"মেট্রোরেল ভ্রমণ কাহিনী - ২য় পর্ব"
হ্যালো..!!
আমার সুপ্রিয় বন্ধুরা,
আমি @aongkon বাংলাদেশের নাগরিক।
আজ- ২৩ ই এপ্রিল, রবিবার, ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দ।
আমি অংকন বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @aongkon। আমি মা, মাতৃভাষা এবং মাতৃভূমিকে সব থেকে বেশি ভালোবাসি। আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমার মাতৃভাষা বাংলার একমাত্র ব্লগিং কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ফাউন্ডার, এডমিন প্যানেল, মডারেটর প্যানেল এবং সকল সদস্য ও সদস্যাদের আমার অন্তরের অন্তরস্থল থেকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন রইল।
আমি আজকে আপনাদের সামনে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি।কিছুদিন আগে আমি, আমার জীবনের প্রথম মেট্রোরেলে ভ্রমণ করেছি আমার এক ছোট ভাইকে সাথে নিয়ে। নতুন নতুন জায়গা থেকে নতুন নতুন অভিজ্ঞতা নেয়ার জন্য জীবনে ভ্রমণের প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। আমি ভ্রমণ করতে খুবই পছন্দ করি। ছোটবেলা থেকেই নতুন নতুন জায়গাতে ঘুরে বেড়ানোর প্রচন্ড অভ্যাস হয়েছে। কিন্তু এখন পড়াশোনার চাপে খুব একটা ভ্রমণ করা হয় না।তারপরও চেষ্টা করি নতুন নতুন জায়গাগুলো ভ্রমণ করে অভিজ্ঞতা নেওয়ার জন্য। আমার জীবনের প্রথম মেট্রোরেলে ভ্রমণ কাহিনী আমি আপনাদের সাথে কয়েকটি পর্ব আকারে শেয়ার করব।
কয়েকটি ছবি নিয়ে সুন্দর একটি কভার ফটো তৈরি করে নিয়েছি।
ঢাকার ভিতরে প্রচন্ড যানজট নিরসন করানোর জন্য বাংলাদেশ সরকার মেট্রোরেল প্রকল্প হাতে নিয়েছিল অনেকদিন আগেই। মেট্রোরেল প্রকল্পের আগারগাঁও থেকে নর্থ উত্তরা পর্যন্ত কাজ সম্পূর্ণ হওয়ার পরে কারণে কিছুদিন আগেই বাংলাদেশ এর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মেট্রোরেল উদ্বোধন করেছেন। আর উদ্বোধনের পর থেকে বাংলাদেশের সাধারণ জনগণ মেট্রোরেল চলাচলের সুবিধাটা পাচ্ছে। ঢাকাতে মেট্রোরেল উদ্বোধন করার পর থেকেই ইচ্ছা ছিল মেট্রোরেলে ভ্রমণ করার।
আর কিছুদিন আগেই আমার সেই ইচ্ছাটা পূরণ করলাম। আমরা শুধুমাত্র মেট্রোরেল ভ্রমণের উদ্দেশ্যে আগারগাঁও মেট্রোরেল স্টেশন থেকে উত্তরা উত্তর মেট্রোরেল স্টেশন পর্যন্ত গিয়েছিলাম আবার সেখান থেকে ব্যাক এসেছিলাম। গত সপ্তাহে আমি মেট্রোরেল ভ্রমণ কাহিনীর - ১ম পর্ব আপনাদের সাথে শেয়ার করেছিলাম। আর আজকে আমি আপনাদের সাথে মেট্রোরেলে ভ্রমণ কাহিনী - ২য় পর্ব শেয়ার করব।
