"বন্ধুর সাথে চন্দ্রিমা উদ্যানে ঘোরাফেরা"- ১ ম পর্ব

in আমার বাংলা ব্লগlast year


হ্যালো..!!
আমার সুপ্রিয় বন্ধুরা,
আমি @aongkon বাংলাদেশের নাগরিক

আজ-২৯ শে জুলাই, শনিবার, ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দ

আমি অংকন বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @aongkon। আমি মা, মাতৃভাষা এবং মাতৃভূমিকে সব থেকে বেশি ভালোবাসি। আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমার মাতৃভাষা বাংলার একমাত্র ব্লগিং কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ফাউন্ডার, এডমিন প্যানেল, মডারেটর প্যানেল এবং সকল সদস্যসদস্যাদের আমার অন্তরের অন্তরস্থল থেকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন রইল।



কভার ফটো

20230729_112804.jpg

কয়েকটি ছবিকে একত্রিত করে সুন্দর একটি কভার ফটো তৈরি করে নিয়েছি।



আজকে আমি আপনাদের সামনে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আমরা সবাই প্রকৃতিকে অনেক বেশি ভালোবাসি। তাইতো সময় পেলে সবাই ছুটে যায় প্রকৃতির মাঝে। প্রকৃতির মাঝে গিয়ে নিঃশ্বাস নিতে, সময় কাটাতে ও গল্প করতেও অনেক বেশি ভালো লাগে। বর্তমানে বায়ু দূষণের দিক দিয়ে ঢাকা শহর বেশ খারাপ অবস্থানে আছে। ঢাকা শহরের বায়ু এতটাই খারাপ অবস্থায় যে, এ শহরে মানুষের থাকাটা নিরাপদ নয়। তারপরেও মানুষ তার জীবিকা নির্বাহের জন্য বা লেখাপড়া জন্য পড়ে আছে। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা তাই এখানে মানুষের সংখ্যা অনেক বেশি থাকবে এটাই স্বাভাবিক। বাসায় লেখাপড়া, ইউনিভার্সিটিতে লেখাপড়া এসব করতে করতে যখন আমরা ক্লান্ত হয়ে যায় তখনই প্রকৃতির মাঝে প্রশান্তির খোঁজ করি।

20230729_112126.jpg

কিছুদিন আগেই আমি আর আমার বন্ধু রাহুল ঢাকার চন্দ্রিমা উদ্যানে ঘুরতে গিয়েছিলাম। অনেকদিন ধরেই বন্ধু রাহুল এবং আমারও ইচ্ছা ছিল চন্দ্রিমা উদ্যানে যাওয়ার কারণটা আমি এর আগে কখনো চন্দ্রিমা উদ্যানে গিয়েছিলাম না। ইউনিভার্সিটিতে যাওয়ার সময় চন্দ্রিমা উদ্যানে যাওয়ার রাস্তা দেখে খুবই ইচ্ছা জাগতো রাস্তা দিয়ে যাওয়ার, কারণটা চন্দ্রিমা উদ্যানে যাওয়ার পুরো রাস্তাটাই ছিল কৃষ্ণচূড়া ফুলের গাছে, আর গাছে ফুটে আছে টগবগে লাল রঙের কৃষ্ণচূড়া। আমি আজকে থেকে "বন্ধুর সাথে চন্দ্রিমা উদ্যানে ঘোরাফেরার" কয়েকটি পর্ব আকারে পোষ্টের মাধ্যমে শেয়ার করবো। আর আজকে আপনাদের সাথে "বন্ধুর সাথে চন্দ্রিমা উদ্যানে ঘোরাফেরার"-১ম পর্ব শেয়ার করবো।

20230729_105402.jpg

সুন্দর পরিবেশের একটি বিকাল দেখে আমি আর আমার বন্ধু রাহুল বাইক বেরিয়ে পড়লাম চন্দ্রিমা উদ্যানের উদ্দেশ্যে। আগে কখনো চন্দ্রিমা উদ্যান দেখা হয়নি তাই চন্দ্রিমা উদ্যান দেখার প্রচন্ড ইচ্ছা ছিলো। আমাদের বাসা থেকে চন্দ্রিমা উদ্যানে যেতে মাত্র তিন কিলোমিটার পথ।

