ভ্রমণ: "ফ্লাওয়ার গার্ডেনে ঘোরাফেরা"
হ্যালো..!!
আমার সুপ্রিয় বন্ধুরা,
আমি @aongkon বাংলাদেশের নাগরিক।
আজ- ২রা নভেম্বর,বৃহস্পতিবার, ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দ।
আমি আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমার মাতৃভাষা বাংলার একমাত্র ব্লগিং কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ফাউন্ডার, এডমিন প্যানেল, মডারেটর প্যানেল এবং সকল সদস্য ও সদস্যাদের আমার অন্তরের অন্তরস্থল থেকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন রইল।
কয়েকটি ছবিকে একত্রিত করে সুন্দর একটি কভার ফটো তৈরি করে নিয়েছি।
আজকে আমি আপনাদের সামনে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। প্রতিনিয়ত আপনাদের সামনে নতুন নতুন পোস্ট শেয়ার করতে আমার অনেক বেশি ভালো লাগে। আপনারা অনেকে জানেন যে, আমি কিছুদিন আগে আগস্ট মাসের শেষের দিকে সিলেটে ভ্রমণে বেরিয়েছিলাম। এই ভ্রমণটা আমার জীবনের সবথেকে বড় একটি ভ্রমণ ছিলো। আর এই ভ্রমণ থেকে আমি অনেক জ্ঞানলাভ করতে পেরেছি। আসলে মানুষের শারীরিক সুস্থতার পাশাপাশি মানসিক সুস্থতার ও প্রয়োজন হয় আর মানসিক সুস্থতার জন্য প্রয়োজন বেশি বেশি ভ্রমণ করা আর জ্ঞান লাভ করা। এর আগে আমি সুনামগঞ্জের দুটি ভ্রমণ পোস্ট শেয়ার করেছি। আর আজকে আমি সুনামগঞ্জের দিরাইয়ের "ফ্লাওয়ার গার্ডেনে ঘোরাফেরা" ভ্রমণ পোস্ট আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।
ডিভাইস: স্যামসাং গ্যালাক্সি এফ-৫৪
লোকেশন: দিরাই,সুনামগঞ্জ
তারিখ: ৩১ শে আগস্ট ২০২৩
আমরা সিলেটের সুনামগঞ্জে আমাদের পিসিমণির বাসায় আসার পরে মিনি কক্সবাজার সহ পদ্মবিল ভ্রমণ করার পরে ছোট ভাই দীপ্তকেআর রাহুলকে নিয়ে সুনামগঞ্জের দিরাই পৌরসভার ফ্লাওয়ার গার্ডেনে ঘুরতে গিয়েছিলাম। আমার ছোট ভাই দীপ্ত ঘুরতে অনেক বেশি পছন্দ করে। সুনামগঞ্জের আশেপাশে যে যে জায়গাতে ঘুরেছি ছোট ভাই দীপ্ত কে সাথে নিয়েই ঘুরেছিলাম। আমার পিসি মনির বাসা থেকে তিন কিলোমিটার দূরে সুনামগঞ্জের দিরাই পৌরসভার আনোয়ারপুরে এই ফ্লাওয়ার গার্ডেন অবস্থিত।
ডিভাইস: স্যামসাং গ্যালাক্সি এফ-৫৪
লোকেশন: দিরাই,সুনামগঞ্জ
তারিখ: ৩১ শে আগস্ট ২০২৩
আমার ছোট ভাই দীপ্ত আমার বন্ধু রাহুল ও আমি তিনজন মিলে বিকেলের দিকে দুইটি গাড়ি নিয়ে রওনা দিলাম এই ফ্লাওয়ার গার্ডেনের উদ্দেশ্যে। মোটরসাইকেল নিয়ে যাওয়ার কারণে খুব তাড়াতাড়ি এই জায়গাটিতে পৌঁছে গেলাম। এখানে যার পরে বুঝতে পারলাম যে এটা নতুন ছোট একটি শিশু পার্ক মতো। তারপর ভিতরে ঢুকতে গিয়েই দেখেছে জনপ্রতি ২০ টাকা করে টিকিট নিচ্ছে। আমি জানি না এতো ছোট একটি পার্কে জন প্রতি ২০ টাকা করে টিকিট নেয়াটা কতটা যুক্তিযুক্ত।
