"সুনামগঞ্জের লাকমাছড়া ভ্রমণ-শেষ পর্ব"

in আমার বাংলা ব্লগ5 months ago


হ্যালো..!!
আমার সুপ্রিয় বন্ধুরা,
আমি @aongkon বাংলাদেশের নাগরিক

আজ-১১ই ফেব্রুয়ারি, রবিবার,২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ

আমি আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমার মাতৃভাষা বাংলার একমাত্র ব্লগিং কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ফাউন্ডার, এডমিন প্যানেল, মডারেটর প্যানেল এবং সকল সদস্যসদস্যাদের আমার অন্তরের অন্তরস্থল থেকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন রইল।



আজকে আমি আপনাদের সামনে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। প্রতিনিয়ত আপনাদের সামনে নতুন নতুন পোস্ট শেয়ার করতে আমার অনেক বেশি ভালো লাগে। আপনারা অনেকে জানেন যে, আমি গত বছরে আগস্ট মাসের শেষের দিকে সিলেটে ভ্রমণে বেরিয়েছিলাম। এই ভ্রমণটা আমার জীবনের সবথেকে বড় একটি ভ্রমণ ছিলো। আর এই ভ্রমণ থেকে আমি অনেক জ্ঞানলাভ করতে পেরেছি। আসলে মানুষের শারীরিক সুস্থতার পাশাপাশি মানসিক সুস্থতার ও প্রয়োজন হয় আর মানসিক সুস্থতার জন্য প্রয়োজন বেশি বেশি ভ্রমণ করা আর জ্ঞান লাভ করা। এর আগে আমি সুনামগঞ্জ মিনি কক্সবাজার ভ্রমণ, পদ্মবিল ভ্রমণ, ফ্লাওয়ার গার্ডেন ভ্রমণ, সুনামগঞ্জের হাওর বিলাস ভ্রমণ, শিমুলবাগান ভ্রমণ ১ম ও ২য় পর্ব, অ্যাডভেঞ্চার জাদুকাটা নদী ভ্রমণ সুনামগঞ্জের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের খোঁজে ১ম পর্ব, ২য় পর্ব, ৩য় পর্ব‌ও ৪র্থ পর্ব, সুনামগঞ্জের নীলাদ্রি লেক- ১ম পর্ব ও ২য় পর্ব, সুনামগঞ্জের লাকমাছড়ার পথে ও "সুনামগঞ্জের লাকমাছড়া ভ্রমণ-১ম পর্ব ও ২য় পর্ব আপনাদের সাথে শেয়ার করেছিলাম। আর আজকে আমি "সুনামগঞ্জের লাকমাছড়া ভ্রমণ-শেষ পর্ব" আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।

আমি পাথর দিয়ে টাওয়ার তৈরি করছিলাম তখন বন্ধু রাহুল আসলো। তারপর দুই বন্ধু মিলে পাথর দিয়ে তৈরি টাওয়ারের বেশ কয়েকটি ফটোগ্রাফি করলাম এবং পাথরের সাথে আমার কয়েকটি ছবি তুলে দিতে বললাম। তারপর বন্ধু রাহুলের সাথে স্রোতের ভেতরের উঁচু পাথর গুলোর উপর বসে বসে এখানকার প্রকৃতি এবং আজকের সারাদিনের ট্যুরপ্লান নিয়ে কিছু কথাবার্তা বললাম। আমরা যারা ট্রাভেলে গিয়েছিলাম তাদের ভিতর সবথেকে ট্যুর বিষয়ে অভিজ্ঞ আমার বন্ধু রাহুল।

আর বন্ধুরা ভুল না থাকলে হয়তো আজকে এত সুন্দর টুর প্ল্যানিং করে ঘুরতে পারতাম না। আসলে একটু প্ল্যানিং সম্পর্কে জানতে ওর প্রচুর ঘাটাঘাটি করতে হয়েছিল ইউটিউবে। বন্ধুরা রাহুল ট্যুরে আসার আগেই বিভিন্ন ব্লগারদের ভিডিও ব্লগ দেখতেন। আর এই কারণেই বন্ধু রাহুল সবার থেকে একটু প্ল্যানিং সম্পর্কে বেশি জানতো। বন্ধুরা রাহুলের দিয়ে আমি কয়েকটি ছবি তুলে নেয়ার পরে বন্ধুরা রাহুলেরও কয়েকটি ছবি তুলে দিলাম।

এই জায়গাটিতে আসার পরে নিজেরা ছবি উঠানো থেকে এখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করাটার উপরেই আমরা বেশি গুরুত্ব দিয়েছিলাম। কারণ লাকমাছড়ার‌মতো প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আগে যে, কয়েকটা স্পটে ঘুরেছিলাম সেখানে পেয়েছিলাম না। এখানে বেশি ভালো লাগার কারণ হচ্ছে সাথেই মেঘালয় পাহাড় এবং মেঘালয় পাহাড় থেকে পতিত ঝর্ণার জল পাথরের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়ার দৃশ্য।

এরকম সুন্দর দৃশ্য আসলে আমাদের হৃদয়কে প্রশান্তিতে ভরিয়ে তোলে। সব থেকে ভালো লেগেছে অবশ্যই এখানকার ঝর্ণার বয়ে যাওয়া ঠান্ডা জল। আমি আর আমার বন্ধু রাহুল বসে ছিলাম তখন আমার পলাশ কাকা আমার কাছে এসে বলল যে একটা পাথর নিয়ে দুজন মিলে ক্যাচ ধরা ধরি করি আর রাহুল ফটোগ্রাফি করুক। কাকার আইডিয়াটা দারুন ছিল তাই বললাম যে, আচ্ছা ঠিক আছে একটা পাথর দাও দুজন মিলে তাহলে ক্যাচ ধরাধরি করি আর রাহুল ফটোগ্রাফি করুক।

