"দশের লাঠি একের বোঝা" এই কথাটা সম্পূর্ণই সত্য।

in আমার বাংলা ব্লগ7 months ago


হ্যালো..!!
আমার সুপ্রিয় বন্ধুরা,
আমি @aongkon বাংলাদেশের নাগরিক

আজ- ১১ই জানুয়ারি,বৃহস্পতিবার,২০২৪ খ্রিঃ

আমি আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমার মাতৃভাষা বাংলার একমাত্র ব্লগিং কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ফাউন্ডার, এডমিন প্যানেল, মডারেটর প্যানেল এবং সকল সদস্যসদস্যাদের আমার অন্তরের অন্তরস্থল থেকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন রইল।



আমি আছি আপনাদের সামনে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি প্রতিনিয়ত আমার বাংলা ব্লগে নতুন নতুন পোস্ট শেয়ার করতে আমার অনেক বেশি ভালো লাগে। ঢাকা থেকে গ্রামের বাড়িতে আসার পরে এখানে প্রকৃতির মাঝে অনেক সুন্দর সময় অতিবাহিত করছি। গ্রামীন প্রকৃতির সব সময় আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে। এমনটা মনে হয় যে যদি সারাটা জীবন এরকম গ্রামীণ প্রকৃতিতে থাকতে পারতাম তাহলে অনেক সুন্দর হতো। কিন্তু লেখাপড়ার কারণে শহরে থাকতে হয়। আজকে আমি আপনাদের সামনে একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আমার পোস্টটি হলো "দশের লাঠি একের বোঝা" কথাটা সম্পূর্ণই সত্য। তাহলে চলুন দেরি না করে শুরু করা যাক।

আমি কয়েকদিন আগে আপনাদের সাথে একটি পোস্ট শেয়ার করেছিলাম যে,আমাদের পাড়ার ইয়াং জেনারেশনের ছেলেপেলের উদ্যোগে শ্রীশ্রী মাতা সরস্বতী মন্দির নির্মাণ করবো। আমি বাড়িতে আসার পরেই আমার মেইন উদ্দেশ্যে ছিল সবাইকে একত্রিত করে আমাদের পাড়ার এই মন্দিরটির কাজ শুরু করব। কারণ আগে আমরা যে, সরস্বতী মন্দিরটি তে পূজা করতাম সেই সরস্বতী মন্দিরটির সম্পূর্ণ ভেঙে গিয়েছে। তাই সেই জায়গাতেই নতুন করে ইট দিয়ে পাকাপোক্ত ভাবে সরস্বতী মন্দির নির্মাণ করবো।

কয়েকদিন আগে আমি সম্পূর্ণ মন্দিরের এস্টিমেটিং করে এবং আমাদের কাজের প্লানিং অনুযায়ী ইট, বালি ও সিমেন্ট নিয়ে এসে রেখেছিলাম। আমাদের মন্দিরের কাজটি কয়েকদিন আগেই শুরু করার কথা ছিল কিন্তু নির্বাচনের কারণে এবং রাজমিস্ত্রির কিছু সমস্যার কারণে কাজটি শুরু করতে একটু লেট হচ্ছে। আমি গতকালকে রাজমিস্ত্রির কাছে ফোন করেছিলাম যে, আমাদের কাজের জন্য আর কি কি লাগবে! মোটামুটি কাজের জন্য সবকিছু এনে রেখেছিলাম শুধুমাত্র রড আর খোয়া বাদে।‌

রাজমিস্ত্রি সাহেব আমাকে বললো যে, আপনি রড আর খোয়া এনে রাখেন আমি কালকে সকাল থেকেই মন্দিরের কাজ আরম্ভ করব। যেহেতু আমাদের আগেই ইট কেনা ছিলো তাই আমাদের এই ইট দিয়েই খোয়া বানানোর প্ল্যানিং ছিলো। আমাদের পাড়ায় যেসব ইয়াং ছেলেপেলে আছি সবাই প্রতিদিন সকালে খাওয়া দাওয়া করে বাঁশ বাগানের খেলার মাঠে খেলতে যায়। আজকে খেলাধুলা শেষ করার পরে সবাই মিলে বসে সিদ্ধান্ত নিলাম যে, আমরা নিজেরাই দুপুরে স্নান খাওয়া-দাওয়া শেষ করে বিকালের দিকে ইট ভেঙে খোয়া বানাবো।

