"সিলেটের জাফলং ভ্রমণ- ২য় পর্ব"
হ্যালো..!!
আমার সুপ্রিয় বন্ধুরা,
আমি @aongkon বাংলাদেশের নাগরিক।
আজ- ২৯ শে সেপ্টেম্বর, শনিবার, ২০২৪ খ্রিঃ।
আমি আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমার মাতৃভাষা বাংলার একমাত্র ব্লগিং কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ফাউন্ডার, এডমিন প্যানেল, মডারেটর প্যানেল এবং সকল সদস্য ও সদস্যাদের আমার অন্তরের অন্তরস্থল থেকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন রইল।
কয়েকটি ফটোগ্রাফি একত্রিত করে সুন্দর একটি কভার ফটো তৈরি করে নিয়েছি।
আমরা দুপুরে খাওয়া-দাওয়া শেষ করে বাইক গ্যারেজে রেখে প্রথমে জাফলং জিরো পয়েন্টের উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। অনেক পথ বাইক জার্নি করে আসার পরে একটু রেস্ট নেয়ার দরকার ছিল কিন্তু আমাদের হাতে সময় কম থাকার কারণে সেটা হয়ে ওঠেনি।
কারণ আমাদেরকে প্রথমে জাফলং জিরো পয়েন্ট যেতে হবে তারপর সেখান থেকে মায়াবী ঝর্নায় যেতে হবে। আমাদের এই দুই জায়গা ভ্রমণ শেষ করতে হবে সন্ধ্যার আগেই। কারণ আমরা এখান থেকে ভ্রমণ শেষ করে রাতেই বাসায় ফিরবো।
আমরা জাফলং যার উদ্দেশ্যে যখন রওনা দিয়েছিলাম তখন ঘড়ির কাঁটায় ১ টা বেজে ৩৩ মিনিট ছিলো। দুপুরের প্রচন্ড রোদ মাথার উপরে এসে পড়েছিল। আমাদেরকে এখন প্রায়ই আধা ঘণ্টার মতো হাঁটতে হবে প্রথমে সিঁড়ি দিয়ে তারপর বালি আর পাথরের ভেতর দিয়ে।
আমরা সিঁড়ি দিয়ে নিচে নামার সময় অনেকগুলি দোকান দেখলাম যে, সব দোকানগুলো দেখে সত্যিই অনেক ভালো লেগেছে। বিশেষ করে দোকানের জিনিসপত্র গুলো একদম আনকমন লেগেছে। নিচে নামার সময় সিঁড়ির দুপাশ দিয়ে অনেক দোকান ছিল।
আমরা মাঝেমধ্যে রেস্ট নেয়ার জন্য দোকানে ছাউনিতে দাঁড়িয়েছিলাম। কারণ নিচে নামার জন্য অনেকগুলো সিঁড়ির ধাপ ছিল যেগুলো রোদের ভেতরে একবারে হেঁটে পার করা অনেক কঠিন ব্যাপার। আমরা সিঁড়ি দিয়ে নিচে নামছিলাম আর মনে মনে এটা ভাবছিলাম যে, যখন এই সিঁড়ি দিয়ে উপরে উঠবো তখন এর থেকেও অনেক বেশি কষ্ট হবে।
আমরা সিঁড়ি দিয়ে বেশ কয়েক মিনিট হাঁটার পরে নদীর বালির ভেতর দিয়ে হাঁটা শুরু করলাম। এটা ছিল আমাদের জন্য বেশ কষ্টের। আমরা যখন গিয়েছিলাম তখন নদীর জল শুকিয়ে গিয়েছিল তাই আমাদের এই নদী হেঁটে পার করতে হয়েছিল। বর্ষার মৌসুমে এই নদী ভরা অবস্থায় থাকে তখন নৌকাতে করে জাফলং জিরো পয়েন্টে যাওয়া যায় তখনকার সৌন্দর্য টা অনেক গুণ বেশি থাকে।
এই কারণেই জাফলং ভ্রমণ জুন-জুলাই মাসের দিকে করলে সব থেকে বেশি ভালো হয়। এ সময়টাতে নদীতে জল থাকে আর সৌন্দর্য অনেক বেশি থাকে। যাই হোক আমরা শুকনো নদীর ভেতর দিয়ে হেঁটে হেঁটে জিরো পয়েন্টের উদ্দেশ্যে যেতে থাকলাম।
আজকে এ পর্যন্তই আমি আবার অন্য পোস্টে জাফলং ভ্রমণ কাহিনী শেয়ার করবো।