তারপর এখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করা শেষে আমরা রওনা দিই লেবু ড্রিংকসের দোকানে দিকে। কারণ লেবু ড্রিংসের দোকানেই আমাদের সকল ব্যাগপত্র এবং বাইক গুলা রাখা ছিল। আসার সময় অবশ্য প্রচন্ড রোদের ভেতরে একটু কষ্ট হচ্ছিল। তারপরও এখানকার প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখতে বেশ ভালো লাগছিল। আমরা লাকমাছড়া ছেড়ে আসার সময়ও দেখলাম যে, আরও নতুন দুইটি বাচ্চা একটি ঠেলাগাড়ি নিয়ে বালির উপর বয়ে যাওয়া জলের ভেতরে মজার খেলা করছে।

আমরা যারা গিয়েছিলাম সবাই একটু সময় দাঁড়িয়ে এই বাচ্চাদের খেলা উপভোগ করলাম। সত্যি বলতে বাচ্চাদের খেলা দাঁড়িয়ে থেকে উপভোগ করার মাঝেও আলাদা আনন্দ কাজ করে। আমি যখনই তাদের খেলা দেখি তখনই মনে হয় যে, আমি কল্পনায় আমার শৈশবে ফিরে গিয়েছি। শৈশবের সুন্দর স্মৃতিময় দিনগুলো আর কখনো ফিরে পাবো না কিন্তু শৈশবের মধুর দিনগুলোর কল্পনা করতে ভীষণ ভালো লাগে। এখানকার বাচ্চা গুলোর খেলা উপভোগ করে আমরা আবার হাঁটা শুরু করলাম।

কিছু সময় হাঁটার পর আমরা সেই লেবু ড্রিংকস এর দোকানে এসে উপস্থিত হলাম। যেহেতু প্রচন্ড রোদে অনেক হাফিয়ে গিয়েছিলাম তাই একটু রেস্ট নিয়েই আবার লেবু ড্রিঙ্কস খেলাম। তারপর আমার আমাদের ব্যাকপত্র সবকিছু গুছিয়ে নিয়ে বাইকে করে টেকেরঘাটের উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। এখন টেকেরঘাট থেকে এই নৌকা ভাড়া করে আমাদের টাঙ্গুয়ার হাওর ভ্রমণ করতে হবে।

আমি পরবর্তীতে সুনামগঞ্জের টাঙ্গুয়ার হাওরের ভ্রমণ কাহিনীর পোস্ট আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।



পোস্টের ছবির বিবরণ


ডিভাইস: স্যামসাং গ্যালাক্সি এফ-৫৪
লোকেশন: সুনামগঞ্জ, সিলেট
তারিখ: ৩০ শে আগস্ট ২০২৩



প্রিয় বন্ধুরা,

আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে প্রতিনিয়ত আমার সৃজনশীলতা দিয়ে ভালো কনটেন্ট শেয়ার করে এই কমিউনিটিকে সমৃদ্ধ করতে চাই এবং উচ্চতার শিখরে নিয়ে যেতে চাই। আমার ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই নিজের খেয়াল রাখবেন সুস্থ এবং সুন্দর থাকবেন এটাই কাম্য করি।



আমি কে !

20230826_112155.jpg

আমি অংকন বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @aongkon। আমি মা, মাতৃভাষা এবং মাতৃভূমিকে সব থেকে বেশি ভালোবাসি। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে। আমি বর্তমানে ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটিতে সিভিল টেকনোলজিতে বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, গান গাইতে ও শুনতে, কবিতা লিখতে ও পড়তে, আর্ট করতে, রান্না করতে ও ফটোগ্রাফি করতে খুবই পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" আমার গর্ব "আমার বাংলা ব্লগ" আমার ভালোবাসা। আমার নিজের ভেতরে লুকায়িত সুপ্ত প্রতিভাকে বিকশিত করার লক্ষ্যে "আমার বাংলা ব্লগে" আমার আগমন। এই স্বল্প মানব জীবনের প্রতিটা ক্ষণ আমার কাছে উপভোগ্য। আমি মনে করি, ধৈর্যই সফলতার চাবিকাঠি।



সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ
@aongkon



VOTE@bangla.witness as witness witness_proxy_vote.png
OR
SET @rme as your proxy
witness_vote.png

standard_Discord_Zip.gif

Posted using SteemPro Mobile

Sort:  
 5 months ago 

প্রথমত বলবো যে ভ্রমন ঘুরাঘুরি এসব বেচেঁ থাকার প্রানকেন্দ্র ৷তাই ঘুরাঘুরি ভ্রমন করতে হয় ৷ আপনি আপনার বন্ধুদের সঙ্গে সিলেট ভ্রমন করতে গিয়ে দারুন একটি সময় অতিবাহিত করেছেন ৷বিশেষ করে ফটোগ্রাফি গুলো দেখে মুগ্ধ হলাম ৷ সবমিলে দারুন একটা সময় কাটিয়েছেন ৷

 5 months ago 

ভ্রমণ করলে মানসিক একটা শান্তি পাওয়া যায়। অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।

Posted using SteemPro Mobile

Coin Marketplace

STEEM 0.18
TRX 0.14
JST 0.029
BTC 57062.81
ETH 3068.42
USDT 1.00
SBD 2.43