ভ্রমণ: "ভোলাগঞ্জের সাদা পাথরের উদ্দেশ্যে রওনা"
হ্যালো..!!
আমার সুপ্রিয় বন্ধুরা,
আমি @aongkon বাংলাদেশের নাগরিক।
আজ- ৪ ঠা জুন, মঙ্গলবার, ২০২৪ খ্রিঃ।
আমি আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমার মাতৃভাষা বাংলার একমাত্র ব্লগিং কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ফাউন্ডার, এডমিন প্যানেল, মডারেটর প্যানেল এবং সকল সদস্য ও সদস্যাদের আমার অন্তরের অন্তরস্থল থেকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন রইল।
কয়েকটি ফটোগ্রাফি একত্রিত করে সুন্দর একটি কভার ফটো তৈরি করে নিয়েছি।
ভ্রমণের গাইডলাইন
আমরা আজকে যেখানে ভ্রমণ করবো এই জায়গাটির নাম ভোলাগঞ্জের সাদা পাথর পর্যটন কেন্দ্র। এই পর্যটন কেন্দ্রটি সিলেট বিভাগীয় শহর থেকে ৩২ কিলোমিটার দূরে। সাদা পাথর পর্যটন কেন্দ্রটি সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ভোলাগঞ্জে অবস্থিত। এই সৌন্দর্যময় স্থানটি ভারত এবং বাংলাদেশের সীমান্তে মেঘালয় পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত। সিলেট শহর থেকে এই পর্যটন কেন্দ্রটিতে আসার জন্য অনেক বাস পাওয়া যায়। তবে আমাদের বাইক ছিল তাই আমরা বাইক নিয়ে গিয়েছিলাম। সিলেট শহর থেকে ভোলাগঞ্জে যেতে এক ঘণ্টার মতো সময় লাগে। ভোলাগঞ্জে বাস থেকে নেমে ধলাই নদীর ১০ নম্বর নৌকা ঘাটে গিয়ে ৮০০ টাকা দিয়ে সাদা পাথর পর্যটন কেন্দ্রটিতে যাওয়া আসার জন্য ইঞ্জিন চালিত নৌকা ভাড়া করতে হয়। নৌকা নিয়ে ভোলাগঞ্জের সাদা পাথর পর্যটন কেন্দ্রটিতে যেতে ১৫ মিনিট মতো সময় লাগে।
ডিভাইস: স্যামসাং গ্যালাক্সি এফ-৫৪
লোকেশন: সাদা পাথর, সিলেট
তারিখ: ২ রা সেপ্টেম্বর ২০২৩ খ্রিঃ
আমরা রাতারগুল সোয়াম্প ফরেস্ট ভ্রমণ শেষ করে সিলেটের বঙ্গবন্ধু হাই-টেক পার্কে এসে কয়েক ঘন্টা বিশ্রাম নিয়ে দুইটি বাইক নিয়ে ৫ জন রওনা দিয়েছিলাম ভোলাগঞ্জের সাদা পাথরের উদ্দেশ্যে। আমরা সুনামগঞ্জ থেকে গিয়েছিলাম চারজন আর সিলেট হাই-টেক পার্কে চাকুরীজীবী অনিক দাদাকে নিয়ে গিয়েছিলাম। আমরা বঙ্গবন্ধু হাই-টেক পার্ক থেকে মোটামুটি দুপুর সাড়ে বারোটার দিকে রওনা দিয়েছিলাম। বঙ্গবন্ধু হাইটেক পার্ক থেকে ভোলাগঞ্জের সাদা পাথরের দূরত্ব মাত্র ৭ কিলোমিটার মতো।
ডিভাইস: স্যামসাং গ্যালাক্সি এফ-৫৪
লোকেশন: সাদা পাথর, সিলেট
তারিখ: ২ রা সেপ্টেম্বর ২০২৩ খ্রিঃ
সিলেট ভোলাগঞ্জের সাদা পাথর পর্যটন কেন্দ্রটি কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় অবস্থিত। আমরা যেহেতু দুপুর সাড়ে বারোটার দিকে রওনা দিয়েছিলাম তাই বাইরে প্রচন্ড রোদ ছিলো। সাত কিলোমিটার পথের ভিতরে পাঁচ কিলোমিটার পথ বেশ ভালোই ছিল আমরা কয়েক মিনিটের ভিতরেই চলে এসেছিলাম। কিন্তু দুই কিলোমিটার পথে ছিল প্রচন্ড রকমের ধুলো। এত ধুলো সাধারনত আমাদের পদ্মা নদীর চরেই দেখা যায়। এই রাস্তায় ধুলো হওয়ার একটি কারণ হচ্ছে ভারত থেকে প্রচুর পরিমাণে পাথর ইমপোর্ট করা হয় বাংলাদেশ। আর ভারত থেকে পাথর আনার কাজে ব্যবহৃত হয় বড় বড় ট্রাক।
