ভ্রমণ: "মিনি-কক্সবাজার সুনামগঞ্জ" -১ম পর্ব।
হ্যালো..!!
আমার সুপ্রিয় বন্ধুরা,
আমি @aongkon বাংলাদেশের নাগরিক।
আজ- ১২ ই অক্টোবর, বৃহস্পতিবার, ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দ।
আমি আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমার মাতৃভাষা বাংলার একমাত্র ব্লগিং কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ফাউন্ডার, এডমিন প্যানেল, মডারেটর প্যানেল এবং সকল সদস্য ও সদস্যাদের আমার অন্তরের অন্তরস্থল থেকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন রইল।
কয়েকটি ছবিকে একত্রিত করে সুন্দর একটি কভার ফটো তৈরি করে নিয়েছি।
আজকে আমি আপনাদের সামনে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। প্রতিনিয়ত আপনাদের সামনে নতুন নতুন পোস্ট শেয়ার করতে আমার অনেক বেশি ভালো লাগে। আপনারা অনেকে জানেন যে, আমি কিছুদিন আগে আগস্ট মাসের শেষের দিকে সিলেটে ভ্রমণে বেরিয়েছিলাম। এই ভ্রমণটা আমার জীবনের সবথেকে বড় একটি ভ্রমণ ছিলো। আর এই ভ্রমণ থেকে আমি অনেক জ্ঞানলাভ করতে পেরেছি। আসলে মানুষের শারীরিক সুস্থতার পাশাপাশি মানসিক সুস্থতার ও প্রয়োজন হয় আর মানসিক সুস্থতার জন্য প্রয়োজন বেশি বেশি ভ্রমণ করা আর জ্ঞান লাভ করা। আমি গত সপ্তাহে ঢাকা থেকে সুনামগঞ্জ ভ্রমণের দুটি পোস্ট আপনাদের সাথে শেয়ার করেছিলাম। আর আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো ভ্রমণ:"মিনি কক্সবাজার সুনামগঞ্জ" -১ম পর্ব।
আমরা যেদিন সুনামগঞ্জে আমার পিসিমণির বাসায় পৌছালাম সেদিনে বেড়ানোর জন্য কোথাও যেতে ইচ্ছা করছিল না। কারণ সারাদিন বাইক ড্রাইভ করার পরে আমি আর আমার বন্ধু দুজনেই অনেক ক্লান্ত ছিলাম। তাই সুনামগঞ্জ আর পরের দিন সকালে প্লানিং করলাম যে, সুনামগঞ্জের দিরাই থানার হাওরের ভেতর মিনি কক্সবাজার নামে একটি জায়গা আছে সেখানে যাবো।
তারপর বিকালের দিকে দুইটা বাইক নিয়ে আমার ছোট দুই ভাই আমার কাকাতো ভাই কনক, বন্ধু রাহুল আর আমি গেলাম। যদিও এ জায়গাটিতে আমি এই বছরেরই শুরুতে একবার গিয়েছিলাম তখন তখন হাওরের জল না থাকার কারণে তেমন একটা সৌন্দর্য ছিল না। আর তাই ভাবলাম যে, বন্ধু রাহুল যতক্ষণ এসেছে সবাই মিলে এই জায়গাটিতে গিয়ে ভ্রমণ।
সুনামগঞ্জের মিনি কক্সবাজার খ্যাত এই জায়গাটি আমার পিসিমণির বাসা থেকে মাত্র ৪ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। আপনারা হয়তো সবাই জানেন যে, বর্ষার সময়ে হাওরের জল অনেক বেশি থাকাতে সৌন্দর্য অনেক গুন বেড়ে যায়। আর হাওরের ভেতরে মানুষের চলাচলের জন্য তখন যেসব রাস্তাগুলো থাকে সব ডুবে যায়। আর তাই হাওরের মানুষ এই সময়টাতে নৌকা নিয়ে চলাফেরা করে।
এ হাওরের ভিতরে যারা বসবাস করে তাদের প্রত্যেকের বাড়িতেই অন্তত একটি করে নৌকা থাকে। সুনামগঞ্জের মিনি কক্সবাজার খ্যাত এই জায়গাটিতে যাওয়ার পরে সত্যিই মনের ভেতর অনেক ভালো লাগা কাজ করছিলো। আমরা যে রোড দিয়ে যাচ্ছিলাম সেই রোড যেতে যেতে হাওরের জলের সাথে মিশে গেছে।
আর এই জায়গাটিতেই বিকালে অনেক মানুষের এসে এখানকার সৌন্দর্য উপভোগ করে। যদিও আমরা যখন গিয়েছিলাম তখন মানুষের চাপ একটু কম ছিলো। কারণ এই জায়গাটা জল অনেকটাই কমে এসেছিলো। অনেকেই ফ্যামিলি নিয়ে দেখলাম এখানে বেড়াতে এসেছে। আর তাদের বাচ্চারা এই হাওরের জলে দেখলাম খুব মজা করে স্নান করছে।
আসলে ওদের স্নান করা দেখে আমারও খুব মন চাচ্ছিল যে, এই জায়গাটিতে স্নান করতে। কিন্তু আমরা কেউই আগে থেকে সে প্রস্তুতিটা নিয়ে গিয়েছিল না। হাওরের এই সুন্দর জলে বাচ্চা স্নান করা দেখে ছোটবেলার অনেক স্মৃতির কথা মনে পড়ছিলো। ছোটবেলায় যখন পুকুরে স্নান করতে যেতাম তখন সব বন্ধুরা মিলে একসাথে যেতাম।
আমি ছোটবেলায় স্নান গিয়ে বন্ধুদের সাথে ডুব দিয়ে পাল্লা দিতাম, সাঁতার দিয়ে পাল্লা দিতাম আবার কলমির ডগা নিয়ে বেশ মজার একটি খেলা খেলতাম। সবকিছুই স্মৃতির পাতায় লেখা আছে। মিনি কক্সবাজার খ্যাত এই জায়গাটিতে যাওয়ার পরে হাওরের হিমেল বাতাসে মনটা ভরে গেল। আমরা বেশ কিছু সময় এখানে দাঁড়িয়ে বাচ্চাদের জলের ভেতর স্নান করার দৃশ্য আর খেলা উপভোগ করলাম। তারপর....