.....আমরা টিকিট ক্রয় করার জন্য টিকিট বিক্রয় মেশিনের কাছে গেলাম দেখলাম সেখানে প্রচুর পরিমাণে ভিড় রয়েছে। ডিজিটাল পদ্ধতিতে এভাবে টিকিট বিক্রয় দেখতে বেশ ভালই লাগছিল। এটিএম বুথের মাধ্যমে টিকিট বিক্রয় করা হচ্ছিল। অসাধারণ জনগণকে টিকিট ক্রয় সম্বন্ধে গাইড করার জন্য প্রতিটি টিকিট বিক্রয় মেশিনের সাথে একজন করে গাইড ছিল।
টিকিট বিক্রিয় মেশিনে ভীর থাকার কারণে আমরা সেখান থেকে টিকিট ক্রয় না করে একটু পাশেই টিকিট বিক্রয় কাউন্টারে গেলাম টিকিট ক্রয় করার জন্য।
আমরা আগেই ভাড়ার তালিকা দেখে নিয়েছিলাম। তাই কোন স্টেশন পর্যন্ত কত টাকা মোটামুটি ধারণা হয়ে গিয়েছিল। তারপরে আমরা যেহেতু আগারগাঁও মেট্রো রেল স্টেশন থেকে একদম শেষ স্টেশন উত্তরা উত্তর স্টেশনে যাব সেখানকার টিকিট ক্রয় করলাম দুইটি। আগারগাঁও মেট্রো রেল স্টেশন থেকে উত্তরা উত্তর মেট্রোরেল ষ্টেশনের প্রতি টিকিটের মূল্য পরল ৬০ টাকা করে। এই ডিজিটাল টিকিট গুলা এটিএম কার্ডের মত বেশ শক্ত এবং এগুলো পার্মানেন্ট টিকিট। এ ধরনের টিকিট পেয়ে বেশ খুশি খুশি লাগছিল। টিকিটগুলো আমার কাছে অনেক পছন্দ হয়েছিল।
এই টিকেটের পিছনে কিছু নির্দেশনা দেওয়া ছিল। টিকিটের পিছনে নির্দেশনা গুলো আমি ভালোভাবে পড়ে নিলাম এবং একটি ছবি করে রাখলাম।
এবার আমরা মেট্রোরেল ওঠার জন্য টিকিট ক্রয় করে স্বয়ংক্রিয় গেটের মাধ্যমে প্রবেশ করলাম। প্রবেশ করার সময় যার যার টিকিট হাতে নিয়ে স্বয়ংক্রিয় গ্রেটের সাথে একটি ক্যামেরা আছে সেখানে টিকিট টি শো করাতে হয়। প্রতিটি স্বয়ংক্রিয় গেটের সাথে একজন করে গাইড ছিল। যাতে করে সাধারণ জনগণকে সঠিকভাবে গাইড করতে পারে। যতক্ষণ না টিকিট টি শো করানো যাবে ততক্ষন স্বয়ংক্রিয় গেট বন্ধ থাকবে। প্রতিটি টিকিট শো করানোর সাথে সাথে স্বয়ংক্রিয় গেট অটোমেটিক খুলে যাচ্ছিল।
স্বয়ংক্রিয় অটোমেটিক গেট পার হয়েই ডানদিকে স্টেশনের উপরের তালায় যাওয়ার জন্য চলন্ত সিঁড়ি রয়েছে। তারপর আমরা স্বয়ংকারী সিঁড়ি দিয়ে উপরের তালায় উঠতে থাকলাম। স্বয়ংক্রিয় সিঁড়িতে উঠার মজাই আলাদা।
স্টেশনের উপরে উঠে দেখলাম দুই পাশে দুটি প্ল্যাটফর্ম রয়েছে। আমরা উঠেই ডান দিকের প্ল্যাটফর্মের দিকে গেলাম। তবে এখানেও গাইড ছিল তারা দেখিয়ে দিচ্ছে কোন প্লাটফর্মে আমাদেরকে যেতে হবে। কারণ আগারগাঁও থেকে উত্তরা উত্তরা স্টেশনে যাওয়ার জন্য সকল ট্রেনগুলো ডান দিকে প্ল্যাটফর্ম দিয়েই আসে।
আমার ভাই অর্ঘ্য মেট্রো রেল টিকিট হাতে করে স্টেশনে প্লাটফর্মে মেট্রোরেল ভ্রমণের জন্য অপেক্ষা করছে।
