আখের খুলা।
হ্যালো..!!
আমার সুপ্রিয় বন্ধুরা,
আমি @aongkon বাংলাদেশের নাগরিক।
আজ- ৫ ই জানুয়ারি, রবিবার, ২০২৫ খ্রিঃ।
আমি আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমার মাতৃভাষা বাংলার একমাত্র ব্লগিং কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ফাউন্ডার, এডমিন প্যানেল, মডারেটর প্যানেল এবং সকল সদস্য ও সদস্যাদের আমার অন্তরের অন্তরস্থল থেকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন রইল।
কভার ফটো
কয়েকটি ফটোগ্রাফি একত্রিত করে সুন্দর একটি কভার ফটো তৈরি করে নিয়েছি।
আমি আজকে আপনাদের সামনে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি প্রতিনিয়ত আমার বাংলা ব্লগে নতুন নতুন পোস্ট শেয়ার করতে আমার অনেক বেশি ভালো লাগে। কয়েকদিন হল ঢাকা থেকে গ্রামের বাড়িতে এসেছি এখানে এসে অনেক সুন্দর সময় অতিবাহিত করছি। গ্রামীণ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যময় করবে সবার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে। তাইতো সময় সুযোগ পেলেই ঢাকা থেকে এ গ্রামের বাড়িতে ছুটে আসি। শীতকালীন সময়ে গ্রামীন প্রকৃতি আমার কাছে সব থেকে বেশি ভালো লাগে এ সময় গ্রামীণ কুয়াশা মাখা সৌন্দর্য আমাকে মুগ্ধ করে। শহুরে জীবনে শীতের সৌন্দর্য কখনোই উপভোগ করা যায় না, শীতের সৌন্দর্য উপভোগ করতে গ্রাম সবার থেকে সেরা। গ্রামীণ চাষিরা আসিতে সময়ে আঁখ মারাই করে সেই সুন্দর দৃশ্য আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।
আমাদের এদিকে শীতের সময় গ্রামীণ চাষীদের অনেক ব্যস্ততা পূর্ণ সময় যায়। কারণ এ সময়ে গ্রামীণ চাষিরা একটি বছর ধরে চাষ করা ফসল আখ মাড়াই করে গুড় তৈরি করার পরে সেটা ঘরে তোলে। আখ এমন একটি ফসল যেটা পুরো এক বছর ধরে অনেক কষ্ট এবং পরিশ্রম করে তৈরি করতে হয়। আমাদের এই অঞ্চলে একটা সময় প্রচুর পরিমাণে আখের চাষ হতো কিন্তু বর্তমানে আখের চাষ অনেকটা কমে গিয়েছে।
তবে তারপরও আমাদের এদিকে বেশ ভালোই আখের চাষ হয়। বেশ কয়েক বছর আগে আমরা যখন জয়েন ফ্যামিলিতে ছিলাম তখন প্রতিবছর আমাদের প্রচুর আক চাষ করা হতো এবং আমরা ৬০ থেকে ৫০ কুলা পর্যন্ত আখের গুড় পেতাম। বর্তমানে আমাদের ফ্যামিলি ভিন্ন ভিন্ন হওয়াতে বাবা, কাকাদের ভেতরে কেউ কেউ আখের চাষ করে আবার কেউ কেউ করে না।
গতকালকে দুপুরের দিকে আমার কাকাদের খুলায় গিয়েছিলাম আঁখ মারাই করা দেখতে। আঁখ মারাই করার দৃশ্য আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে কারণ আমি এটা ছোটবেলা থেকেই অনেক পছন্দ করি। আক মারায় করার পরে যে রস হয় সেই রস কড়াইতে করে জ্বালিয়ে জ্বালিয়ে গুড় তৈরি করা হয়।
তবে এই গুড় তৈরি করতে চাষীদের ৫ থেকে ৬ ঘন্টা সময় লাগে। এক কড়াইতে মোটামুটি ১৮ থেকে ২০ টিন পর্যন্ত আখের রস জ্বালানো হয়। এই সকল বড় বড় কড়াইগুলো অবশ্য অর্ডার দিয়ে বানিয়ে আনতে হয়। আখের গুড় তৈরি করতে অনেক সময় এবং পরিশ্রম করতে হয় চাষীদের।
