ফটোগ্রাফি: "ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটির সিভিল ফেস্টিভ্যাল-২০২৩" -১ম পর্ব।
হ্যালো..!!
আমার সুপ্রিয় বন্ধুরা,
আমি @aongkon বাংলাদেশের নাগরিক।
আজ- ১৯ ই জুন, সোমবার, ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দ।
আমি অংকন বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @aongkon। আমি মা, মাতৃভাষা এবং মাতৃভূমিকে সব থেকে বেশি ভালোবাসি। আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমার মাতৃভাষা বাংলার একমাত্র ব্লগিং কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ফাউন্ডার, এডমিন প্যানেল, মডারেটর প্যানেল এবং সকল সদস্য ও সদস্যাদের আমার অন্তরের অন্তরস্থল থেকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন রইল।
কয়েকটি ছবিকে একত্রিত করে সুন্দর একটি কভার ফটো তৈরি করে নিয়েছি।
আজকে আমি আপনাদের সামনে নতুন একটি পোস্ট হাজির হয়েছি। কয়েকদিন আগে আমাদের ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটিতে সিভিল ডিপার্টমেন্ট এর ফেস্টিভ্যাল হলো। ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হওয়ার পরে এটাই প্রথম সিভিল ডিপার্টমেন্টের ফেস্টিভ্যাল পেলাম। ফেস্টিভাল সম্পর্কে আগে একটু একটু ধারণা থাকলেও আমাদের সিভিল ডিপার্টমেন্টের ফেস্টিভ্যালের দিনে সবকিছু ক্লিয়ার হয়েছি। ফেস্টিভ্যাল মানেই বিভিন্ন স্টল ঘুরে ঘুরে বিভিন্ন কিছু কেনাকাটা করা আর মজার মজার খাবার খাওয়া। ফেস্টিভ্যালে যে এতটা পরিমাণ আনন্দ হয় আসলে ফেস্টিভ্যালটা না হলে, হয়তো অজানা থেকে যেতো। আর আমাদের ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটি তে সিভিল এর স্টুডেন্ট সবথেকে বেশি।
সিভিল ডিপার্টমেন্টের আয়োজিত ফেস্টিভ্যালে প্রায় বিশটা মতো স্টল দিয়েছিলো আমাদের সিভিল ডিপার্টমেন্টের শিক্ষার্থীরা। আমাদের ব্যাচের স্টুডেন্টদের কোন স্টল ছিল না তাই আমাদের মেইন কাজ ছিল সব স্টল গুলো ঘুরে ঘুরে দেখা আর ইচ্ছামতো খাওয়া-দাওয়া করা। আমরা বন্ধুরা মিলে প্রতিটি স্টলে ঘোরাফেরা করছিলাম আর প্রতিটি স্টল থেকেই কিছু না কিছু খাওয়া দাওয়া করেছিলাম। এই ফেস্টিভ্যালে যারা স্টল দিয়েছিলো তারা সবাই আমাদের আগের ব্যাচের শিক্ষার্থীরা, অর্থাৎ তারা সবাই আমাদের থেকে সিনিয়র ছিলো।
আজকে থেকে আমি প্রতি সপ্তাহে আপনাদের সাথে আমাদের ফেস্টিভ্যালের প্রতিটি স্টলের বিভিন্ন পণ্য দ্রব্যের ফটোগ্রাফি গুলো আপনাদের সাথে পর্ব আকারে শেয়ার করব। আজকে আমি যে, স্টল থেকে বিভিন্ন পণ্যের ফটোগ্রাফি গুলো করেছি এই স্টলের নামটি ছিলো "আপ্যায়ন স্টল"। এই স্টলের নামটা আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছিলো। আজকে আমি আমাদের "ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটির সিভিল ফেস্টিভ্যাল-২০২৩" -১ম পর্বে "আপ্যায়ন" স্টল থেকে বিভিন্ন পণ্যদ্রব্যের ফটোগ্রাফি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।
আজকে আমার প্রথম ফটোগ্রাফি হচ্ছে বগুড়ার দইয়ের। বগুড়ার দই নামটা শুনলে একটু খেয়ে দেখতে ইচ্ছা করে। এই স্টলে বগুড়ার প্রতি কাপ দই ৩৫ টাকা দরে বিক্রি করছিলো। প্রতিকাপ বগুড়ার ৩৫ টাকা দামটা খুব একটা বেশি না। তাই এই দোকান থেকে প্রথমেই এক কাপ দই খেয়ে দেখলাম যে ,স্বাদটা কেমন ! তবে খাইতে বেশ ভালই লাগলো একদম অরিজিনাল বগুড়ার দই এর মতো না হলেও, স্বাদ অনেক ভালো ছিল।
এই স্টলে দ্বিতীয় ফটোগ্রাফিটি ছিল অর্গানিক এনার্জি ফুডের। যদিও এই ফুডের কৌটার উপর কোন দাম লেখা ছিলনা। আমিও কিনব না বলে, দাম শোনার প্রয়োজনীয়তা বোধ করছিলাম না। তবে সব ফুডের দাম বেশ ভালই আমার কাছে মনে হয়। এসব হাই এনার্জি ফুড খাওয়া শরীরের জন্য খুবই উপকার।
