"স্বামীবাগ ইসকন মন্দিরে কাটানো সুন্দর মুহূর্ত"
হ্যালো..!!
আমার সুপ্রিয় বন্ধুরা,
আমি @aongkon বাংলাদেশের নাগরিক।
আজ- ২০ শে মে, সোমবার, ২০২৪ খ্রিঃ।
আমি আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমার মাতৃভাষা বাংলার একমাত্র ব্লগিং কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ফাউন্ডার, এডমিন প্যানেল, মডারেটর প্যানেল এবং সকল সদস্য ও সদস্যাদের আমার অন্তরের অন্তরস্থল থেকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন রইল।
কয়েকটি ফটোগ্রাফি একত্রিত করে সুন্দর একটি কভার ফটো তৈরি করে নিয়েছি।
আমি আজকে আপনাদের সামনে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি প্রতিনিয়ত আমার বাংলা ব্লগে নতুন নতুন পোস্ট শেয়ার করতে আমার অনেক বেশি ভালো লাগে। প্রতিটি মানুষের উচিত নিজ নিজ ধর্মকে ধারণ করা এবং পালন করা। আমার অনেকদিন ধরেই ইচ্ছা ছিলো ঢাকার স্বামীবাগ ইসকন মন্দিরে যাওয়ার। কয়েকমাস আগে অবশ্য এই ইচ্ছা পূরণ করতে পেরেছিলাম। এই ইচ্ছাটি পূরণ করলেও স্বামীবাগ ইসকন মন্দিরের প্রতি ছিল ভীষণ টান। আমাদের সনাতন ধর্মী ও আচার এবং অনুষ্ঠানগুলো আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে। আমি সব সময় চেষ্টা করি ধর্মীয় অনুষ্ঠানগুলোতে সম্পৃক্ত থাকার জন্য। গতকালকে আমি ঢাকার স্বামীবাগের ইসকন মন্দিরে গিয়েছিলাম সেই মুহূর্ত আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।
আমাদের মোহাম্মদপুরের বাসা হতে স্বামীবাগ ইসকন মন্দিরের দূরত্ব বেশি হওয়ার কারণে এই যানজট পেরিয়ে ইসকন মন্দিরে যাওয়াটা বেশ কষ্টসাধ্য। এর আগে অবশ্য একবার দরকারি কাজে স্বামীবাগ ইসকন মন্দিরে গিয়েছিলাম এবং সেখানে অনেক সুন্দর সময় অতিবাহিত করছি। মন্দিরে গেলে হৃদয়ে আলাদা রকমের প্রশান্তি অনুভব করা যায়। গতকালকে আমার পলাশ কাকাকে সাহায্য করার জন্য সায়েদাবাদ গিয়েছিলাম।
তারপর কাকাকে সাহায্য করার পরে হঠাৎ করেই স্বামীবাগ ইসকন মন্দিরের কথা মাথায় আসলো। তখন আমি মোবাইলের গুগল ম্যাপ চালু করে দেখলাম যে, স্বামীবাগ ইসকন মন্দির কত দূরে অবস্থিত। গতকালকে আমি যেখানে ছিলাম সেখান থেকে স্বামীবাগ ইসকন মন্দিরের দূরত্ব খুব কাছে হওয়ার কারণে আমি হেটে হেঁটেই স্বামীবাগ ইসকন মন্দিরের দিকে রওনা দিলাম। আপনারা হয়তো অনেকেই জানেন বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ মন্দির প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে স্বামীবাগে। এই মন্দিরের কনস্ট্রাকশন কাজ দেখে সত্যিই অবাক হয়ে গিয়েছিলাম। আমি সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়ার কারার কারণে বেশ কিছু সময় দাঁড়িয়ে স্বামীবাগ ইসকন মন্দিরের কনস্ট্রাকশন কাজগুলো দেখেছিলাম। এই মন্দিরের ডিজাইন এত সুন্দর যে, যখন কাজ সম্পন্ন হবে তখন এই মন্দিরের দিকে তাকিয়ে থাকতে ইচ্ছা করবে।
আমি যখন স্বামীবাগ ইসকন মন্দিরে গিয়েছিলাম তখন ঘড়ির কাঁটায় দুপুর বারোটা মতো বাজে। স্বামীবাগ মেইন মন্দিরের খানিকটা দূর থেকেই হরিনাম সংকীর্তন এর আওয়াজ পাচ্ছিলাম। সত্যি বলতে এই আওয়াজটা শোনার পরে মনের ভিতরে শীতল হয়ে আসে। আমি ভিতরে প্রবেশ করে দেখতে পেলাম যে, বেশ কয়েকজন প্রভু এবং ভক্তবৃন্দরা মিলে একসাথে হরিনাম সংকীর্তন করছে। আমিও মন্দিরের ভিতরে গিয়ে প্রণাম করে তাদের সাথে হরিনাম সংকীর্তনে যুক্ত হলাম।
