"অসচেতনতায় তিক্ত অভিজ্ঞতা"
হ্যালো..!!
আমার সুপ্রিয় বন্ধুরা,
আমি @aongkon বাংলাদেশের নাগরিক।
আজ- ২৬ শে মে, রবিবার, ২০২৪ খ্রিঃ।
আমি আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমার মাতৃভাষা বাংলার একমাত্র ব্লগিং কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ফাউন্ডার, এডমিন প্যানেল, মডারেটর প্যানেল এবং সকল সদস্য ও সদস্যাদের আমার অন্তরের অন্তরস্থল থেকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন রইল।
আমি আজকে আপনাদের সামনে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি প্রতিনিয়ত আমার বাংলা ব্লগে নতুন নতুন পোস্ট শেয়ার করতে আমার অনেক বেশি ভালো লাগে। কিছুদিন আগে ঈদের ছুটিতে গ্রামের বাড়িতে গিয়েছিলাম সেখানে গিয়ে অনেক সুন্দর সময় অতিবাহিত করেছি। গ্রামীণ প্রকৃতি সবসময় আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে। এবারে গ্রামের বাড়িতে গিয়ে আমার সাথে একদিন রাতে তিক্ত ঘটনা ঘটেছিলো। আমার সাথে যা হয়েছিল আমি সেটার জন্য একদমই প্রস্তুত ছিলাম না। সেই তীর্থ ঘটনাটা আমি এখন আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।
এবারে ঈদের ছুটিতে বাড়িতে গিয়ে অনেক সুন্দর সময় অতিবাহিত করার পাশাপাশি আমার নিজের অসচেতনতার জন্য একটি তিক্ত অভিজ্ঞতাও হয়েছে। আমার অনেক আগে থেকেই একটি অভ্যাস রয়েছে যে, রাতে ঘুমানোর আগে ফোন চার্জে দিয়ে নিজের থেকে অনেক দূরে রেখে ঘুম পাড়া। যদিও ফোন চার্জে দিয়ে ঘুমানো টা ঠিক না তারপরও অভ্যাসটা অনেক দিনের তাই ত্যাগ করতে পারিনি।
আর এমনিতেও ফোনে যদি ওভার চার্জ হয়ে যায় তাহলে ফোনের ব্যাটারি ব্যাকআপ আস্তে আস্তে দুর্বল হয়ে যায়। যাইহোক এত কিছু জানার পরেও ঘুমানোর আগেই প্রতিদিন ফোন চার্জে দিয়ে ঘুমিয়ে পড়ি। মাঝেমধ্যে অবশ্য এমনটা হয় যে চার্জে দিয়ে ঘুমিয়ে পড়েছি সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি ফোনে চার্জ হয়নি কারণটা সুইচ অন করার কথা মনে থাকে না ঘুমের ঘোরে।
আমি আবার বাংলা ব্লগে যতদিন ব্লগিং করছি প্রতিদিনের কাজ প্রতিদিন করার চেষ্টা করি সব সময়। আমি সবসময় চেষ্টা করি দিনের বেলা পোস্ট করার এবং রাতের বেলায় কমেন্ট করার জন্য। সেদিন কমেন্ট করা শেষ করতে করতে একটু বেশি রাত হয়ে গিয়েছিলো। আবার চোখে ভীষণ ঘুমও পাচ্ছিলো। তারপর তাড়াতাড়ি করে ঘুমানোর জন্য ফোনে চার্জার নিয়ে সকেটে ঢুকাতে গিয়েই আচমকা শক খেলাম।
এই শক খাওয়ার ঘটনাটা কতটা যে, দ্রুত ঘটল সেটা বলে বোঝাতে পারবো না। মুহূর্তের ভেতরে এই চোখের সব ঘুম জল হয়ে গেল। ফোন চার্জ দেওয়ার সকেট সকেট আলাদা একটি তারের সাথে হওয়ার কারণে শক খাওয়ার সাথে সাথে আমার হাতের সাথেই লেগেছিলো। তারপর আমি জোরে হাত একবার ঝাড়া মারলাম মারালাম তারপরেও দেখি যে সকেটটি আমার হাতের সাথে রয়েছে।
তারপর সাথে সাথেই হাত আরো একবার ঝাড়া মারলাম তখন সকেট আর চার্জার একসাথে আমার বেডের উপরে গিয়ে পড়লো। তারপর অনুভব করলাম হাতের আঙ্গুলগুলো একটু অবশ হয়ে গিয়েছে। তখন কিছু সময় মেসেজ করার পরে আঙ্গুলগুলো আবার ঠিক হয়ে যায়। এর আগে অবশ্য হালকা শখ অনেকবার খেয়েছিলাম কিন্তু এবারে শক খাওয়ার অভিজ্ঞতাটা বেশ তিক্ত ছিলো।