20230729_105425.jpg

দুই বন্ধু যেখানেই ঘুরতে যাই বাইক নিয়ে যায়, আসলে বাইকে করে ঘোরার মজাই আলাদা। মিরপুর রোড থেকে চন্দ্রিমা উদ্যানের রাস্তায় ঢুকতেই মনটা ফুরফুরে হয়ে গেলো। চন্দ্রিমা উদ্যানে যাওয়ার রাস্তার পাশ দিয়ে কৃষ্ণচূড়ার গাছ, আর গাছে ফুটে আছে টগবগে লাল অজস্র কৃষ্ণচূড়া ফুল। কৃষ্ণচূড়া গাছে যখন কৃষ্ণচূড়া ফুল ফোটে তখন সবুজ পাতার অস্তিত্বই কমে যায়।

20230729_105458.jpg

যেখানে সবুজ পাতার বদলে শুধু ফুল আর ফুল চোখে পড়ে। আর কিছু কিছু কৃষ্ণচূড়ার গাছের সবুজ পাতার ভেতরে লাল টগবগে কৃষ্ণচূড়া ফুলগুলো দেখতে ভীষণ সুন্দর লাগে আমার। আমি আর আমার বন্ধু রাহুল চন্দ্রিমা উদ্যান পাওয়ার একটু আগেই মোটরসাইকেল থামিয়ে রাস্তার অপরূপ সৌন্দর্য উপভোগ করে নিলাম।

20230729_105513.jpg

মাত্র তিন কিলোমিটার পথ হয় এবং জ্যাম না থাকায় খুব অল্প সময়ের ভেতরেই পৌঁছে গেলাম চন্দ্রিমা উদ্যানের সামনে। তারপর রাস্তার ধারে বাইক থামিয়ে কিছু সময় দুই বন্ধু মিলে গল্প করলাম। আর দুজন মিলে ফটোগ্রাফি করতে থাকলাম। চন্দ্রিমা উদ্যানের সামনে লেখা যদি জলে সম্পন্ন পরিপূর্ণ থাকত তাহলে সৌন্দর্যটা বেড়ে যেত হাজার গুণ।

20230729_111736.jpg

আর বিকেল বেলার মেঘলা আকাশের সৌন্দর্যের সাথে চন্দ্রিমা উদ্যানের সৌন্দর্য উপভোগ করতে থাকলাম। কখনো সূর্য মেঘে ঢেকে যাচ্ছিলো আবার কখনো মেঘ কাটিয়ে সূর্য ভেসে উঠছিলো‌। মেঘের সাথে সূর্যের এই অপরূপ খেলা দেখতে বেশ ভালো লাগতেছিলো।

20230729_105546.jpg

চন্দ্রিমা উদ্যানের সামনে ব্রিজের এপার থেকে ওপারের দৃশ্য দেখতে বেশ চমৎকার। ব্রিজের এপারেও অনেক ঘোরাফেরা ও বসে গল্প করতে ব্যস্ত। আসলে এরকম জায়গাতে গেলে শুধু অপরূপ সৌন্দর্য উপভোগ করা, ঘোরাফেরা করা আর সাথে শুধুই গল্প। চার দেওয়ালের মাঝে নিজেকে আটকে রাখার থেকে এরকম মনোরম মনমুগ্ধকর পরিবেশে ঘোরাফেরা করে মনকে ভালো রাখাটা জরুরী। চন্দ্রিমা উদ্যানের সামনের ব্রিজের কাছেই বাইক করে রাখলাম। যদিও এখানে কোন বাইকের গ্যারেজ নেই তবে বাইকে ঘোরাফেরা করতে হলে এটুকু রিস্ক নিতেই হয়। আমরা বাইকটা ভালো করে লক করে রাখলাম। তারপর.....

