"অসময়ে আমার পেটের ক্ষুধা যখন তীব্র"

in আমার বাংলা ব্লগ2 years ago (edited)


হ্যালো..!!
আমার সুপ্রিয় বন্ধুরা,
আমি @aongkon বাংলাদেশের নাগরিক

আজ- ৫ ই নভেম্বর, শনিবার, ২০২২ খ্রিষ্টাব্দ

আমি অংকন বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @aongkon। আমি মা, মাতৃভাষা এবং মাতৃভূমিকে সব থেকে বেশি ভালোবাসি। আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমার মাতৃভাষা বাংলার একমাত্র ব্লগিং কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ফাউন্ডার , এডমিন প্যানেল, মডারেটর প্যানেল এবং সকল সদস্যসদস্যাদের আমার অন্তরের অন্তরস্থল থেকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন রইল।



আমি আজকে আপনাদের সামনে নতুন একটি পোস্ট হাজির হয়েছি। আজকে আমার পোস্টটি হল অসময়ে আমার পেটের ক্ষুধা যখন তীব্র। সাধারণত আমার পেটের ক্ষুধা সময় থেকে অসময়ে বেশি লাগে। কারণ যখন কোন খাবার সামনে থাকে তখন ক্ষুধাকে আর ক্ষুধা মনে হয় না, কিন্তু যখন খাবার সামনে থাকে না অথবা খাওয়ার কোন উপায়ই থাকেনা তখনই ক্ষুধা বেড়ে যায়। তাইতো আমার কাছে মনে হয় পেটের ক্ষুধাটা সময় থেকে অসময়ে বেশি লাগে। তাহলে চলুন দেরি না করে অসময়ে আমার পেটের ক্ষুধা যখন তীব্র গল্পটি আপনাদের সাথে শেয়ার করি।

20221024_013558.jpg

কিছুদিন আগে আমি ঢাকা হতে সিলেটে পিসিমণির বাসায় এসেছি। আমি সাধারণত রাতের বাসে করেই আসি সিলেটে। আমি যখন বাসে উঠি তার আগে ভারি কোন খাবার খাই না, এর কারণ হলো বাসে উঠলে আমার খুব গ্যাস অনুভূত হয় এবং বমি বমি ভাব হয়। সেজন্য ভয়তে ভারি কোন খাবারই খাই না। আর খাবার না খেলে যে ক্ষুদা লাগবে এটাই স্বাভাবিক, কারণ এখানে ক্ষুধা না লাগাটাই অস্বাভাবিক। যাইহোক আসার দিনে ঢাকার বাসায় বন্ধু, বড় ভাই এবং ছোট ভাই মিলে মেসে একটা স্পেশাল খাবারের আয়োজন করা হয়েছিল। ঢাকাতে বেশিরভাগ ব্যাচেলারা দুবেলা খাবার খেয়ে থাকে সেটা দুপুরে এবং রাত্রে। সেদিন স্পেশাল খাবার ছিল যেহেতু দুপুরে খাবার রান্না করে খেতে বিকেল চারটা বেজে গিয়েছিল।


বিকাল চারটার দিকে খাবার খাওয়ার জন্য রাতে আর ম্যাচ থেকে খাবার না খেয়েই বেরিয়ে পড়েছিলাম সায়দাবাদ বাস স্ট্যান্ডের উদ্দেশ্যে। বাসে ওঠার আগে সায়েদাবাদ বাস স্ট্যান্ড থেকেও কিছুই খেতে মন চাচ্ছিল না। তাই না খেয়েই বাসে উঠে পড়েছিলাম কারণ তখনও আমার পেটে ক্ষুধা অনুভূত হচ্ছিল না। আমাদের বাসটি ঠিক সাড়ে দশটার দিকে ঢাকা থেকে ছাড়ছিল। কিন্তু যখন বাসে উঠলাম তার কিছু সময় পরেই পেটে ক্ষুধা অনুভূত হচ্ছিল। যত সময় যাচ্ছিল ততই পেটের ক্ষুদা যেন তীব্রতার হইয়া উঠেছিল। কিন্তু আমি বাসে ওঠার আগেও কোন খাবার কিনে নিয়ে উঠি নাই, শুধুমাত্র পান করার মত কাছে এক বোতল জল ছিল। সারাদিনে শুধুমাত্র একবার খেয়েছি সেজন্য পেটের ক্ষুধাটা খুবই বেশি লেগে গিয়েছিল। কিন্তু ক্ষুধা লাগলে কি হবে তখন কিছুই করার ছিল না। কারণ বাস কিছু সময় আগেই সায়েদাবাদ বাস স্ট্যান্ড থেকে ছাড়ছিল।

