"গ্রামে এসে মেহগনি বাগানের ক্রিকেট খেলা"
হ্যালো..!!
আমার সুপ্রিয় বন্ধুরা,
আমি @aongkon বাংলাদেশের নাগরিক।
আজ- ১২ ই এপ্রিল, শুক্রবার, ২০২৪ খ্রিঃ।
আমি আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমার মাতৃভাষা বাংলার একমাত্র ব্লগিং কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ফাউন্ডার, এডমিন প্যানেল, মডারেটর প্যানেল এবং সকল সদস্য ও সদস্যাদের আমার অন্তরের অন্তরস্থল থেকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন রইল।
আমি আজকে আপনাদের সামনে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি প্রতিনিয়ত আমার বাংলা ব্লগে নতুন নতুন পোস্ট শেয়ার করতে আমার অনেক বেশি ভালো লাগে। এবারে ঈদে ছুটিতে গ্রামের বাড়িতে আসার পরে বেশ সুন্দর সময় অতিবাহিত করছি এই গ্রামীন প্রকৃতিতে। গ্রামীণ সবুজে ভরা প্রকৃতি আমার কাছে সব থেকে বেশি ভালো লাগে। আর বসন্তকালে গ্রামীণ প্রকৃতি সবথেকে বেশি সুন্দর থাকে। চারিদিকে থাকে শুধু সবুজের সমারোহ, যেদিকে তাকাই সেদিকেই সবুজ আর সবুজ।
আমি ছোটবেলা থেকে এই খেলাধুলা করতে ভীষণ পছন্দ করি সে যে কোন প্রকারের খেলাধুলা। তবে আমার প্রিয় খেলা গুলোর ভেতর রয়েছে ক্রিকেট, ফুটবল, দাবা, ব্যাডমিন্টন, ক্যারাম, ভলিবল, গাদন এসব। প্রতিটি মানুষের শারীরিক ও মানসিক সুস্থতার জন্য খেলাধুলা ভীষণ প্রয়োজনীয়। কয়েকদিন আগে চৈত্রের দুপুরে আমাদের পাশের গ্রামের একটি মেহগনি বাগানে গিয়েছিলাম খেলা ক্রিকেট খেলতে। আমি গ্রামীণ প্রকৃতির মাঝে ক্রিকেট খেলার অনুভূতি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।
প্রতিটি মানুষের জীবনে লেখাপড়া কাজকর্মের পাশাপাশি শরীরচর্চারও প্রয়োজন রয়েছে। নিজের শরীরও মনকে সুস্থ রাখার জন্য খেলাধুলাটা ভীষণ প্রয়োজন। বর্তমানে ডিজিটাল যুগে ফিজিক্যাল খেলাধুলাটা একদম কমে গেছে। এখন গ্রামে আসলে খেলাধুলার জন্য তেমন ছেলেপেলেই পাওয়া যায় না। যারা আছে তারা সবাই ঘরের ভেতরে মোবাইল নিয়ে ব্যস্ত। আর কেউ কেউ যার যার কাজ কর্মে ব্যস্ত। আমরা যখন ঢাকা থেকে গ্রামে আসি তখন ইচ্ছা করে সবার সাথে খেলাধুলা করতে সুন্দর সময় অতিবাহিত করতে। কিন্তু সুন্দর সময় অতিবাহিত করার লোক পেলেও খেলাধুলা করার লোক একদমই পাওয়া যায় না।
আমাদের পাশের গ্রামে প্রচুর ছেলেপেলে হওয়ার কারণে তারা প্রতিনিয়ত স্কুল মাঠে এবং মেহগনি বাগানে খেলাধুলা করে থাকে। তারা প্রতিদিন দুপুরবেলাতে মেহগনি বাগানে ক্রিকেট এবং বিকালবেলাতে স্কুল মাঠে ফুটবল খেলে থাকে। আমাদের গ্রামে যখন অনেক ছেলেপেলে ছিল তখন আমরাও প্রচুর পরিমাণে খেলাধুলা করতাম কিন্তু বর্তমানে ছেলেপেলে কমে যাওয়ার কারণে আর তেমন খেলা হয় না এখন শুধুমাত্র ক্যারাম খেলা ব্যতীত। কারণ ক্যারাম খেলতে মাত্র চারজন লোক হলেই খেলা যায়। আমি যেদিন ফুটবল খেলতে গিয়েছিলাম সেদিন আমাকে মেহগনি বাগানে ক্রিকেট খেলতে আসতে বলেছিলো।