ডিভাইস: স্যামসাং গ্যালাক্সি এফ-৫৪
লোকেশন: সাদা পাথর, সিলেট
তারিখ: ২ রা সেপ্টেম্বর ২০২৩ খ্রিঃ
যাইহোক আমরা প্রচন্ডরকম ধুলোর ভেতর দিয়েই সামনের দিকে আগাতে থাকলাম। তবে বাইকের পেছনে বসে ধুলোর ভেতর দিয়ে মেঘালয় পাহাড়ের সুন্দর দৃশ্য দেখতে পাচ্ছিলাম। যতই সামনের দিকে যাচ্ছিলাম ততই মনের ভিতরে ভীষণ ভালো লাগা কাজ করছিলো। আমরা যে, পাঁচজন গিয়েছিলাম এদের ভেতরে তিনজনের কাছে ভোলাগঞ্জের সাদা পাথর জায়গাটা নতুন ছিলো। দূর থেকে পাহাড়গুলো এতটাই সুন্দর লাগছিল যে, দেখে মনে হচ্ছিলো পাহাড়গুলো মেঘের সাথে মিশে গেছে। যাইহোক বাইক নিয়ে আমরা আমাদের কাঙ্ক্ষিত স্থানে চলে এসেছিলাম।
ডিভাইস: স্যামসাং গ্যালাক্সি এফ-৫৪
লোকেশন: সাদা পাথর, সিলেট
তারিখ: ২ রা সেপ্টেম্বর ২০২৩ খ্রিঃ
এবার আমাদের বাইক গ্যারেজে রাখতে হবে। কারণ বাইক নিয়ে সাদা পাথর পর্যটন কেন্দ্রে যাওয়ার কোন ওয়ে নেই। বাইক বা গাড়িগুলো রাখার জন্য কোন নির্দিষ্ট সুন্দর গ্যারেজ নেই এটা সবথেকে বড় সমস্যা আমার কাছে মনে হলো। যাইহোক খোলামেলা গ্যারেজে আমরা দুটি গাড়ি রাখলাম। আর গাড়ির হেলমেট গুলো গাড়ির সাথেই লক করে রাখলাম। এরকম গ্যারেজ গুলোতে অবশ্য বৃষ্টি আসলে গাড়ি ভিজে যায়। এত সুন্দর এবং নামকরা একটা পর্যটন কেন্দ্র এখানে গাড়ি রাখার ব্যবস্থাটা ভালো হলে সব থেকে সুন্দর হতো।
ডিভাইস: স্যামসাং গ্যালাক্সি এফ-৫৪
লোকেশন: সাদা পাথর, সিলেট
তারিখ: ২ রা সেপ্টেম্বর ২০২৩ খ্রিঃ
যাইহোক দুইটি বাইক গ্যারেজে রাখতে ২০ টাকা টোল দিতে হয়েছিল। আমাদের হেলমেট গুলো রাখার জন্য অবশ্য আলাদা বেশি এমাউন্টের টাকা চেয়েছিলো কিন্তু আমাদের কিন্তু আমাদের কাছে হেলমেটের লক থাকাতে এই এক্সট্রা টাকাটা দেওয়া লাগে নাই। আসলে পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে গেলে সেখানকার ব্যবসায়ীরা শুধুই সুযোগ খোঁজে পর্যটকদের থেকে বেশি টাকা নেয়ার জন্য। আমরা যদি হেলমেটের লক কিনে না নিয়ে যেতাম তাহলে আমাদেরকে বাধ্য হয়ে তাদেরকে বেশি টাকা দিতে হতো।
ডিভাইস: স্যামসাং গ্যালাক্সি এফ-৫৪
লোকেশন: সাদা পাথর, সিলেট
তারিখ: ২ রা সেপ্টেম্বর ২০২৩ খ্রিঃ
আমাদের গাড়ি দুটো পার্কিং করে আমরা হেঁটে হেঁটে ভোলাগঞ্জের ১০ নাম্বার নৌকা ঘাটের দিকে রওনা দিলাম। অবশ্য যেখানে পার্কিং করেছিলাম সেখান থেকে অটো ভাড়া পাওয়া যায় কিন্তু এতেও আবার দশ টাকা করে নেয় তবে হেঁটে যেতে সময় লাগে মাত্র পাঁচ মিনিট। যাইহোক ট্যুরে গিয়ে আমরা অযথা টাকা অপচয় করি না যেখানে প্রয়োজন সেখানেই খরচ করি। যেসব ট্রাভেলাররা বাজেট ট্যুর করে তাদের জন্য এই বিষয়টা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
ডিভাইস: স্যামসাং গ্যালাক্সি এফ-৫৪
লোকেশন: সাদা পাথর, সিলেট
তারিখ: ২ রা সেপ্টেম্বর ২০২৩ খ্রিঃ