কারণ বাইরে থেকে খোয়া কিনতে গেলে বেশ টাকা লাগবে আর আমাদের যেহেতু এই সরস্বতী মন্দির নির্মাণের জন্য বাজেট অনেক কম তাই আমাদের নিজেদেরকে শ্রম দিতে হবে। এই মন্দির নির্মাণ করতে যত টাকা আমরা নিজেরা আশ্রম দিয়ে সেভ করব ততটাই আমাদের জন্য মঙ্গল। তারপর বাড়িতে এসে স্নান খাওয়া-দাওয়া শেষ করে প্রথমে আমি একটি হাতুড়ি নিয়ে মন্দিরের সামনে গেলাম। তারপর আস্তে আস্তে দেখি আরো চারজন চারটি হাতুড়ি নিয়ে চলে এসেছে।

তারপর বসে সবাই মিলে হাতুড়ি দিয়ে ইট ভাঙ্গার কাজ শুরু করলাম। আর রড আনার জন্য আরেক বন্ধুকে বাজারে পাঠিয়ে দিলাম। আমাদের টার্গেট ছিলো ইট ভাঙ্গার কাজ মোটামুটি সন্ধ্যার ভিতরে শেষ করে ফেলবো আর যদি শেষ করতে না পারি রাতের বেলায় ইট ভাঙবো। কিন্তু ইট ভাঙ্গার সময় সবাই এত ভাল কাজ করেছে যে, সন্ধ্যার আগেই আমাদের ইট ভাঙ্গা সম্পূর্ণ হয়ে যায়। আর আমাদের কাজের সময় ছোট ছোট বাচ্চারাও এসে আমাদেরকে ইট এগিয়ে এগিয়ে দিয়েছিল সত্যি বিষয়টা অনেক ভালো লেগেছে আমার কাছে।

এ সকল ছোট বাচ্চারা না থাকলে হয়তো আমাদেরকে বারবার উঠে গিয়ে ইট নিয়ে এসে ভেঙ্গে খোয়া বানাতে হতো। কিন্তু এসব ছোট ছোট বাচ্চাদের একটু একটু সাহায্যের কারনে কাজটা অনেক তাড়াতাড়ি হয়েছে। কোথায় আছে "দশের লাঠি একের বোঝা" এই কথাটার আজকেও বেশ জ্বলন্ত একটি প্রমাণ পেলাম আমি নিজেই। এই ইট ভেঙ্গে খোয়া তৈরি করার কাজটা যদি আমিও অথবা অন্য কেউ একা একা করতাম তাহলে আমাদের একজনের সারাদিন লেগে যেত। কিন্তু আমরা সবাই মিলে একসাথে অনেক সুন্দরভাবে কাজটি করেছি বলেই খুব সহজে এবং তাড়াতাড়ি শেষ করতে পেরেছি।



পোস্টের ছবির বিবরন

ডিভাইসস্যামসাং গ্যালাক্সি এফ-৫৪
ক্যামেরা১০৮ মেগাপিক্সেল
তারিখ১১ জানুয়ারি ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ
লোকেশনকুষ্টিয়া


প্রিয় বন্ধুরা,

আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে প্রতিনিয়ত আমার সৃজনশীলতা দিয়ে ভালো কনটেন্ট শেয়ার করে এই কমিউনিটিকে সমৃদ্ধ করতে চাই এবং উচ্চতার শিখরে নিয়ে যেতে চাই। আমার ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই নিজের খেয়াল রাখবেন সুস্থ এবং সুন্দর থাকবেন এটাই কাম্য করি।



আমি কে !

20230826_112155.jpg

আমি অংকন বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @aongkon। আমি মা, মাতৃভাষা এবং মাতৃভূমিকে সব থেকে বেশি ভালোবাসি। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে। আমি বর্তমানে ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটিতে সিভিল টেকনোলজিতে বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, গান গাইতে ও শুনতে, কবিতা লিখতে ও পড়তে, আর্ট করতে, রান্না করতে ও ফটোগ্রাফি করতে খুবই পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" আমার গর্ব "আমার বাংলা ব্লগ" আমার ভালোবাসা। আমার নিজের ভেতরে লুকায়িত সুপ্ত প্রতিভাকে বিকশিত করার লক্ষ্যে "আমার বাংলা ব্লগে" আমার আগমন। এই স্বল্প মানব জীবনের প্রতিটা ক্ষণ আমার কাছে উপভোগ্য। আমি মনে করি, ধৈর্যই সফলতার চাবিকাঠি।



সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ
@aongkon



VOTE@bangla.witness as witness witness_proxy_vote.png
OR
SET @rme as your proxy
witness_vote.png

standard_Discord_Zip.gif

Posted using SteemPro Mobile

Sort:  
 7 months ago 

ঠিক বলেছেন ভাইয়া কয়েকজন মানুষ যদি একসাথে হয় তাহলে যে কোন কাজে খুব সহজেই হয়ে যায়। আর আপনারা আপনাদের মন্দির টা ঠিক করানোর জন্য ইট নিয়ে আসেন দেখে ভালো লাগলো। আপনি ইট একা ভাঙতে গিয়েছিলেন কিন্তু আপনার সাথে সাথে আরো অনেক জন এসেছে তাতেই তো আপনার কাজটা অনেকটাই দিয়ে দিয়েছে। তাছাড়া দেখলাম ছোট বাচ্চারা ও বেশ হেল্প করল আপনাদের। এটা ঠিক দশের লাঠি একের বোঝা এই কথাটি সম্পূর্ণই মিথ্যে হয়ে গেল আপনার কাজের মাধ্যমে। যাই হোক আপনার কাজটা ভালো হোক এই দোয়াই করি।

 7 months ago 

হ্যাঁ আপু কয়েকজন মিলে কাজটা করলে আসলেই অনেক সহজ হয়ে যায়। অসংখ্য ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্যের মাধ্যমে পাশে থাকার জন্য।

 7 months ago 

দশের লাঠি একের বোঝা এই কথাটি চিরন্তন সত্য কথা গুলোর মাঝে একটি ৷ অনেক গল্প এবং বাস্তবিক ঘটনা থেকে আমরা এই কথার চিরন্তন সত্যতা দেখে আসছি ৷ আপনার শেয়ার করা গল্প থেকেও আজ তাই প্রমান হযেছে ৷ সবাই মিলে খুব সহজেই ইট গুলো ভেঙ্গে খোয়া করে দিয়েছেন ৷ এটা খুবই সুন্দর একটি কাজ ৷ যাই হোক , অনেক ভালো লাগলো আপনার সবাই মন্দির সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছেন এবং কাজ গুলো করে যাচ্ছেন দেখে ৷ আপনাদের সবার জন্য অনেক শুভকামনা রইল ৷ ধন্যবাদ

Posted using SteemPro Mobile

 7 months ago 

আসলেই ভাই দশের লাঠি একের বোঝা কথাটা চিরন্তন সত্য।অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই সুন্দর গঠনমূলক মন্তব্য করে সব সময় পাশে থাকার জন্য।

 7 months ago 

এইতো আর কিছুদিন পরেই সরস্বতী পূজা। আপনি তার আগেই মন্দির মেরামতের খুব সুন্দর একটি উদ্যোগ নিয়েছেন দাদা। সুন্দর কথা বলেছেন আপনি দশের লাঠি একের বোঝা আসলেই একা করতে গেলে বোঝাই হয়ে যায় কিন্তু দশে মিলে করলে কঠিন কাজও নিমিষেই শেষ হয়ে যায়। খুব ভালো লাগছে জেনে যে ছোট বাচ্চারা আপনাদেরকে ইট এগিয়ে দিয়ে হেল্প করেছে আসলে ওরা না থাকলে আপনাদের বারবার গিয়ে ইট নিয়ে আসতে হতো এবং সময়ের অপচয় হতো।ধন্যবাদ দাদা খুব সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ।

 7 months ago 

হ্যাঁ দিদি সবাই মিলে ঐদিন আমাকে হেল্প করেছিল বলে অনেক তাড়াতাড়ি কাজটা সম্পন্ন করতে পেরেছি। অসংখ্য ধন্যবাদ দিদি সুন্দর মতামত প্রকাশ করে পাশে থাকার জন্য।

 7 months ago 

একজনে মিলে যে কাজগুলো করা যায় তার থেকেও খুব ভালোভাবে এবং সময়সাপেক্ষে ওই কাজগুলো করা যায় যদি অনেকজন মানুষ একসাথে মিলে কাজ করে৷ আপনি মন্দিরের ইট ভাঙার জন্য একা বসেছিলেন, পরে যখন সকলে মিলে একসাথে এই কাজে সাহায্য করলো তখন তা দেখে খুব ভালো লাগলো৷ সকলে একসাথে কাজ করার ফলে আপনার কাজ অনেকটাই এগিয়ে গেল৷ অনেক সময়ও বেঁচে গেল৷ যা দশের লাঠি একের বোঝা কথার যথার্থতা বজায় রেখেছে৷

 7 months ago 

আসলে ভাই একা যে কোন কাজ করতে অনেক সময়ের প্রয়োজন হয় কিন্তু সবাই মিলে যদি সেই একই কাজটা করা হয় অনেক অল্প সময়ে এবং খুব সুন্দর ভাবে কাজটি সমাপ্ত হয়ে যায়। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।

Coin Marketplace

STEEM 0.17
TRX 0.13
JST 0.027
BTC 60944.89
ETH 2608.11
USDT 1.00
SBD 2.67