এই স্টলে আবার লটারি কুপনের সাহায্যে লাচ্ছি, দই এবং মধু পাওয়া যাচ্ছিল। ছোটবেলায় মেলায় গিয়ে বিভিন্ন দোকান থেকে লটারির মাধ্যমে অনেক কিছু খাওয়া-দাওয়া করতাম। এই লটারি কুপন সিস্টেমটা বেশ মজাদার।
আমার এই ফটোগ্রাফিটি কালিজিরা ফুলের মধু। এখানে কালিজিরা ফুলের মধুর ১০০ গ্রামের বোতল থেকে শুরু করে ১০০০ গ্রামের বোতল পাওয়া যাচ্ছিলো। অরিজিনাল কালিজিরা ফুলের মধু বেশ উপকারী আমাদের শরীরের জন্য। আমরা জানি যে, কালিজিরা এমন একটি ঔষধ যেটা খেলে শরীরের মৃত্যু ব্যতীত সকল ব্যাধি দূর হওয়া সম্ভব।
আমার এই ফটোগ্রাফিটি হলো লিচু ফুলের মধু। লিসা ফুলের মধুও ১০০ গ্রামের বোতল থেকে শুরু করে এক লিটারের বোতল পর্যন্ত ছিলো। লিচু ফুলের মধু আমি আগে কখনো দেখিনি এটাই আমার প্রথম দেখা। তবে লিচু ফুলের মধু খাওয়ার প্রতি কোন ইন্টারেস্ট ছিল না বলে দাম জিজ্ঞেস করে দেখা হয়নি।
আমার এই ফটোগ্রাফিটি হলো, সরিষা ফুলের মধু। এখানে একদম মধুর চাকের ডালা সহকারে মধু বিক্রি করা হচ্ছিলো। সরিষা ফুলের মধু আমাদের এলাকায় হয় তাই এই মধু খেয়ে দেখেছি। আমাদের বাড়িতে আগে পাকর গাছে প্রচুর পরিমাণে মধুর চাক বসতো।
সরিষা ফুলের মধু আমার কাছে খুবই ভালো লাগে খাইতে।
আজকে আমাদের "ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটির সিভিল ফেস্টিভ্যাল-২০২৩" -১ম পর্বে "আপ্যায়ন" স্টলের বিভিন্ন পণ্য দ্রব্যের ফটোগ্রাফি গুলো আপনাদের কেমন লেগেছে অবশ্যই কমেন্ট বক্সে জানাবেন। আর "ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটির সিভিল ফেস্টিভ্যাল-২০২৩" ২য় পর্ব নিয়ে খুব শীঘ্রই আসবো আপনাদের সামনে।
পোস্টের ছবির বিবরন
ক্যামেরাম্যান | @aongkon |
---|---|
ডিভাইস | স্যামসাং জে-৭ প্রো |
ক্যামেরা | ১৩ মেগাপিক্সেল |
তারিখ | ৯ ই জুন ২০২৩ |
লোকেশন | মোহাম্মদপুর,ঢাকা |
প্রিয় বন্ধুরা,
আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে প্রতিনিয়ত আমার সৃজনশীলতা দিয়ে ভালো কনটেন্ট শেয়ার করে এই কমিউনিটিকে সমৃদ্ধ করতে চাই এবং উচ্চতার শিখরে নিয়ে যেতে চাই। আমার ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই নিজের খেয়াল রাখবেন সুস্থ এবং সুন্দর থাকবেন এটাই কাম্য করি।
@aongkon
আপনাদের সিভিল ডিপার্টমেন্টের ফেস্টিভ্যাল দেখে খুবই ভালো লাগলো। যদিও খুব কাছ থেকে কখনো এরকম ফেস্টিভ্যাল দেখা হয়নি তবে আপনার এই ফটোগ্রাফির মাধ্যমে অনেকটাই ধারণা পেলাম। মজাদার মজাদার কিছু খাবারের ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন যেগুলো দেখে মনে হচ্ছে সত্যিই অনেক বেশি লোভনীয়। সুন্দর একটি মুহূর্তও অতিবাহিত করেছেন বোঝাই যাচ্ছে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
চোখের সামনে আপনার ফোনের ডিসপ্লেটা নষ্ট হয়ে যেতে দেখে খুবই খারাপ লাগছে। আশা করি, কালকে ফোনের ডিসপ্লে টা ঠিক করে আবার আমার বাংলা ব্লগে কাজ শুরু করবেন। সুন্দর গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
ভাইয়া আপনাদের ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটিতে সিভিল ডিপার্টমেন্ট এর ফেস্টিভ্যালের দারুন কিছু জিনিষের ফটোগ্রাফি দেখলাম। প্রত্যেকটা জিনিষ খুবই পুষ্টিকর ছিল। বগুরার দইটা বেশি পছন্দ হয়েছে। কারন দই আমার খুবই প্রিয়। ধন্যবাদ ভাইয়া।
বাহ্ ভাই আপনি দই খুব পছন্দ করেন জেনে ভালো লাগলো। সুন্দর গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।