তাই আমি পরের দিন দুপুরে খাওয়া-দাওয়া করে আমার বন্ধুর শ্যামল আমার কাকাতো ভাই অনিক আর আমি বাইক নিয়ে রওনা দিলাম মেহগনি বাগানে ক্রিকেট খেলার উদ্দেশ্যে। আমাদের পাশের গ্রামে হওয়ার কারণে কয়েক মিনিটের ভিতর এই বাইক নিয়ে পৌঁছে যায় সেখানে। আমরা আমিও গুনি বাগানে গিয়ে দেখি যে, অনেকগুলো ছেলেপেলে দল ভাগ করে ক্রিকেট খেলছে। তারপর আমরা তিনজন যাওয়ার পরে আমাকে এক দলে আর শ্যামল ও অনেকে আরেক দলে ভাগ করে দিলো। আমি যে, দলে পড়েছিলাম যে দল তখন বোলিং করছিলো।
তাই সাথে সাথে আমি বিল্ডিং করা আরম্ভ করি। আমি যেহেতু বোলিং ব্যাটিং দুইটাই করতে পারি তাই দুই ওভার বল করলাম। যদিও একটু খরচে বোলিং ছিলাম। কারণ অনেকদিন পরে বল করছিলাম বল খুব একটা ভালো হচ্ছিল না। দুই ওভারে প্রায় ২০ রান মত দিয়েছিলাম আমি। আমাদের বিপরীত দল মোট বারো ওভারে ১০৬ রান করে আমাদেরকে ১০৭ রানের টার্গেট দেয়। আমাদের বল খারাপ হওয়ার কারণে অবশ্য রানটা একটু বেশি হয়ে গিয়েছিলো। তারপরেও আত্মবিশ্বাসী ছিলাম যে, এই ম্যাচটা জিতবো।
তারপর আমি আর ওই গ্রামের এক ছোট ভাই ওপেনিং ব্যাট করতে নামলাম। প্রথমবার এই অবশ্য দুঃখজনকভাবে ওই ছোট ভাইয রান আউট হয়ে গিয়েছিলো। তারপর আমার সবুজ কাকা ওয়ানডাউনে নেমেছিলো আমার সাথে ব্যাট করার জন্য। আমরা দুজন মিলে ব্যাটিং করে পাঁচ ওভারে ৫০ রানের মত পার্টনারশিপ করে ফেলেছিলাম। তারপর সবুজ কাকা দুঃখজনকভাবে বোল্ড আউট হয়ে সাজঘরে ফেরে। সবুজ কাকা ওঠার পরেও বেশ ভালো রান সংগ্রহ করে যাচ্ছিলাম।
অনেকদিন পরে ব্যাট করতে নামলেও ব্যাটে বলে বেশ ভালোই সংযোগ হচ্ছিলো আমার। সত্যি বলতে ব্যাটিং করতে গিয়ে রান পেলে বেশ ভালই লাগে। আট ওভার চলাকালীন সময়ে একটি ইনসুইং ডেলিভারিতে আউট হয়। তখন অবশ্য রান ছিল সত্তরের ঘরে। তখনও আমাদের দলে বেশ কয়েকজন ব্যাটিং ছিলো। তারাও মোটামুটি বেশ ভালই খেলেছিল কিন্তু লাস্টের দিকে এসে ম্যাচটি ড্র হয়। অনেক আশা করেছিলাম যে এই ম্যাচটি জিতবো কারণ অনেকদিন পরে গরমের ভিতর এই ম্যাচে ব্যাটিং করতে আর বোলিং করতে ভীষণ কষ্ট হয়েছিল আমার।
আমাদের ম্যাচের ফলাফল যাই হোক না কেন অনেকদিন পরে পাশের গ্রামে এসে সবার সাথে মেহগনি বাগানে খেলতে পেরে ভীষণ ভালো লাগছিলো। আমাদের ক্রিকেট ম্যাচ শেষে বাগানে বসে তাদের সাথে অনেক সময় গল্পগুজব করে আবার আমরা বাইক নিয়ে বাড়িতে চলে আসলাম। সত্যি বলতে চৈত্রের দুপুরে সবুজে ঘেরা মেহগনি বাগানে ক্রিকেট খেলতে ভীষণ ভালো লেগেছিলো।
