ছিল, যা দেখে বুঝতে পারছি। আসলে বাইকে করে আসার অনুমতি একটু অন্যরকম হয়। আমি তো যে কোন জায়গায় গেলে বা কোথাও থেকে আসার সময় বাইকে করে আসি কারণ আমার নিজের একটা বাইক রয়েছে। দুই বন্ধু অনেক মজা করতে করতে এসেছিলেন। আবার খাওয়া দাওয়াও করেছিলেন সকাল বেলায় কিছু না খাওয়ার কারণে।
সত্যি বাইকে ভ্রমন করার অনুভূতি অন্যরকম হয়। আপনিও বাইক লাভার জেনে ভালো লাগলো। সুন্দর গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
ভাই, ঈদের এই ভিড়কে উপেক্ষা করার জন্য ভোরবেলায় আপনি ও আপনার বন্ধু মিলে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে ভালোই করেছেন। একদিকে যেমন যানজটের হাত থেকে রেহাই পেয়েছেন অন্যদিকে তীব্র রোদের হাত থেকে স্বস্তিতে বাসায় ফিরতে পেরেছেন। ৩ ঘন্টা ৪০ মিনিট অতিক্রম করে দুই বন্ধু মিলে ভালোয় ভালোয় বাড়িতে ফিরেছেন দেখে আমার কাছেও খুব ভালো লাগলো। আর আপনার বাড়ি ফেরার সময় রাস্তাঘাটের খুব সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছেন সেই সাথে সুন্দর বর্ণনা করেছেন এজন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
অনেক সকালে বের হয়েছিলাম তার পরেও টেকনিক্যাল থেকে দারুস সালাম পর্যন্ত একটু জ্যাম ছিলো। তবে দুই বন্ধু মিলে খুব সুন্দর ভাবে বাড়ি পৌঁছাতে পেরেছি। সুন্দর গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
ভাইয়া অলরেডি ঈদের ছুটিতে বাড়িতে চলে গেলেন। গত ঈদেও দেখেছিলাম বন্ধুর মটর সাইকেল দিয়ে বাড়িতে গিয়েছিলেন। ফেরি পার হওয়ার সময় মাঝ নদীতে দারুন অনুভূতি কাজ করে। ধন্যবাদ ভাইয়া।
হ্যাঁ ভাই আমরা যখন বাড়িতে আসি তখন দুজন একসাথে আসার চেষ্টা করি। নদীর ভেতরে আসার পরে মনটা যেনো পরিবর্তন হয়ে যায়। সুন্দর গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
খুব ভোরে বের হয়ে তো খুব একটা লাভ হলো না। সেই তো জ্যামেই পরতে হল। অবশ্য ঠান্ডা ওয়েদারে বাড়ি পৌঁছে যেতে পেরেছেন। ঈদের সময় রাস্তাঘাটে প্রচন্ড রকম জ্যাম থাকে। বিশেষ করে গাবতলীর এদিক থেকে তো গাড়ি নড়তেই চায় না। মাঝে সকালের নাস্তা খেয়ে নিয়ে ভালো করেছেন। না হলে বাড়ি যেতে যেতে আরো ক্ষুধা লেগে যেত। সুস্থ মতো বাড়ি পৌঁছতে পেরেছেন জেনে ভালো লাগলো।
সকালে গাবতলীতে জ্যামের জন্য একটু বিরক্ত লাগছিল তারপরেও দারুস সালাম পার হয়ে আর সমস্যাটা পোহাতে হয়নি। তবে সকালের ওয়েদারে বাড়িতে আসার মজাই আলাদা। হ্যাঁ আপু মাঝে সকালের নাস্তা না খেলে বাড়িতে আসতে আসতে অনেক বেশি ক্ষুধা লেগে যেত। সুন্দর গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
ঈদের ছুটিতে ঢাকা থেকে গ্রামে বাইকে করে যাওয়ার অনুভূতি পড়ে বেশ ভালো লাগলো ভাইয়া।দুই বন্ধু মিলে বেশ মজা করেছিলেন আসতে আসতে।ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ আপু দুই বন্ধু মিলে আসতে আসতে অনেক মজা করি। আমার পোস্টটি পড়ে ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
আসলে ঈদ মানে হচ্ছে অন্যরকম একটা অনুভূতি এবং আনন্দ। আজ এই ঈদের ছুটিতে বিভিন্ন জায়গা থেকে বাড়িতে আসার অনুভূতিটা সত্যি একেবারে অন্যরকম হয়। আপনার মিড ট্রাম পরীক্ষা শেষ হওয়ার পরে ঈদের ছুটিতে আপনি আপনার বন্ধুকে নিয়ে বাড়িতে এসেছেন। আপনারা সব সময় দুজনে একই সাথে আসা যাওয়া করেন এটা জেনে অনেক বেশি ভালো লাগলো। তিন ঘন্টা ৪০ মিনিট সময় লেগেছিল ঢাকা থেকে আপনাদের বাড়িতে আসতে তাও বাইকে করে। ভালো লাগলো।
হ্যাঁ আপু তিন ঘন্টা ৪০ মিনিট তো অনেক কম সময় আসলে বাসে করে আসতে গেলে সাত থেকে আট ঘন্টা লেগে যায়। সুন্দর গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।