আজকে আমি ভ্রমণ: "মিনি কক্সবাজার সুনামগঞ্জ" -১ম পর্ব শেয়ার করলাম পরবর্তীতে অন্য কোন পোস্টে ভ্রমণ: "মিনি কক্সবাজার সুনামগঞ্জ" -২য় পর্ব আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।
পোস্টের বিবরন
পোস্ট ধরন | ভ্রমণ |
---|---|
ডিভাইস | স্যামসাং গ্যালাক্সি এফ-৫৪ |
ক্যামেরা | ১০৮ মেগাপিক্সেল |
তারিখ | ২৯ শে আগস্ট ২০২৩ |
লোকেশন | সুনামগঞ্জ, সিলেট |
প্রিয় বন্ধুরা,
আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে প্রতিনিয়ত আমার সৃজনশীলতা দিয়ে ভালো কনটেন্ট শেয়ার করে এই কমিউনিটিকে সমৃদ্ধ করতে চাই এবং উচ্চতার শিখরে নিয়ে যেতে চাই। আমার ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই নিজের খেয়াল রাখবেন সুস্থ এবং সুন্দর থাকবেন এটাই কাম্য করি।
আমি অংকন বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @aongkon। আমি মা, মাতৃভাষা এবং মাতৃভূমিকে সব থেকে বেশি ভালোবাসি। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে। আমি বর্তমানে ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটিতে সিভিল টেকনোলজিতে বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, গান গাইতে ও শুনতে, কবিতা লিখতে ও পড়তে, আর্ট করতে, রান্না করতে ও ফটোগ্রাফি করতে খুবই পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" আমার গর্ব "আমার বাংলা ব্লগ" আমার ভালোবাসা। আমার নিজের ভেতরে লুকায়িত সুপ্ত প্রতিভাকে বিকশিত করার লক্ষ্যে "আমার বাংলা ব্লগে" আমার আগমন। এই স্বল্প মানব জীবনের প্রতিটা ক্ষণ আমার কাছে উপভোগ্য। আমি মনে করি, ধৈর্যই সফলতার চাবিকাঠি।
@aongkon
ছবিগুলো দেখেই বোঝা যাচ্ছে জায়গাটার সৌন্দর্য পর্যটকদের কতটা আকৃষ্ট করে। তাছাড়া আপনার পিসিমনির বাসা থেকে যেহেতু এই জায়গাটার দূরত্ব মাত্র ৪ কিলোমিটার সেহেতু আপনারা এই জায়গাটা আরও বেশ ভালোভাবে উপভোগ করতে পেরেছিলেন।
হ্যাঁ বন্ধু জায়গাটা প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে পরিপূর্ণ। আমার পোস্টটি পড়ে সুন্দর গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্য তোমাকে অসংখ্য ধন্যবাদ বন্ধু।
আমাদের দেশটা সত্যিই প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর। খুব সুন্দর ভাবে আপনি দেশের সৌন্দর্যের কিছু অংশ আমাদের মাঝে তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন। যেখানে সুনামগঞ্জ এর মিনি কক্সবাজারের দৃশ্য তুলে ধরেছেন। বেশ চমৎকার ছিল আপনার আজকের এই পোষ্টের বিস্তারিত বর্ণনা ও ফটোগ্রাফি।
হ্যাঁ ভাই আমাদের দেশেও অনেক সৌন্দর্য আছে সেগুলো দেখতে হলে অবশ্যই ঘরের বাইরে বের হতে হবে। সুন্দর গঠনমূলক মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।