"বন্ধুর সাথে চন্দ্রিমা উদ্যানে ঘোরাফেরা"- ৩য় পর্ব।

in আমার বাংলা ব্লগlast year


হ্যালো..!!
আমার সুপ্রিয় বন্ধুরা,
আমি @aongkon বাংলাদেশের নাগরিক

আজ- ৯ই আগস্ট, বুধবার, ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দ

আমি অংকন বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @aongkon। আমি মা, মাতৃভাষা এবং মাতৃভূমিকে সব থেকে বেশি ভালোবাসি। আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমার মাতৃভাষা বাংলার একমাত্র ব্লগিং কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ফাউন্ডার, এডমিন প্যানেল, মডারেটর প্যানেল এবং সকল সদস্যসদস্যাদের আমার অন্তরের অন্তরস্থল থেকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন রইল।



কভার ফটো

20230809_083502.jpg

কয়েকটি ছবিকে একত্রিত করে সুন্দর একটি কভার ফটো তৈরি করে নিয়েছি।



আজকে আমি আপনাদের সামনে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আমরা সবাই প্রকৃতিকে অনেক বেশি ভালোবাসি। তাইতো সময় পেলে সবাই ছুটে যায় প্রকৃতির মাঝে। প্রকৃতির মাঝে গিয়ে নিঃশ্বাস নিতে, সময় কাটাতে ও গল্প করতেও অনেক বেশি ভালো লাগে। বর্তমানে বায়ু দূষণের দিক দিয়ে ঢাকা শহর বেশ খারাপ অবস্থানে আছে। ঢাকা শহরের বায়ু এতটাই খারাপ অবস্থায় যে, এ শহরে মানুষের থাকাটা নিরাপদ নয়। তারপরেও মানুষ তার জীবিকা নির্বাহের জন্য বা লেখাপড়া জন্য পড়ে আছে। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা তাই এখানে মানুষের সংখ্যা অনেক বেশি থাকবে এটাই স্বাভাবিক। বাসায় লেখাপড়া, ইউনিভার্সিটিতে লেখাপড়া এসব করতে করতে যখন আমরা ক্লান্ত হয়ে যায় তখনই প্রকৃতির মাঝে প্রশান্তির খোঁজ করি।

20230729_112126.jpg

কিছুদিন আগেই আমি আর আমার বন্ধু রাহুল ঢাকার চন্দ্রিমা উদ্যানে ঘুরতে গিয়েছিলাম। অনেকদিন ধরেই বন্ধু রাহুল এবং আমারও ইচ্ছা ছিল চন্দ্রিমা উদ্যানে যাওয়ার কারণটা আমি এর আগে কখনো চন্দ্রিমা উদ্যানে গিয়েছিলাম না। ইউনিভার্সিটিতে যাওয়ার সময় চন্দ্রিমা উদ্যানে যাওয়ার রাস্তা দেখে খুবই ইচ্ছা জাগতো রাস্তা দিয়ে যাওয়ার, কারণটা চন্দ্রিমা উদ্যানে যাওয়ার পুরো রাস্তাটাই ছিল কৃষ্ণচূড়া ফুলের গাছে, আর গাছে ফুটে আছে টগবগে লাল রঙের কৃষ্ণচূড়া। আমি গত দুই সপ্তাহে "বন্ধুর সাথে চন্দ্রিমা উদ্যানে ঘোরাফেরার" ১ম পর্ব ও ২য় পর্ব শেয়ার করছি। আর আজকে আপনাদের সাথে "বন্ধুর সাথে চন্দ্রিমা উদ্যানে ঘোরাফেরার"-৩য় পর্ব শেয়ার করবো।

