"গড়াই নদীর পাড়ে হাওয়া ভবনের স্পেশাল দুধ-চা"
হ্যালো..!!
আমার সুপ্রিয় বন্ধুরা,
আমি @aongkon বাংলাদেশের নাগরিক।
আজ- ১৫ ই এপ্রিল, সোমবার, ২০২৪ খ্রিঃ।
আমি আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমার মাতৃভাষা বাংলার একমাত্র ব্লগিং কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ফাউন্ডার, এডমিন প্যানেল, মডারেটর প্যানেল এবং সকল সদস্য ও সদস্যাদের আমার অন্তরের অন্তরস্থল থেকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন রইল।
কয়েকটি ফটোগ্রাফি একত্রিত করে সুন্দর একটি কভার ফটো তৈরি করে নিয়েছি।
আমি আজকে আপনাদের সামনে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি প্রতিনিয়ত আমার বাংলা ব্লগে নতুন নতুন পোস্ট শেয়ার করতে আমার অনেক বেশি ভালো লাগে। আমি বেশ কিছুদিন হলেও ঈদের ছুটিতে ঢাকা থেকে বাড়িতে এসেছি। আমি বাড়িতে আসার পরে আমি বাড়িতে আসার পরে গ্রামীণ প্রকৃতিতে অনেক সুন্দর সময় অতিবাহিত করছি। যদিও প্রচন্ড গরম একটু কষ্ট হচ্ছে মাঝেমধ্যে কিন্তু প্রকৃতির সাথে নিজেকে মানিয়ে নিয়েছি। গ্রামীন প্রকৃতি এ যেমনই হোক না কেন আমার কাছে অনেক বেশি এই ভালো লাগে।
সবুজ ফসলের মাঠ কিম্বা সবুজ গাছ পালায় ভরা গ্রামীন প্রকৃতি দেখতে ভীষণ ভালো লাগে। আমার মাঝেমধ্যে মনে হয় সারা জীবন যদি এভাবেই প্রকৃতির মাঝে গ্রামে কাটিয়ে দিতে পারতাম তাহলে কতই না সুন্দর হতো ! কিন্তু লেখাপড়া কিংবা কর্ম করার জন্য হলেও আমাদেরকে শহরে থাকতে হয়। আমি ব্যক্তিগতভাবে মোটেও শহরে পরিবেশ পছন্দ করি না। শহরের জীবনযাত্রা আমার কাছে রোবটিক মনে হয়। যাইহোক আসল কথায় আসি কয়েকদিন আগে আমাদের জানিপুরের হাওয়া ভবনে গিয়েছিলাম এক কাপ স্পেশাল দুধ-চা খেতে আর নদীর পাড়ের কিছু মুহূর্ত উপভোগ করার জন্য।
আমি গ্রামে আসলে নিজের বাড়িতে যতটা সময় থাকি তার থেকে বেশি সময় থাকি বাড়ির বাইরে। অর্থাৎ বন্ধুবান্ধব, বড় ভাই কিংবা ছোট ভাইদের সাথে ঘুরে সময় কাটায়। সত্যি বলতে যেড় কোন জায়গায় ঘোরাফেরা করতে আমার ভীষণ ভালো লাগে। বিশেষ করে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যময় যেকোন স্থানে ঘুরতে সব থেকে বেশি পছন্দ করি আমি। ঈদের আগে সোনালী ব্যাংক থেকে বাবার চেক দিয়ে টাকা তোলার জন্য গিয়েছিলাম জানিপুরে। আমাদের বাড়ি হতে জানিপুরে দূরত্ব ৮ কিলোমিটার মতো।
সেদিনে টাকা তোলার জন্য পৌনে তিনটার দিকে ব্যাংকের সামনে গেলাম গিয়ে দেখি তখন আর কাউকে ব্যাংকের ভেতরে ঢুকতে দেয়া হচ্ছে না। কারণ ব্যাংকের সব লেনদেনগুলো তিনটের ভিতরেই শেষ করে দেয়া হয়। কিন্তু ভাগ্য খারাপ থাকাতে আজকে ১৫ মিনিট আগেই দেখি সব লেনদেন বন্ধ করে দিয়েছে। যাইহোক সেদিন টাকা তুলে ঢাকার মেসে পাঠাতে হবে বাসা ভাড়া সহ তাই টাকাটা বেশ প্রয়োজনীয় ছিল। তাই মনটা খারাপ করে সোনালী ব্যাংকের পাশেই হাওয়া ভবনে নদীর পাড়ে চলে গেলাম।
