ভ্রমণ: সুনামগঞ্জের "হাওর বিলাস"- ১ম পর্ব।
হ্যালো..!!
আমার সুপ্রিয় বন্ধুরা,
আমি @aongkon বাংলাদেশের নাগরিক।
আজ- ১১ ই নভেম্বর, শনিবার, ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দ।
আমি আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমার মাতৃভাষা বাংলার একমাত্র ব্লগিং কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ফাউন্ডার, এডমিন প্যানেল, মডারেটর প্যানেল এবং সকল সদস্য ও সদস্যাদের আমার অন্তরের অন্তরস্থল থেকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন রইল।
কয়েকটি ছবিকে একত্রিত করে সুন্দর একটি কভার ফটো তৈরি করে নিয়েছি।
ডিভাইস: স্যামসাং গ্যালাক্সি এফ-৫৪
লোকেশন: সুনামগঞ্জ
তারিখ: ৩০ শে আগস্ট ২০২৩
আমরা হাওর বিলাস ভ্রমণের দিনে ভোর পাঁচটার দিকে ঘুম থেকে উঠে পড়ি। সেদিনের ভ্রমণ প্ল্যানিংটা অবশ্য আমরা আগের দিন রাতেই করে রেখেছিলাম। এই ভ্রমণের জন্য আমাদের কাছে ছিল দুইটি বাইক। আর আমরা ছিলাম পাঁচজন। আমার দুই দাদা কাকন আর কনক, আমার কাকা পলাশ, আমার বন্ধু রাহুল আর আমি। ঘুম থেকে উঠার পরেই খুব তাড়াতাড়ি আমরা ফ্রেশ হয়ে নিই। আমরা মোটামুটি ছয়টার ভিতরে সবাই ভ্রমণের জন্য পুরোপুরি রেডি হয়ে বের হয়ে পড়ি।
ডিভাইস: স্যামসাং গ্যালাক্সি এফ-৫৪
লোকেশন: সুনামগঞ্জ
তারিখ: ৩০ শে আগস্ট ২০২৩
আমরা খুব সকালে বের হওয়ার কারণ হলো আজকে সারাটা দিন আমরা বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানগুলোতে ঘুরে ঘুরে দেখবো। এক কথায় সুনামগঞ্জের যতঝ ভ্রমণ স্পট আছে আমরা তার সব জায়গাতেই যাবো। এটা আমার জীবনের সবথেকে বড় একটি ভ্রমণ। আমরা প্রথমে যে, জায়গাটিতে যাব সেই জায়গাটার নাম হাওর বিলাস। আরে এই জায়গাটি সুনামগঞ্জ জেলার বিশ্বম্ভরপুর উপজেলায় অবস্থিত।
ডিভাইস: স্যামসাং গ্যালাক্সি এফ-৫৪
লোকেশন: দিরাই,সুনামগঞ্জ
তারিখ: ৩০ শে আগস্ট ২০২৩
আপনারা হয়তো অনেকে জানেন যে আমরা যেখানে ছিলাম সেই জায়গাটির নাম সুনামগঞ্জ জেলার দিরাই উপজেলা। সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলা থেকে বিশ্বরম্ভর পুর উপজেলা পর্যন্ত দূরত্ব ৫০ কিলোমিটার। এ জায়গাটিতে আমাদের বাইক নিয়ে যেতে সময় লাগবে দেড় ঘন্টা মতো
ডিভাইস: স্যামসাং গ্যালাক্সি এফ-৫৪
লোকেশন: দিরাই,সুনামগঞ্জ
তারিখ: ৩০ শে আগস্ট ২০২৩
আমরা দিরাই উপজেলা থেকে রওনা দিই ঠিক সাড়ে ছয়টার দিকে। সকালে পথে গাড়ি কম থাকায় চলতে আমাদের অনেকটা সুবিধা হয়। দিড়ায়ী উপজেলা থেকে সুনামগঞ্জ বিশ কিলোমিটার মতো। মোটামুটি সাতটার একটু পরপরই সুনামগঞ্জে পৌঁছে যায়। তারপর সুনামগঞ্জের একটি তেল পাম্প থেকে বাইকে তেল ভরলাম। কারণটা সারাদিন আমাদের বাইকে করে চলতে হবে।
ডিভাইস: স্যামসাং গ্যালাক্সি এফ-৫৪
লোকেশন: দিরাই,সুনামগঞ্জ
তারিখ: ৩০ শে আগস্ট ২০২৩
তারপর সুনামগঞ্জের তেল পাম্প থেকে বিশ্বম্ভরপুর "হাওর বিলাসের" উদ্দেশ্যে আবার যাত্রা শুরু করি। সুনামগঞ্জ থেকে বিস্বম্ভরপুর উপজেলা আরও ৩০ কিলোমিটার মতো। সুনামগঞ্জে সব জায়গায় হাওর হলেও এদিককার রাস্তা বেশ ফিটফাট। হাওড়া অঞ্চলের বেশিরভাগ রাস্তাগুলো আরসিসি রোড হয়ে থাকে। আমরা গুগল ম্যাপসে লোকেশন দিয়ে বিশম্ভরপুরের উদ্দেশ্যে যেতে থাকি।