আমি স্বামীবাগ ইসকন মন্দিরে ঢুকতেই প্রথমেই দেখতে পেলাম শিব শংকরের মূর্তি। ভগবান শিব শংকর ত্রিকালদর্শী তার তিনটি চোখ আছে আর এই তিনটি চোখ দিয়ে তিনি অতীত বর্তমান এবং ভবিষ্যৎ দেখতে পায়। ভগবান শিব শংকরের অনেক নাম রয়েছে ভোলানাথ, মহাদেব, শম্ভু ইত্যাদি। ভগবান শিব শংকর সব সময় ধ্যানে মগ্ন থাকেন।
ভগবান শিব শংকরের পাশের মন্দিরে ছিলো শ্রী শ্রী মা কালীর মূর্তি। যখন মা পার্বতী অসুরদের বধ করার জন্য মা কালীর রূপ ধারণ করেন সেই সময়ে পৃথিবী ধ্বংসের দিকে চলে যায়। আর তখন মা কালীকে থামানোর জন্য সব দেব দেবতারা ভগবান শিবের আরাধনা করেন। তখন ভগবান শিব মা কালীর সামনে গিয়ে শুয়ে পড়েন আর তারপরেই মা কালী ভুল করে ভগবান শিবের শরীরে পা দিয়ে ফেলেন।
স্বামীবাগ ইসকনে জগন্নাথ দেবের মন্দিরের পাশেই রয়েছে শ্রীল অভয়চরণাবৃন্দ ভক্তিবেদান্ত স্বামী প্রভুপাদের মূর্তি। শ্রীল অভয়চরণাবৃন্দ ভক্তিবেদান্ত স্বামী প্রভুপাদ ইসকনের প্রতিষ্ঠাতা। তিনি সারা বিশ্বে হরিনাম ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য ইসকন প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। আর এটি এখন সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবথেকে বড় ধর্মীয় সংগঠন।
পোস্টের ছবির বিবরন
ডিভাইস | স্যামসাং গ্যালাক্সি এফ-৫৪ |
---|---|
ক্যামেরা | ১০৮ মেগাপিক্সেল |
তারিখ | ২০ শে মে ২০২৪ খ্রিঃ |
লোকেশন | ঢাকা |
প্রিয় বন্ধুরা,
আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে প্রতিনিয়ত আমার সৃজনশীলতা দিয়ে ভালো কনটেন্ট শেয়ার করে এই কমিউনিটিকে সমৃদ্ধ করতে চাই এবং উচ্চতার শিখরে নিয়ে যেতে চাই। আমার ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই নিজের খেয়াল রাখবেন সুস্থ এবং সুন্দর থাকবেন এটাই কাম্য করি।
আমি অংকন বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @aongkon। আমি মা, মাতৃভাষা এবং মাতৃভূমিকে সব থেকে বেশি ভালোবাসি। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে। আমি বর্তমানে ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটিতে সিভিল টেকনোলজিতে বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, গান গাইতে ও শুনতে, কবিতা লিখতে ও পড়তে, আর্ট করতে, রান্না করতে ও ফটোগ্রাফি করতে খুবই পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" আমার গর্ব "আমার বাংলা ব্লগ" আমার ভালোবাসা। আমার নিজের ভেতরে লুকায়িত সুপ্ত প্রতিভাকে বিকশিত করার লক্ষ্যে "আমার বাংলা ব্লগে" আমার আগমন। এই স্বল্প মানব জীবনের প্রতিটা ক্ষণ আমার কাছে উপভোগ্য। আমি মনে করি, ধৈর্যই সফলতার চাবিকাঠি।
@aongkon
আমাদের সনাতন ধর্মীয় আচার এবং অনুষ্ঠানগুলো আপনার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে, জেনে সত্যিই খুব খুশি হলাম ভাই। আসলে ইসকন মন্দিরে ঘুরতে আমারও অনেক বেশি ভালো লাগে। এই জন্য তো মায়াপুরে চলে যাই মাঝেমধ্যে। স্বামীবাগ ইসকন মন্দিরের কাজ দেখেই বোঝা যাচ্ছে যে, মন্দিরটা কত বড় হবে। তাছাড়া বিভিন্ন দেবদেবীর মূর্তি এবং ইসকনের প্রতিষ্ঠাতা শ্রীল অভয়চরণাবৃন্দ ভক্তিবেদান্ত স্বামী প্রভুপাদের মূর্তি দেখে বেশ ভালো লাগলো।
আপনিও মাঝেমধ্যে মায়াপুরের ইসকন মন্দিরে চলে যান ঘুরতে বেশ ভালো লাগলো শুনে। সুন্দর সাবলীল ভাষায় মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।
সেখানে গেলে আলাদা একটা শান্তি লাগে ভাই, এইজন্যই মাঝে মাঝে সেখানে চলে যাই।