আমরা পাঁচ মিনিট মতো হাঁটার পরেই ভোলাগঞ্জের ধলাই নদীর ১০ নম্বর নৌকা ঘাটে চলে আসলাম। এখানে প্রচুর পরিমাণে ইঞ্জিন চালিত নৌকা পাওয়া যায় সাদা পাথর পর্যটন কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য। এসব নৌকাগুলো একবারে আপডাউন ভাড়ায় যায়। আর সাদা পাথর আপডাউনের জন্য প্রতি নৌকা ৮০০ টাকা করে নেয়। তবে আটজনের বেশি লোক এই নৌকাতে ওঠা যায় না। আর এরকমটাই কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা প্রশাসনের থেকে নির্দেশিত।
আজকে এ পর্যন্তই সিলেট ভোলাগঞ্জের সাদা পাথর ভ্রমণ কাহিনী উপস্থাপন করলাম আবার পরবর্তীতে অন্য কোন পোস্টে সিলেট ভোলাগঞ্জের সাদা পাথর ভ্রমণ কাহিনী শেয়ার করবো।
প্রিয় বন্ধুরা,
আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে প্রতিনিয়ত আমার সৃজনশীলতা দিয়ে ভালো কনটেন্ট শেয়ার করে এই কমিউনিটিকে সমৃদ্ধ করতে চাই এবং উচ্চতার শিখরে নিয়ে যেতে চাই। আমার ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই নিজের খেয়াল রাখবেন সুস্থ এবং সুন্দর থাকবেন এটাই কাম্য করি।
আমি অংকন বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @aongkon। আমি মা, মাতৃভাষা এবং মাতৃভূমিকে সব থেকে বেশি ভালোবাসি। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে। আমি বর্তমানে ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটিতে সিভিল টেকনোলজিতে বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, গান গাইতে ও শুনতে, কবিতা লিখতে ও পড়তে, আর্ট করতে, রান্না করতে ও ফটোগ্রাফি করতে খুবই পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" আমার গর্ব "আমার বাংলা ব্লগ" আমার ভালোবাসা। আমার নিজের ভেতরে লুকায়িত সুপ্ত প্রতিভাকে বিকশিত করার লক্ষ্যে "আমার বাংলা ব্লগে" আমার আগমন। এই স্বল্প মানব জীবনের প্রতিটা ক্ষণ আমার কাছে উপভোগ্য। আমি মনে করি, ধৈর্যই সফলতার চাবিকাঠি।
@aongkon
বাইক নিয়ে ট্যুর দেওয়ার মতো মজা অন্য কোনভাবে পাওয়া যাবে না। যদিও ব্যস্ততার কারণে তোমাদের সাথে যাওয়া হয়ে ওঠেনি। পরবর্তীতে ইনশাল্লাহ একসাথে ঘুরতে বের হব আবার। ফটোগ্রাফি গুলো অসাধারণ ভাবে ক্যাপচার করেছেন। সুন্দর একটি ভ্রমণ পোস্ট শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
অবশ্যই বন্ধু পরবর্তীতে আমরা সবাই মিলে একসাথে বাইক ট্যুর দিবো। অনেক সুন্দর মন্তব্য প্রকাশ করার জন্য তোমাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
বাইক নিয়ে এত দূর জার্নি করে রিস্কি।আপনারা সবাই মিলে বেশ দারুন একটি ট্যুর দিলেন ভাইয়া।জায়গাটি খুব সুন্দর সাদা পাথরের এরিয়া শুনেছি।আপনারা বেশ উপভোগ করেছিলেন নিশ্চয়।ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
আসলে আপু অন্য কোন জিনিসের রিক্স নেওয়ার থেকে বাইক নিয়ে রিক্স নেয়া ভালো। বাইক নিয়ে ট্যুর দিতে ভীষণ ভালো লাগে। সুন্দর সাবলীল ভাষায় মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।