20230801_204923.jpg

......সেখান থেকে অর্থাৎ মাঝ রাস্তা থেকে আমরা আবার ফেরত আসতে হাঁটা শুরু করলাম। যদিও দুই বন্ধু মিলে একসাথে রাস্তা দিয়ে হাঁটতে বেশ ভালই লাগছিলো আর রাস্তাটি অনেক বড় বলে এবং আমাদের সময় কম থাকাতে এ রাস্তা ধরে বেশিদূর গিয়েছিলাম না। তবে এই রাস্তা দিয়ে ফেরত আসার সময় বেশকিছু আমি আর আমার বন্ধু মিলে অনেকগুলো ফটোগ্রাফি করেছিলাম। ফটোগ্রাফি করতে আমার সবসময়ই অনেক বেশি ভালো লাগে। এই সুন্দর রাস্তা সাইডে বসার জায়গার পাশেই একটি সুন্দর ছোট বট গাছের চারা দেখতে পেলাম। আর এই বট গাছের চারা ইটের ভেতর থেকেই হয়েছে। বট গাছের এই চারাটি দেখতে অনেক সুন্দর লাগছিলো। তাই আমি আমার ফোনে ক্যামেরা বন্দি করে রেখেছিলাম।

20230801_204855.jpg

ছোট বটগাছের ফটোগ্রাফি করার পরে একটু আগাতেই দেখি ইটের ভেতর থেকেই পাকর গাছের চারা বের হয়েছে। ছোট ছোট এই চারা গাছগুলো দেখতে চমৎকার লাগছিলো। তারপর আবার সেই ফটোগ্রাফি শুরু করে দিলাম। এ রাস্তাতে ফেরত আসতে আসতে বেশ ভালই ফটোগ্রাফি করলাম অনেকগুলো। আকাশে মেঘ থাকায় মাঝে মাঝে মনে হচ্ছিলো পরিবেশটা সন্ধ্যার মতো। কিন্তু তখনও বেলা বেশ ভালই ছিলো।

20230524_172126.jpg

তারপরেও কোথাও ঘুরতে গেলে মনে হয় সময়টা বেশ দ্রুত শেষ হয়ে যায়। আসলে আমার কাছে মনে হয় মানুষের জীবনের ভালো সময়টা খুব তাড়াতাড়ি শেষ হয়ে যায়। আর কষ্টের সময়টা যেনো শেষ হতেই চায় না। তারপর আমরা হাঁটতে হাঁটতে একদম চন্দ্রিমা উদ্যানের সামনে চলে আসি। তারপর এখানে কিছু সময় প্রাকৃতিক পরিবেশ উপভোগ করার পরে ভেতরের দিকে প্রবেশ করি।

20230809_083335.jpg

আসলে চন্দ্রিমা উদ্যান এর ভিতরের দিকে যে, কি আছে সেটা আগে আমার জানা ছিলো না কখনোই। দূর থেকে দেখা যাচ্ছিলো চারপাশে ইটের দেওয়াল কিন্তু ভেতরে যে কি আছে কিছু জানতাম না। তারপর এর ভেতরে প্রবেশ করে দেখি যে একটি কবর স্থান। এই জায়গাটি দেখতে অনেক সুন্দর দেখাচ্ছিলো। যখনই কবরটা দেখি তখনও আমি জানতাম না যে, এই কবরটা আসলে কার। সবাই এসে অবাক দৃষ্টিতে কবরের দিকে তাকিয়ে থাকছিলো।

20230524_172304.jpg

তারপর আমি আমার বন্ধু রাহুলের কাছে শুনলাম যে, আসলে এই কবরটা কার ! তো বন্ধু রাহুল বললো এই কবরটা জিয়াউর রহমানের। তারপর বন্ধুর কাছে থেকে জানতে পারলাম যে, এই পুরো জায়গাটির নাম আগে জিয়া উদ্যান ছিলো। পরবর্তীতে নামটি পরিবর্তন করে চন্দ্রিমা উদ্যানে রুপ দেওয়া হয়েছে।

20230801_205135.jpg

তারপর এই স্থানে আমরা কিছু সময় থেকে বাইরে বের হয়ে আসলাম। আসলে বাইরের প্রাকৃতিক পরিবেশ অনেক বেশি ভালো। কৃষ্ণচূড়ার লাল টগবগে ফুলগুলো দেখতে মনমুগ্ধকর লাগছিলো তাই আমি আমার ফোনে ক্যামেরা বন্দি করে রেখেছিলাম। তারপর কবরের পাশে একটি মসজিদ দেখতে পেলাম, নামাজের সময় হয়ে গিয়েছিলো তাই আমার বন্ধু রাহুল আমাকে বলেলো যে, তুই একটু বাইরে ঘোরাফেরা কর আমি নামাজ পড়ে আসছি। তারপর আমার বন্ধু নামাজে চলে গেলো, আর আমি বাইরে ঘোরাফেরা করতে থাকলাম একাই। তারপর.....