আজকে "বন্ধুর সাথে চন্দ্রিমা উদ্যানে ঘোরাফেরা"- ১ম পর্ব এখানেই শেষ করছি। আর পরবর্তীতে "বন্ধুর সাথে চন্দ্রিমা উদ্যানে ঘোরাফেরার" অন্যান্য পর্বগুলো শেয়ার করবো।



পোস্টের ছবির বিবরন

ক্যামেরাম্যান@aongkon
ডিভাইসস্যামসাং জে-৭ প্রো
ক্যামেরা১৩ মেগাপিক্সেল
তারিখ২৪ শে মে ২০২৩
লোকেশনচন্দ্রিমা উদ্যান,ঢাকা


প্রিয় বন্ধুরা,

আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে প্রতিনিয়ত আমার সৃজনশীলতা দিয়ে ভালো কনটেন্ট শেয়ার করে এই কমিউনিটিকে সমৃদ্ধ করতে চাই এবং উচ্চতার শিখরে নিয়ে যেতে চাই। আমার ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই নিজের খেয়াল রাখবেন সুস্থ এবং সুন্দর থাকবেন এটাই কাম্য করি।



সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ
@aongkon



VOTE@bangla.witness as witness witness_proxy_vote.png
OR
SET @rme as your proxy
witness_vote.png

standard_Discord_Zip.gif

Sort:  
 last year 

সত্যি বর্তমান সময়ে বায়ু দূষণের দিক দিয়ে ঢাকা অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে যেটা পরিবেশের অনেক বড় একটা প্রভাব ফেলেছে। দুই বন্ধু চন্দ্রিমা উদ্যানে ঘুরতে গিয়েছিলেন এটা জেনে খুবই ভালো লাগলো, বিশেষ করে ঢাকা শহরের জ্যাম অনেকটাই বিরক্তিকর যদিও তেমন বেশি জ্যাম না থাকার কারণে আপনারা দ্রুত সেখানে পৌঁছে গিয়েছিলেন এবং সুন্দর একটি মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন যেটা আপনার পোস্টটা দেখেই বোঝা যাচ্ছে। বিকেলবেলা এখানে সুন্দর মুহূর্ত কাটাতে পারলে নিজের কাছে খুবই ভালো লাগতো। খুব শীঘ্রই পরবর্তী পর্বগুলো দেখতে পাব বলে আশা রাখি। ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।

 last year 

জীবনের প্রথমবার চন্দ্রিমা উদ্যানে গিয়ে দুই বন্ধু মিলে বেশ সুন্দর সময় অতিবাহিত করেছিলাম। আসলে প্রকৃতির মাঝে ঘুরে বেড়াতে অনেক ভালো লাগে আমার। অবশ্যই ভাই পরবর্তী পর্বগুলো আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো সুন্দর গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।

 last year 

লেখাপড়া করতে করতে বোরিং হয়ে গেলে সবুজ প্রকৃতির মাঝে হারিয়ে গেলে মন্দ হয়না।আপনি আপনার ফ্রেন্ড রাহুলকে নিয়ে বাইকে করে চন্দ্রিমা উদ্যান ঘুরতে গেলেন।সবুজ প্রকৃতির সৌন্দর্যে ভরা এই চন্দ্রিমা উদ্যান।আমি অনেক আগে গিয়েছি।এমন প্রকৃতির মাঝে গেলে খুব ভালো লাগে। আপনার অনুভূতি গুলো পড়ে বেশ ভালো লাগলো। শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে।

 last year 

প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মাঝে সময় কাটাতে অনেক বেশি ভালো লাগে। বন্ধু মিলে বেশ ভালোই ঘোরাফেরা করেছিলাম সেদিনে। সুন্দর গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।

 last year 

ভাইয়া এক সময় এই চন্দ্রিমা উদ্যানে প্রচুর সময় কাটিয়েছি। খুব মিস করি। জায়গাটাকে। এখন তো বৃষ্টি হয় না তাই লেকে পানিও কম। যখন পানি বেশি থাকে তখন আরো বেশি ভাল লাগে। আপনার অনুভূতি পড়ে আর ফটোগ্রাফি গুলো দেখে অনেক ভাল লাগলো। ধন্যবাদ ভাইয়া।

 last year 

হ্যাঁ ভাই আমার কাছেও তাই মনে হলো চন্দ্রিমা উদ্যানের সামনে যে লেইকটা আছে সেখানেই পানি ভর্তি থাকলে প্রকৃতি আরো অনেক সুন্দর দেখাতো। আপনি এই স্থানে অনেক সময় কাটিয়েছেন জেনে ভালো লাগলো ভাই। সুন্দর গঠনমূলক মন্তব্য করে সবসময় পাশে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।

Coin Marketplace

STEEM 0.16
TRX 0.15
JST 0.028
BTC 56784.71
ETH 2392.67
USDT 1.00
SBD 2.27