হাওয়া ভবন বলতে মূলত এই গড়াই নদীর পাড়ের জায়গাটিতে একজন প্রভাবশালী ব্যক্তি বেশ কয়েক বছর আগে বাড়ি করতে চেয়েছিল। তারপর নিচ থেকে কলাম পর্যন্ত বাড়ির কাজ করার পরে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এসে নদী ভাঙ্গন আইন ভঙ্গ করার কারণে উপরের যে, কলামগুলো দিয়েছিল প্রতিটি কলাম ভেঙে দেয়া হয়। তারপর থেকে এই জায়গাটি এরকম অবস্থাতেই রয়েছে। নদীর পাড়ে এমন সুন্দর জায়গা হওয়ার কারনে যেকোনো সময়ে এখানে এসে মানুষ বসে নদীর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করে। আমি গিয়েছিলাম দুপুর ৩ টার দিকে আকাশে ছিল মেঘের ঘনঘটা।
মেঘলা আকাশের প্রকৃতি টা দেখতে ভীষণ ভালো লাগছিলো। হাওয়া ভবনের সাথেই একজন বৃদ্ধ অনেক বছর ধরে দুধ চা বিক্রি করে। এই বৃদ্ধের স্পেশালস্পেশাল দুধ চা আমাদের খোকসার ভিতরে বেশ নামকরা। আমি যখন ছোট ছিলাম বাবার সাথে জানিপুরে এসে হাওয়া ভবন থেকে এই বৃদ্ধের দুধ চা খেতাম আর নদীর প্রাকৃতিক দৃশ্য উপভোগ করতাম। আমি এই জায়গাটিতে আসার সাথে সাথেই এক কাপ দুধ চায়ের অর্ডার দিলাম দিয়ে একটি চেয়ার নিয়ে বসে এখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে থাকলাম।
আমি দুধ চা অর্ডার দেয়ার কয়েক মিনিট পরেই তৈরি হয়ে গেলে দুধ চা আমার কাছে দিয়ে যায়। সত্যি বলতে হওয়া ভবনের এই দুধ চা আমার কাছে অনেক স্মৃতি বহন করে। ছোটবেলায় বাবার সাথে বসে বসে চা খাওয়ার স্মৃতি। এরকম স্মৃতি গুলো আসলে কখনোই ভোলা যায় না। হাওয়া ভবনে বসে নদীর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ আর দুধ চা এর স্বাদ দুটোই একসাথে নিতে বেশ ভালই লাগছিলো। মুহূর্তের ভিতরেই হৃদয় সতেজ হয়ে উঠেছিলো।
আসলে প্রকৃতির সান্নিধ্যে গেলে মন যতই খারাপ থাকুক না কেন মুহূর্তের ভেতরে ততই ভালো হয়ে যায়। এক কথায় প্রকৃতি কখনোই কাউকে নিরাশ করে না। আপনি বা আমি যদি প্রকৃতিকে ভালোবাসি প্রকৃতিও ঠিক তেমনি আমাদেরকে সেই ভালোবাসাটা ফিরিয়ে দেবে। যদি আমরা প্রকৃতির সাথে খারাপ করি তবে প্রকৃতিও আমাদের সাথে তার থেকে অনেক বেশি খারাপ করবে। তাই সব সময় আমাদের সবার উচিত প্রকৃতিকে ভালোবাসা প্রকৃতির সান্নিধ্যে থাকা। হ্যাঁ ভবনের দুধ চায়ের সাথে নদীর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করে মনটা সতেজ করে বাসায় ফিরে বেশ ভালই লাগছিলো।
পোস্টের ছবির বিবরন
ডিভাইস | স্যামসাং গ্যালাক্সি এফ-৫৪ |
---|---|
ক্যামেরা | ১০৮ মেগাপিক্সেল |
তারিখ | ৮ ই এপ্রিল ২০২৪ খ্রিঃ |
লোকেশন | কুষ্টিয়া |
প্রিয় বন্ধুরা,
আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে প্রতিনিয়ত আমার সৃজনশীলতা দিয়ে ভালো কনটেন্ট শেয়ার করে এই কমিউনিটিকে সমৃদ্ধ করতে চাই এবং উচ্চতার শিখরে নিয়ে যেতে চাই। আমার ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই নিজের খেয়াল রাখবেন সুস্থ এবং সুন্দর থাকবেন এটাই কাম্য করি।
