ফটোগ্রাফি: "ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটির সিভিল ফেস্টিভ্যাল-২০২৩" -  ৯ম পর্ব।

in আমার বাংলা ব্লগlast year


হ্যালো..!!
আমার সুপ্রিয় বন্ধুরা,
আমি @aongkon বাংলাদেশের নাগরিক

আজ- ৩রা আগষ্ট, বৃহস্পতিবার,২০২৩ খ্রিষ্টাব্দ

আমি অংকন বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @aongkon। আমি মা, মাতৃভাষা এবং মাতৃভূমিকে সব থেকে বেশি ভালোবাসি। আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমার মাতৃভাষা বাংলার একমাত্র ব্লগিং কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ফাউন্ডার, এডমিন প্যানেল, মডারেটর প্যানেল এবং সকল সদস্যসদস্যাদের আমার অন্তরের অন্তরস্থল থেকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন রইল।



কভার ফটো

20230801_211238.jpg

কয়েকটি ছবিকে একত্রিত করে সুন্দর একটি কভার ফটো তৈরি করে নিয়েছি।



আজকে আমি আপনাদের সামনে নতুন একটি পোস্ট হাজির হয়েছি। কিছুদিন আগেই আমাদের ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটিতে সিভিল ডিপার্টমেন্ট এর ফেস্টিভ্যাল হলো। ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হওয়ার পরে এটাই প্রথম সিভিল ডিপার্টমেন্টের ফেস্টিভ্যাল পেলাম। ফেস্টিভাল সম্পর্কে আগে একটু একটু ধারণা থাকলেও আমাদের সিভিল ডিপার্টমেন্টের ফেস্টিভ্যালের দিনে সবকিছু ক্লিয়ার হয়েছি। ফেস্টিভ্যাল মানেই বিভিন্ন স্টল ঘুরে ঘুরে বিভিন্ন কিছু কেনাকাটা করা আর মজার মজার খাবার খাওয়া। ফেস্টিভ্যালে যে এতটা পরিমাণ আনন্দ হয় আসলে ফেস্টিভ্যালটা না হলে, হয়তো অজানা থেকে যেতো। আর আমাদের ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটি তে সিভিল এর স্টুডেন্ট সবথেকে বেশি।

20230801_211000.jpg

সিভিল ডিপার্টমেন্টের আয়োজিত ফেস্টিভ্যালে প্রায় বিশটা মতো স্টল দিয়েছিলো আমাদের সিভিল ডিপার্টমেন্টের শিক্ষার্থীরা। আমাদের ব্যাচের স্টুডেন্টদের কোন স্টল ছিল না তাই আমাদের মেইন কাজ ছিল সব স্টল গুলো ঘুরে ঘুরে দেখা আর ইচ্ছামতো খাওয়া-দাওয়া করা। আমরা বন্ধুরা মিলে প্রতিটি স্টলে ঘোরাফেরা করছিলাম আর প্রতিটি স্টল থেকেই কিছু না কিছু খাওয়া দাওয়া করেছিলাম। এই ফেস্টিভ্যালে যারা স্টল দিয়েছিলো তারা সবাই আমাদের আগের ব্যাচের শিক্ষার্থীরা, অর্থাৎ তারা সবাই আমাদের থেকে সিনিয়র ছিলো।

আজকে থেকে আমি প্রতি সপ্তাহে আপনাদের সাথে আমাদের ফেস্টিভ্যালের প্রতিটি স্টলের বিভিন্ন পণ্য দ্রব্যের ফটোগ্রাফি গুলো আপনাদের সাথে পর্ব আকারে শেয়ার করবো। আজকে আমি যে, স্টল থেকে বিভিন্ন পণ্যের ফটোগ্রাফি গুলো করেছি এই স্টলের নামটি ছিলো "ট্রেডিশনাল ফুড কর্নার"। এই স্টলের নামটা আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছিলো। আজকে আমি আমাদের "ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটির সিভিল ফেস্টিভ্যাল-২০২৩" - ৯ম পর্বে "ট্রেডিশনাল ফুড কর্নার" স্টল থেকে বিভিন্ন পণ্যদ্রব্যের ফটোগ্রাফি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।