প্ল্যাটফর্মের গিয়ে দেখলাম অনেকেই ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করছে। মেট্রো রেলের পতিটা জায়গায় স্বয়ংক্রিয় সিস্টেম। স্বয়ংক্রিয় সব সিস্টেমগুলো আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। আর সাধারণ জনগণকে গাইড দেয়ার জন্য প্রতিটা জায়গায় গাইডার রয়েছে। ট্রেনে ওঠার জন্য প্ল্যাটফর্মে আলাদা আলাদা গেইট রয়েছে আর সেই গেট গুলোও স্বয়ংক্রিয়। আর সেইসব স্বয়ংক্রিয় গেট থেকে নির্দিষ্ট দূরত্বে দাঁড়ানোর নির্দেশনা দেওয়া রয়েছে। আমি মেট্রো রেল স্টেশনে যাওয়ার পর থেকেই সকল নির্দেশনা গুলো খুব ভালোভাবে পড়ছিলাম আর দেখছিলাম। সকল ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনা এড়ানোর জন্য এসব নির্দেশনা গুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করতে থাকলাম। তারপর....
পরবর্তী অংশ "মেট্রোরেল ভ্রমণ কাহিনী- ৩য় পর্বে" আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব।
পোস্টের ছবির বিবরন
ক্যামেরাম্যান | @aongkon |
---|---|
ডিভাইস | স্যামসাং জে-৭ প্রো |
ক্যামেরা | ১৩ মেগাপিক্সেল |
তারিখ | ০৩ রা এপ্রিল |
লোকেশন | ঢাকা, বাংলাদেশ |
প্রিয় বন্ধুরা,
আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে প্রতিনিয়ত আমার সৃজনশীলতা দিয়ে ভালো কনটেন্ট শেয়ার করে এই কমিউনিটিকে সমৃদ্ধ করতে চাই এবং উচ্চতার শিখরে নিয়ে যেতে চাই। আমার "মেট্রোরেল ভ্রমণ কাহিনী- ২য় পর্ব" ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই নিজের খেয়াল রাখবেন সুস্থ এবং সুন্দর থাকবেন এটাই কাম্য করি।
@aongkon
ঢাকার যানজট সমস্যা হয়তো অনেকটাই কমেছে এই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হওয়ার পর।আসলেই এই প্রকল্পটি অনেকটা সমৃদ্ধি করেছে বাংলাদেশ কে।আপনার ভাইয়ের সাথে মেট্রোরেল ভ্রমণের প্রথম পর্ব পড়ে অনেক ভালো লেগেছিল।এই পর্ব টিও অনেক ভালো লাগলো।এসকল সয়ংক্রিয় সিড়িতে ওঠার মজাই আলাদা ঠিক বলেছেন।আপনার ভাই টিকেট নিয়ে অপেক্ষা করছেন।ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য ভাইয়া।
হ্যাঁ আপু চলন্ত সিঁড়িতে উঠার মজাই আলাদা। সুন্দর গঠনমূলক মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
বাংলাদেশে শেষ কবে ট্রেন জার্নি করেছি তা একদমই মনে পড়ছে না। তবে মেট্রোরেলে চড়ার ইচ্ছে ভীষণ। মাঝে একবার ঢাকা গিয়েও সময়ের অভাবে আর ওইদিকে যাওয়া হয়নি। এরপর গিয়ে অবশ্যই উঠবো। আপনার ছবিগুলো থেকে প্লাটফর্মের ভেতরের অবস্থানগুলো সম্পর্কে বেশ স্পষ্ট একটা ধারণা পেলাম। বেশ ভালো লাগলো সত্যি।
দাদা অবশ্যই ঢাকাতে আসলে এই মেট্রোরেলে উঠবেন। সুন্দর গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।