ডিভাইস: স্যামসাং গ্যালাক্সি এফ-৫৪
লোকেশন: বিছনাকান্দি, সিলেট
তারিখ: ৩ রা সেপ্টেম্বর ২০২৩ খ্রিঃ
প্রিয় বন্ধুরা,
আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে প্রতিনিয়ত আমার সৃজনশীলতা দিয়ে ভালো কনটেন্ট শেয়ার করে এই কমিউনিটিকে সমৃদ্ধ করতে চাই এবং উচ্চতার শিখরে নিয়ে যেতে চাই। আমার ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই নিজের খেয়াল রাখবেন সুস্থ এবং সুন্দর থাকবেন এটাই কাম্য করি।
আমি অংকন বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @aongkon। আমি মা, মাতৃভাষা এবং মাতৃভূমিকে সব থেকে বেশি ভালোবাসি। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে। আমি বর্তমানে ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটিতে সিভিল টেকনোলজিতে বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, গান গাইতে ও শুনতে, কবিতা লিখতে ও পড়তে, আর্ট করতে, রান্না করতে ও ফটোগ্রাফি করতে খুবই পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" আমার গর্ব "আমার বাংলা ব্লগ" আমার ভালোবাসা। আমার নিজের ভেতরে লুকায়িত সুপ্ত প্রতিভাকে বিকশিত করার লক্ষ্যে "আমার বাংলা ব্লগে" আমার আগমন। এই স্বল্প মানব জীবনের প্রতিটা ক্ষণ আমার কাছে উপভোগ্য। আমি মনে করি, ধৈর্যই সফলতার চাবিকাঠি।
@aongkon
সিলেটের জাফলং ভ্রমণ করেছেন জেনে খুবই খুশি হলাম ভাই। ভ্রমণের দ্বিতীয় পর্ব চমৎকারভাবে উপস্থাপন করেছেন। এই জায়গাটিতে ভ্রমণ করলে এমনিতেই মানসিক শান্তি পাওয়া যাবে। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে এই পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ ভাই এমন সুন্দর প্রাকৃতিক সৌন্দর্যময় স্থানে ভ্রমণ করলে মানসিক শান্তি পাওয়া যায়। আপনার যদি কখনো সময় হয় অবশ্যই এরকম স্থানে ভ্রমণ করতে পারেন। অনেক সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ভাই।
আপনার এই ভ্রমণের প্রথম পর্ব আমি দেখেছিলাম৷ আজকে এর দ্বিতীয় পর্ব দেখে খুবই ভালো লাগছে৷ খুবই সুন্দরভাবে আজকে এই পর্বের মাধ্যমে আপনি সবকিছুই খুব সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন৷ একই সাথে এখানে আপনি ফটোগ্রাফির মাধ্যমে সবকিছু খুবই ভালোভাবে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন৷ ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি ভ্রমণের পর্ব আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য৷
সিলেটের জাফলং ভ্রমণের প্রথম পর্ব আপনি দেখেছিলেন জেনে ভালো লাগলো। ভ্রমণের ফটোগ্রাফি গুলো ভালো হয়েছে জেনে খুশি হলাম ভাই। সবসময় সুন্দর ভাষায় মন্তব্য করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ভাই।