"সিলেটের জাফলং ভ্রমণ- ৫ ম পর্ব"
হ্যালো..!!
আমার সুপ্রিয় বন্ধুরা,
আমি @aongkon বাংলাদেশের নাগরিক।
আজ- ৬ ই অক্টোবর, রবিবার, ২০২৪ খ্রিঃ।
আমি আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমার মাতৃভাষা বাংলার একমাত্র ব্লগিং কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ফাউন্ডার, এডমিন প্যানেল, মডারেটর প্যানেল এবং সকল সদস্য ও সদস্যাদের আমার অন্তরের অন্তরস্থল থেকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন রইল।
কয়েকটি ফটোগ্রাফি একত্রিত করে সুন্দর একটি কভার ফটো তৈরি করে নিয়েছি।
আমরা নৌকার ছাদের উপরে উঠে বেশ ভালোই প্রাকৃতিক দৃশ্য উপভোগ করছিলাম। জাফলং থেকে নৌকাতে উঠলে মায়াবি ঝর্ণার স্পটে যেতে সময় লাগে মাত্র ১০-১৫ মিনিট মতো। আমরা মেঘালয় পাহাড়ের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলাম আর মেঘালয় পাহাড়ের সৌন্দর্য উপভোগ করছিলাম।
আমরা যেমন বড় নৌকাতে উঠে ছাদের উপরে থেকে সৌন্দর্য উপভোগ করছিলাম তেমনি কেউ কেউ ছোট নৌকাতে করে সেখানকার সৌন্দর্য উপভোগ করছিল। বড় নৌকাতে করে সৌন্দর্য উপভোগ করার এক রকম মজা আবার ছোট নৌকাতে করে সৌন্দর্য উপভোগ করার আরেকরকম মজা। এখানকার ছোট নৌকাগুলো ইঞ্জিনবিহীন।
প্রচন্ড রোদের ভেতরে নৌকা ছাদে বসে থাকতে আমাদের কোনো অসুবিধা হয়নি কারণ প্রচুর বাতাস ছিল। আর সবাই মিলে যদি সুন্দর মুহূর্ত উপভোগ করা যায় তাহলে কোন অসুবিধা হয় না। সবুজ আকাশে সাদা মেঘের বেলি ভেসে বেড়াচ্ছিলো দেখতে চমৎকার লাগছিল।
আমরা মোটামুটি ১০-১৫ মিনিটের ভেতরেই মায়াবী ঝর্নার নৌকা ঘাট স্পটে পৌঁছে যায়। এখানে আসা যাওয়ার জন্য আমাদের জনপ্রতি নৌকা ভাড়া নিয়েছিল ৫০ টাকা করে। আমরা যে নৌকাতে এসেছিলাম আবার সেই নৌকাতেই ফিরে যেতে হবে।
এখানে আশা এবং যাওয়ার প্যাকেজ একসাথে। যাইহোক আমাদের হাতে যেহেতু সময় অনেক কম ছিল তাই আমরা দেরি না করে স্পটের দিকে হেঁটে হেঁটে আগাতে থাকি। প্রচন্ড রোদে বালির ভেতর দিয়ে হাঁটতে অনেক কষ্ট হয়েছিলো।
আমরা একটু হেঁটে সামনের দিকে গিয়ে একটি লেবুর ড্রিংসের দোকান পাই। তারপর ঠান্ডা লেবুর শরবত খেয়ে আবার সামনের দিকে আগাতে থাকি। প্রচন্ড গরমে ডিহাইড্রেশন থেকে বাঁচার জন্য লেবুর শরবত ভীষণ উপকারী।
আমরা মায়াবী ঝর্নার মেইন স্পটে যাওয়ার জন্য আমাদের জিনিসপত্র একটি লকার ভাড়া করে রাখলাম। তারপর স্নান করার প্রস্তুতি নিয়ে মায়াবী ঝর্নার উদ্দেশ্যে বের হলাম।
আজকে এ পর্যন্তই আমি আবার অন্য পোস্টে জাফলং ভ্রমণ কাহিনী শেয়ার করবো।
ডিভাইস: স্যামসাং গ্যালাক্সি এফ-৫৪
লোকেশন: বিছনাকান্দি, সিলেট
তারিখ: ৩ রা সেপ্টেম্বর ২০২৩ খ্রিঃ
প্রিয় বন্ধুরা,
আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে প্রতিনিয়ত আমার সৃজনশীলতা দিয়ে ভালো কনটেন্ট শেয়ার করে এই কমিউনিটিকে সমৃদ্ধ করতে চাই এবং উচ্চতার শিখরে নিয়ে যেতে চাই। আমার ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই নিজের খেয়াল রাখবেন সুস্থ এবং সুন্দর থাকবেন এটাই কাম্য করি।
আমি অংকন বিশ্বাস, আমার ইউজার নেইম @aongkon। আমি মা, মাতৃভাষা এবং মাতৃভূমিকে সব থেকে বেশি ভালোবাসি। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে। আমি বর্তমানে ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটিতে সিভিল টেকনোলজিতে বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, গান গাইতে ও শুনতে, কবিতা লিখতে ও পড়তে, আর্ট করতে, রান্না করতে ও ফটোগ্রাফি করতে খুবই পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" আমার গর্ব "আমার বাংলা ব্লগ" আমার ভালোবাসা। আমার নিজের ভেতরে লুকায়িত সুপ্ত প্রতিভাকে বিকশিত করার লক্ষ্যে "আমার বাংলা ব্লগে" আমার আগমন। এই স্বল্প মানব জীবনের প্রতিটা ক্ষণ আমার কাছে উপভোগ্য। আমি মনে করি, ধৈর্যই সফলতার চাবিকাঠি।
@aongkon
জাফলং যাওয়ার সুযোগ কখনো হয়নি। তবে এই সৌন্দর্য দেখে এখনই মন চাচ্ছে ছুটে চলে যেতে। ফটোগ্রাফি গুলো খুবই সুন্দর হয়েছে ভাইয়া। আপনি অনেক সুন্দর সময় কাটিয়েছেন বুঝতে পারছি।
এটা সত্যি বলেছেন আপু এমন সৌন্দর্য দেখে ইচ্ছা করে ছুটে চলে যেতে। সুন্দর সাবলীল ভাষায় মন্তব্য প্রকাশ করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
আপনার ভ্রমণ অভিজ্ঞতা পড়ে ভালো লাগলো দাদা।আসলেই ভ্রমন করলে মনে যেমন প্রশান্তি পাওয়া যায় তেমনি নতুন কিছু সম্পর্কে জানাও যায়।আপনার তোলা ফটোগ্রাফিগুলি অসাধারণ কিন্তু জলের রং কেমন শ্যাওলার মতো।দারুণ সময় পার করেছেন আশা করি,ধন্যবাদ দাদা।
আমার ভ্রমণ অভিজ্ঞতা পড়ে ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম দিদি। হ্যাঁ দিদি ভ্রমণ করলে প্রশান্তি পাওয়া যায়। সন্ধ্যা সাবলীল ভাষায় মন্তব্য প্রকাশ করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
টাইটেল টা ঠিক করে নেবেন। পঞ্চম হবে।
হুম দাদা ঠিক করে নিয়েছি।
আপনার কাছ থেকে এই সিলেট এর জাফলং ভ্রমণের অনেকগুলো পর্ব দেখেছিলাম৷ আজকে এর আরো একটি পর্ব দেখে খুবই ভালো লাগছে৷ যেভাবে আপনি আজকের এই সুন্দর পর্ব এখানে শেয়ার করেছেন তা খুবই অসাধারণ হয়েছে৷ একই সাথে এখানে আপনি আজকের এই পর্বের মধ্যে খুব সুন্দরভাবে সবকিছু ফটোগ্রাফির মাধ্যমে ফুটিয়ে তুলেছেন৷ খুব সুন্দর ভাবে বর্ণনাও দিয়েছেন৷ ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য৷
আমি চেষ্টা করেছি আমার ভ্রমণ বিষয়ক পোস্ট আপনাদের মাঝে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করার জন্য। ভ্রমণ করতে আমি ভীষণ ভালোবাসি। আপনার সুন্দর মন্তব্যটি পড়ে অনেক ভালো লাগলো ভাই।