ফটোগ্রাফি: "ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটির সিভিল ফেস্টিভ্যাল-২০২৩" - ১২ তম পর্ব।

in আমার বাংলা ব্লগlast year (edited)


হ্যালো..!!
আমার সুপ্রিয় বন্ধুরা,
আমি @aongkon বাংলাদেশের নাগরিক

আজ- ২৩ ই জুলাই, বুধবার, ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দ

আমি অংকন বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @aongkon। আমি মা, মাতৃভাষা এবং মাতৃভূমিকে সব থেকে বেশি ভালোবাসি। আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমার মাতৃভাষা বাংলার একমাত্র ব্লগিং কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ফাউন্ডার, এডমিন প্যানেল, মডারেটর প্যানেল এবং সকল সদস্যসদস্যাদের আমার অন্তরের অন্তরস্থল থেকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন রইল।



কভার ফটো

20230823_105746.jpg

কয়েকটি ছবিকে একত্রিত করে সুন্দর একটি কভার ফটো তৈরি করে নিয়েছি।



আজকে আমি আপনাদের সামনে নতুন একটি পোস্ট হাজির হয়েছি। কিছুদিন আগেই আমাদের ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটিতে সিভিল ডিপার্টমেন্ট এর ফেস্টিভ্যাল হলো। ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হওয়ার পরে এটাই প্রথম সিভিল ডিপার্টমেন্টের ফেস্টিভ্যাল পেলাম। ফেস্টিভাল সম্পর্কে আগে একটু একটু ধারণা থাকলেও আমাদের সিভিল ডিপার্টমেন্টের ফেস্টিভ্যালের দিনে সবকিছু ক্লিয়ার হয়েছি। ফেস্টিভ্যাল মানেই বিভিন্ন স্টল ঘুরে ঘুরে বিভিন্ন কিছু কেনাকাটা করা আর মজার মজার খাবার খাওয়া। ফেস্টিভ্যালে যে এতটা পরিমাণ আনন্দ হয় আসলে ফেস্টিভ্যালটা না হলে, হয়তো অজানা থেকে যেতো। আর আমাদের ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটি তে সিভিল এর স্টুডেন্ট সবথেকে বেশি।

20230609_122209.jpg

সিভিল ডিপার্টমেন্টের আয়োজিত ফেস্টিভ্যালে প্রায় বিশটা মতো স্টল দিয়েছিলো আমাদের সিভিল ডিপার্টমেন্টের শিক্ষার্থীরা। আমাদের ব্যাচের স্টুডেন্টদের কোন স্টল ছিল না তাই আমাদের মেইন কাজ ছিল সব স্টল গুলো ঘুরে ঘুরে দেখা আর ইচ্ছামতো খাওয়া-দাওয়া করা। আমরা বন্ধুরা মিলে প্রতিটি স্টলে ঘোরাফেরা করছিলাম আর প্রতিটি স্টল থেকেই কিছু না কিছু খাওয়া দাওয়া করেছিলাম। এই ফেস্টিভ্যালে যারা স্টল দিয়েছিলো তারা সবাই আমাদের আগের ব্যাচের শিক্ষার্থীরা, অর্থাৎ তারা সবাই আমাদের থেকে সিনিয়র ছিলো।

আজকে থেকে আমি প্রতি সপ্তাহে আপনাদের সাথে আমাদের ফেস্টিভ্যালের প্রতিটি স্টলের বিভিন্ন পণ্য দ্রব্যের ফটোগ্রাফি গুলো আপনাদের সাথে পর্ব আকারে শেয়ার করবো। আজকে আমি যে, স্টল থেকে বিভিন্ন পণ্যের ফটোগ্রাফি গুলো করেছি এই স্টলের নামটি ছিলো "কুটুম বাড়ি স্টল"। এই স্টলের নামটা আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছিলো। আজকে আমি আমাদের "ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটির সিভিল ফেস্টিভ্যাল-২০২৩" - ১২ পর্বে "কুটুম বাড়ি" স্টল থেকে বিভিন্ন পণ্যদ্রব্যের ফটোগ্রাফি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।



প্রথম ফটোগ্রাফি

20230609_122218.jpg

আমার প্রথম ফটোগ্রাফি ছিলো, মায়ের হাতের পিঠা। আমাদের সবার কাছেই মায়ের হাতের পিঠা মানে ভিন্নরকম স্বাদের পিঠা। সত্যিই মায়ের হাতের পিঠার মতো স্বাদ অন্যজনের হাতের তৈরি পিঠাতে এরকম স্বাদ পাওয়াটা অসম্ভব ব্যাপার। কারণটা মা মানে আমাদের সবার কাছেই স্পেশাল একজন ব্যক্তি। এই পিঠাটার নাম দেখে আমার কাছে সব থেকে বেশি ভালো লাগছে। এই পিঠার নাম দেখেই সবার প্রথমেই আমার মায়ের কথা মনে পড়েছে। মনে পড়েছে মায়ের হাতের তৈরি পিঠার সুন্দর স্বাদের কথা।

দ্বিতীয় ফটোগ্রাফি

20230609_122230.jpg

এই স্টলে দ্বিতীয় ফটোগ্রাফিটি ছিলো, জামাই পিঠা। এই পিঠা আমার কাছে খুবই প্রিয় একটি পিঠা। যদিও এই পিঠা আমি খুব একটা বেশিবার খাইনি তবে এই পিঠা আমার কাছে বেশ ভালো লাগে। এই পিঠাটা খাইতে বেশ মুড়মুড়ে হয় আর হালকা মিষ্টি হয়। এই পিঠাটার নাম জামাই পিঠা হয়েছে কারণটা হয়তো বাড়িতে জামাই আসলে সবার প্রথমে এই পিঠাটাই বানিয়ে জামাইর খেতে দিতো। যাইহোক এই পিঠাটা বেশ সুস্বাদু। এই স্টলের বিক্রেতারা প্রতি পিস ৫ টাকা দরে পিঠা বিক্রি করছিলো।