প্রথম ফটোগ্রাফি

20230801_211037.jpg

আমার প্রথম ফটোগ্রাফি ছিলো, মায়ের হাতের বাহারি ক্ষীর পাটিসাপটা পিঠা। মায়ের হাতে তৈরি পিঠা মানেই ভিন্ন কিছু ভিন্ন স্বাদের। মায়ের হাতের তৈরি যে, কোন জিনিসের উপরেই আমাদের একটি আলাদা ভালোবাসা এবং ভালো লাগা কাজ করে সব সময়। মায়ের হাতের তৈরি বাহারি ক্ষীর পাটিসাপটা আমার খুবই পছন্দের একটি পিঠা। আমাদের এই স্টলে মায়ের হাতের বাহারি ক্ষীর পাটিসাপটা পিঠা ৫০ টাকা প্রতি পিস বিক্রি করছিল বিক্রেতারা। এই মায়ের হাতে তৈরি বাহারি ক্ষীর পাটিসাপটা পিঠা খুবই স্বাদের পিঠা।

দ্বিতীয় ফটোগ্রাফি

20230801_211023.jpg

এই স্টলে দ্বিতীয় ফটোগ্রাফিটি ছিলো, মায়ের হাতের তেলের পিঠা। এই পিঠা ও মায়ের হাতে তৈরি সুন্দর মজাদের একটি পিঠা। আমরা যখন বাড়িতে থাকি বা বাইরে থেকে লেখাপড়া করি বা চাকরি করে থাকি তখন অনেকদিন পরে বাড়ি গেলে মা বিভিন্ন রকম পিঠা বানিয়ে খাওয়ায় তার ভেতর তেলে ভাজা পিঠাটা খুবই প্রিয়। তেলেভাজা পিঠা বানানোর প্রক্রিয়াটা অনেক সহজ প্রক্রিয়া। এই তেলে ভাজা পিঠা বানাতে খুবই অল্প সময় লাগে আর গরম গরম খেতে বেশ সুস্বাদু হয়। এই স্টল এর বিক্রেতারা মায়ের হাতে তেলে ভাজা পিঠা প্রতি পিস ১০ টাকা দরে বিক্রি করছিলো।



তৃতীয় ফটোগ্রাফি

20230609_115559.jpg

এই স্টলের আমার তৃতীয় ফটোগ্রাফিটি ছিলো, ঐতিহ্যবাহী বগুড়ার দই। আপনারা হয়তো অনেকেই জানেন যে, বগুড়ার দই স্বাদে ও গুনে অনেক বিখ্যাত। প্রতি কাপ ঐতিহ্যবাহী বগুড়া দই চল্লিশ টাকা দরে বিক্রি করছিলো বিক্রেতারা।



চতুর্থ ফটোগ্রাফি

20230609_115458.jpg

আমার এই ফটোগ্রাফিটি ছিলো, ঐতিহ্যবাহী মাদারীপুরের বাহারি লাড়ু। নাড়ুর কথাটা শুনলে ইচ্ছা করে তাড়াতাড়ি করে কয়েকটা খেয়ে নিই। ছোটবেলায় মা যখন বাড়িতে পূজার আগে নাড়ু বানাত তখন পকেটের ভেতর সব সময় নাড়ু থাকতোই, একটা করে পকেট থেকে বের করতাম আর একটা করে খেতাম এখন সবই স্মৃতিময়। মাদারীপুরের ঐতিহ্যবাহী বাহারি নাড়ু প্রতিপিস ৩০ টাকা দরে বিক্রি করেছিলো বিক্রেতারা।



পঞ্চম ফটোগ্রাফি

20230609_115626.jpg

আমার এই ফটোগ্রাফিটি হলো, হোমমেড কলার চিপস। এই দোকানের সব খাবারের পণ্যগুলোর বেশ সুন্দরভাবে পলিথিনের কাগজ দিয়ে প্রক্রিয়াজাত করা। কালার চিপস গুলো দেখতে সুন্দর লাগলেও আমি নিজে ব্যক্তিগতভাবে খুব একটা পছন্দ করি না। এই চিপসে কালার মেশানোর জন্য আমার কাছে অপছন্দের। সম্পূর্ণ এই প্লেটের চিপস ৫০ টাকা দরে বিক্রি করছিলো বিক্রেতারা।