আমি হয়তো ফোন চার্জ দেয়ার সময় একটু সাবধানতা অবলম্বন করলে এ ধরনের তিক্ত অভিজ্ঞতা সম্মুখীন হতে হতো না। আমাদের ইঞ্জিনিয়ারিং ভাষায় সব থেকে বড় একটা কথা আছে সেফটি ফাস্ট অর্থাৎ যে কোন কাজ করার পূর্বে আগে নিজের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। যাইহোক ঈশ্বরের কৃপায় সেদিনে তেমন বড় কোন দুর্ঘটনা ঘটে নাই।
পোস্টের বিবরন
| পোস্ট ধরন | জেনারেল রাইটিং |
|---|---|
| ডিভাইস | স্যামসাং গ্যালাক্সি এফ-৫৪ |
| তারিখ | ২৬ শে মে ২০২৪ খ্রিঃ |
| লোকেশন | ঢাকা, বাংলাদেশ |
প্রিয় বন্ধুরা,
আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে প্রতিনিয়ত আমার সৃজনশীলতা দিয়ে ভালো কনটেন্ট শেয়ার করে এই কমিউনিটিকে সমৃদ্ধ করতে চাই এবং উচ্চতার শিখরে নিয়ে যেতে চাই। আমার ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই নিজের খেয়াল রাখবেন সুস্থ এবং সুন্দর থাকবেন এটাই কাম্য করি।
আমি অংকন বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @aongkon। আমি মা, মাতৃভাষা এবং মাতৃভূমিকে সব থেকে বেশি ভালোবাসি। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে। আমি বর্তমানে ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটিতে সিভিল টেকনোলজিতে বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, গান গাইতে ও শুনতে, কবিতা লিখতে ও পড়তে, আর্ট করতে, রান্না করতে ও ফটোগ্রাফি করতে খুবই পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" আমার গর্ব "আমার বাংলা ব্লগ" আমার ভালোবাসা। আমার নিজের ভেতরে লুকায়িত সুপ্ত প্রতিভাকে বিকশিত করার লক্ষ্যে "আমার বাংলা ব্লগে" আমার আগমন। এই স্বল্প মানব জীবনের প্রতিটা ক্ষণ আমার কাছে উপভোগ্য। আমি মনে করি, ধৈর্যই সফলতার চাবিকাঠি।
@aongkon
প্রথমত ঘুমানোর সময় ফোন চার্জে দেয়া ভালো না জেনেও আমিও দিয়ে থাকি। আর আমিও বেশ কয়েকবার কারেন্ট শক খেয়েছি বিভিন্নভাবে। এটা সত্যিই খুব বাজে অভিজ্ঞতা। তবে সবসময়ই সতর্কতার সাথে চলতে হবে, বিশেষ করে কারেন্টের ক্ষেত্রে। যাইহোক একটু তিক্ত অভিজ্ঞতা হলেও যে আপনার বড় ধরনের ক্ষতি হয়নি এটার জন্য সৃষ্টিকর্তার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করুন। সাবধানতার সাথে ভালো থাকুন এই কামনা করছি।
ভাই আপনিও দেখতেছি আমার মতই বুঝে শুনে ভুল করেন। অবশ্যই ভাই কারেন্টের সাথে খুব সতর্কতার সাথে চলতে হবে। অনেক সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
ভাই আপনার লেখা পোস্টটি পড়ে সত্যি আমার কাছে বেশ খারাপ লাগলো। আসলে আপনি কাজ শেষ করে ফোন যখন সকেট এর মধ্যে চার্জার দিয়ে চার্জ দিতে গিয়েছিলেন দ্রুত সময়ের মধ্যে কারেন্টে শখ খেয়েছিলেন জানতে পারলাম। কিন্তু এটা আপনার পুরনো দিনের অভ্যাস রাতে ফোন চার্জ দিয়ে ঘুমানো তাই এই অভ্যাস ত্যাগ করতে পারেন না। তবে এখন থেকে ফোন চার্জ দেওয়ার বিষয় আপনি সচেতনতা অবলম্বন করবেন এটাই কামনা করছি।