ডিভাইস: স্যামসাং গ্যালাক্সি এফ-৫৪
লোকেশন: দিরাই,সুনামগঞ্জ
তারিখ: ৩০ শে আগস্ট ২০২৩
তারপর সুনামগঞ্জ থেকে ৪৫ মিনিটের মতো বাইক জার্নি করার পর পৌঁছে গেলাম আমাদের সেই কাঙ্ক্ষিত স্থানে বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার "হাওর বিলাসে"। এখানে এসে দেখতে পেলাম যে একটি স্মৃতি ফলক রয়েছে, আর স্মৃতি পলকে লেখা রয়েছে যাদের কল্যাণে এই জায়গাটি তৈরি হয়েছে আরো লেখা আছে এই সুন্দর জায়গাটি উদ্বোধনের তারিখ।
ডিভাইস: স্যামসাং গ্যালাক্সি এফ-৫৪
লোকেশন: দিরাই,সুনামগঞ্জ
তারিখ: ৩০ শে আগস্ট ২০২৩
এমন সুন্দর স্থানে আসার পরে সবাই তো ভীষণ খুশি। আমরাই জায়গাটিতে খুব সকালে গিয়েছিলাম তাই কোন পর্যটক এখানে ছিল না আমরা ব্যতীত। আসলে এমন সুন্দর জায়গাটিতে বসে পূর্ণিমা রাতে লালন গীতি গান গাওয়ার মজাই আলাদা। সকালে ঘুম থেকে উঠে যদি এক কাপ কফি অথবা একটা লাল চা নিয়ে এই জায়গাটিতে বসা যায় তাহলে কতটা সুন্দর লাগবে একবার ভেবে দেখুন। আমার কাকা পলাশ তো এই জায়গাটিতে যাওয়ার পরে এই ছবি ওঠার জন্য বেশ তাড়াহুড়ো শুরু করে দিলো।
ডিভাইস: স্যামসাং গ্যালাক্সি এফ-৫৪
লোকেশন: দিরাই,সুনামগঞ্জ
তারিখ: ৩০ শে আগস্ট ২০২৩
"হাওর বিলাসের" জায়গাটি পুরো টাঙ্গুয়ার হাওরের একটি অংশের উপরে তৈরি। অনেক ছোট একটি জায়গা কিন্তু এই জায়গাটি এতটাই এতটাই সুন্দর এখানে কেউ এসে বসলে আর যাইতে চাইবে না। হাওরে ঠান্ডা স্নিগ্ধ বাতাস মনকে মুহূর্তে প্রশান্তিতে ভরে দেয়। হৃদয় অনাবিল শান্তি আর সুখে মেতে থাকে।
সুনামগঞ্জের "হাওর বিলাস" - ১ম পর্ব এখানেই শেষ করলাম পরবর্তীতে অন্য একটি পোস্টে ২য় পর্ব আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।
প্রিয় বন্ধুরা,
আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে প্রতিনিয়ত আমার সৃজনশীলতা দিয়ে ভালো কনটেন্ট শেয়ার করে এই কমিউনিটিকে সমৃদ্ধ করতে চাই এবং উচ্চতার শিখরে নিয়ে যেতে চাই। আমার ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই নিজের খেয়াল রাখবেন সুস্থ এবং সুন্দর থাকবেন এটাই কাম্য করি।
আমি অংকন বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @aongkon। আমি মা, মাতৃভাষা এবং মাতৃভূমিকে সব থেকে বেশি ভালোবাসি। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে। আমি বর্তমানে ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটিতে সিভিল টেকনোলজিতে বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, গান গাইতে ও শুনতে, কবিতা লিখতে ও পড়তে, আর্ট করতে, রান্না করতে ও ফটোগ্রাফি করতে খুবই পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" আমার গর্ব "আমার বাংলা ব্লগ" আমার ভালোবাসা। আমার নিজের ভেতরে লুকায়িত সুপ্ত প্রতিভাকে বিকশিত করার লক্ষ্যে "আমার বাংলা ব্লগে" আমার আগমন। এই স্বল্প মানব জীবনের প্রতিটা ক্ষণ আমার কাছে উপভোগ্য। আমি মনে করি, ধৈর্যই সফলতার চাবিকাঠি।
@aongkon