ডিভাইস: স্যামসাং গ্যালাক্সি এফ-৫৪
লোকেশন: দিরাই,সুনামগঞ্জ
তারিখ: ৩১ শে আগস্ট ২০২৩
এমনকি আমার ভাই দীপ্তর জন্যও টিকিট কাটা লাগলো। আমার ভাই দীপ তোর বউয়ের সবে মাত্র পাঁচ বছর পূর্ণ হয়ে ছয় বছর চলছে। যাইহোক টিকিট কেটে ভেতরে ঢোকার পরে দেখলাম যে, লোকজন খুব একটা নেই। আর এখানে যারাই ঘুরতে এসেছে সবাই বাচ্চাদেরকে নিয়ে ঘুরতে এসেছে।
ডিভাইস: স্যামসাং গ্যালাক্সি এফ-৫৪
লোকেশন: দিরাই,সুনামগঞ্জ
তারিখ: ৩১ শে আগস্ট ২০২৩
আমার বন্ধু রাহুল তো বাইরে থেকে ফ্লাওয়ার গার্ডেনের অবস্থা দেখে বলতেছিল যে, তোরা দুজন যা আমি বাইরেই থাকি আবার যেতে ইচ্ছা করছে না। আমি যখন বললাম যে, ভালো লাগুক আর খারাপ লাগুক তিনজন যাইয়েই ঘুরে আসবো। আসলে পার্কের নাম ফ্লাওয়ার গার্ডেন কিন্তু এখানে ফুলের গাছ নেই বললেই চলে আর যে, কয়টা আছে তাতেও নতুন গাছ লাগিয়েছে ফুল আসেনি।
ডিভাইস: স্যামসাং গ্যালাক্সি এফ-৫৪
লোকেশন: দিরাই,সুনামগঞ্জ
তারিখ: ৩১ শে আগস্ট ২০২৩
আবার এই গার্ডেনের ভিতরে দেখলাম বেশ কয়েকটি কৃত্রিম ফুলের গাছ রয়েছে। যদিও কৃত্রিম ফুলের গাছগুলো দেখতে বেশ ভালই লাগছিলো। তারপরেও আসল ফুলের গাছ আর কৃত্রিম ফুলের গাছ পার্কের পরিবেশ রাত দিন ডিফারেন্স করে ফেলে। সম্পূর্ণ গার্ডেন যদি অকৃত্তিম ফুলের গাছে ভরে থাকে তাহলে ভেবে দেখুন পরিবেশটা কতটা সুন্দর হবে।
ডিভাইস: স্যামসাং গ্যালাক্সি এফ-৫৪
লোকেশন: দিরাই,সুনামগঞ্জ
তারিখ: ৩১ শে আগস্ট ২০২৩
তবে আমার ভাই ফ্লাওয়ার গার্ডেনে এই শিশু পার্কে এসে তো বেশ খুশি। এই ফ্লাওয়ার গার্ডেনে বাচ্চাদের খেলাধুলার জন্য বেশ কিছু খেলনা রয়েছে। এ বিষয়টা আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। আমরা যে, সময়টাতে গিয়েছিলাম তখন বড় লোকজন একটু কম থাকায় বাচ্চারা ও বেশ কম ছিল। তাই আমার ভাই একা একাই বেশ খেলতে থাকে। আর ভাই খেলাধুলা করছিলো আর আমি আর আমার বন্ধু রাহুল বাইরে গল্প করছি আমার ঘুরে বেড়াচ্ছিলাম।
ডিভাইস: স্যামসাং গ্যালাক্সি এফ-৫৪
লোকেশন: দিরাই,সুনামগঞ্জ
তারিখ: ৩১ শে আগস্ট ২০২৩
তারপর যখন আস্তে আস্তে বিকাল গড়িয়ে সন্ধ্যার দিকে আসলো তখন ছোট ছোট ছেলেপেলে এসে এখানে খেলাধুলা শুরু করলো। ওদের সাথে বেশ কিছু সময় খেলাধুলা করার পরে আমি আমার ভাই দীপ্তকে বললাম খেলা বাদ দিয়ে চলে আসতে। কারণ তখন সন্ধ্যা গড়িয়ে প্রায় রাত হয়ে এসেছিলো। কিন্তু আমার ভাই দীপ্ত খেলাধুলা বাদ দিয়ে আসতে নারাজ। তারপর যখন বললাম যে, রাত হয়ে গেছে তাড়াতাড়ি বাসায় যেতে হবে তখন সে বিষয়টা বুঝে খেলাধুলা বাদ দিয়ে চলে আসলো।