আমি অংকন বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @aongkon। আমি মা, মাতৃভাষা এবং মাতৃভূমিকে সব থেকে বেশি ভালোবাসি। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে। আমি বর্তমানে ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটিতে সিভিল টেকনোলজিতে বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, গান গাইতে ও শুনতে, কবিতা লিখতে ও পড়তে, আর্ট করতে, রান্না করতে ও ফটোগ্রাফি করতে খুবই পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" আমার গর্ব "আমার বাংলা ব্লগ" আমার ভালোবাসা। আমার নিজের ভেতরে লুকায়িত সুপ্ত প্রতিভাকে বিকশিত করার লক্ষ্যে "আমার বাংলা ব্লগে" আমার আগমন। এই স্বল্প মানব জীবনের প্রতিটা ক্ষণ আমার কাছে উপভোগ্য। আমি মনে করি, ধৈর্যই সফলতার চাবিকাঠি।
@aongkon
দাদা আপনার এই গড়াই নদী দেখে তো প্রেমে পড়ে গেলাম। বেশ মন চাইছে জায়গাটিতে ছুটে যেতে। আপনি কিন্তু বেশ সুন্দর করে কিছু ফটোগ্রাফির সাথে সাথে পুরো পোস্টটি আমাদের মাঝে সুন্দর করে তুলে ধরেছেন। গড়াই নদীর তীরে হাওয়া ভবনের কথা শুনে তো বেশ ভালোই লাগলো।
আসলে নদীর পাড়ে গিয়ে বিকালের দিকে একটু সময় কাটাতে ভীষণ ভালো লাগে। আর সাথে যদি এক কাপ চা থাকে তাহলে সময়টা বেশ দারুন কাটে। আমার পোস্টটি পড়ে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
গ্রামের প্রকৃতি আসলেই খুব সুন্দর। গরম হওয়া সত্বেও আপনি প্রকৃতিতে নিজেকে মানিয়ে নিয়েছেন। গড়াই নদীর পাশে বসে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করেছেন। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করার পাশাপাশি স্পেশাল দুধ চা খেয়েছেন। বেশ ভালো লাগলো আপনার কাটানো সুন্দর মুহূর্ত দেখে। ফটোগ্রাফি গুলো ভালো ছিল।
হ্যাঁ আপু গ্রামের প্রকৃতি সবসময়ই অনেক বেশি সুন্দর হয়। গরম দেশে সব জায়গায় আছেন তবে নিজেকে মানিয়ে নিতে হবে। নদীর পাড়ে বসে অনেক সুন্দর সময় অতিবাহিত করেছিলাম। সুন্দর মন্তব্য প্রকাশ করার জন্য ধন্যবাদ আপু।
অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। গড়াই নদীর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগের পাশাপাশি স্পেশাল দুধ চা পান করার চমৎকার একটি অনুভূতি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনার এই পোস্টটি পড়ে সত্যি আমার অনেক ভালো লেগেছে। একই সাথে আপনার পোস্টে গড়াই নদীর চমৎকার দৃশ্যের ফটোগ্রাফি গুলো দেখেও আমার অনেক ভালো লেগেছে। অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ঘোড়ায় নদী সৌন্দর্য অনেক বেশি সুন্দর আর বিকালে নদীর পাড়ে বসে চা খাওয়ার ভিতরে আলাদা একটি আনন্দ উপভোগ করা যায়। খুবই সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