![witness_proxy_vote.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmRXkkCEbXLYwhPEYqkaUbwhy4FaqarQVhnzkh1Awp3GRw/witness_proxy_vote.png)
![witness_vote.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmW8HnxaSZVKBJJ9fRD93ELcrH8wXJ4AMNPhrke3iAj5dX/witness_vote.png)
যেখানেই ঘুরতে যাই না কেন প্রথম অনুভূতিটাই থাকে অন্যরকম। সেই রাতটা পার হতে চায় না তেমনি দারুন সময় অতিবাহিত করেছিলেন সুনামগঞ্জে। আমার এখন পর্যন্ত সুনামগঞ্জে যাওয়া হয়নি ভালো লাগলো প্রথম পর্ব পড়ে ।ধারাবাহিকভাবে আপনার ভ্রমণের গল্প এবং দৃশ্যগুলো উপভোগ করতে পারব। প্রথম দিনের শুরুর মুহূর্ত খুবই সুন্দর ছিল।
অবশ্যই বন্ধু সুনামগঞ্জের সৌন্দর্য দেখে মনমুগ্ধকর হওয়া ছাড়া আর কোন পথ থাকে না। আবার সেরকম সময় হলে সবাই মিলে একসাথে সুনামগঞ্জ ভ্রমণ করবো বন্ধু রেডি থাকো। অসংখ্য ধন্যবাদ বন্ধু মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
ভাই খুব আফসোস লাগে আমি সিলেটে গিয়েছিলাম। আমার মামা থাকে সিলেটে এবং সুনামগঞ্জ তার পাশে এবং সুনামগঞ্জে গিয়েছিললাম কিন্তু সুনামগঞ্জ যে এত সুন্দর আমি কখনো ভাবি নাই এবং ওখানে যাওয়ার কথা বলছিল কিন্তু সময় কেমন হয়ে ওঠেনি। ইনশাআল্লাহ এবার যদি যায় অবশ্যই এ হাওরগুলো ঘুরে আসবো। কিন্তু কয়েকটা হাওর দেখেছিলাম অনেকে ভালো লাগছিল। সিলেটের পরিবেশটা অনেক সুন্দর প্রাকৃতিক পরিবেশে ঘেরা। আমি সিলেটের অনেকে জায়গায় ঘুরেছিলাম আজমিরীগঞ্জ তারপরে মাজার শরীফ ও চা বাগান অনেক ভালো লাগছিল।
ভাই আপনি সিলেটের টাঙ্গুয়ার হাওর, নীলাদ্রি লেক, জাদু কাটা নদী, শিমুল বাগান, ভোলা গঞ্জ সাদা পাথর, বিছনাকান্দি, জাফলং, শ্রীমঙ্গলের চা বাগান, মাজার শরীফ অনেক জায়গায় ঘুরে দেখে আসতে পারেন। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই সুন্দর একটি মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
হঠাৎ করে প্ল্যান করে যে ঘোরাঘুরি সেটাই বেশি মজার হয়। আর এমন হঠাৎ করে বের হবার একটা মজা আছে। পাচ জন মিলে যে বেশ মজা করেছেন বোঝা যাচ্ছে। হাওর বিলাশ জায়গাটি আসলেই অনেক সুন্দর।এমন জায়গায় দাড়ালেই মনে ক্লান্তি অটোমেটিক বিদায় নেবে। ধন্যবাদ আপনাদের সিলেট ভ্রমনের মুহুর্ত গুলো শেয়ার করার জন্য।
আসলেই দাদা এমন সুন্দর মনোরম পরিবেশে থাকলে অটোমেটিক মন ভালো হয়ে যায়। আমরা পাঁচ জন মিলে বারে পুরো সিলেট বেশ ভ্রমণ করেছি আস্তে আস্তে সেসব পর্বগুলো আপনাদের সাথে পরবর্তীতে শেয়ার করবো। সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।
যত বেশি ভ্রমণ করা যাবে তত বেশি জ্ঞান অর্জন হবে। আপনাদের ভ্রমণ অনেক সুন্দর ছিল। হাওড়ের বিশালতার মনকে হারিয়ে ফেলেছেন দেখছি। মাঝে মাঝে ভ্রমণ করলে মন মানসিকতা ভালো হয়ে যায়। ধন্যবাদ আপনাকে ভ্রমণ পোস্ট শেয়ার করার জন্য
হ্যাঁ বন্ধু এবারে সুনামগঞ্জে ভ্রমণ করে অনেক জ্ঞান অর্জন হয়েছে। আসলেই বন্ধু মাঝেমধ্যে ভ্রমন করলে মন মানসিকতা অনেক ভালো হয়ে যায়। সুন্দর গঠনমূলক মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য তোমাকে অসংখ্য ধন্যবাদ বন্ধু।