তারপর ফ্লাওয়ার গার্ডেন থেকে সোজা দিরাই পৌরসভাতে এসে নিজেরা চটপটি খেলাম। আর ছোট ভাই দীপ্ত যা যা খাওয়ার জিনিস কিনতে চাইলেও কিনে দিলাম। তারপর সুরঞ্জিত সেন বাবুর বাড়িতে বাইক দুইটা রেখে পিসিমণির বাসায় চলে আসলাম। ছোট ভাই আর বন্ধুরা রাহুলকে নিয়ে আজকের বিকালে বেশ সুন্দর সময় অতিবাহিত করেছিলাম। বিশেষ করে আমার ছোট ভাই দীপ্ত তো ঘুরতে যেতে পেরে বেশ খুশি।
প্রিয় বন্ধুরা,
আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে প্রতিনিয়ত আমার সৃজনশীলতা দিয়ে ভালো কনটেন্ট শেয়ার করে এই কমিউনিটিকে সমৃদ্ধ করতে চাই এবং উচ্চতার শিখরে নিয়ে যেতে চাই। আমার ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই নিজের খেয়াল রাখবেন সুস্থ এবং সুন্দর থাকবেন এটাই কাম্য করি।
আমি অংকন বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @aongkon। আমি মা, মাতৃভাষা এবং মাতৃভূমিকে সব থেকে বেশি ভালোবাসি। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে। আমি বর্তমানে ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটিতে সিভিল টেকনোলজিতে বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, গান গাইতে ও শুনতে, কবিতা লিখতে ও পড়তে, আর্ট করতে, রান্না করতে ও ফটোগ্রাফি করতে খুবই পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" আমার গর্ব "আমার বাংলা ব্লগ" আমার ভালোবাসা। আমার নিজের ভেতরে লুকায়িত সুপ্ত প্রতিভাকে বিকশিত করার লক্ষ্যে "আমার বাংলা ব্লগে" আমার আগমন। এই স্বল্প মানব জীবনের প্রতিটা ক্ষণ আমার কাছে উপভোগ্য। আমি মনে করি, ধৈর্যই সফলতার চাবিকাঠি।
@aongkon
ভাইয়া আপনি সিলেট ভ্রমণে গিয়েছিলেন জেনে ভালো লাগলো। মাঝে মাঝে ভ্রমণে গেলে অনেক ভালো লাগে। ফ্লাওয়ার গার্ডেনে ঘুরতে গিয়েছিলেন দেখে ভালো লাগলো ভাইয়া। জায়গাটি সত্যি অনেক সুন্দর।
ভ্রমণ করতে সবসময়ই আমার অনেক বেশি ভালো লাগে। সুন্দর মতামত প্রকাশ করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
ঘোরাঘুরি করলে যেমন মন ভালো হয় তেমনি অনেক কিছু শেখা যায় অনেক অভিজ্ঞতা অর্জন করা যায়। ফ্লাওয়ার গার্ডেনে বেশ দারুণ সময় কাটিয়েছেন ভাই। টিকিট মোটামুটি ঠিকই আছে ২০ টাকা। এবং গার্ডেন এর পাশাপাশি দেখছি এটা বাচ্চাদের খেলার জন্য দারুণ একটা জায়গা। এবং ভেতরের পরিবেশ টাও বেশ সুন্দর। ধন্যবাদ আমাদের সঙ্গে পোস্ট টা শেয়ার করে নেওয়ার জন্য আপনাকে।
হ্যাঁ ভাই ঘোরাঘুরি করলে অনেক কিছুই জানতে পারা যায়। আমার পোস্ট পড়ে অনেক সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।