এই জায়গা টাই আমি অনেক বার গিয়েছি। গড়াই নদী সংলগ্ন জায়গা টা দারুণ সুন্দর। তবে এই হাওয়া ভবনের পেছনে যে এইরকম একটা কাহিনী আছে সেটা আমি আগে জানতাম না। এখানে বসে দুধ চা খাওয়ার মধ্যে একটা ভালো লাগা কাজ করছিল আপনার মধ্যে সেটা বোঝাই যাচ্ছে। সময় টা দারুণ কাটিয়েছেন। ধন্যবাদ আমাদের সাথে শেয়ার করে নেওয়ার জন্য আপনাকে।।
ভাই আমাদের খোকসাতে আসলে অবশ্যই এ জায়গাটিতে এসে ঘুরে যাবেন আশা করি অনেক ভালো লাগবে। বিশেষ করে বিকালের মুহূর্তে এখানে বসে চা খাইতে বেশ দারুন লাগে। সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ভাই, গড়াই নদীর পাড়ে হাওয়া ভবনের স্পেশাল দুধ চায়ের কালার দেখে মনে হচ্ছে খেতে ভীষণ সুস্বাদু। আমার আবার চায়ের নেশাটা অনেক বেশি। তাই যে কোন দোকানে চায়ের মান ভালো হলে, সেখানে গিয়ে আমি চা খাওয়ার চেষ্টা করি। আর আপনি যে চায়ের ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন, তা দেখেতো আমি লোভে পড়ে গেলাম হাহাহা। যাইহোক ভাই, সুস্বাদু চা সেই সাথে মেঘলা আকাশ, তার সাথে রয়েছে নদীর ফুরফুরে হাওয়া, সবমিলিয়ে আপনার সময়টা যে বেশ ভালো কেটেছে তা বুঝতে পারছি। আর সেই সুন্দর সময়টুকু আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
হ্যাঁ ভাই সব মিলিয়ে গড়াই নদীর পাড়ে বেশ দারুন সময় অতিবাহিত করেছিলাম। সুন্দর গঠনমূলক মন্তব্য প্রকাশ করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
আসলে ছুটির সময় গুলো বাড়িতে বসে নষ্ট না করে বাইরে ঘোরাফেরা করাই ভালো। তবে বিশ্রামের ক্ষেত্রে বিষয়টা আলাদা। যাইহোক আপনি ব্যাংক থেকে টাকা তুলতে না পেরে একটু কষ্ট পেলেও শেষে নদীর পাড়ে বসে চা খাওয়ার মাধ্যমে নিশ্চয়ই খুব সুন্দর কিছু মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন। আসলে দেখে মনে হচ্ছে এরকম জায়গায় বসে চা খেতে বেশ ভালোই লাগবে। আর যদি সেই জায়গার সাথে ছোটবেলার স্মৃতি জড়িয়ে থাকে তাহলে তো কোনো কথাই নেই। যাইহোক ধন্যবাদ ভাই আপনাকে এই সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
এটা সত্যিই বাড়িতে বসে থেকে সময় নষ্ট না করে বাইরে ঘোরাফেরা করাই অনেক ভালো। গড়াই নদীর পাড়ে বসে এই জায়গাটিতে চা খাওয়ার মজাই আলাদা। সুন্দর মন্তব্য প্রকাশ করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
নদীর তীরে সময় কাটাতে খুবই ভালো লাগে। কারন সেখানে নদী থেকে ঠান্ডা হাওয়া শরীরে লাগে। আর সেখানে যদি এক কাপ চা পাওয়া যায়,আনন্দের সীমা থাকে না। আপনাদের গড়াই নদীর পাড়ে হাওয়া ভবনের স্পেশাল দুধ-চা খাওয়ার অনুভূতি দারুন ছিল। ধন্যবাদ।
নদীর ঠান্ডা হওয়া প্রাণকে জুড়িয়ে দেয়। আর সাথে এক কাপ চা সত্যি বেশ দারুণ লাগে। অনেক সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।