"সার্বিক প্রচেষ্টায় নগর-কীর্তনের জন্য গেঞ্জি বানানো"১ম পর্ব"
হ্যালো..!!
আমার সুপ্রিয় বন্ধুরা,
আমি @aongkon বাংলাদেশের নাগরিক।
আজ- ১১ ই মে, বৃহস্পতিবার, ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দ।
আমি অংকন বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @aongkon। আমি মা, মাতৃভাষা এবং মাতৃভূমিকে সব থেকে বেশি ভালোবাসি। আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমার মাতৃভাষা বাংলার একমাত্র ব্লগিং কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ফাউন্ডার, এডমিন প্যানেল, মডারেটর প্যানেল এবং সকল সদস্য ও সদস্যাদের আমার অন্তরের অন্তরস্থল থেকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন রইল।
কয়েকটি ছবিকে একত্রিত করে সুন্দর একটি কভার ফটো তৈরি করে নিয়েছি।
আজকে আমি আপনাদের সামনে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আপনারা জানেন যে আমি কিছুদিন আগে বাড়িতে এসেছি ঈদের ছুটিতে। এবার ঈদে ছুটিতে বাড়িতে এসে দিদির বিয়ের কারণে অনেক দিনই থাকা পড়ে গেল। ঈদের ছুটিতে আমি বৈশাখ মাসে ২ তারিখে বাড়ি এসেছিলাম। আর বৈশাখ মাসে আমাদের পাড়ায় নগর-কীর্তন করা হয়। পুরো বৈশাখ মাস ধরে হিন্দু ধর্মের লোকেরা নগর কীর্তন করে থাকে। আমাদের পাড়ায় যারা নগর কীর্তন করে থাকি আমরা সবাই ইয়াং জেনারেশন।
বাড়িতে আসার পরে সবাই মিলে উদ্যোগ নিলাম নগর-কীর্তনের জন্য এক রঙের গেঞ্জি বানাবো সবাই মিলে। সবাই এক কালারের গেঞ্জি পরে নগর কীর্তন করলে অনেক সুন্দর দেখা যায়। আমাদের পাড়ার নগরকীর্তনে অংশগ্রহণকারী সবার সম্মতির ভিত্তিতে গেঞ্জি বানানোর জন্য মাথা প্রতি দেড়শ টাকা করে ধরা হয়। তারপর আমার বন্ধু সাগর টাকা তোলার দায়িত্ব নিয়ে সবার টাকা উঠিয়ে ফেলে কয়েকদিনের ভিতরেই।
তারপরে আমি আর আমার বন্ধু সাগর একদিন সকালে গেঞ্জি বানানোর জন্য ট্রেনে কুষ্টিয়াতে রওনা দিলাম। কুষ্টিয়া বড় স্টেশনে নেমে আমার পিসির ছেলে অর্ঘ্যর কাছে ফোন দিলাম আর ওকে আসতে বললাম। অর্ঘ্যর বাসা কুষ্টিয়াতে হওয়ার কারণে কুষ্টিয়া জেলার অনেক চেনা। যদিও আমি কুষ্টিয়া জেলায় প্রায় ৫ বছর থেকেছি তাই আমারও বেশ ভালই হইছে চেনা আছে।
তারপরও সবাই মিলে একসাথে ঘুরে ঘুরে মার্কেট করার আলাদা একটি মজা আছে। ফোন দেয়ার কিছু সময় পরেই অর্ঘ্য এসে আমাদের সাথে দেখা করে। তারপর কুষ্টিয়া রেলস্টেশন থেকে সবাই মিলে চা খাই। তারপর চা খেয়ে এন এস রোড হয়ে কুষ্টিয়া ফায়ার সার্ভিসের সামনে একটি পাইকারি দোকানে যায়।
ঈদের দুই দিন পরে হওয়াতে এই পাইকার দোকান প্রথমে বন্ধ ছিল। পরে দোকানদারের নাম্বারে ফোন দিয়ে ডেকে এনেছিলাম। তবে আমাদেরকে অনেক সময় অপেক্ষা করতে হয়েছিল দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে।
তারপর এই পাইকারি দোকান থেকে ২৫ টি গেঞ্জি ক্রয় করি। আমাদের প্রতি পিস গেঞ্জির করার মূল্য করেছিল ৮০ টাকা করে। মোটামুটি বেশ ভালোই কম দামে গেঞ্জি গুলো পেয়ে যাতে ভালো লাগছিল। তবে ভাই স্বার্থকের জন্য এই কালারের গেঞ্জি ছোট সাইজ পাচ্ছিলাম না।
তাই সার্থকের জন্য কটন কাপড়ের আলাদা একটি গেঞ্জি কিনে নিলাম। সার্থকের এই গেঞ্জিটা আমার অনেক বেশি চয়েস হয়েছিল। আমাদের গেঞ্জির থেকে এই গেঞ্জিটায় বেশি সুন্দর লাগছিল দেখতে। ভাই সার্থকের মনটা ভালো রাখার জন্যই এই গেঞ্জিটা কিনেছিলাম।