ষষ্ঠ ফটোগ্রাফি

20230609_115516.jpg

আমার এই ফটোগ্রাফিটি হলো, মজাদার পুলি পিঠা। পুলি পিঠা আমার জানামতে দুই ধরনের হয়ে থাকে একটি ভাজি করা পুলি পিঠা আরেকটি দুধে বা রসে ভেজানো পুলে পিঠা। আমার ফটোগ্রাফির পুলি পিঠাটি ছিলো তেলে ভাজি করা পুলি পিঠা‌ এই দুই ধরনের পুলি পিঠা খেতে অনেক সুস্বাদু হয়। আসলে ঢাকাতে আসার পরে যে, কোনো পিঠা খাওয়াটাই অনেকটা ভুলে গিয়েছি। বাড়িতে থাকতে মা মাঝেমধ্যেই বিভিন্ন রকমের পিঠা বানিয়ে খাওয়াতো। এই পুলি পিঠা আমার খুবই পছন্দের একটি পিঠা। প্রতি পিস পুলি পিঠা ৫০ টাকা দরে বিক্রি করছিলো বিক্রেতারা।

সপ্তম ফটোগ্রাফি

20230609_115618.jpg

আমার এই ফটোগ্রাফিটি হলো, ঐতিহ্যবাহী নকশি পিঠা। নকশি পিঠা নামটা শুনলেই মনের ভেতর বিভিন্ন রকম পিঠার নকশা অংকন হয়ে যায় মনের অজান্তেই। নকশি পিঠা মানেই সুন্দর ডিজাইনের নকশা করা সুন্দর সাজের পিঠা। এই স্টলের বিক্রেতারা ঐতিহ্যবাহী নকশি পিঠা প্রতি পিস ৫০ টাকা দরে বিক্রি করছিলো। নকশি পিঠা আমার পছন্দের অন্যতম একটি পিঠা।



আজকে আমাদের "ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটির সিভিল ফেস্টিভ্যাল-২০২৩" - ৯ম পর্বে "ঐতিহ্যবাহী ফুড কর্নার" স্টলের বিভিন্ন পণ্য দ্রব্যের ফটোগ্রাফি গুলো আপনাদের কেমন লেগেছে অবশ্যই কমেন্ট বক্সে জানাবেন। আর "ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটির সিভিল ফেস্টিভ্যাল-২০২৩" ১০ পর্ব নিয়ে খুব শীঘ্রই আসবো আপনাদের সামনে।



পোস্টের ছবির বিবরন

ক্যামেরাম্যান@aongkon
ডিভাইসস্যামসাং জে-৭ প্রো
ক্যামেরা১৩ মেগাপিক্সেল
তারিখ৯ ই জুন ২০২৩
লোকেশনগাবতলী,ঢাকা


প্রিয় বন্ধুরা,

আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে প্রতিনিয়ত আমার সৃজনশীলতা দিয়ে ভালো কনটেন্ট শেয়ার করে এই কমিউনিটিকে সমৃদ্ধ করতে চাই এবং উচ্চতার শিখরে নিয়ে যেতে চাই। আমার ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই নিজের খেয়াল রাখবেন সুস্থ এবং সুন্দর থাকবেন এটাই কাম্য করি।



সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ
@aongkon



VOTE@bangla.witness as witness witness_proxy_vote.png
OR
SET @rme as your proxy
witness_vote.png

standard_Discord_Zip.gif

Sort:  
 last year 

এই ধরনের ফেস্টিভ্যাল এ অনেক কিছুই দেখতে পাওয়া যায়। বিশেষ করে পিঠার বিভিন্ন রকম রেসিপি বা বিভিন্ন রকমের ডিজাইন দেখতে পাওয়া যায়। ধন্যবাদ আপনাকে ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটির সিভিল ফেস্টিভ্যাল এর ফটো চিত্র তুলে ধরার জন্য।

Coin Marketplace

STEEM 0.16
TRX 0.15
JST 0.029
BTC 57190.65
ETH 2409.68
USDT 1.00
SBD 2.28