তৃতীয় ফটোগ্রাফি

20230609_122234.jpg

এই স্টলের আমার তৃতীয় ফটোগ্রাফিটি বিস্কুটের। এরকম ছোট ছোট বিস্কুট দেখলেই মনে পড়ে যায় শৈশবের স্কুলের স্মৃতির কথা। যে সময়টাতে স্কুলে টিফিন দিতে তখন দোকানে গিয়ে এরকম ছোট ছোট বিস্কুট কিনে খেতাম দাম প্রতিটি বিস্কুটের দাম পরতো মাত্র ২৫ পয়সা করে। যদিও বর্তমান সময়ে সব কিছু দাম বৃদ্ধির কারণে এরকম বিস্কুটের দামও অনেক বেড়ে গিয়েছে, তারপরেও প্রতি দুই পিস পাঁচ টাকা করে মানে খুব একটা বেশি নয়। এ ধরনের বিস্কুট খাইতে আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে।



চতুর্থ ফটোগ্রাফি

20230823_105414.jpg

আমার এই ফটোগ্রাফিটি ছিলো, সমুচা। এই খাবারটি বেশ মুড়মুড়ে আর সুন্দর স্বাদের হয়। বর্তমান দ্রব্যের মূল্যের বাজার বৃদ্ধিতে মোটামুটি সব জায়গাতেই প্রতিপিস সমস্যা ১০ টাকা মূল্যে বিক্রি করে। কিন্তু এই স্টলে এসে দেখলাম প্রতিটি সমুচা মাত্র ৫ টাকা করে বিক্রি করছে। আর সেই কারণেই হয়তো প্লেটের উপর মাত্র কয়েকটি সমুচা অবশিষ্ট রয়েছে। যদিও এখানকার সমুচা একটু ছোট সাইজের তবে খাইতে বেশ সুস্বাদু।



পঞ্চম ফটোগ্রাফি

20230609_122220.jpg

আমার এই ফটোগ্রাফিটি হলো, রামদিয়ার মটকা। আপনারা হয়তো অনেকেই জানেন যে রামদিয়ার মটকা বেশ জনপ্রিয়। আমি এর আগে রামদিয়ার মটকা অনেকবার খেয়েছি। আমার কাছে মটকা খাবার মানেই আলাদা একটি স্বাদের খাবার। রামদিয়ার এই তিলের তৈরি মটকা সত্যিই অনেক সুস্বাদু। এই স্টলে মটকা ছোট ছোট প্যাকেট তৈরি করেছিল যেগুলো প্রতি পিস ১০ টাকা করে। আমার কাছে রামদিয়ার মটকার দাম খুবই কম মনে হয়েছে ।



ষষ্ঠ ফটোগ্রাফি

20230609_122247.jpg

আমার এই ফটোগ্রাফিটি হলো, নওগাঁর প্যাড়া সন্দেশ। আমাদের দেশে নওগাঁর প্যাড়া সন্দেশ বেশ বিখ্যাত। যদিও আমি এখন পর্যন্ত নওগাঁর প্যাড়া সন্দেশ খেয়ে দেখেনি, তবে এই সন্দেশের নাম আমি অনেকবার শুনেছি। আসলে নওগাঁর প্যাড়া সন্দেশগুলোও দেখতে একটু ভেজা ভেজা লাগছিল, কারণটা হয়তো অনেক দূর থেকে আনা হয়েছে তাই এমনটা হয়েছে। যাইহোক নওগাঁর প্যাড়া সন্দেশ আসলেই অনেক সুস্বাদু হয়।

আজকে আমাদের "ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটির সিভিল ফেস্টিভ্যাল-২০২৩" - ১২ তম পর্বে "কুটুম বাড়ি" স্টলের বিভিন্ন পণ্য দ্রব্যের ফটোগ্রাফি গুলো আপনাদের কেমন লেগেছে অবশ্যই কমেন্ট বক্সে জানাবেন। আর "ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটির সিভিল ফেস্টিভ্যাল-২০২৩" ১৩ তম পর্ব নিয়ে খুব শীঘ্রই আসবো আপনাদের সামনে।



পোস্টের ছবির বিবরন

ক্যামেরাম্যান@aongkon
ডিভাইসস্যামসাং জে-৭ প্রো
ক্যামেরা১৩ মেগাপিক্সেল
তারিখ৯ ই জুন ২০২৩
লোকেশনগাবতলী,ঢাকা


প্রিয় বন্ধুরা,

আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে প্রতিনিয়ত আমার সৃজনশীলতা দিয়ে ভালো কনটেন্ট শেয়ার করে এই কমিউনিটিকে সমৃদ্ধ করতে চাই এবং উচ্চতার শিখরে নিয়ে যেতে চাই। আমার ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই নিজের খেয়াল রাখবেন সুস্থ এবং সুন্দর থাকবেন এটাই কাম্য করি।



সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ
@aongkon



VOTE@bangla.witness as witness witness_proxy_vote.png
OR
SET @rme as your proxy
witness_vote.png

standard_Discord_Zip.gif

Coin Marketplace

STEEM 0.17
TRX 0.13
JST 0.028
BTC 58544.56
ETH 2629.02
USDT 1.00
SBD 2.44