আজকে "বন্ধুর সাথে চন্দ্রিমা উদ্যানে ঘোরাফেরা"- ৩য় পর্ব এখানেই শেষ করছি। আর পরবর্তীতে "বন্ধুর সাথে চন্দ্রিমা উদ্যানে ঘোরাফেরার" অন্যান্য পর্বগুলো শেয়ার করবো।



পোস্টের ছবির বিবরন

ক্যামেরাম্যান@aongkon
ডিভাইসস্যামসাং জে-৭ প্রো
ক্যামেরা১৩ মেগাপিক্সেল
তারিখ২৪ শে মে ২০২৩
লোকেশনচন্দ্রিমা উদ্যান,ঢাকা


প্রিয় বন্ধুরা,

আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে প্রতিনিয়ত আমার সৃজনশীলতা দিয়ে ভালো কনটেন্ট শেয়ার করে এই কমিউনিটিকে সমৃদ্ধ করতে চাই এবং উচ্চতার শিখরে নিয়ে যেতে চাই। আমার ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই নিজের খেয়াল রাখবেন সুস্থ এবং সুন্দর থাকবেন এটাই কাম্য করি।



সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ
@aongkon



VOTE@bangla.witness as witness witness_proxy_vote.png
OR
SET @rme as your proxy
witness_vote.png

standard_Discord_Zip.gif

Sort:  
 last year 

ইট-পাথরের শহর ঢাকায় একটু প্রকৃতির সানিধ্যে যাওয়ার জায়গা খুব বেশী নেই। সংসদ ভবন ও গণভবনের পাশে চন্দ্রিমা উদ্যান ঢাকার মানুষের প্রকৃতির সানিধ্যে যাওয়ার একটি স্থান। আপনি বন্ধু সহ ঘোরাঘুরি করেছেন এবং আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন এজন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ভাই।

 last year 

হ্যাঁ আপু ঢাকা শহরে প্রাকৃতিক সান্নিধ্যে যাওয়ার জন্য খুব একটা বেশি জায়গা নেই। তাইতো চন্দ্রিমা উদ্যানের মতো প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরা জায়গাটিতে সময় কাটানোর জন্য অনেক লোক হয়। সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।

 last year 

চন্দ্রিমা উদ্যানে ঘোরাফেরা মুহূর্ত বেশ দুর্দান্ত কাটিয়েছেন। চন্দ্রিমা উদ্যানে ঘোরাফেরা মুহূর্তের গত দুই পর্ব আমি দেখেছি। আমার কাছে বেশি ভালো লেগেছে। আজকের পর্ব খুবই চমৎকার ভাবে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। কৃষ্ণচূড়ার লাল রংয়ের ফুল দেখতে সত্যিই বেশ সুন্দর। চন্দ্রিমা উদ্যানে বেশ সুন্দর মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন । এত চমৎকার পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।

 last year 

হ্যাঁ ভাই দুই বন্ধু মিলে বেশ সুন্দর মুহূর্ত কাটিয়েছি। আপনি আগের পর্বগুলো দেখেছেন জেনে খুশি হলাম ভাই। সব সময় সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।

 last year 

চন্দ্রিমা উদ্যানে গিয়ে অনেক সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছেন।যাই হোক ঢাকার শহর বায়ু দূষণের দিকে শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে এটা আমাদের জন্য লজ্জাজনক। আমরা চাইলে শহরটাকে সবুজে সাজাতে পারি।

 last year 

হ্যাঁ বন্ধু ঢাকা শহর বায়ু দূষণের দিক দিয়ে শীর্ষে রয়েছে। কিন্তু বর্তমানে মানুষের জীবিকা নির্বাহের জন্য বা প্রয়োজনীয় কাজে ঢাকা শহরে বাধ্য হয়েই থাকতে হচ্ছে। আমাদের সবার উচিত ঢাকা শহরকে সবুজে ভরে তোলা। সুন্দর মন্তব্য করার জন্য তোমাকে অসংখ্য ধন্যবাদ বন্ধু।

Coin Marketplace

STEEM 0.17
TRX 0.14
JST 0.028
BTC 58551.09
ETH 2617.32
USDT 1.00
SBD 2.44