হ্যাঁ ভাই এখন থেকে ফোন চার্জ দেয়ার বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে যাতে এভাবে অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে শক না খেতে হয়। সুন্দর সাবলীল ভাষায় মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
আমরা কিন্তু বেশিরভাগ সময় অসতর্কতার কারণেই অনেক সমস্যার সম্মুখীন হয়ে থাকি। বর্তমানে ফোন চার্জে দিয়ে ঘুমানো আমাদের সবারই অভ্যেস মনে হয়। কারণ জেগে থাকলে তো আমরা ফোনে কোন না কোন কাজ করতেই থাকি। অসতর্কতার কারণে আপনি কারেন্ট শক খেয়েছেন এটা শুনে খুবই খারাপ লাগলো। আসলে এটা কিন্তু এর থেকেও অনেক বড় বিপদ হতে পারতো। তাই জন্য আমি মনে করি যেহেতু আপনি বিপদে পড়লেন, এরপর থেকে অবশ্যই সতর্কতার মাধ্যমে কাজ করার চেষ্টা করবেন।
হ্যাঁ আপু সেদিনই হয়তো অনেক বড় বিপদ হতে পারতো কিন্তু সৃষ্টিকর্তার অশেষ কৃপায় ভালো আছি এখনো। এটা সত্যি বলেছেন আপু জেগে থাকলে আমরা আপনার মোবাইলে সব সময় কোন না কোন কাজ করেই থাকি। সুন্দর সাবলীল ভাষায় মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
ফোন চার্জে দিয়ে ঘুমানো একদমই উচিত নয়। আমার একবার এমনটা হয়েছিল। শক করলে হাতে কোন বোধ থাকে না। যাক অল্পের উপর দিয়ে বেঁচে গেছেন ভাইয়া। পরবর্তী সময়ে থেকে অবশ্যই সাবধানে কাজ করবেন।
হ্যাঁ আপু শক করলে হাতে কোন বোধ থাকে না। আপনার সাথেও যেহেতু এমন ঘটনা ঘটেছিলো তাই এখন থেকে অবশ্যই সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। অনেক সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
এই বদ অভ্যাসটি আমারও অনেক যে ফোন চার্জেই দিয়ে রাখি।চার্জার ফ্যানের ব্যাটারি ফুলে ঢোল হয়ে গেছে শুধু অলটাইম চার্জে রাখার কারণে। আপনার মতো আমিও অনেকবার ভয়ংকর ভাবে শক খেয়েছিলাম। আসলে আমরা তারাহুরো করতে গিয়ে বিপদে পড়ে যাই।ভাগ্যিস বড়ো ধরনের বিপদ ঘটেনি আপনার সাথে।ধন্যবাদ পোস্ট টি আমাদের সাথে ভাগ করে বেয়ার জন্য।
এরকম ফোনে চার্জ দিলে ফোনের ব্যাটারি ব্যাকআপ খুব দ্রুত নষ্ট হয়ে যায়। হ্যাঁ ভাই ভাগ্য ভালো যে, বড় ধরনের কোন বিপদ ঘটেনি। অনেক সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
ঘুমানোর আগে ফোন চার্জে বসিয়ে ঘুমানো মস্ত বড় ভুল। আর চার্জে বসিয়ে সুইচ অন না করার ব্যাপারটা আমাদের সবার সাথেই ঘটে ভাই। হা হা হা... তাছাড়া কারেন্টে শক খাওয়ার ব্যাপারটাও কিন্তু আমাদের সাথে কম বেশি হয়। এক্ষেত্রে আপনার যে কোনো বড় অসুবিধা হয়নি, এটা জেনে খুব খুশি হলাম। তবে এরপর থেকে চার্জ দেওয়ার সময় একটু সাবধানতা অবলম্বন করবেন।
আসলে দাদা বুঝে শুনেও আমরা প্রতিনিয়ত ভুল করে থাকি। যাদের বাড়িতে কারেন্ট আছে তারা জীবনে কোনো না কোনোভাবে শক খেয়েছেই। তবে অনেক সাবধানতা অবলম্বন করে চলতে হবে। অনেক সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।
এটা আপনি ঠিক কথা বলেছেন ভাই। আসলে আমরা মানুষ মাত্রই ভুল। ভুল তো জীবনে হবে, তবে এই ভুলের জন্য যেন আমাদের ক্ষতি না হয়, সেই ব্যাপারে আমাদের সাবধান থাকতে হবে।
হুম দাদা এটা সত্য কথা।