আখের গুড় সম্পূর্ণরূপে তৈরি হওয়ার পরে এটা লিকুইড অবস্থায় থাকে। তারপর ভড়নে ভড়ে বাড়িতে এনে নির্দিষ্ট পাত্র যেমন কুলায় রাখা হয়। একটি কুলাতে আড়াই মন থেকে তিন মন আখের গুড় ধরে। যাইহোক আমি অনেকটা সময় ধরে গতকাল আমার কাকাদের খুলায় ছিলাম আর আখের গুড় তৈরি করা সুন্দর সুন্দর দৃশ্য ধারণ করেছিলাম।
আত্মারা এর মেশিন এবং অন্যান্য জিনিসগুলো পাহারা দেওয়ার জন্য টং ঘর করতে হয়। যদি নিজেদের বাড়ির উপরে থাকে তাহলে কোন সমস্যা হয় না কিন্তু একটু বাইরে থাকলে চুরি হওয়ার ভয়ে থাকে সেজন্য টং ঘর করা হয়ে থাকে। আর টং ঘরে থেকে এই সব জিনিসপত্র পাহারা দেয়া হয়।
পোস্টের ছবির বিবরন
ক্যামেরা: ১০৮ মেগাপিক্সেল
তারিখ: ২ রা জানুয়ারি ২০২৫ খ্রিঃ
লোকেশন: মোহাম্মদপুর,ঢাকা
প্রিয় বন্ধুরা,
আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে প্রতিনিয়ত আমার সৃজনশীলতা দিয়ে ভালো কনটেন্ট শেয়ার করে এই কমিউনিটিকে সমৃদ্ধ করতে চাই এবং উচ্চতার শিখরে নিয়ে যেতে চাই। আমার ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই নিজের খেয়াল রাখবেন সুস্থ এবং সুন্দর থাকবেন এটাই কাম্য করি।
আমি কে !
আমি অংকন বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @aongkon। আমি মা, মাতৃভাষা এবং মাতৃভূমিকে সব থেকে বেশি ভালোবাসি। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে। আমি বর্তমানে ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটিতে সিভিল টেকনোলজিতে বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, গান গাইতে ও শুনতে, কবিতা লিখতে ও পড়তে, আর্ট করতে, রান্না করতে ও ফটোগ্রাফি করতে খুবই পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" আমার গর্ব "আমার বাংলা ব্লগ" আমার ভালোবাসা। আমার নিজের ভেতরে লুকায়িত সুপ্ত প্রতিভাকে বিকশিত করার লক্ষ্যে "আমার বাংলা ব্লগে" আমার আগমন। এই স্বল্প মানব জীবনের প্রতিটা ক্ষণ আমার কাছে উপভোগ্য। আমি মনে করি, ধৈর্যই সফলতার চাবিকাঠি।
@aongkon
0.00 SBD,
0.00 SP
আমি যখন ছোট ছিলাম তখন দেখতাম আমাদের গ্রামে এমন আখের রস তৈরি করত গুড় তৈরি করত। এখন কিন্তু আখ চাষ অনেক টা কমে গেছে। তাই তেমন বেশি একটা চোখে পড়ে না। শীতের সময় গুড় তৈরি করা হয়। এই মুহূর্তে অনেক মানুষ দূর দূরান্তে ছুটে যায় আখের রস খাওয়ার জন্য। আর এই গুড় তৈরি করার বিষয়টা দেখতেও জানতে কিন্তু আমার কাছে অনেকটা ভালো লাগে। শীতের সময় রাত জেগে এখানে অনেক পরিশ্রম করা লাগে। বিস্তারিত বিষয়গুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন দেখি অনেক ভালো লাগলো ভাই।
দারুণ লাগল ভাই। চমৎকার ছিল আপনার পোস্ট টা। আসলেই শীতটা পুরোপুরি উপভোগ করতে হলে গ্রামেই যেতেই হবে। আখের খোলা এখন অনেক গ্রামেও দেখা যায় না। আমাদের গ্রামে তো এখন আখ চাষ প্রায় বন্ধ। বেশ দারুণ লাগল আপনার আখের খোলা নিয়ে করা পোস্ট টা। ধন্যবাদ আপনাকে আমাদের সাথে শেয়ার করে নেওয়ার জন্য।।
আমাদের এদিকে আখ চাষ একদমই হয় না। তাই এই ধরনের দৃশ্যগুলো কখনো দেখার সুযোগ হয়নি। আপনি অনেক সুন্দর করে দৃশ্যগুলো উপস্থাপন করেছেন ভাইয়া। দেখে অনেক ভালো লাগলো। নতুন কিছু দেখতে অনেক ভালো লাগে।