"মেসো-মশাইয়ের চোখ দেখাতে জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে"
হ্যালো..!!
আমার সুপ্রিয় বন্ধুরা,
আমি @aongkon বাংলাদেশের নাগরিক।
আজ- ১১ ই মার্চ, শনিবার, ২০২৪ খ্রিঃ।
আমি আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমার মাতৃভাষা বাংলার একমাত্র ব্লগিং কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ফাউন্ডার, এডমিন প্যানেল, মডারেটর প্যানেল এবং সকল সদস্য ও সদস্যাদের আমার অন্তরের অন্তরস্থল থেকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন রইল।
আমি আজকে আপনাদের সামনে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি প্রতিনিয়ত আমার বাংলা ব্লগে নতুন নতুন পোস্ট শেয়ার করতে আমার অনেক বেশি ভালো লাগে। আমি বেশ কিছুদিন গ্রামের বাড়িতে থাকার পর কয়েকদিন হলো বাড়ি থেকে ঢাকাতে এসেছি। গ্রামীনফোনে প্রাকৃতিক পরিবেশে থাকতে আমি সবসময়ই অনেক বেশি পছন্দ করি ঢাকা শহরের এই দূষণ পরিবেশ আমার একদমই ভালো লাগেনা। তাই যখনই ছুটি পাই তখনই গ্রামের বাড়িতে ছুটে যায়। গতকালকে ইউনিভার্সিটিতে গিয়েছিলাম হঠাৎ করে অনেকদিন পরে আমার মেসোতো ভাই চমক ফোন করে জানালো যে, মেসোমশাইয়ের চোখের সমস্যা হয়েছে তাই ডাক্তার দেখানোর জন্য ঢাকাতে নিয়ে এসেছে। চোখ আমাদের মানব শরীরের সবথেকে সেনসিটিভ অংশ। আমাদের চোখ আছে বলেই পৃথিবীর সব সৌন্দর্য দেখতে পাচ্ছি ও উপভোগ করতে পারছি।
তারপর আমি মেসোমশাইয়ের সমস্যার ব্যাপারে বিস্তারিত শুনলাম। অবশ্য মেসোমশাইকে নিয়ে গত পরশুদিন এসে এক আত্মীয়ের বাসায় ছিল আমাদের মোহাম্মদপুরে তারপর সেখান থেকেই গতকালকে জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে গিয়ে ডাক্তার দেখিয়েছে। মেসোমশাইয়ের চোখের সমস্যাটা হলো হঠাৎ করেই চোখের সাদা অংশে রক্ত জমে গেছে। প্রথম অবস্থাতে কুষ্টিয়াতে দেখানোর পরে সেখানকার ডাক্তাররা ঢাকাতে দেখানোর জন্য সাজেস্ট করেছিলো তাই ঢাকার জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে মেসোমশাই ডাক্তার দেখানোর জন্য এসেছে।
গতকালকে জাতীয় শোকক্ষ বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট থেকে ডাক্তার দেখানোর পর তারা জানিয়েছে যে, চোখে একটা ইনজেকশন দেয়া লাগবে যাতে পরবর্তীতে এমন ধরনের সমস্যা আর না হয়। এই ইনজেকশন টার দাম বাইরে থেকে কিনতে গেলে প্রায় বিশ হাজার টাকা মতো। আর মেসোমশাইয়ের জন্য বিশ হাজার টাকা দিয়ে বাইরে থেকে চোখের ইঞ্জেকশন কিনে ব্যবহার করাটা বেশ ব্যয়বহুল। তাই চোখের ইঞ্জেকশনটা সরকারিভাবে দেওয়ার জন্য আজকে আবারো চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে নিয়ে গিয়েছিলাম।
জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণে রোগী হয়। আমি অবশ্য এর আগে কখনো এসেছিলাম না কিন্তু এবার এসে বেশ ভালোই অভিজ্ঞতা হয়ে গেল। প্রথমে এখানে আসার পরে চোখের এই ইনজেকশনে সিরিয়ালের জন্য বেশ ভালই ঘোরাঘুরি করতে হয়েছিল। কারণ তথ্য কেন্দ্র থেকে সঠিকভাবে আমাদেরকে তথ্য দিতে পারছিল না। আমি ঢাকার বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালগুলোতে গিয়েছি প্রত্যেকটা সরকারি হাসপাতালগুলো তাদের তথ্য কেন্দ্র থেকে রোগীদেরকে সঠিকভাবে তথ্য দিতে পারে না। সত্যি বলতে সরকারি হাসপাতালগুলোর এটা একটা বড় অব্যবস্থাপনা।
যাইহোক বেশ কিছু সময় কয়েকটি ফ্লোরে ঘোরাঘুরি করার পরে চোখের ইঞ্জেকশনের সিরিয়াল দেওয়ার জায়গা খুঁজে পেলাম। তারপর সেখানে টানা ৪-৫ ঘন্টা মতো সিরিয়াল দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে হলো। কারণ এখানে সবাই এসেছে চোখের এই ইনজেকশনের সিরিয়াল দেয়ার জন্য। প্রতিদিন প্রায় ৪০ থেকে ৫০ জন এই সিরিয়ালে অংশগ্রহণ করে। এখানে সমস্যা হল প্রতিদিন চোখের এই ইনজেকশনের জন্য মাত্র ২০ জন করে সিলেক্ট করে। যারা আগে এসে লাইনে দাঁড়ায় তাদের ফাইলগুলো ইনজেকশন দেয়ার জন্য সিলেট করা হয়।