পোস্টের ছবির বিবরন
ডিভাইস | স্যামসাং গ্যালাক্সি এফ-৫৪ |
---|---|
ক্যামেরা | ১০৮ মেগাপিক্সেল |
তারিখ | ৫ ই এপ্রিল ২০২৪ খ্রিঃ |
লোকেশন | কুষ্টিয়া |
প্রিয় বন্ধুরা,
আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে প্রতিনিয়ত আমার সৃজনশীলতা দিয়ে ভালো কনটেন্ট শেয়ার করে এই কমিউনিটিকে সমৃদ্ধ করতে চাই এবং উচ্চতার শিখরে নিয়ে যেতে চাই। আমার ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই নিজের খেয়াল রাখবেন সুস্থ এবং সুন্দর থাকবেন এটাই কাম্য করি।
আমি অংকন বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @aongkon। আমি মা, মাতৃভাষা এবং মাতৃভূমিকে সব থেকে বেশি ভালোবাসি। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে। আমি বর্তমানে ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটিতে সিভিল টেকনোলজিতে বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, গান গাইতে ও শুনতে, কবিতা লিখতে ও পড়তে, আর্ট করতে, রান্না করতে ও ফটোগ্রাফি করতে খুবই পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" আমার গর্ব "আমার বাংলা ব্লগ" আমার ভালোবাসা। আমার নিজের ভেতরে লুকায়িত সুপ্ত প্রতিভাকে বিকশিত করার লক্ষ্যে "আমার বাংলা ব্লগে" আমার আগমন। এই স্বল্প মানব জীবনের প্রতিটা ক্ষণ আমার কাছে উপভোগ্য। আমি মনে করি, ধৈর্যই সফলতার চাবিকাঠি।
@aongkon
![witness_proxy_vote.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmRXkkCEbXLYwhPEYqkaUbwhy4FaqarQVhnzkh1Awp3GRw/witness_proxy_vote.png)
![witness_vote.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmW8HnxaSZVKBJJ9fRD93ELcrH8wXJ4AMNPhrke3iAj5dX/witness_vote.png)
সত্যি ভাইয়া আপনার গ্রাম যেয়ে মেহেগুনি বাগানে ক্রিকেট খেলাটার দৃশ্যটা আমাকে মুগ্ধ করেছে। এবং আপনি মেহেগুনি বাগানের অনেকগুলো ফটোগ্রাফি করেছেন যেগুলো আমার কাছে সত্যিই অনেক চমৎকার লেগেছে। আপনার বন্ধু ও কাকাতো ভাইয়ের সাথে ক্রিকেট খেলার অনুভূতিটা শেয়ার করেছেন এটা দেখে ভালো লাগলো। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ভাই আপনি আজকে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন গ্রামে এসে মেহগনি বাগানের ক্রিকেট খেলার বেশ দারুন একটা অনুভূতি। আসলে শহরে থাকলে গ্রামের ছেলেদের মত শহরের ছেলেদের সাথে মেলামেশা করা হয় না। তবে গ্রামের ছেলেরা যে কোন খেলায় যে কোন জায়গায় বেশ মানিয়ে নিতে পারে। আপনিও গ্রামে এসে আবারো ক্রিকেট খেলায় মেতে উঠেছেন দেখে বেশ ভালো লাগলো। ধন্যবাদ ভাই এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