পাইকারি দোকান থেকে গেঞ্জি কেনার পরেই গেঞ্জিতে রোকো বসানোর জন্য আলাদা একটি দোকানে গেলাম। এই দোকানটি ফায়ার সার্ভিসের সাথেই। যদিও আমরা এই দোকানে গিয়ে দেখতে পেলাম এখানেও অনেক ধরনের গেঞ্জি রয়েছে। এমন কি আমরা যে ধরনের গেঞ্জি কিনেছি এখানেও একই ধরনের গেঞ্জি রয়েছে। এই দোকানদার ভাই দোকান থেকে গেঞ্জি নিলে আমার প্রতিটি গেঞ্জির পেছনে ১০ টাকা করে খরচ কম হতো। কারণ একই জায়গা থেকে দুটি কাজ একসাথে হলে খরচ কম হওয়াটাই স্বাভাবিক। যাই হোক ভুলে একবার করে ফেলছি সেটা শোধরানো যাবে না। তাই পরেরবার থেকে গেঞ্জি বানালে যেখান থেকে গেঞ্জি কিনব সেখানেই লোগো প্রিন্ট করব যাতে কিছুটা খরচ কম হয়।
তারপর এই দোকানের ভাইয়ের সাথে আমাদের গেঞ্জিগুলোই লোগো বসানোর জন্য কথা বললাম। আমাদের গেঞ্জিগুলা সামনে এবং পিছনে উভয় জায়গায় লোগো করব ভাবছিলাম। তারপর দোকানদার ভাইয়ের সাথে কথা বলে লোগো বসানোর খরচ প্রতি গেঞ্জি প্রতি ৬০ টাকা করে ঠিক করলাম। দামদর ঠিক করার পর ভাই কম্পিউটারে আমাদের কাজটি আরম্ভ করে।
প্রথমে আমাদের গেঞ্জি সামনে লোগো ডিজাইনের একটি প্রিন্ট আউট করে দেখায় সবকিছু ঠিক আছে কিনা। তারপর আমরা চেক দিয়ে দেখলাম সবকিছু ঠিক আছে।
তারপর গেঞ্জিতে লোগো ডিজাইন করার জন্য উল্টো অক্ষরের প্রিন্ট আউট দিতে থাকে কাগজের উপরে। আমি লোগো ডিজাইন করার পদ্ধতি সম্পর্কে আসলে আগে জানতাম না। তাই আর কি প্রথমবার দেখে একটু অবাক হয়েছিলাম। প্রথমে তো অক্ষর দেখে ভাবছিলাম যে এরা ভুল করে উল্টো করে অক্ষর দিয়ে দিয়েছে।
তাই আমার কনফিউশন দূর করার জন্য দোকানদার ভাইকে জিজ্ঞাসা করলাম যে এভাবে উল্টো করে অক্ষর দিয়ে প্রিন্ট আউট কেন করছেন! তারপর দোকানদার ভাই আমাকে বলল অপেক্ষা করতে থাকুন এখুনি আপনাকে একটি গেঞ্জি লোগো করে দেখাচ্ছি। তারপর আমি দোকানদার ভাইয়ের কথা শুনে অপেক্ষা করতে থাকলাম।......
আমি "সার্বিক প্রচেষ্টায় নগরকীর্তনের জন্য গেঞ্জি বানানোর শেষ পর্বে" এই পোস্টে র বাকি অংশ শেয়ার করব।
পোস্টের ছবির বিবরন
ক্যামেরাম্যান | @aongkon |
---|---|
ডিভাইস | স্যামসাং জে-৭ প্রো |
ক্যামেরা | ১৩ মেগাপিক্সেল |
তারিখ | ২৪ ই এপ্রিল |
লোকেশন | কুষ্টিয়া |
প্রিয় বন্ধুরা,
আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে প্রতিনিয়ত আমার সৃজনশীলতা দিয়ে ভালো কনটেন্ট শেয়ার করে এই কমিউনিটিকে সমৃদ্ধ করতে চাই এবং উচ্চতার শিখরে নিয়ে যেতে চাই। আমার ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই নিজের খেয়াল রাখবেন সুস্থ এবং সুন্দর থাকবেন এটাই কাম্য করি।
@aongkon
বাহ্ বাহ্ দারুন দারুন 🙏🙏। ছোটবেলায় এই একটা গেঞ্জি পাওয়ার লোভে কতজনকে যে বলতাম 🥰🥰। আর কোথাও যদি না ব্যবস্থা করতে না পারতাম তাহলে বাবার কাছে জেদ ধরে ইসকনের থেকে কিনে নিতাম। খুব ভালো লাগলো এটা দেখে যে সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় কাজগুলো সম্পন্ন হয়েছে। সত্যি বলতে এই ধরনের কাজগুলো করার সময় একটা ভালো লাগা কাজ করে মনের মাঝে। আশা করি খুব দ্রুত নতুন গেঞ্জি পরা ছবি আমরা দেখতে চলেছি। রাধে রাধে 🙏🙏
এ ধরনের গেঞ্জি গুলো পরতেও মনের কাছে ভালো লাগা কাজ করে।অবশ্যই দাদা খুব দ্রুতই নতুন গেঞ্জি পরা ছবি আমরা দেখতে পাবো। সুন্দর গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।