সকাল থেকে প্রায় ৪-৫ ঘন্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকার পরে চোখের ইনজেকশন নেয়ার জন্য সিরিয়াল দেয়া সম্পূর্ণ হয়। অর্থাৎ মেসোমশাইয়ের ফাইলটি সিলেক্ট করা হয়। মেসোমশাইয়ের চোখের ইনজেকশন দেয়ার ডেট আগামী সোমবার দিয়েছে। প্রতি সপ্তাহের দুই দিন এখানে চোখের এই ইনজেকশনটি রোগীদের মা প্রদান করা হয় সেটা হলো সোমবার আর বৃহস্পতিবারে। যাইহোক সাথে কয়েকটি চোখের টেস্ট দিয়েছে সেগুলো বাইরে থেকে করিয়ে আবার জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে মেসোমশাইকে আনতে হবে। আপনারা সবাই সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করবেন যেনো আমার সমস্যা হয় সুস্থতা লাভ করে।
পোস্টের ছবির বিবরন
ডিভাইস | স্যামসাং গ্যালাক্সি এফ-৫৪ |
---|---|
ক্যামেরা | ১০৮ মেগাপিক্সেল |
তারিখ | ১১ ই মার্চ ২০২৪ খ্রিঃ |
লোকেশন | মোহাম্মদপুর,ঢাকা |
প্রিয় বন্ধুরা,
আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে প্রতিনিয়ত আমার সৃজনশীলতা দিয়ে ভালো কনটেন্ট শেয়ার করে এই কমিউনিটিকে সমৃদ্ধ করতে চাই এবং উচ্চতার শিখরে নিয়ে যেতে চাই। আমার ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই নিজের খেয়াল রাখবেন সুস্থ এবং সুন্দর থাকবেন এটাই কাম্য করি।
আমি অংকন বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @aongkon। আমি মা, মাতৃভাষা এবং মাতৃভূমিকে সব থেকে বেশি ভালোবাসি। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে। আমি বর্তমানে ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটিতে সিভিল টেকনোলজিতে বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, গান গাইতে ও শুনতে, কবিতা লিখতে ও পড়তে, আর্ট করতে, রান্না করতে ও ফটোগ্রাফি করতে খুবই পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" আমার গর্ব "আমার বাংলা ব্লগ" আমার ভালোবাসা। আমার নিজের ভেতরে লুকায়িত সুপ্ত প্রতিভাকে বিকশিত করার লক্ষ্যে "আমার বাংলা ব্লগে" আমার আগমন। এই স্বল্প মানব জীবনের প্রতিটা ক্ষণ আমার কাছে উপভোগ্য। আমি মনে করি, ধৈর্যই সফলতার চাবিকাঠি।
@aongkon
Greetings!
Happy to see your post. you have elaborated things in a manner able way. Your style of writing is unmatched. I mean fabulous.You have used markdowns like a pro. It seems that you are a hard working steemian .Your way of writing is good.I will try my best to grow on steem.I must say your way of posting is good.I hope I will see great posts in future. I am very impressed with your writing. I appreciate you
Thank you so much.
My pleasure 😊
Best wishes for you ❣️
চোখ আমাদের অমুল্য সম্পদ ৷ তাই আর যাই করি চোখের যত্ন কিংবা কোনো সমস্যা হলে দেরি করা ঠিক নয় ৷ দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত ৷ আপনার মেসোমশাইয়ের চোখ দেখানোর জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে গিযেছেন ৷ তবে একটা ইনজেকশনের. দাম এতো কেনো ৷ ইনজেকশন না কি লেন্সের দাম ৷
যা হোক আপনার মেসোমশাই যেনো আবার আগের মতো দেখতে পারে এমনটা প্রত্যাশা করি ৷
সত্যি বলেছেন দাদা চোখ আমাদের অমূল্য সম্পদ, চোখ আছে বলেই পৃথিবীটা অনেক সুন্দর দেখায়। সুন্দর গঠনমূলক মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
আপনি ঠিকই বলেছেন আমাদের চোখ আছে বলেই সুন্দর এই পৃথিবীকে দেখতে পাচ্ছি। আপনারে মেসোমশাই কে নিয়ে চক্ষু হসপিটালে গিয়ে ডাক্তার দেখিয়েছেন এটা খুবই দায়িত্ববান মানুষের মত কাজ করেছেন। এভাবে মানুষের সেবা করে যাবেন আশা করি। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ সেবামূল কাজ করে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আসলে যার চোখ নাই সেই জানে পৃথিবীটা কতটা অন্ধকার। অনেক সুন্দর মূল্যবান মন্তব্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।