20221024_013554.jpg

আর বাস মধ্যরাতে একবার বিরতি দেয় আর সে মধ্যরাত হতো এখনো অনেক দেরি। তখন ঘড়ির কাটায় রাত ১১ টা মত বাজে। কিন্তু বাস বিরতি দেয় রাত ২ টার দিকে। দুঃখের বিষয় ২টা বাজতে এখনো ৩ ঘন্টা দেরি। কিন্তু পেটের ক্ষুধা তো আর দেরি সহ্য করে না পেটের ক্ষুধা চায় খাবার। বাসের ভেতর আস্তে আস্তে সবাই ঘুমিয়ে গেলেও, ক্ষুধা তীব্রতর হওয়ার জন্য আমার চোখে ঘুম আসছিল না। আমার বেশি ক্ষুধা লাগলে পেটের ভেতর খুব জ্বালাপোড়া করে। তখন শুধুই অপেক্ষা করছিলাম কখন বাস কখন বিরতি দেবে এবং বারবার ঘড়ির দিকে তাকাচ্ছিলাম যে, কখন রাত ২টা বাজবে। রাত ২ টা পর্যন্ত ক্ষুধার তাড়না নিয়ে ঘুমহীন ভাবে থেকে অবশেষ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার একটি হোটেলে বিরতি দিল। বাসটি বিরতির সাথে সাথে প্রাণে যেন শান্তির বাতাস বয়ে যাচ্ছিল তখন মনে হচ্ছিল কিছু একটা খেয়ে ঘুম দেয়া যাবে বাসে।

20221024_013531.jpg

ব্রাহ্মণবাড়িয়া লাল-শালুক হোটেলে বাসটি বিরতি দিয়েছিল। তারপর বাস থেকে নেমে সোজা হোটেলে গিয়ে টেবিলে বসে চিকেন রোল এবং বার্গারের অর্ডার দিলাম। কিছু সময় পরেই খাবার টেবিলে দিয়ে গেল এবং তখনই খাওয়া শুরু করে দিলাম। খিদের চোটে আমার অর্ডার দেয়া খাবারের ছবি তুলতেই ভুলে গিয়েছিলাম। তারপর কি আর করার ফুড গ্যালারি থেকে কয়েকটি ছবি তুলে নিলাম। হোটেল থেকে খাবার খাওয়ার পরে শরীর যেন নতুন প্রাণ পেয়েছিল। যাইহোক মধ্যরাতের খাবারগুলো খুবই ভালো লেগেছিল আমার কাছে কারণ পেটের ক্ষুধা তখন চরম পর্যায়ে ছিল। আর আপনারা জানেন যে কথায় আছে ক্ষুধা লাগলে নাকি বাঘেও ধান খায়। তাই খাবার যেমনি হোক না কেন আমার মজার লেগেছিল। আরেকটা কথা আছে পেট ঠান্ডা তো দুনিয়া ঠান্ডা। তাই আমার কাছে তখন দুনিয়াটা ও ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছিল।



পোস্টের ছবির বিবরন

ক্যামেরাম্যান@aongkon
ডিভাইসস্যামসাং জে-৭ প্রো
ক্যামেরা১৩ মেগাপিক্সেল
তারিখ২৪ অক্টোবর
লোকেশনব্রাহ্মণবাড়িয়া


প্রিয় বন্ধুরা,

আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মের আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে প্রতিনিয়ত আমার সৃজনশীলতা দিয়ে ভালো কনটেন্ট শেয়ার করে এই কমিউনিটিকে সমৃদ্ধ করতে চাই এবং উচ্চতার শিখরে নিয়ে যেতে চাই। আমার ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই নিজের খেয়াল রাখবেন সুস্থ এবং সুন্দর থাকবেন এটাই কাম্য করি।



সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ
@aongkon



VOTE@bangla.witness as witness witness_proxy_vote.png
OR
SET @rme as your proxy
witness_vote.png

standard_Discord_Zip.gif

Sort:  
 2 years ago 

ক্ষুধা লাগলে নাকি বাঘেও ধান খায়।

কথাটি একদম সত্য তার কারন হলো ক্ষুধার জ্বালা হলো সবচেয়ে বড় জ্বালা। এই জ্বালা সহ্য করা বড়ই কঠিন।ভ্রমণের সময় বেশি খাবার না খাওয়াই ভালো, তবে সাথে শুকনো খাবার কিছু আর এক বোতল জল রাখা উচিত। যদি হালকা কোন খাবার আপনার ব্যাগে থাকতো তাহলে হয়তো এতটা কষ্ট পেতে হতো না। যেহেতু আপনি ভারি খাবার খেয়ে ভ্রমণ করতে পারেন না সেহেতু এখন থেকে ব্যাগে বিস্কুট, রুটি এই জাতীয় কিছু খাবার রাখবেন তাহলে দেখবেন এরকম কষ্ট আর পেতে হবে না। প্রতিটি খাবারের আইটেম লোভনীয় লাগছে। আপনি এতটাই ক্ষুধার্ত ছিলেন কি খেলেন সেটার ছবি তুলতে ভুলেই গেছেন শুনে খারাপ লাগলো। ধন্যবাদ।

 2 years ago 

হ্যাঁ দিদি এর পরে থেকে ভ্রমণে বেরোলে অবশ্যই সাথে শুকনো খাবার জিনিস নিয়ে বেরোবো। কারণ শিক্ষাটা এবার পেয়ে গেছি। সুন্দর পরামর্শ দেয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ দিদি।

 2 years ago 

ভাইয়া যখনই দূরের কোন জার্নিতে যাবেন তখনই সাথে কিছু খাবারদাবার নিয়ে উঠবেন। তা না হলে এইসব বাসে ওঠার পর ক্ষুধা লাগলে কষ্ট করা ছাড়া আর কোন উপায় থাকে না। আপনি কোন খাবার নিয়ে না ওঠার কারণে সারারাত ক্ষুধার যন্ত্রণায় কষ্ট পেয়েছেন। বুঝতে পারছি যে আপনার অনেক ক্ষুধা লেগেছিল যার কারণে খাবারের ছবি তুলতেই ভুলে গিয়েছিলেন। আর ক্ষুধা পেটে যে কোনো খাবারই অনেক বেশি মজা লাগে। আশা করি পরবর্তীতে ওঠার আগে এই ভুল আর করবেন না।

 2 years ago 

আমার পোস্টটি সম্পূর্ণরূপে পড়ে সুন্দর উপদেশ মূলক মন্তব্য করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ আপু।

 2 years ago 

আপনার কষ্ট টা অনুভব করতে পারছিলাম ভাই।পেটে ক্ষুধা লাগলে কিছুই ভাল লাগে না,আর রাজ্যের খাবারের চিন্তা খালি মাথায় আসে।আর জার্নির সময় ভারি না খেলেও হাফপ্লেট ভাত,ডাল খেয়ে নেবেন।আর সাথে পাউরুটি, কলা অথবা কেক নেবেন।ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার অভিজ্ঞতা শেয়ার করার জন্য।

 2 years ago 

হ্যাঁ দাদা পেটে ক্ষুধা লাগলে কিছুই ভালো লাগেনা তখন শুধুই খাইতে মন চায়। সুন্দর‌ মতামত প্রদানের ধন্যবাদ দাদা।

 2 years ago 

এতক্ষণ বাস জার্নি করলে খিদে তো পাবেই। আর খিদে পেলে ঘুম উড়ে যায়, গা পাক দেয়। যাক অন্ততঃ দাঁড়িয়েছে যে। তুমি অন্ততঃ খাবার টা অর্ডার করতে পারলে ভাই। বার্গার আর রোলের স্বাদ কেমন ছিলো বললে না তো! আমিও মাঝে মাঝে খিদের জ্বালায় ছবি তুলতে ভুলে যাই। পরে মনে পড়ে ইস্ ছবি তোলা হল না। 😃😄

 2 years ago 

হ্যাঁ দিদি পেটে খিদে থাকলে ঘুম হয় না। খাবার সামনে আসলে ছবি তোলার কথা ভুলে যায় এমনিতেই। সুন্দর গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ দিদি।

Coin Marketplace

STEEM 0.17
TRX 0.15
JST 0.029
BTC 60752.38
ETH 2453.49
USDT 1.00
SBD 2.63