এটা সত্যি বলেছেন ভাই গ্রামে ছেলেরা যে কোন জায়গায় নিজেদেরকে খাপ খাইয়ে নিতে পারে। অনেক সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
গ্রামে এসে এরকম বাগানের মধ্যে ক্রিকেট খেলার অনুভূতি সত্যিই অসাধারণ। আমিও গতকাল বিকেলবেলা সকল বন্ধুদের সাথে নিয়ে আমাদের বাগান রয়েছে, সেখানে খেলেছি। আপনাদের খেলার সেই দৃশ্য গুলো দেখতে পেয়ে আমারও খুবই ভালো লাগলো।
গ্রামের চেয়ে এরকম সবাই মিলে একসাথে খেলাধুলা করতে ভীষণ ভালো লাগে ভাই। সুন্দর গঠনমূলক মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
এইসময় টা গ্রামীণ পরিবেশে খুবই সুন্দর লাগে।আপনি যেদিকে তাকাবেন সেদিকেই এখন সবুজ প্রাকৃতিক দিয়ে ঘেরা।যাইহোক আপনি ঠিক বলছেন এখনকার যুগে খেলাধুলা গুলো সত্যি হারিয়ে যাচ্ছে। আপনি বাসায় এসে অনেক দিন পর খেলছেন শুনে খুবই খুশি হলাম। তবে মেহগনির গাছ গুলো বেশ লম্বা মনে হচ্ছে। ধন্যবাদ ভাইয়া এতো সুন্দর ভাবে নিজের অনুভূতি গুলো শেয়ার করার জন্য।
অনেকদিন পরে গ্রামে এসে খেলাধুলা করতে পেরে ভীষণ ভালো লাগছিল। বর্তমানে বিভিন্ন সোশ্যাল প্ল্যাটফর্ম এর কারনে খেলাটা আস্তে আস্তে হারিয়ে যাচ্ছে। সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
খেলাধুলার কোন বিকল্প নেই আমার কাছে। খেলাধুলা করলে শরীর মন সবকিছুই ভালো থাকে। মেহেগুণি বাগানে ক্রিকেট খেলার মজা অনূভুতি শুধুমাত্র গ্রামের ছেলেরা জানে। শহরের ছেলেরা এ মজা কখনো পাইনি। গ্রামে মূলত মাঠ না থাকায় এইরকম মেহেগুণি বাগানে ক্রিকেট খেলা হয়ে থাকে। আমরাও খেলেছি একসময়। আজ অনেকদিন পর আপনার খেলার মূহূর্ত দেখে সত্যিই বেশ ভালো লাগল। দারুণ কাটিয়েছেন সময় টা।
আপনি যে খেলাধুলা প্রেমী মানুষ মাঝেমধ্যে আপনার পোস্ট দেখলেই বোঝা যায়। বিভিন্ন ধরনের খেলার রিভিউগুলো আপনি শেয়ার করেন দেখে বেশ ভালো লাগে। এটা সত্যি যে বাগানের ক্রিকেট খেলার অনুভূতি শহরের ছেলেরা কখনোই পায় না। সত্যি বলতে গ্রামে এসে এরকম খেলাধুলা করতে ভীষণ ভালো লাগে আমার কাছে। অনেক সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ভাই।
আপনার এই পোস্ট পড়ার মধ্য দিয়ে কিন্তু আমি একদম ছোটবেলায় ফিরে গেছি। আপনারা যেমন মেহগনি বাগানে খেলা করেছেন আমরা কিন্তু খেলতাম শিশু বাগানে। যেন সেই সময়ের স্মৃতিগুলো একদম পাই টু পাই ফিরে পেলাম আপনার এই পোস্ট করতে গিয়ে। বেশ ভালো লাগলো ভাই।
আমার পোস্টটি পড়ার মাধ্যমে আপনি সেই শৈশবে ফিরে গিয়েছিলেন জেনে বেশ ভালো লাগলো ভাই। গ্রামের এসব বাগানে খেলার অনুভূতি সত্যিই অনেক সুন্দর হয়। সুন্দর গঠনমূলক মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।